E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সবজি অপরিবর্তিত, কমেছে আদা-চিনির দাম

২০২০ মে ০৮ ১২:৩৩:৫৩
সবজি অপরিবর্তিত, কমেছে আদা-চিনির দাম

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যে বেশকিছু দিন স্থির থাকার পর রোজার আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়ে যাওয়া বিভিন্ন সবজির দাম এখন কিছুটা চড়া। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন করে সবজির দাম পরিবর্তন হয়নি। অবশ্য কমেছে আদা ও চিনির দাম।

সবজির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার আগে যে হারে আড়তে সবজি পাওয়া যেত সেই হরে এখন পাওয়া যাচ্ছে না। আবার সবজি কিনতে আড়তে গভীর রাতে যেতে হচ্ছে। ভোরে বাজারে গেলে সবজি পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে রোজার আগে তুলনায় এখন সবজির দাম একটু বেশি।

অপরদিকে আদা ও চিনির দামের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার প্রকোপের মধ্যে আদার অস্বাভাবিক দাম বেড়েছিল। এরপর আদার পাইকারি বাজারে একের পর এক অভিযান পরিচালনা করায় এখন দাম কমে গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আদার দাম অর্ধেকের নিচে নেমেছে। আর চিনির দামও পাইকাররা কমিয়েছেন। এ কারণে খুচরাই চিনির দাম কমেছে।

ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদার দাম এখন কমে ১৪০-১৬০ টাকা হয়েছে। আর ৭০-৭৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিনির দাম কমে ৬২-৬৫ টাকা হয়েছে।

রামপুরার ব্যবসায়ী সুমন বলেন, অভিযানে জানা গেল একশ টাকারও কম দামে কেনা আদা পাইকাররা প্রায় আড়াইশ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছে। অভিযানে বেশি কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই আদার দাম কমছে। কমতে কমতে এখন ১৪০ টাকায় নেমেছে। আর চিনির দামও পাইকাররা কমিয়ে দিয়েছেন। এ কারণে আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

এদিকে বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার আগে ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া গাজরের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। ২০ টাকা বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ টাকা। ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনের দাম বেড়ে হয়েছে ৬০-৮০ টাকা।

রোজায় দাম বাড়ার এ তালিকায় রয়েছে পাকা টমেটো, চিচিংগা, পটল, পেঁপেও। রোজার আগে ১০-১৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো এখন ৩০-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া চিচিংগার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। ২০-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পটলের দাম বেড়ে হয়েছে ৪০-৫০ টাকা। আর ১৫-২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০-৫০ টাকা। গত এক সপ্তাহ ধরে এ সবজিগুলোর এমন দামেই বিক্রি হচ্ছে।

রোজার আগে বেশকিছু সবজির দাম বাড়লেও করলা, বরবটি, ঝিঙার দাম আগের মতোই স্থির রয়েছে। বাজার ও মানভেদে করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা। বরবটি পাওয়া যাচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। ঝিঙা ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বাড়ার বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী আলম বলেন, গত এক সপ্তাহে সবজির দাম নতুন করে বাড়েনি। যেটুকু দাম বাড়ার তা রোজার শুরুতেই বেড়েছে। কারওয়ান বাজারের খুচরা ব্যবসা বন্ধের পর দাম বাড়ে। এছাড়া এখন আড়তে মালও কম আসছে। আমার ধারণা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সবজির দাম আরও একটু বাড়বে।

রামপুরায় ভ্যানে সবজি বিক্রি করা মিঠু বলেন, আগে আমরা টমেটো, চিচিংগা ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। এখন ৪০ টাকার নিচে বিক্রির উপায় নেই। এরপরও আমাদের হিসাবে এখন সবজির দাম কম। প্রায় সব সবজির কেজি ৫০ টাকার নিচে। ঢাকার মানুষ ঠিকমত কেনাকাটা করলে কোনো সবজিই এখন ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যেতে না।

এদিকে সবজির পাশাপাশি দাম স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি, গরু, খাসির মাংস ও ডিমের দাম। গত সপ্তাহে বয়লার মুরগির কেজি ১২০-১৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা কেজি। ডিমের ডজন আগের মতোই ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা। আর খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০- ৯০০ টাকা।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগের মতোই রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০-৫০০ টাকা। নলা (ছোট রুই) মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-২০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৭০ টাকা, পাঙাশ ১৪০-১৮০ টাকা কেজি, শিং ৩০০-৪৫০ টাকা, শোল মাছ ৪০০-৭৫০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৬০০ টাকা, বোয়াল ৫০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৪৫০-৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মিনিকেট ও নাজিরশাল চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬৫ টাকা কেজি, মাঝারি মানের পইজাম ও লতা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫২ টাকা, গরিবের মোটা চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮-৪৫ টাকা। পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। লুজ সয়াবিন তেল ৯০-৯৫ টাকা, ভালো মানের পাম অয়েল ৭৫-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বড় দানার মশুরের ডাল ৯০-১০০ টাকা, ছেট দানার মশুরের ডাল ১৩০-১৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/মে ০৮, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test