E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

 

 

‘শ্রমিকরা নিরাপদ-কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছেন’

২০১৫ আগস্ট ২৫ ১৭:২২:৫৪
‘শ্রমিকরা নিরাপদ-কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছেন’

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকরা এখন অনেক নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে বলে জার্মানিতে এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

 

এদিকে, শ্রমিকদের কল্যাণে নেওয়া পদক্ষেপে বাংলাদেশের প্রতি সন্তোষ জানিয়েছে দেশটি।

সোমবার বার্লিনে ‘দি ফেডারেল মিনিস্ট্রি অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ ও ‘জার্মান সোস্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স’র যৌথ উদ্যোগে সভা হয়।

তৈরি পোশাকের প্রোডাকশন চেইনের কমপ্লায়েন্স প্রতিপালনের বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের চারদিনের সভায় আলোচকরা বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বকসী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভার বিস্তারিত তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ প্যানেল আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক সভায় বলেন, বাংলাদেশে অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনা সরকার সফলভাবে মোকাবেলা করেছে। এ দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশ সরকার প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে আর কোনো শিল্পে দুর্ঘটনা ঘটেনি।

বিভিন্ন শিল্পের শ্রমিকদের নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ সরকার, প্রাইভেট সেক্টর, শ্রমিকদের সংগঠন, ডেভলপমেন্ট পার্টনার, আইএলও, অ্যাকোর্ড ও অ্যালায়েন্স একযোগে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।

তোফায়েল বলেন, এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ‘বাংলাদেশ অ্যাকশন প্ল্যান-২০১৩’-এ শ্রমিকদের অধিকার, কাজের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, শিল্প কারখানায় যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনায় বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জার্মান সোশ্যাল অ্যাক্সিডেন্ট ইন্স্যুরেন্স।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানে ফায়ার সেফটি ডোর ও অন্য যন্ত্রপাতি আমদানি শুল্কমুক্ত করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয় সভায়। বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগে তৈরি পোশাক শিল্পের বিল্ডিং সেফটি, ফায়ার সেফটি, ইলেকট্রিক সেফটি এবং শ্রমিকদের নিরাপদ কর্মবান্ধব পরিবেশেরও প্রশংসা করেছে জার্মানি ও আইএলও।

জার্মানি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প প্রসারে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে এ কাজগুলো শেষ করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও সংস্থার প্রধানরা বিভিন্ন তৈরি পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন এবং কারখানার নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশের প্রশংসা করেছেন, বলেন মন্ত্রী।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জার্মানি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। জার্মানির বাজারে বাংলাদেশের রফতানি পণ্যের মধ্যে ৯৪ ভাগই তৈরি পোশাক। তৈরি পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়।

সভায় বিষয়ের উপর কি-নোট উপস্থাপন করেন জার্মানির পার্লামেন্টারি স্টেট সেক্রেটারি ফুকটেল ও প্যানেল আলোচকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আইএলও প্রতিনিধি হুংবো, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ডিলারো, ইনকোটা’র বার্নন্ট হিন্জম্যান, বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু, বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট মো. আতিকুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ইন্সপেক্টর জেনারেল সৈয়দ আহমেদ, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন সেক্রেটারি মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৩ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test