E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাতশ কোটি টাকা ছাড়াল লেনদেন

২০২০ ফেব্রুয়ারি ১৩ ১৫:৪৪:১০
সাতশ কোটি টাকা ছাড়াল লেনদেন

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়ায় দেশের শেয়ারবাজারে সূচক ও লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে। সূচকের টানা উত্থানের সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের গতি। বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এক বছর পর আবারও সাতশ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়েছে।

শেয়ারবাজারে স্টেকহোল্ডারদের একটি অংশের দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেকটি ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে।

নিজস্ব উৎস অথবা ট্রেজারি বিল বন্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলো এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫ শতাংশ সুদে এ তহবিলের অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে ব্যাংকগুলো, যা পরিশোধের সময় পাবে পাঁচ বছর। আর ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ দিতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এই সুবিধা দেয়ার পর মঙ্গলবার শেয়ারবাজারে উল্লম্ফন দেখা দেয়। সেই সঙ্গে লেনদেন বেড়ে পাঁচশ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছে। আর বুধবার ডিএসইতে ছয়শ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হয়।

আগের দুই কার্যদিবসের মতো বৃহস্পতিবার লেনদেনের শুরুতেও শেয়ারবাজারে তেজিভাব দেখা যায়। ডিএসইতে শুরুতেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে, যা দিনের শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে বড় ধরনের উত্থান হয় মূল্য সূচকের। সেই সঙ্গে বাড়ে লেনদেনের গতি।

দিনভর ডিএসইতে ৭৩০ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়। এর মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারির পর বাজারটি সর্বোচ্চ লেনদেন হলো। গত বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইতে ৮৯১ কোটি ৬৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়। এর পর বাজারটিতে আর আটশ কোটি টাকার লেনদেন হয়নি।

অপরদিকে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক আগের দিনের তুলনায় ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৬৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫৩৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সূচক এমন হু হু করে বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দামও বাড়তে থাকে। এতে দফায় দফায় দাম বাড়িয়েও বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ অনেক কোম্পানির শেয়ার কিনতে পারেননি।

দিনের লেনদেন শেষে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। এর মধ্যে দাম বাড়ার সীমার সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে যায় ৩টি কোম্পানি। এছাড়া আরও প্রায় প্রায় অর্ধশত প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি চলে আসে। অপরদিকে ৬৫টি প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। আর ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিন এক শতাংশের ওপরে দাম বেড়ছে ২৩৪টির। এর মধ্যে ১৮৩টির দাম বেড়েছে ২ শতাংশের ওপরে। ৪ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ৯৫টি। ৫ শতাংশের ওপরে দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ৬৪টি। ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়ছে ৬ শতাংশের ওপরে। আর ৯ শতাংশের ওপরে দাম বেড়েছে ১৭টির।

এদিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ায় বড় অঙ্কের বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে ডিএসই। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৬ কোটি টাকা, যা আগের দিন ছিল ৩ লাখ ৪২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ একদিনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার ও ইউনিটের মূল বেড়েছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ২৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৬০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৯৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪২টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test