E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ইউনাইটেড এয়ারের ৪০ কোটি টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

২০১৪ আগস্ট ২৬ ১৬:৪৬:২৬
ইউনাইটেড এয়ারের ৪০ কোটি টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

স্টাফ রিপোর্টার : ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের বকেয়া ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঋণের ৭৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪০ কোটি টাকা সারচার্জ ছাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানান ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের এজিএম ওলিউর রহমান।

কোম্পানির সারচার্জ মওকুফ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ৭ ধরণের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আশা করি আমরা সারচার্জ মওকুফ পাবো। সরকার আমাদের সুযোগ দিলে বাকি ৪০ কোটি টাকা ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বিভিন্ন কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।

অন্যদিকে ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের শেয়ারপ্রতি দর মঙ্গলবার ১০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ১১.২০ টাকা এবং মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৩০ টাকায়।

দর বাড়ার কোন কারণ অথবা কোম্পানির (ইনসাইডার নিউজ) সফলতার কোন সংবাদ আছে- কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওলিউর রহমান বলেন, কোন কারণ নেই। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কোন সংবাদ আগেই পেতে পারেন। আমরা আশা করি, বিএসইসির কাছে আমাদের যে আবেদন করেছি তাও ফলপ্রসু হবে। এসব কারণেও শেয়ার দর বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ইউনাইটেড এয়ার ক্রান্তিকাল উত্তোরণে কিছু সহায়তা চায়। তার মধ্যে রয়েছে- বেবিচের মূল পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির ব্যবস্থা করা। বেবিচের সারচার্জ মওকুফ করা। প্রতিষ্ঠানটির বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত সকল প্রকার চার্জ আগামী পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ করা। দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে ক্রয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে ২৫ মে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- পুঁজিবাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিএসইসির ২২ নভেম্বরের ২০১১ সালের জারি করা নির্দেশনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাবের ওপর মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিএসইসি ও বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচ) সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে ৭ ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। গত ৩০ এপ্রিল ইউনাইটেড এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তসরিবুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।

ইউনাইটেড এয়ারের চাওয়া সহায়তাগুলো হলো- বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের ২২ নবেম্বরের নির্দেশনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়া। এতে দেশীয় এয়ারলাইন্সটি টিকে থাকবে ও বিকশিত হবে বলে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের দাবি।

বেবিচের মূল পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির ব্যবস্থা করা। বেবিচের সারচার্জ মওকুফ করা। প্রতিষ্ঠনটির বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত সকল প্রকার চার্জ আগামী পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ করা। দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে ক্রয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা।
এর আগে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আইন শিথিলের সুপারিশ করেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সুপারিশ করেন।

আর এটি অনুমোদন করা হলে আবারো দ্রুত গতির ইউনাইটেড এয়ার তার গতি ফিরে পাবে। এমনটাই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

(ওএস/এটিআর/আগস্ট ২৬, ২০১৪

ইউনাইটেড এয়ারের ৪০ কোটি টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

২০১৪ আগস্ট ২৬ ১৬:২৩:১৮
 ইউনাইটেড এয়ারের  ৪০ কোটি  টাকা পরিশোধের সিদ্ধান্ত

ইউনাইটেড এয়ার কর্তৃপক্ষ তাদের বকেয়া ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ঋণের ৭৭ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৪০ কোটি টাকা সারচার্জ ছাড়া কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে। মঙ্গলবার এ কথা জানান ইউনাইটেড
এয়ারওয়েজের এজিএম ওলিউর রহমান।

কোম্পানির সারচার্জ মওকুফ করার বিষয়ে তিনি বলেন, ৭ ধরণের সহায়তা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে আশা করি আমরা সারচার্জ মওকুফ পাবো। সরকার আমাদের সুযোগ দিলে বাকি ৪০ কোটি টাকা ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে বিভিন্ন কিস্তিতে পরিশোধ করা হবে।

অন্যদিকে ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজের শেয়ারপ্রতি দর মঙ্গলবার ১০ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি দর ছিল ১১.২০ টাকা এবং মঙ্গলবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৩০ টাকায়।

দর বাড়ার কোন কারণ অথবা কোম্পানির (ইনসাইডার নিউজ) সফলতার কোন সংবাদ আছে- কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওলিউর রহমান বলেন, কোন কারণ নেই। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ কোন সংবাদ আগেই পেতে পারেন। আমরা আশা করি, বিএসইসির কাছে আমাদের যে আবেদন করেছি তাও ফলপ্রসু হবে। এসব কারণেও শেয়ার দর বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ইউনাইটেড এয়ার ক্রান্তিকাল উত্তোরণে কিছু সহায়তা চায়। তার মধ্যে রয়েছে- বেবিচের মূল পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির ব্যবস্থা করা। বেবিচের সারচার্জ মওকুফ করা। প্রতিষ্ঠানটির বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত সকল প্রকার চার্জ আগামী পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ করা। দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে ক্রয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ে ২৫ মে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- পুঁজিবাজারের স্বার্থে স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের শেয়ার ধারণ সংক্রান্ত বিএসইসির ২২ নভেম্বরের ২০১১ সালের জারি করা নির্দেশনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়ার প্রস্তাবের ওপর মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন জবাব পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এর আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিএসইসি ও বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচ) সহায়তা চেয়ে চিঠি দেয়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সরকারের পক্ষ থেকে ৭ ধরনের সহায়তা প্রয়োজন বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। গত ৩০ এপ্রিল ইউনাইটেড এয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন তসরিবুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়।
ইউনাইটেড এয়ারের চাওয়া সহায়তাগুলো হলো- বিএসইসির জারি করা ২০১১ সালের ২২ নবেম্বরের নির্দেশনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে অব্যাহতি দেয়া। এতে দেশীয় এয়ারলাইন্সটি টিকে থাকবে ও বিকশিত হবে বলে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষের দাবি।
বেবিচের মূল পাওনা পরিশোধের ক্ষেত্রে কিস্তির ব্যবস্থা করা। বেবিচের সারচার্জ মওকুফ করা। প্রতিষ্ঠনটির বিকাশের জন্য অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা সংক্রান্ত সকল প্রকার চার্জ আগামী পাঁচ বছরের জন্য মওকুফ করা। দেশীয় বিমান সংস্থাগুলোকে ক্রয় মূল্যে জ্বালানি সরবরাহ করা।
এর আগে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের রাইট শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আইন শিথিলের সুপারিশ করেছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ সুপারিশ করেন।

আর এটি অনুমোদন করা হলে আবারো দ্রুত গতির ইউনাইটেড এয়ার তার গতি ফিরে পাবে। এমনটাই মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

পুঁজিবাজার ডেস্ক

- See more at: http://www.bdmail24.net/bn/article/13282/#sthash.b6uioWr5.dpuf

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test