E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রায়পুরে ইলিশে সয়লাব বাজার, দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে

২০১৪ অক্টোবর ১৮ ১৪:৫৮:২৭
রায়পুরে ইলিশে সয়লাব বাজার, দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : টানা এগারদিন রায়পুরের মেঘনাসহ দেশের নদ-নদীগুলোতে ইলিশ শিকার বন্ধ রাখার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলেরা আবারও জাল নিয়ে নদীতে মাছ শিকারে নেমেছেন। এতে গত তিনদিন থেকেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ জেলেদের জালে আটকাচ্ছে। ফলে রায়পুরের বাজারে এখন শুধু ইলিশ আর ইলিশ। দামও কমেছে অনেক। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা সবাই খুশি।

জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকার ২০০৬ সাল থেকে 'জাটকা নিধন কর্মসূচি' এবং পরবর্তী সময়ে 'জাটকা রক্ষা কার্যক্রম'-এর আওতায় চাঁদপুরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত একশ' কিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত মেঘনার অংশকে মার্চ-এপ্রিল দুইমাস এবং আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমায় মাত্র ১১ দিন ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে এবং এ সময় নির্ধারিত এলাকায় সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে সরকার।

এ বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমা উপলক্ষে ৫ অক্টোরব থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১১ দিন নদীতে মাছ ধরা সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এর ভেতরও লুকিয়ে লুকিয়ে মাছ ধরেছে জেলেরা। সেইসব মাছ বাড়ি বাড়ি নিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। কিছু মাছ বরফ দিয়ে রাখা হয়েছিল। সেগুলো এখন বাজারে ছাড়া হয়েছে। ফলে ইলিশে ছেয়ে গেছে রায়পুরের বাজার। দামও কমেছে প্রায় ৫০ ভাগ। আগে যে ইলিশ ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকার বিক্রি হয়েছে এখন তা ৭০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা অবশ্য ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ বলেছেন মাছ ধরা বন্ধ রাখায় ভালো হয়েছে। মাছের সরবরাহ বেড়েছে এবং দাম কমেছে। আবার কেউ কেউ বলছেন দাম আগের মতই। জাটকা ও ডিমওয়ালা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হলে এবং দুর্নীতিমুক্ত ও প্রভাববিহীনভাবে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ, কোস্টগার্ড, মৎস্য বিভাগ কাজ করলে রূপালি ইলিশের রাজধানী রায়পুর অচিরেই তার নামের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারবে বলে সাধারণের অভিমত।


(এমআরএস/এএস/অক্টোবর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test