E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ছে, নতুন উপকারভোগী সাড়ে ৩ লাখ

২০২২ জুন ০৯ ১৭:৩৯:৩২
প্রতিবন্ধী ভাতা বাড়ছে, নতুন উপকারভোগী সাড়ে ৩ লাখ

স্টাফ রিপোর্টার : গত ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ২০ লাখ ৮ হাজার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে মাসিক ৭৫০ টাকা হারে ভাতা প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এ খাতে উপকারভোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৫৭ হাজার বৃদ্ধি করে ২৩ লাখ ৬৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে মাসিক ভাতার হার ৭৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮৫০ টাকা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান। আগামী অর্থবছরে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন মিলে জাতীয় বাজেটের আকার ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

বর্তমান সরকারের ২৩তম বাজেট বক্তৃতায় অথমন্ত্রী বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ দুই হাজার ৪২৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করছি। ভাতা কর্মসূচির বাইরেও সরকার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি চালু করেছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে যার উপকারভোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এবং বার্ষিক বরাদ্দ ছিল ৯৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। দেশের অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাস্থ্য ও জীবন ঝুঁকি হ্রাসকল্পে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের আওতায় বঙ্গবন্ধু প্রতিবন্ধী সুরক্ষা বিমা চলতি বছরের জাতীয় বিমা দিবসে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা হয়েছে।

তবে বয়স্ক ভাতা বাড়ছে না এবারের বাজেটে। আগের মতই চালু থাকবে বয়স্ক ভাতার পরিমাণ। বাজেট বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, সরকার দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রবীণদের অধিকার সমুন্নত রাখায় সচেষ্ট। দুঃস্থ প্রবীণ ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষায় ব্যাপক পরিসরে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতার ক্ষেত্রে প্রবীণ নারীকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হচ্ছে। ২০২১-২০২২ অর্থবছর থেকে জনপ্রতি মাসিক ৫০০ টাকা হারে ৫৭ লাখ ১ হাজার ভাতাভোগীর জন্য বয়স্ক ভাতা খাতে তিন হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে, যা চলমান থাকবে।

করোনাভাইরাসের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটের আকার হচ্ছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এবারের বাজেটের আকার যেমন বড়, তেমনি এ বাজেটে ঘাটতিও ধরা হয়েছে বড়।

অনুদান বাদে এই বাজেটের ঘাটতি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির সাড়ে ৫ শতাংশের সমান। আর অনুদানসহ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৪০ শতাংশের সমান।

এটি বর্তমান সরকারের ২৩তম এবং বাংলাদেশের ৫১তম ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর চতুর্থ বাজেট। বাজেটে সঙ্গত কারণেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষিখাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষাসহ বেশকিছু খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test