E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলে এগিয়ে যাচ্ছে মার্সেল

২০১৬ জানুয়ারি ১১ ১৪:৩১:৩১
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলে এগিয়ে যাচ্ছে মার্সেল

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিকেল পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের লক্ষ্যে নতুন বছরের শুরুতে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। বিগত বছরগুলোতে অর্জিত প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চলতি বছরে ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৬ সালকে তারা নিয়েছে চ্যালেঞ্জিং ইয়ার হিসেবে।

এ লক্ষ্যে বছরের শুরুতেই উৎপাদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিপণন কৌশল প্রতিটি ক্ষেত্রেই মার্সেল গ্রহণ করেছে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা। পণ্য মাণ উন্নয়নে জোরদার করা হয়েছে গবেষণা ও উন্নয়ণ কার্যক্রম। বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে ঢেলে সাজানো হয়েছে মার্সেলের সার্ভিস পয়েন্টগুলোকে।

জানা গেছে- পণ্য উৎপাদনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সর্বোচ্চ গুণগতমান নিশ্চিত করা, বিশ্বমানের বিক্রয়োত্তর সেবা, সাশ্রয়ী মূল্য, সহজ কিস্তি সুবিধা এবং সর্বোপরি দেশের প্রায় সর্বত্র বিক্রয়কেন্দ্র থাকায় যাত্রা শুরুর মাত্র কয়েক বছরেই ক্রেতাদের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ডের পণ্য। দেশের ভিতরেই নিজস্ব কারখানায় তৈরি মার্সেলের ফ্রিজ, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, জেনারেটরসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্সেস অতি অল্প সময়ে সারাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, গত কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি। চলতি বছরেও ৪০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গ্রাহকদের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই মার্সেল ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে রিচার্জেবল ল্যাম্প, ওয়াটার পিউরিফায়ার, ইন্ডাকশন কুকার, রিচার্জেবল ফ্যান, গ্যাস স্টোভ, সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক স্যুইচ, সকেট এবং ফ্যান রেগুলেটর। পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টেলিভিশন, এয়ার কন্ডিশনার, রাইস কুকার ও ব্লেন্ডারসহ অন্যান্য হোম ও কিচেন এ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে নিয়ে আসা হয়েছে চোখ ধাঁধানো নতুন নতুন ডিজাইন ও মডেল। উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ওভার হেড কস্ট কমেছে, কমেছে পণ্যের দামও। মার্সেল ব্র্যান্ডের বৈচিত্র্যময় মডেলের এসকল পণ্য মানের দিক থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। দামেও অনেক সাশ্রয়ী।

বর্তমানে, মার্সেলের রয়েছে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ২৫টি পণ্যের প্রায় দেড়শত আকর্ষণীয় ডিজাইন ও মডেলের পণ্য। এরমধ্যে রয়েছে ৩৩টি মডেলের রেফ্রিজারেটর, ২০ মডেলের এলইডি এবং ১২টি মডেলের কালার লাইন টেলিভিশন, ৭ মডেলের এয়ার কন্ডিশনার, ৫টি মডেলের মোটরসাইকেল, ৭ মডেলের জেনারেটর, ৮টি করে মডেলের এলইডি বাল্ব, ইলেকট্রিক স্যুইচ, রাইস কুকার এবং ব্লেন্ডার, ৬টি মডেলের আইরন মেশিন, ৪টি করে মডেলের ইলেকট্রিক কেটলি এবং সিলড লিড এসিড রিচার্জেবল ব্যাটারি, ৩টি মডেলের রিচার্জেবল ফ্যান, ২টি করে মডেলের রিচার্জেবল ল্যাম্প, ইন্ডাকশন কুকার, ওভেন, রুম হিটার, ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজার ও গ্যাস স্টোভ এবং ১টি করে মডেল রয়েছে ওয়াটার পিউরিফায়ার, ফ্যান রেগুলেটর, হোল্ডার, এয়ার কুলার, ভোল্টেজ প্রোটেকটর ইত্যাদি।

বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হওয়ায় এবং গ্রাহক চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সারা দেশকে দুটি প্রধান (উত্তর ও দক্ষিণ) ভৌগলিক অংশে ভাগ করে বিপণন কার্যক্রম চালাচ্ছে মার্সেল।

মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (উত্তর) মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সিংহভাগ বাজার দখলের লক্ষ্যে ২০১৬ সালকে চ্যালেঞ্জিং বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। ২০১৬ সালে গ্রাহকদের নতুন কিছু উপহার দিতে প্রোডাক্ট লাইনে যোগ করা হয়েছে বেশকয়েকটি নতুন ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল এ্যাপ্লায়েন্সেস। পাশাপাশি ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অন্যান্য পণ্যে আনা হয়েছে নতুন মডেল ও ডিজাইন।

মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) শামীম আল মামুন বলেন, মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে জীবন যাত্রার মানোয়ন্নকে বিবেচনায় নিয়ে নিজস্ব কারখানায় তৈরি করা হচ্ছে নিত্য নতুন মডেল ও ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় পণ্য। মান নিয়ন্ত্রণে অনুসরণ করা হচ্ছে জিরো টলারেন্স নীতি। উৎপাদন খরচ বহুলাংশে হ্রাস পাওয়ায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো হয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ডের ফ্রিজ ও এলইডি টেলিভিশনের দাম।

উল্লেখ্য, সারাবছরই পণ্য সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে ব্যাপক বাজার গবেষণার মাধ্যমে চাহিদা নির্ধারণ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নিজস্ব কারখানায় বিশ্বমানের এলইডি টিভি উৎপাদনে নেয়া হয়েছে ব্যাপক পদক্ষেপ। কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা, ফ্রিজের মতো এলইডি টিভির ক্ষেত্রেও অন্যতম শীর্ষব্র্যান্ডে পরিণত হবে মার্সেল।

মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, মার্সেল পণ্যের চাহিদা যেভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে তাতে চলতি বছরের জন্য নির্ধারিত প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সহজেই অর্জন করা সম্ভব হবে। উচ্চমান সম্পন্ন পণ্যের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক্স খাতের সিংভাগ বাজার দখলে কাজ করছেন শক্তিশালী পণ্য উন্নয়ন ও গবেষণা টিম। তারা গ্রাহকদের চাহিদা ও রুচি অনুযায়ী পণ্যমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

(এমএ/এএস/জানুয়ারি ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test