E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জীবন না বাঁচলে, জীবিকার কী প্রয়োজন : সিপিডি

২০২০ মে ০৯ ১৩:৫০:৩৯
জীবন না বাঁচলে, জীবিকার কী প্রয়োজন : সিপিডি

স্টাফ রিপোর্টার : অনলাইন জরিপে ৯৩ শতাংশ বর্তমান প্রেক্ষাপটে শপিংমল না খোলার এবং ৯৬ শতাংশ শপিংমলে না যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন-এমন তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বলেছে, জীবন ও জীবিকা দুটোই প্রয়োজন আছে। তবে জীবন যদি না থাকে, সেই জীবিকা দিয়ে কী প্রয়োজন।

শনিবার (৯ মে) ‘কোভিড-১৯-বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বাজেট ২০২০-২১’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল মিডিয়া ব্রিফিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে যে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, সেটাকে আমরা লকডাউন হিসেবেই দেখছি। সেটা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে। স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানোর জন্য সারাবিশ্বেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে।’

ফাহমিদা বলেন, ‘লকডাউন যেহেতু এক মাসের বেশি সময় ধরে রয়েছে, সে কারণে বিভিন্ন পক্ষ থেকে তা তুলে নেয়ার জন্য এক ধরনের চাপ রয়েছে। কারণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। সীমিত আকারে শপিংমল, দোকানপাট খুলে দেয়ার ঘোষণা এসেছে।’

‘আমরা মনে করি জীবনকে বাঁচাতে হবে আগে। তারপর জীবিকাও দরকার। জীবনই যদি না থাকে, তাহলে জীবিকা দিয়ে কী প্রয়োজন। সুতরাং এজন্য সুচিন্তিতভাবে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, “শপিংমল, পরিবহন, কাঁচাবাজার এসব জায়গাগুলোতে মানুষের সমাগম বেশি হয়। যেখানে মানুষের সমাগম বেশি হয়, সেখানে এটার (করোনাভাইরাস) বিস্তার বেশি হয়। আমরা অনলাইনে একটি জরিপ করি। তাতে প্রশ্ন ছিল-বর্তমান পরিস্থিতিতে শপিংমল খুলে দেয়া প্রয়োজন কি-না? এর উত্তর দিয়েছেন ২২৬৪ জন। এদের মধ্য ২১০০ জন ‘না’ ভোট দিয়েছেন। সেটা প্রায় ৯৩ শতাংশ। আর ১৬৪ জন খুলে দেয়ার পক্ষে। সুতরাং, আমরা দেখছি অধিকাংশ শপিংমল না খোলার পক্ষে।”

‘আমরা আরেকটি প্রশ্ন করেছিলাম, শপিংমল খুলে দিলে আপনি যাবেন কি-না? এর উত্তির দিয়েছেন ১০৪৭ জন। এর মধ্যে ১০০০ জন বলেছেন শপিংমলে যাবেন না। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ শপিংমলে না যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপরীতে ৪৭ জন শপিংলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং মানুষ কী ভাবে তা বিবেচনায় নেয়া ভালো’, বলেন ফাহমিদা।

তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেট হতে যাচ্ছে সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। বাংলাদেশ কখনোই এ ধরনের অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে পড়েনি। সেজন্য এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। সুতরাং, এবারের বাজেট তৈরির ক্ষেত্রে অনেক ধরনের চাপ, সমস্যা, চ্যালেঞ্জের মুখোমুখী হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেখানে সাপ্লাই চেন, চাহিদার ওপর চাপ পড়েছে। যার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। দেশের ভেতরেও অর্থনীতির অনেক খাত বিচ্ছিন্ন ও বন্ধ রয়েছে। যার কারণে অর্থনীতির ওপর আরেকটা চাপ পড়েছে।

(ওএস/এসপি/মে ০৯, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test