E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘টেকসই উন্নয়নে সার্কুলার ইকোনমি মডেল অনুসরণ করতে হবে’

২০২২ জানুয়ারি ১৬ ১৮:০১:৩০
‘টেকসই উন্নয়নে সার্কুলার ইকোনমি মডেল অনুসরণ করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর দেশের টেকসই উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে বাংলাদেশকে সার্কুলার ইকোনমি মডেল অনুসরণ করে কাজ করতে হবে। এজন্য যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে সার্কুলার ইকোনমির বর্তমান অবস্থা: সমস্যা ও সামাধান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আজ (রবিবার) মতিঝিলে এফবিসিসিআই ভবন অডিটরিয়ামে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সুজাউদ্দিন।

অন্যদের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, আইসিসিসিএডি’র উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজান আর খান, ন্যাচারাল রিসোর্স অ্যান্ড ব্লু ইকোনমি গ্লোবাল প্রাকটিসের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইয়ান জু আলিসন ই এবং আইএফইএস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন এবং এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের সার্কুলার ইকোনমির গুরুত্ব অনেক। বর্ধিত নগরায়নের সঙ্গে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে পড়েছে। শিল্প বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, প্রাণীজ বর্জ্যসহ বিভিন্ন রাসায়নিক বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে বায়ু, পানি, মাটি। এর প্রভাব পড়ছে জীববৈচিত্র্যের ওপর। জলবায়ু পরিবর্তনে বিভিন্ন প্রাণীর জটিল ও কঠিন রোগ দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ওপর জলবায়ুর প্রভাবের জন্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত, খাদ্যাভাবজনিত রোগসহ নানা জটিল ও অপরিচিত রোগ দেখা দিচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বর্তমানে অর্থনীতিতে এ সময়ের এক বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে ‘সার্কুলার ইকোনমি’। অনেক সরকার, প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি ও পরিবেশ সংগঠনের পরিকল্পনার একটি মুখ্য উপাদান হয়ে উঠেছে এই ‘সার্কুলার ইকোনমি’। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনা। অন্যান্য টেকসই উন্নয়ন মডেলের মতো, সার্কুলার ইকোনমির মাধ্যমে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি করে তুলনামূলক কম প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার নিশ্চিত করে অপচয় কমিয়ে আনা এবং বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করা সম্ভব হবে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test