E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে ফ্ল্যাটের মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

২০২১ ডিসেম্বর ১৯ ১৭:১৭:২৪
ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে ফ্ল্যাটের মূল্য ৫০ শতাংশ বৃদ্ধির শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার : বিষদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ বাস্তবায়ন হলে ফ্ল্যাটের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা। এখন যে দামে ফ্ল্যাট পাওয়া যাচ্ছে আগামীতে তা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন তারা।

২৪-২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য রিহ্যাব আবাসন মেলা সম্পর্কে জানাতে রাজধানীর একটি হোটেলে (১৯ ডিসেম্বর) রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এমন শঙ্কার কথা জানান ব্যবসায়ীরা।

প্রস্তাবিত ড্যাপে আবাসিক ভবনের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলেই দাম বাড়বে বলে জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আবাসন ব্যবসায়ী ও রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামাল মাহমুদ বলেন, ঢাকায় জায়গা স্বল্পতা বাড়ছে। তার সঙ্গে যদি উচ্চতাও কমে যায় তাহলে ফ্ল্যাটের দাম বাড়বে।

তিনি বলেন, উচ্চতা কমলে ফ্ল্যাটের সংখ্যা কমবে। সেখানে খরচ বেড়ে যাবে। কারণ হাইরাইজ ভবনে ফ্ল্যাট বানালে খরচ আমরা কমাতে পারি। এ কারণে আমরা আশঙ্কা করছি ড্যাপের কারণে ফ্ল্যাটের মূল্য বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, কোভিডের কারণে সব কিছুর দাম বেড়েছে। নির্মাণ সামগ্রীর দামও কমছে না। এজন্য আগামীতে যে ফ্ল্যাটগুলো তৈরি হবে সেগুলোর দাম এখনকার তুলনায় বেশি হবে।

রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফাইন্যান্স) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, ড্যাপ তো একটা নীতিমালা। সেটা পাস হয়ে গেলে আমাদের তা অনুশাসন করতে হবে। পালন করতে গেলে ফ্লাটের মূল্য ৫০ শতাংশ বেড়ে যাবে। পার স্কয়ার ফিট এখন ৫ থেকে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা গেলেও পরের মেলায় তা ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার নিচে বিক্রি করা যাবে না।

কামাল মাহমুদ বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ায় ভবণ নির্মাণ ব্যয় বেড়েছে। প্রতি বর্গফুটে ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৫০০ টাকা। যে রড আমরা ৫২ হাজার টাকায় কিনতাম সে রড এখন ৮২ হাজার টাকা। তেমনি সিমেন্ট, ইটসহ অন্যান্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে। যখন আমরা প্রোজেক্ট হাতে নিয়েছি তখন আমাদের একটা বাজেট ছিল। কিন্তু সেই বাজেটের প্রায় ১৫-২০ শতাংশ বেশি টাকা লাগছে।

তিনি বলেন, যেকোন জিনিসের দাম বাড়া বা কমার ক্ষেত্রে একটি মনিটরিং সেল থাকা প্রয়োজন। হুটহাট করে জিনিসের দাম বেড়ে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী মেলায় ২২০টি স্টল থাকছে। প্রায় ১৫০টি আবাসন প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেবে। মেলা চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

মেলায় ১৫টি নির্মাণসামগ্রী এবং ৩০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। মেলার উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।

মেলার সিঙ্গেল এন্ট্রির প্রবেশ ফি ৫০ টাকা। আর মাল্টিপল এন্ট্রির প্রবেশ ফি ১০০ টাকা। সিঙ্গেল এন্ট্রি টিকিটে একবার এবং মাল্টিপল এন্ট্রি টিকিটে ৫ বার মেলায় প্রবেশ করা যাবে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৯, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test