E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তিন মাসে দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বেড়েছে ৭ গুণ

২০২৪ মে ০৫ ১৯:১৭:৪১
তিন মাসে দিল্লি বিমানবন্দরে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি বেড়েছে ৭ গুণ

স্টাফ রিপোর্টার : ভারতের দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এতে বিমানবন্দরে 'মালামালের জট' লেগে যাচ্ছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে - যার নয় শতাংশই বাংলাদেশের পণ্য। আগে এই পরিমাণ ছিল দুই শতাংশেরও কম।

গত বছরের এপ্রিল থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর থেকে ২৬০ হাজার টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশি পণ্য, বিশেষ করে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ছিল মাত্র পাঁচ হাজার কিলোগ্রাম, যা দুই শতাংশেরও কম। তবে এ বছরের প্রথম তিন মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দিল্লি বিমানবন্দর দিয়ে প্রায় ৯০ হাজার মেট্রিক টন পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে - যার নয় শতাংশই বাংলাদেশের পণ্য।

বাংলাদেশ থেকে দিল্লির মাধ্যমে তৈরি পোশাক রপ্তানি শুরু হয় গত বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। তার আগে বাংলাদেশি গার্মেন্টসের একটা অংশ রপ্তানি করা হত কলকাতা বিমানবন্দর দিয়ে। আগে ঢাকা থেকে সড়ক পথে কলকাতায় এসে এখান থেকে বিমানে বা জাহাজে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি করা হত। এখন কাতার বা এমিরেটস -এর মতো বিমান সংস্থা কার্গো বিমান কলকাতায় পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লি অনেক বড় বিমানবন্দর, সেখানে সব বিমান সংস্থার পণ্যবাহী বিমানই আসে, ব্যবস্থাপনাও ভাল সেখানে।তাই বাংলাদেশি সংস্থাগুলো দিল্লি চলে যায়।

দিল্লি বিমানবন্দরে যে রপ্তানি এজেন্ট নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ভর্তি প্রায় ৩০টি ট্রাক প্রতি রাতে দিল্লি বিমানবন্দরের কার্গো টার্মিনালে পৌঁছায়। সেখানে তাদের অপেক্ষা করতে হয়, কারণ কাস্টমস পরীক্ষা না হলে তারা মাল খালাস করতে পারে না।”

দিল্লি বিমানবন্দর পরিচালনা করে যে বেসরকারি সংস্থা, সেই দিল্লি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট লিমিটেড চলতি বছর মার্চ মাসে এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছিল, দিল্লি বিমানবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশি গার্মেন্টস রপ্তানি শুরু হওয়ার পর থেকে এক বছরে আট হাজার মেট্রিক টন তৈরি পোশাক স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ নানা পশ্চিমা দেশে পাঠানোর বন্দোবস্ত করেছে।

তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক পণ্য রপ্তানি ব্যবস্থাপনার জন্য তাদের ইতোমধ্যেই “২৮টি ‘ডুয়াল-ভিউ’এক্স-রে মেশিন রয়েছে” আর “বাংলাদেশি পণ্যের কারণে যাতে যানজট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আরও পাঁচটি এক্স-রে মেশিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

কলকাতার তৈরি পোশাক রপ্তানি সংস্থা রাধামনি ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সন্দীপ পোদ্দার বলেন, দিল্লি বিমানবন্দর বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সুবিধাজনক দরে পণ্য রপ্তানির প্রস্তাব দেয়।তাই বাংলাদেশি সংস্থাগুলো দিল্লি চলে যায়।

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনস-এর সহসভাপতি ইশরার আহমেদ বলেন, ‘যখন থেকে লোহিত সাগর অঞ্চলে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এমন অনেক রপ্তানি পণ্যই সমুদ্র পথ ছেড়ে আকাশ পথ ধরেছে। এর মধ্যে ফাস্ট ফ্যাশন সংস্থাগুলি বিশেষ করে বিমানে করে তাদের পণ্য রপ্তানি করছে।’

পোশাক শিল্পে ‘ফাস্ট ফ্যাশন’-এর অর্থ হল পশ্চিমা দেশগুলির ফ্যাশন শোয়ে প্রদর্শিত পোশাকের খুব দ্রুত নকল বানিয়ে কম খরচে সাধারণ মানুষের জন্য পশ্চিমা দেশগুলির বাজারে নিয়ে আসার ব্যবসা। সেজন্য দ্রুতই উরোপ, আমেরিকার বাজারে এ ধরণের পোশাক সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছিয়ে দিতে জাহাজে করে না পাঠিয়ে বিমানে এ ধরণের তৈরি পোশাক পাঠানো হয়ে থাকে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

(ওএস/এসপি/মে ০৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test