E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে নজরদারি

২০১৯ নভেম্বর ১৬ ১৪:৫৭:৫৭
আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের লেনদেনে নজরদারি

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ পাচার রোধ, অনলাইনে জুয়া খেলাসহ বিভিন্ন অবৈধ খাতে ব্যয় নিয়ন্ত্রণে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডের (আইসিসি) ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গ্রাহকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম পূরণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। ফলে কোন পণ্য ও সেবা কেনা হবে ফরমে তার বিবরণ উল্লেখ করতে হবে।

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, বিদেশ থেকে পণ্য ও সেবার বৈধ কেনাকাটায় বিপরীতে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডে ইস্যুকৃত ডলার ব্যবহার করা যাবে। তবে বাংলাদেশে উৎপাদিত কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয়ে এ ডলার ব্যবহার করা যাবে না। এ বিষয়টি কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষভাবে অবৈধ বিভিন্ন পেমেন্ট যেমন- অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচা, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও লটারির টিকিট কেনার কাজে এ কার্ড ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

আরও বলা হয়, এখন থেকে গ্রাহকদের অনলাইন ট্রানজেকশন অথরাইজেশন ফর্ম বা ওটিএএফ পূরণ করে ব্যাংকগুলোতে জমা দিতে হবে। এরপর ব্যাংক সেটি যাচাই-বাছাই করে কোনো অসঙ্গতি না পেলে গ্রাহকরা ক্রেডিট কার্ডের ওই ডলার ব্যবহারের অনুমতি পাবেন। ক্রয়কালীন লেনদেনের ক্ষেত্রে যদি কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তিকে তা পরিশোধ করতে হবে।

২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলারে আন্তর্জাতিক পণ্য কেনাকাটায় আইসিসি ব্যবহারকারী গ্রাহকদের এককভাবে কোনো পণ্য বা সেবামূল্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার পর্যন্ত পরিশোধের সুযোগ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বছরে তা কোনো অবস্থাতেই এক হাজার ডলারের বেশি হবে না।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশে অবস্থিত খ্যাতিমান ও নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে বৈধ পণ্য ও সেবা (যেমন- সফটওয়্যার, ই-বুক ইত্যাদি) কিনতে পারেন।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test