E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চালকদের জন্য সড়কে বিশ্রামাগার, একনেকে উঠছে প্রকল্প

২০১৯ আগস্ট ২৬ ২২:০৬:৪৫
চালকদের জন্য সড়কে বিশ্রামাগার, একনেকে উঠছে প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার: ট্রাকচালকদের একটানা দীর্ঘপথ গাড়ি চালানোর কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে, এতে প্রাণও ঝরে অনেক। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে মহাসড়কে দীর্ঘযাত্রার ট্রাকচালকদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার গড়ে তুলবে সরকার।

জানা যায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় একনেক সভায় অনুমোদন হতে পারে ‘টেকসই ও নিরাপদ মহাসড়ক গড়ে তোলার জন্য চারটি জাতীয় মহাসড়কের পার্শ্বে পণ্যবাহী গাড়ি চালকদের জন্য পার্কিং সুবিধা সম্বলিত বিশ্রামাগার নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (সড়ক পরিবহন উইং) নাজমুল হাসান বলেন, চালকদের জন্য আধুনিক বিশ্রামাগার প্রকল্পটি মঙ্গলবার একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। এটা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প। প্রথমে চারটি জাতীয় মহাসড়কে এ বিশ্রামাগার গড়ে তোলার পর পর্যায়ক্রমে বাকি মহাসড়কগুলোতে এ ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

এ লক্ষ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরেছে ২৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৭১ হাজার টাকা। চলতি বছরের শেষ সময়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের ৩০ জুনে।

প্রকল্পটির আওতায় যে চার মহাসড়কে বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হবে সেগুলো হচ্ছে; ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-রংপুর এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক।

এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হবে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসারে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্রামাগারটি নির্মাণ করা হবে হবিগঞ্জের হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুরে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিশ্রামাগার হবে সিরাগঞ্জের পাঁচিলে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ট্রাকচালকদের জন্য বিশ্রামাগার গড়ে তোলা হবে মাগুরার লক্ষীকান্দারে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, নিমসার ও পাঁচিলে সাড়ে ১২ একর ভূমিতে নির্মাণ করা হবে বিশ্রামাগার। জগদীশপুর ও লক্ষীকান্দারে বিশ্রামাগার গড়ে উঠবে ১৩ একর জমিতে। ১ হাজার ৮৬৩ বর্গমিটার আয়তনের দুই তলাবিশিষ্ট ভবনের আঙিনায় থাকবে ওয়ার্কশপ এবং পার্কিং এরিয়া, যেখানে অনায়াসে ৫০টি ট্রাক পার্কিং করা যাবে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকল্পের আওতায় সড়কবাঁধ নির্মাণ, ভূমি অধিগ্রহণ ও সবুজায়নের কাজ করা হবে। বিশ্রামাগারগুলো নির্মিত হলে ট্রাকচালকরা এখানে বিশ্রাম নিতে পারবেন। পারবেন ক্লান্তি দূর করার জন্য গোসল সারতে এবং ঘুমোতেও। সুযোগ হবে চালক পরিবর্তন এবং যানবাহনের যান্ত্রিক ত্রুটি দূর করারও। এর পাশাপাশি বিনোদনের জন্য টিভি দেখা এবং অবসাদ দূর করতে চা ও কফি পানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও থাকবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সূত্রমতে, প্রাথমিকভাবে চারটি জাতীয় মহাসড়কে ওই বিশ্রামাগারগুলো গড়ে তোলার পর ঢাকা-মাওয়া, ঢাকা-বরিশাল, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-রাজশাহী রুটেও ট্রাকচালকদের জন্য এমন অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test