E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৫ মিনিটে মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় রবি, বিক্রেতা উধাও

২০২০ ডিসেম্বর ২৪ ১২:১৮:২২
৫ মিনিটে মূল্যবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায় রবি, বিক্রেতা উধাও

স্টাফ রিপোর্টার : শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে মূল্য বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেছে রবি আজিয়াটা। তবে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিজয়ীরা কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না। ফলে রবি আজিয়াটা লিমিটেড –এর শেয়ার বিক্রেতা উধাও হয়ে গেছে।

আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলন করেছে রবি। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে।

এদিন লেনদেনের শুরুতে ১৪ টাকা করে কোম্পানির ২ লাখ ৬১ হাজার ১৭০টি শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব আসে। তবে কেউ এ দামে রবির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হয়নি। এরপর কয়েক দফা দাম বেড়ে সর্বশেষ ১৫ টাকা করে ১৭ কোটি ৫২ লাখ ১৬ হাজার ৬৬২টি শেয়ার কেনার প্রস্তাব আসে।

এতেই দাম বাড়ার সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে রবি। তবে এরপরও কোনো বিনিয়োগকারী তাদের কাছে থাকা কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে রাজি হননি। ফলে ক্রেতা থাকলেও শেয়ারের বিক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে অনুমোদন নিয়ে রবি আজিয়াটার আইপিওতে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় ১৭ নভেম্বর। যা চলে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত।

নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং আইপিও খরচের জন্য রবিকে অভিহিত মূল্যে শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩৩ হাজার ৩৪০ টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

এই টাকা তোলার জন্য কোম্পানিটি ৫২ কোটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩৪টি সাধারণ শেয়ার আইপিওতে ইস্যু করে। এর মধ্যে ১৩ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ৯৩৪টি শেয়ার কোম্পানির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে ইস্যু করা হয়েছে।

এদিকে আইপিওতে রবি’র শেয়ার পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন যোগ্য বিনিয়োগকারীরা। আইপিওতে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের জন্য যে পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ ছিল তার ১০ গুণের বেশি আবেদন জমা পড়ে। যোগ্য বিনিয়োগকারীদের আইপিও আবেদন জমা পড়ার হার ১০২৩ শতাংশ।

যোগ্য বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও রবি'র আইপিও পেতে মরিয়া ছিলেন। তাদের জমা পড়া আইপিও আবেদন সেই তথ্যই নিশ্চিত করছে। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে কোম্পানিটির যে পরিমাণ শেয়ার বরাদ্দ ছিল, আবেদন জমা পড়ে তার তিনগুণ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যোগ্য ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মিলে রবি আইপিওতে ২ হাজার ২২৭ কোটি টাকার আবেদন জমা দেয়। এর মধ্যে যোগ্য বিনিয়োগকারী প্রায় ১৫৮৭ কোটি টাকার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেন।

এর মধ্যে ১২ লাখ ৮০ হাজার সাধারণ বিনিয়োগকারী রবি আজিয়াটা লিমিটেডের আইপিওতে শেয়ারের জন্য ২৩ কোটি ২০ লাখ শেয়ার বা ২৩২ কোটি টাকার বিপরীতে ৬৪০ কোটি টাকার আবেদন করেন।

অপরদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীরা তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা ১৫৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ারের বিপরীতে ১ হাজার ৫৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকার আবেদন করেন।

কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনের সময় বিএসইসি জানায়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত বছরে রবি শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) করেছে ৪ পয়সা। আর পুনঃমূল্যায়ন ছাড়া শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা।

কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে আনতে ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট। আইপিও অনুমোদনের পর আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস থেকে জানানো হয়, রবি পুঁজিবাজার থেকে ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। যা এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ আইপিও। উত্তোলিত অর্থ রবির নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের জন্য ব্যবহৃত হবে। টেলিকমিউনিকেশন খাতের দ্বিতীয় কোম্পানি হিসেবে রবির তালিকাভুক্তি বাজারের মূলধনকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, আইডিএলসি ২০১৬ সালে রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণেও উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের বৃহত্তম মার্জার লেনদেনগুলোর মধ্যে অন্যতম।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test