E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

একদিনে লবঙ্গের কেজিতে কমলো ২০০ টাকা

২০২০ জুন ০৭ ১২:১৪:৩৬
একদিনে লবঙ্গের কেজিতে কমলো ২০০ টাকা

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর একদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে লবঙ্গের দাম কেজিতে ২০০ টাকা কমেছে। এর আগে জিরা, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, আদা, রসুন, পেঁয়াজের দাম কমে। ঈদের পর চাহিদা কমায় এভাবে একের পর এক মসলার দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

করোনার কারণে নানা সমস্যা দেখিয়ে এপ্রিল থেকে দফায় দফায় বিভিন্ন মসলার দাম বাড়াতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ১৩ মে গরম মসলার পাইকারি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

ওই বৈঠকে বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতি মসলার দাম ১০ থেকে ২৫ ভাগ কমানোর কথা দেন। তবে ঈদের আগে ব্যবসায়ীদের দেয়া কথার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। উল্টো কিছু মসলার দাম আরও বাড়ে।

ঈদের আগে চাহিদা বেশি থাকায় কোনো কোনো বাজারে লবঙ্গের কেজি ১৩০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। তবে ঈদের পর চাহিদা কমায় গত সপ্তাহে দাম কমে ১০০০-১২০০ টাকা কেজিতে নামে।

রবিবার (৭ জুন) বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লবঙ্গের দাম আরও কমে এখন ৮০০-১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল শনিবারও ১০০০-১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

এ বিষয়ে রামপুরার ব্যবসায়ী শামছুল বলেন, গতকাল শ্যামবাজার থেকে লবঙ্গ নিয়ে এসেছি। কেজিতে ২০০ টাকা কম পড়েছে। এ কারণে আজ আমরাও কম দামে লবঙ্গ বিক্রি করছি। গতকাল একশ গ্রাম লবঙ্গ ১২০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ ৯০ টাকায় বিক্রি করছি।

তিনি বলেন, শুধু লবঙ্গ নয় ঈদের পর আদা, জিরা, রসুন, দারুচিনি, এলাচসহ সব মসলার দাম কমছে। আপাতত কিছুদিন মসলার দাম কম থাকবে বলে আমাদের ধারণা। তবে মাসখানেক পর আবার মসলার দাম বেড়ে যেতে পারে।

খিলগাঁও তালতলা ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, গতকালও এক কেজি লবঙ্গ ১০০০ টাকায় বিক্রি করেছি। আজ বিক্রি করছি ৮০০ টাকা কেজি। ঈদের আগেই সব ধরনের মসলা পাইকারি বাজারে এসেছে। তবে পাইকারি বাজারে ঈদের আগে দাম কমেনি। ঈদ চলে যাওয়ায় এখন দাম কমছে। পাইকারিতে দাম কমায় আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারছি।

তিনি বলেন, মাংস রান্না ছাড়াও লবঙ্গ মানুষ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। বিশেষ করে লবঙ্গ চা অনেকের প্রিয়। করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাসের শেষের দিকে লবঙ্গের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে দাম বাড়ে। যার প্রভাব ঈদের আগ পর্যন্ত থাকে। তবে ঈদের পর সব ধরনের মসলার দাম কমায় এখন লবঙ্গের দামও কমল।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকা, যা ঈদের আগে ৪৫০-৫৫০ টাকা হয়েছিল। অর করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার আগে ছিল ৩৫০-৪০০ টাকার মধ্যে। এ হিসাবে ঈদের পর জিরার দাম কমলেও করোনার আগের তুলনায় এখনো জিরা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের আগে ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দারুচিনির দাম কমে এখন ৪০০-৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। করোনার আগে দারুচিনির কেজি ছিল ৩৫০-৪০০ টাকার মধ্যে। ঈদের আগে দাম বেড়ে ৪০০০-৪২০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া এলাচের দাম কমে ৩০০০-৩৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

ঈদের পর দাম কমার এ তালিকায় রয়েছে- পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আদা, দেশি হলুদ, তেজপাতাও। ঈদের আগে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি রসুনের দাম কমে ৯০-১১০ টাকা হয়েছে। আর আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১৫০-১৭০ টাকা।

দেশি হলুদের দাম কমে ১৩০-১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ১৫০-১৮০ টাকা। তবে আমদানি করা হলুদের কেজি আগের মতোই ২০০-২২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে দেড়শ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া তেজপাতার কেজি ১২০ টাকায় নেমেছে।

ঈদের আগে অস্বাভাবিক দাম বাড়া দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের আদার দাম কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। ঈদের আগে ২০০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি আদার দাম কমে ১০০-১২০ টাকা হয়েছে। আর আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা, যা ঈদের আগে ছিল ১৮০-২০০ টাকা।

ঈদের আগে ৫০-৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজের দাম কমে হয়েছে ৪০-৪৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের সঙ্গে কমেছে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও। বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩০-৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে, যা ঈদের আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা।

(ওএস/এসপি/জুন ০৭, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test