E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমেরিকায় পণ্য রপ্তানিতে অ্যামাজনের সঙ্গে ওয়ালটনের চুক্তি

২০২০ এপ্রিল ২৪ ১২:৫৫:৫১
আমেরিকায় পণ্য রপ্তানিতে অ্যামাজনের সঙ্গে ওয়ালটনের চুক্তি

স্টাফ রিপোর্টার : এখন থেকে আমেরিকায়ও মিলবে বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স এবং আইসিটি পণ্য। এজন্য বাংলাদেশি ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের সঙ্গে চুক্তি করেছে আমেরিকার বিশ্বখ্যাত ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন। এর মাধ্যমে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বিভিন্ন পণ্য অ্যামাজনের প্ল্যাটর্ফম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী বিক্রয় করা হবে। এই চুক্তির ফলে সব ধরনের ওয়ালটন পণ্য নিতে পারবে অ্যামাজন। তবে প্রাথমিকভাবে আমেরিকার বাজারে ওয়ালটনের ল্যাপটপ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্স বিক্রি হবে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২০১৯) রাজধানীতে ওয়ালটন করপোরেট অফিসে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অ্যামাজন বিডির কান্ট্রি ম্যানেজার শশাঙ্ক পান্ডে এবং ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক ও কম্পিউটার পণ্য বিভাগের সিইও ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এর ভাইস চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান এস এম মাহবুবুল আলম, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, আরবি গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, ওয়ালটন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাইসা সিগমা হিমা এবং ওয়ালটন আন্তর্জাতিক বিজনেস ইউনিট (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট অ্যাডওয়ার্ড কিমসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

এ সময় বাংলাদেশে তৈরি ট্যামারিন্ড ইএক্স মডেলের নতুন একটি ওয়ালটন ল্যাপটপের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বাংলাদেশে তৈরি পণ্য আমেরিকার বাজারে যাচ্ছে, এটা শুধু ওয়ালটনের জন্য ঐতিহাসিক দিন নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও ঐতিহাসিক দিন। ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ঐতিহাসিক দিন। যারা বিশ্বের ডিজিটাল ইকোনমির নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের দেশে ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি ওয়ালনটনকে একটি প্রাইভেট কোম্পানি নয়, বরং জাতীয় গর্ব বলে মনে করি। তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্র্ণ অবদান রাখছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে তারা আমাদের সহযোগী।

অ্যামাজন বিডির কান্ট্রি ম্যানেজার শশাঙ্ক পান্ডে বলেন, আজ অ্যামাজন, ওয়ালটন এবং বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশে তৈরি পণ্যের বৈশ্বিক চাহিদা রয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ওয়ালটন পণ্য অ্যামাজনের গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে আসবে।

ওয়ালটনের আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, ওয়ালটনের টার্গেট- ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানির মধ্য দিয়ে বিশ্ব বাজারে শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা। তাই, নিজস্ব ব্র্যান্ডের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ওইএম (অরিজিনাল ইক্যুইপমেন্ট ম্যানফ্যাকচারার) এর মাধ্যমে বিজনেস ভলিউম বাড়ানোর উপরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অ্যামাজনের সঙ্গে এই এই চুক্তির ফলে আমেরিকার বাজারে আমাদের পণ্য উন্মুক্ত হচ্ছে। যা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে ওয়ালটনের পথ সুগম করবে।

(পিআর/এসপি/এপ্রিল ২৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test