E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে বাংলাদেশ’

২০২১ জানুয়ারি ১৩ ১৯:৪৮:২২
‘ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে বাংলাদেশ’

স্টাফ রিপোর্টার : আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের স্তরে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী এবার জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসির দ্বিতীয় বৈঠকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে অনলাইনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করে আছি আমরা এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব এবং গ্রাজুয়েশন করব, উন্নয়নশীল দেশের দিকে যাব। সেটি করার জন্য কিছু ক্রাইটেরিয়া আছে, সেটি জাতিসংঘ দেখে। এইজন্য প্রত্যেক দেশকে যদি ইচ্ছা পোষণ করে যে তারা গ্রাজুয়েশন চায়, তারা এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসতে চায় তাহলে তাদের জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভলপমেন্ট পলিসিকে জানাতে হয়। এরা ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বসে এবং এটি তাদের পরামর্শ অনুযায়ী একটি দেশকে আপগ্রেড করা হয়, নিম্ন স্তর থেকে উচ্চ স্তরে নিয়ে আসা হয়।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০১৮ সালে এই কমিটি পর্যালোচনা সভা করেছিল। সেই সভায় এই কমিটিকে খুশি করতে কমিটির যে চাহিদা সেটি আমরা পূরণ করেছিলাম। তিনটি চাহিদা সেখানে আছে। দেশের ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেস্ক, হিউম্যান অ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম। তিনটি বিষয় দেখে একটি দেশকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে এটি একটি সভায় করা হয় না, এই কমিটি পরবর্তী সভায় যখন আবার বসবে প্রথম সভায় যারা ক্রাইটেরিয়াগুলো মিট করতে পারে এবং দ্বিতীয় সভায় যারা ক্রাইটেরিয়া মিট করতে পারে তাদেরকেই গ্রাজুয়েশনের জন্য সিলেক্ট করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা ২০১৮ সালে এই কমিটি যখন বসেছিল সে সময় আমরা আবেদন করেছিলাম এবং সেখানে অ্যাসেসমেন্ট যে তিনটি ক্রাইটেরিয়া আছে, ইকোনমিক ভারনারেবল ইনডেস্ক, হিউম্যান অ্যাসেট ইনডেক্স এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম যেটা মিনিমাম থাকে তার চেয়ে বেশি আমাদের, সেটা পূরণ করেছিলাম। যেহেতু এটা প্রথম অ্যাসেসমেন্ট ছিল আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে দ্বিতীয় অ্যাসেসমেন্ট সভার জন্য। দ্বিতীয় অ্যাসেসমেন্ট সভাটি আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে হবে, সেই সময় আমরা আশা করি এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসব এবং পরবর্তী যে স্তর (উন্নয়নশীল) সে স্তরে পৌঁছে যাব।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ইকোনমিক ভারনারেবিলিটি ইনডেস্কের জন্য একটি দেশকে কমপক্ষে ৩২ পয়েন্ট অর্জন করতে হয়। আমরা সেখানে ২৭ পয়েন্ট অর্জন করেছি, কম আছে আমাদের। হিউম্যান অ্যাসেট ইনডেক্সে একটি দেশের ৬৬ পয়েন্ট থাকতে হবে। আমাদের আছে ৬৫, আমরা এখানেও বেশি আছি এবং পার ক্যাপিটা ইনকাম একটি দেশের অ্যাট্রাক্ট ম্যাথোডে করা হয় এবং সেই ম্যাথোডে গ্রাজুয়েশনের জন্য দরকার ১ হাজার ২১০ ডলার, আমাদের আছে ১ হাজার ৬৪০ ডলার।

মুস্তফা কামাল বলেন, তিনটি ক্রাইটেরিয়া আমরা পূরণ করেছি। আমরা আশাবাদী এবার দ্বিতীয় বৈঠকে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারব, নিচু স্তর থেকে উচ্চ স্তরে যাওয়ার জন্য। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী এটি অর্জন করতে পারব। এই সময়টি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। এই সময় যদি আমরা অর্জনটি করতে পারি, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে বড় একটি সফলতা।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test