E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ক্রেতা নেই ওয়ালটনের শেয়ারের

২০২০ অক্টোবর ১২ ১৪:১৯:০৫
ক্রেতা নেই ওয়ালটনের শেয়ারের

স্টাফ রিপোর্টার : দফায় দফায় দাম বাড়ার পর এখন দফায় দফায় কমছে ওয়ালটনের শেয়ারের দাম। এরপরও কোম্পানিটির শেয়ারের ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। দাম কমার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করার পরও সোমবার ওয়ালটনের শেয়ারের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।

এদিন ওয়ালটনের লেনদেন শুরুর দাম ছিল ৮৯০ টাকা ১০ পয়সা। তবে প্রথমে ৮৪৪ টাকা ৩০ পয়সা করে ২০টি শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসে। এ দামে কেউ শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় এরপর দফায় দফায় দাম কমতে থাকে।

এক পর্যায়ে ৮১৯ টাকা ৫০ পয়সা করে ৪০ হাজার ৯৬৮টি শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব আসে। তবে এ দামেও কেউ কোম্পানিটির শেয়ার কিনতে চাচ্ছেন না। ফলে ক্রেতা সংকটে দাম কমার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শে করে হল্টেড হয়েছে।

হঠাৎ এমন ক্রেতা সংকট দেখা দিলেও শেয়ারবাজারে ওয়ালটনের শেয়ার লেনদেনের শুরুর পর প্রথম আট কার্যদিবস দাম বাড়ার সর্বোচ্চসীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়। দফায় দফায় দামে বেড়ে কোম্পানিটির ১০ টাকার শেয়ার দাম এক হাজার ৯ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এরপর থেকেই দাম কমতে শুরু করেছে।

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার পর গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় ওয়ালটনের শেয়ার।

ব্যবসা সম্প্রসারণ, ব্যাংকঋণ পরিশোধ এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের খরচ মেটাতে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য গত ৭ জানুয়ারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজকে বিডিংয়ে অংশ নেয়ার অনুমোদন দেয়।

এ অনুমোদনের ফলে কাট-অফ প্রাইস নির্ধারণে গত ২ মার্চ বিকেল ৫টা থেকে ৫ মার্চ বিকেল ৫টা পর্যন্ত যোগ্য বিনিয়োগকারীরা বিডিংয়ে অংশ নেন। এ সময়ের মধ্যে বিডিংয়ে অংশ নেন ২৩৩ জন। এসব বিনিয়োগকারী সর্বনিম্ন ১২ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৭৬৫ টাকা করে ওয়ালেটনের শেয়ার কেনার জন্য প্রস্তাব দেন।

এর মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক যোগ্য বিনিয়োগকারী ওয়ালটনের প্রতিটি শেয়ারের জন্য ২১০ টাকা দাম প্রস্তাব করেন। এই দামে ১৪ জন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক বিনিয়োগকারী দাম প্রস্তাব করেন ১৫০ টাকা করে। এই দামে ১০ জন বিনিয়োগকারী কোম্পানিটির শেয়ার কেনার আগ্রহ দেখান।

তবে বিডিংয়ে বরাদ্দকৃত ৬০ কোটি ৯৬ লাখ টাকার শেয়ারের জন্য ৩১৫ টাকার ওপরে বিডিং হয়। ফলে কাট-অফ প্রাইস হিসেবে ৩১৫ টাকা নির্ধারিত হয়। এর ওপর ভিত্তি করে কোম্পানিটি ১৫ লাখ ৪৮ হাজার ৯৭৬টি সাধারণ শেয়ার ২৫২ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীর (অনিবাসী বাংলাদেশিসহ) নিকট বিক্রি করে।

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ১২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test