E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিমের ধাক্কা গ্রামীণফোনের শেয়ারে

২০২০ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৭:৫২:২৬
সিমের ধাক্কা গ্রামীণফোনের শেয়ারে

স্টাফ রিপোর্টার : ‘গ্রামীণফোনের সিম আর পাওয়া যাবে না’ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে বকেয়া নিয়ে চলামান দ্বন্দ্বের মধ্যে এমন সংবাদে শেয়ারবাজরে কোম্পানিটির বড় দরপতন হয়েছে।

সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম ১৫ টাকা ৪০ পয়সা বা ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ বাড়ে। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এই দাম বাড়ার ফলে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ৩২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট। সূচক বাড়াতে এমন বড় ভূমিকা রাখার পরের কার্যদিবস মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) গ্রামীণফোনের চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গেছে। সোমবার কোম্পানিটি শেয়ারবাজারের মূল্য সূচক বাড়াতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, সেই কোম্পানিটিই মঙ্গলবার সূচক পতনে সব থেকে বড় ভূমিকা রেখেছে।

এদিন ডিএসইতে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমেছে পাঁচ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের এ দাম কমার কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট।

ডিএসইর এক সদস্য বলেন, সোমবার গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে- দুই-তিন সপ্তাহ পর বাজারে আর কোম্পানিটির সিম পাওয়া যাবে না। এ ঘোষণার কারণেই গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমেছে। আর গ্রামীণফোনের শেয়ার দাম কমায় সার্বিক বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

তিনি বলেন, শেয়ারবাজারে সব থেকে বড় মূলধনী কোম্পানি গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম বাড়া বা কমা সূচকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। বকেয়া নিয়ে বিটিআরসির সঙ্গে গ্রামীণফোনের দ্বন্দ্বের কারণে অনেকদিন ধরেই শেয়ারবাজার ভূগছে। এখন আবার কোম্পানির পক্ষ থেকে এমন নেতিবাচক তথ্য দেয়া হলো। এ সমস্যার সমাধান না হলে সার্বিক শেয়ারবাজারে নতুন করে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, আমাদের হাতে কোনো সিম নেই। খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু সিম রয়েছে। সেগুলো শেষ হলে আর সিম পাওয়া যাবে না। সিম রিসাইকেলের জন্য বিটিআরসির অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া সিম নষ্ট হলে রিপ্লেসমেন্টের জন্যও সিম পাওয়া যাবে না। সিম রিসাইকেলের জন্য এরই মধ্যে ৩০ লাখ সিম জমা আছে।

তিনি বলেন, সরকারের বকেয়া পাওনা নিয়ে গ্রামীণফোনের সঙ্গে যে সংকট চলছে, তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে তার উন্নতি হবে। বাংলাদেশের আইন, মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রামীণফোন। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি নতুন সিমের অনুমতি না দিলে বাজারে সিম সংকটে পড়বে গ্রামীণফোন। বাজারে প্রতিদিন গ্রামীণফোনের ৫০ হাজার সিমের চাহিদা আছে।

এদিকে সূচকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলার দিক থেকে গ্রামীণফোনের পরেই রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো। এ কোম্পানিটির দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৪ দশমিক ২২ পয়েন্ট।

এছড়া ইউনাউটে পাওয়ার ২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট, পাওয়ার গ্রিড ১ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট, খুলনা পাওয়ার ১ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট, আইসিবি ১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্ট, ইসলামী ব্যাংক ১ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট, ব্র্যাক ব্যাংক দশমিক ৯৯ পয়েন্ট, ন্যাশনাল ব্যাংক দশমিক ৯২ পয়েন্ট এবং সিটি ব্যাংক দশমিক ৮২ পয়েন্ট সূচক কমিয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test