E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাংলাদেশকে আরও ২১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

২০২২ এপ্রিল ১৮ ২২:০৩:২২
বাংলাদেশকে আরও ২১৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে আরও ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার সমান ৮৬ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এ ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ফাস্ট রিকভারি অ্যান্ড রেজিলেন্স ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিটের আওতায় এ ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এ বাজেট সহায়তা করোনা-পরবর্তী উত্তরণের জন্য নেওয়া যে কোনো খাতে বাংলাদেশ ব্যয় করতে পারবে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মোহাম্মদ আনিস ঋণ চুক্তিতে সই করেন।

বিশ্বব্যাংকের এ ঋণের সুদ হার হবে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ, সার্ভিস চার্জ শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছরে বাংলাদেশকে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব থেকে বাংলাদেশকে কার্যকরভাবে উত্তরণে সরকার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও কৃষি খাত এবং রপ্তানিমুখী শিল্পখাতে প্রণোদনা দেওয়াসহ খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কর্মসৃজন এবং সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের আওতা বাড়াচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক এ অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রকল্পের আওতায় ২৫ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে।

ঋণের এ অর্থ কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনৈতিক উত্তরণ এবং চলমান উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক।

ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটের আওতায় দুটি অর্থবছরে (২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর) মোট ৫০ কোটি মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা পাবে বাংলাদেশ।

বিশাল অঙ্কের এ ঋণসহায়তার মাধ্যমে করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য একটি আর্থিক উদ্দীপনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সহায়তা করার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা বাড়াবে।

বিশ্বব্যাংকের ডেভেলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিটে দুটি মূল বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর একটি হচ্ছে সরকারের রাজস্ব ও আর্থিক খাত, অন্যটি সহনশীল অর্থনীতির জন্য জীবন ও জীবিকার উন্নয়ন।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ১৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test