নওগাঁয় উচ্চ মূল্যে চামড়া কিনে বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

নওগাঁ প্রতিনিধি :এবারের কোরবানী ঈদে নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা এবারো তাদের লোকসান গুনতে হবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন। প্রতি বছর কোরবানীর পশুর চামড়া কেনার পর তারা ট্যানারী মালিকদের কাছে রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। ঈদুল আযহায় প্রতিবছর নওগাঁয় উল্লেখযোগ্য পরিমান চামড়া বেচাকেনা হলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। গ্রামাঞ্চল থেকে উচ্চ মূল্যে চামড়া কিনে লোকসান গুনতে হচ্ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।

আর চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা ট্যানারী মালিকদের বেধে দেয়া দামেই চামড়া কিনছেন। উচ্চ মুল্যে না কিনলে চামড়া ভারতের পাচার হবে বলে ব্যবসায়ীদের আশংকা।

নওগাঁর চামড়া ব্যবসীরা জানান, রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি বানিজ্যিক ব্যাংক এবার ৭শ’ কোটি টাকা ঋন দিয়েছে তাদের কোরবানীর পশুড় চামড়া কেনার জন্য। গতবার এর পরিমান ছিল ৫শ’কোটি টাকা। দেশের ট্যানারী শিল্পের বেশীরভাগ চামড়া সরবরাহ হয়ে থাকে এই কোরবানীর পশুর চামড়া থেকে। ট্যানারী গুলো ঋণ সুবিধা পেলেও জেলা পর্যায়ের চামড়া আড়ৎদারদের বকেয়া টাকা কোন সময় পরিশোধ করেনা। নওগাঁয় এবার চামড়া আড়তদাররা গরুর চামড়া ৯০ থেকে ৯৫ টাকা ফুট ও ছাগলের চামড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা ফুট দরে কিনেছেন।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সভাপতি মোমতাজ হোসেন জানান, ট্যানারী মালিকদের নিকটে নওগাঁর ব্যবসায়ীদের বিপুল পরিমান টাকা বছরের পর বছর পাওনা থাকলেও আমরা শুধু ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লোকসান গুনেও চামড়া কিনছি।

নওগাঁ চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম মিলন বলেন, বর্তমানে সরকার কর্তৃক বেধে দেয়া মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে চামড়া কিনতে বাধ্য হাচ্ছি। কেননা আমরা যদি একটু বেশী দরে চামড়া না ক্রয় করি তবে চামড়া পাচার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের চামড়ার দাম না জেনেই শহরের বিভিন্ন স্থান ও গ্রামাঞ্চল থেকে লাভের আশায় চড়া দামে চামড়া কিনে বিপাকে পড়েছে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা। এবারে চামড়া কিনে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ তাদের। এমতাবস্থায় চামড়া শিল্পকে টিকে রাখা এবং চামড়া ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য সরকারী ট্যানারী মালিকদের বেধে দেয়া চামড়ার মূল্য অবিলম্বে পূণঃনির্ধারনের দাবী জানান নওগাঁর চামড়া ব্যবসায়ীরা।
(বিএম/এসসি/সেপ্টেম্বর২৭,২০১৫)