E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘সতর্ক হতে হবে আইএমএফের পরামর্শে কর ছাড় প্রত্যাহারে’

২০২৪ মে ০৭ ১৭:০৪:৩৪
‘সতর্ক হতে হবে আইএমএফের পরামর্শে কর ছাড় প্রত্যাহারে’

স্টাফ রিপোর্টার : আইএমএফের পরামর্শে কর ছাড় প্রত্যাহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে সুবিধা প্রত্যাহার করা হবে; যে সব প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো এখন কমাতে হবে। দক্ষতা, স্বচ্ছতা, সততা ও জনমানুষের কথা মাথায় রেখে এসব প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, যে সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হয়েছে সেগুলো সুরক্ষা দেওয়া উচিত। 

মঙ্গলবার (৭ মে) ইকোনমিক রিপোর্টাস ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক সভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেবপ্রিয় বলেন, এবারের সরকারের শক্তি জায়গা হলো ফসল ভালো হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এবারের আউস-আমন-বোরোর উৎপাদন বেড়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রথম কাজ হবে সরকারি গোডাউনগুলো ভর্তি করা। স্টক বাড়ান। বাজারকে প্রভাবিত করার জন্য স্টক হলো প্রথম কাজ।

তিনি বলেন, কার্ডের মাধ্যমে যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়, সেই তালিকা আপডেট ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য স্থানীয় পর্যায়ে তালিকা যাচাইয়ের জন্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রকাশের ক্ষেত্রে এটা একটি স্তর হতে পারে। তাহলে স্থানীয় পর্যায়ে মিলিয়ে দেখবে, খাদ্য সহায়তা দেওয়ার তালিকা করা হয়েছে। যাদের সহযোগিতার দেওয়া হচ্ছে, এটা উপযুক্ত কিনা দেখা দরকার।

তিনি বলেন, খোলা বাজারের মাধ্যমে বিভাগীয় ও জেলা শহরে খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে। এটা উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, নিম্নবিত্তরাও এই খাদ্যের প্রয়োজন অনুভব করছে। এমন একটি সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

দেবপ্রিয় আরও বলেন, প্রবাসী আয় হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। এর ফলে দেশে প্রবাসীদের স্বজনরা টাকা পেলেও ডলার থাকে বিদেশে। প্রবাসী আয় দেশে আসার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা। বৈধভাবে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় আনতে ২ বা ৩ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিয়ে হুন্ডি বন্ধ করা যাবে না। এটা নমনীয় হারে যেতে হবে। একইভাবে সুদের হার নমনীয় করতে হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো সুদের হার নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মুহূর্তে মুদ্রা নীতি ও আর্থিক নীতি সমন্বয় বিকল অবস্থায় আছে। একটি বেশি চলে যায়, আরেকটি পিছিয়ে যায়। এটার সমন্বয় দরকার।

বাংলাদেশ সরকারের এখন বড় দুর্ভাগ্য হলো নীতি নেতৃত্ব দুর্বল হয়ে গেছে। সরকারের নীতি ব্যাখ্যা করার জন্য কোন মানুষ দেখছি না এই মুহূর্তে। যাদের এ দায়িত্ব তারা সে দায়িত্ব পালন করেন বলে মনে হয় না। যা বাজারকে সংকেত দেয়। বাজার যদি সংকেত না পায় তাহলে সরকারের উপর ভরসা আসে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ মীরধার। সঞ্চালনা করেন আবুল কাশেম।

(ওএস/এসপি/মে ০৭, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test