E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এখনো অ্যানালগ রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক

২০১৪ এপ্রিল ২৯ ১৩:৩৩:২৪
এখনো অ্যানালগ রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক

স্টাফ রিপোার্টার : রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকে অনলাইন ব্যাংকিং চালু না হওয়ায় গ্রাহকরা আধুনিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ডিজিটাল যুগেও এনালগে থাকা এই ৪ ব্যাংককে অনলাইনে আনতে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও এখনও পর্যন্ত সে সেবা চালু করা যায়নি। ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাবে দেখা গেছে, ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬২ গ্রাহকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের গ্রাহক ৩ কোটি ৬ হাজার ৪৮৭।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রের উদ্ধৃতিতে জানা যায়, চুরি, ডাকাতি, লুট, ঋণ জালিয়াতি, ভুয়া এলসি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, অর্থ পাচারসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। জালিয়াতির কারণে এসব ব্যাংক বহুবার মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে। জনগণের ট্যাক্সের টাকা দিয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে। তাই সব ধরনের দুর্নীতি-জালিয়াতি বন্ধে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মতো অনলাইনভিত্তিক গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের ৩ কোটি ৬২ লাখ গ্রাহকের জন্য অটোমেটেড টেলার মেশিন (এটিএম) বুথের সংখ্যা মাত্র ৭৬টি। বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংকের ৪ কোটি ৫২ লাখ গ্রাহকের জন্য বুথসংখ্যা ৫ হাজার ২৩২টি। ব্যাংকিং খাতের ৪৮ শতাংশ গ্রাহকের জন্য বুথ রয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। বাকি ৫২ শতাংশের জন্য রয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ বুথ।

আরো জানা যায়, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে অনলাইনের আওতায় আনতে গত ডিসেম্বরে ৪ হাজার কোটি টাকা মূলধন সহায়তা দিয়েছে সরকার। ব্যাংকগুলো টাকা নিলেও অনলাইন কার্যক্রম এগোয়নি। অনলাইন কার্যক্রম জোরদার করার পরও গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জনতা ও সোনালী ব্যাংকের বুথ বেড়েছে মাত্র একটি করে ও অগ্রণীতে বেড়েছে ২টি। বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ৫৮টি (ভাড়াসহ ৬১), রূপালী ব্যাংকের ৪০টি, অগ্রণী ব্যাংকের ৭টি ও জনতা ব্যাংকের ১৪সহ সর্বমোট ১১৯টি বুথ রয়েছে। তবে অগ্রণী ব্যাংক ও রূপালী ব্যাংক ব্র্যাক ব্যাংকের বেশকিছু বুথ ভাড়ায় ব্যবহার করছে। এতে প্রতি লেনদেনে গ্রাহককে অতিরিক্ত ১০ টাকা পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া দেশের যে কোনও স্থান থেকে টাকা লেনদেনের বা টাকা স্থানান্তরের জন্য চালু হয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। বেসরকারি ১৯টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং চালু করলেও এতে অংশগ্রহণ নেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর। তাদের ইন্টারনেটে লেনদেনেও নেই। ফলে দিন-দিন জনপ্রিয় হওয়া ই-কমার্সে কোনও ভূমিকা রাখতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।

উল্লেখ্য, গত বছর শেষে চার ব্যাংকের ৩ হাজার ৫২৭টি শাখার মধ্যে ৮৩৯টিতে অনলাইন সুবিধা চালু আছে। এদিকে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ৩ হাজার ৫৮০টি শাখার মধ্যে অনলাইনে যুক্ত ৩ হাজার ৪৬৯টি। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৭৩টি শাখার সবই অনলাইনের আওতায়।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test