E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘এবারের বাজেট সাহসী ও জনকল্যাণমুখী’

২০২৩ জুন ০২ ১৩:২৭:৫৪
‘এবারের বাজেট সাহসী ও জনকল্যাণমুখী’

স্টাফ রিপোর্টার : চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বাজেট মন্তব্য করেছেন। বাজেটে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে তিনি।

এক বিবৃতিতে খলিলুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে, দীর্ঘদিন যাবত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকট, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি এবং বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখতে ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ স্লোগানে দেশের উন্নয়নে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার সুচিন্তিত, জনকল্যাণমুখী ও সাহসী বাজেট প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেকারণে প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এ ধরনের বাজেট প্রস্তাবনা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বর্তমান সময়ে যথোপযুক্ত এবং সাহসী পদক্ষেপ বলে মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়ন কষ্টসাধ্য হলেও প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্ব, সুশাসন, স্বচ্ছ জবাবদিহিতা এবং সদিচ্ছায় তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। দুর্নীতিমুক্ত এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে এ বাজেট বাস্তবায়ন সহায়ক হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের জন্য ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ৭/২৪ কর্মঘণ্টার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিরোধ করা গেলে এ লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হতে পারে।

নিয়মিত কর প্রদানকৃত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ওপর করের বোঝা না বাড়িয়ে নতুন করদাতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব প্রদানসহ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।

তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে রপ্তানি বাণিজ্য মন্দা, তাই দেশের বৃহৎ বৈদেশিক মুদ্রা আয়কারী পোশাক শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বন্ডসমূহের আমদানি শুল্ক শিল্প প্রতিষ্ঠান কর্তৃক একত্রে আদায় না করে বন্ডের মাধ্যমে ধাপে ধাপে পরিশোধের সুযোগ রাখলে এবং শিল্পসমূহ আর্থিক সংকটের সম্মুখীন না হলে, যথাযথ আমদানির সুযোগ থাকলে রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি পাবে। অন্যথায় কাস্টম হাউজে একত্রে শুল্ক পরিশোধ করতে হলে আর্থিক সংকটের কারণে আমদানি হ্রাস পাবে। ফলে শুল্ক আহরণ ও পণ্য উৎপাদন কমে যাবে। যা দেশের জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনকে ব্যাহত করবে।

বিদেশি এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রদানে যে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হবে, তার জন্য সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। ঘাটতি মোকাবিলায় বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার দাবি জানান খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি এবং প্রতি তিন মাস অন্তর কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য টার্গেট করে দিলে, সেই টার্গেট মতো কার্য সম্পাদনে ব্যর্থ হলে সেই দফতরের প্রয়োজনীয় জবাবদিহিতা থাকবে। না হলে ব্যয় বৃদ্ধি ও সময়ক্ষেপন বাড়বে।

(ওএস/এএস/জুন ০২, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test