E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুধবারের পর

২০২২ এপ্রিল ০৪ ১৮:৪৩:২৫
বাজারে ভোজ্যতেল সরবরাহ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত বুধবারের পর

স্টাফ রিপোর্টার : গত ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী চারটি প্রতিষ্ঠানকে আগামী বুধবার (৬ এপ্রিল) আবারও ডেকেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী এ চার প্রতিষ্ঠান হচ্ছে- বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, টি কে গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ এবং বসুন্ধরা গ্রুপ। এ চার প্রতিষ্ঠান গত ৩০ মার্চ এ বিষয়ে ভোক্তা-অধিকারকে নিজেদের ব্যাখ্যা জানিয়েছিল। তবে সে ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি অধিদপ্তর।

সে কারণেই ভোজ্যতেল সরবরাহে মিল পর্যায়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও বাজারে তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে পরিশোধনকারী চার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের কাছে নতুন করে ব্যাখ্যা শুনতে বুধবার তাদের ফের ডেকেছে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের আরও বলেন, এ বিষয়ে বুধবারের পর সিদ্ধান্ত হবে। ভোক্তা অধিকার থেকে প্রতিটি রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানে আমরা দুই মেয়াদে অভিযান পরিচালনা করেছি। গত সপ্তাহে আমরা একটা শুনানিও করেছি। শুনানিতে যে বিষয়টা ওঠে এসেছে, আমরা দেখেছি নিশ্চিতভাবেই আমাদের যে সরবরাহ, সে তুলনায় প্রোডাকশন (উৎপাদন) কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে একটা রিপোর্ট দিয়েছি। আজও একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী বুধবার তাদের (ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী চার প্রতিষ্ঠানকে) আবার ডেকেছি। বুধবারের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।

ভোজ্যতেল আমদানিতে কোনো ঘাটতি না থাকলেও কোম্পানির কারসাজিতে বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে- এমন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শন শুরু করেছিল জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাতে প্রাথমিকভাবে চারটি কোম্পানির গাফিলতির প্রমাণ মিলেছে।

(ওএস/এসপি/এপ্রিল ০৪, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test