E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করতে ডিএসইর চিঠি

২০২০ মে ০৪ ১৬:১৮:৪৫
শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করতে ডিএসইর চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার : করোনাভাইরাসের কারণে ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যে শেয়ারবাজারে লেনদেন চালু করার সম্মতি চেয়ে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)।

রবিবার ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী সানাউল হক সই করা এ চিঠিতে আগামী ১০ মে লেনদেন চালু করার সম্মতি চাওয়া হয়েছে। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন বরাবর।

চিঠিতে জানানো হয়েছে, কমিশনের সম্মতির পরে লেনদেন চালু করতে ৩ দিন সময় দিতে হবে। কারণ ডিএসইরও লেনদেন চালু করার জন্য প্রস্তুতির বিষয় আছে।

এদিকে ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম স্বল্পতার কারণে শেয়ারবাজারে ২ ঘন্টার বেশি লেনদেন করা সম্ভব হবে না বলে কমিশনকে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্য চেক ক্লিয়ারিংয়ের জন্য ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা চাওয়া হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, লেনদেন চালু হলেও এই মুহুর্তে সব সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। কমিশনকে নানা বিষয়ে লিখিত কাগজের মাধ্যমে জানানো হয়। যা এখন সম্ভব হবে না। মেইলে পাঠানো হবে। এছাড়া সব নিউজ সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। কারণ অনেক নিউজের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কাছ থেকে কিছু বিষয় জেনে প্রকাশ করা দরকার পড়ে। কিন্তু ওই কোম্পানি বন্ধ থাকলে, জবাব কে দেবে। যাতে নিউজ সরবরাহ করা যাবে না।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল লেনদেন চালুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ। ওইদিন অনলাইনে আয়োজিত এক অনানুষ্ঠানিক পরিচালনা পর্ষদ সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরই আলোক ডিএসই থেকে লেনদেন চালুর সম্মতি চাওয়া হলো।

৩০ এপ্রিলের বৈঠকের বিষয়ে ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেছিলেন, লাখ লাখ মানুষের আয়ের প্রধান উৎস শেয়ারবাজার। তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি সাধারণ ছুটির সঙ্গে সঙ্গে এই বাজারও বন্ধ রয়েছে। এতে বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে ব্রোকারেজ হাউজগুলো এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের।

‘লেনদেন বন্ধ থাকায় এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কোনো আয় নেই। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনাদি দিতে হবে। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আর্থিক সংকটে ভুগছেন। এছাড়া লেনদেন বন্ধ থাকার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনাস্থা তৈরি হচ্ছে।’

সভায় লেনদেন চালু করার সুবিধা-অসুবিধার বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় বলে জানান ডিএসইর এই পরিচালক। তিনি বলেন, এতে ডিএসইর ম্যানেজমেন্ট লেনদেন চালুর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করে। সর্বোপরি আগামী ১০ মে থেকে লেনদেন চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে সরকারি ছুটি বাড়লেও ওইদিন লেনদেন চালু করা হবে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হলে লেনদেন চালু করা সম্ভব হবে না। এজন্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ম্যানেজমেন্টকে আরেকটি রিপোর্ট তৈরি করার জন্য বলা হয়েছে।

‘এরমধ্যে বিশেষভাবে ব্যাংকিং সময়ের স্বল্পতার সঙ্গে লেনদেন চালুর সম্ভাব্যতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকির বিষয়, সিডিবিএলের সক্ষমতা, স্টক এক্সচেঞ্জের সক্ষমতা ইত্যাদি তুলে ধরার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া বিএসইসির সম্মতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

এদিকে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বাড়বে বলে আগেই ইঙ্গিত দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। আর সোমবার প্রধানমন্ত্রী রংপুর বিভগের বিভিন্ন জেলের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে ছুটি ১৫ মে পর্যন্ত বাড়ানোর ইঙ্গিত দেন। সেই সঙ্গে অর্থনীতি ও জনজীবন সচল করতে দোকান, পাট স্বল্প পরিসরে খোলার ব্যবস্থা করার কথা জানান।।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজান মাসে যেন লোকজন চলতে পারে সেজন্য রোজার সময় দোকানপাট খোলা রাখা, ইফতারের দোকান যেন চলতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রেখে চালু রাখার জন্য বলেছি। জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্রশিল্প রয়েছে, সেগুলো চালুর নির্দেশনা দিয়েছি। মানুষকে সুরক্ষিত রেখে আমাদের অর্থনীতি গতিশীল রেখে যেন সেভাবে পরিচালিত হতে পারে, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

(ওএস/এসপি/মে ০৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test