E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অর্জন ৮৮ শতাংশ

২০১৭ জুলাই ০৫ ১৫:২৭:৪০
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর অর্জন ৮৮ শতাংশ

স্টাফ রিপোর্টার : মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম বলেছেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর গড় অর্জন ৮৮ দশমিক শূন্য ৮ (৮৮.০৮) শতাংশ।

বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল্যায়নে লক্ষ্যমাত্রার ৯০ ভাগের উপরে অর্জন করেছে ২৩টি মন্ত্রণালয়, আর ৪১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের উপরে অর্জন করেছে। বাকি ৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ৮০ ভাগের নিচে। অর্থাৎ গড় অর্জন ৮৮ দশমিক ০৮ (৮৮.০৮) শতাংশ।

জিয়াউল আলম বলেন, সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের যথাযথ সদ্ব্যব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার প্রবর্তিত কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে সকাল সাড়ে ৯টায়।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) ৬ জুলাই বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। আগামী এক বছরে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগগুলো কী কাজ করবে সেই কাজের একটা অঙ্গিকার নামা সাক্ষরিত হবে। এটিতে স্বাক্ষর করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব আছেন তিনি।’

জিয়াউল আলম আরও বলেন, ‘যে ডকুমেন্ট তৈরি হয়েছে স্বাক্ষরের জন্য এটি তৈরি করতে দীর্ঘ ৬ মাস কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে এ ডকুমেন্টটি তৈরি করতে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন এবং একটি মানসম্পন্ন ডকুমেন্ট হিসেবে তৈরি করার জন্য আমরা দেশে-বিদেশে কিছু আন্তর্জাতিক সেমিনার আয়োজন করেছি। বিভাগ পর্যায়ে আমরা প্রশিক্ষণ দিয়েছি।’

সচিব বলেন, ‘ডকুমেন্টটির খসড়া ১৪ দিনব্যাপী সভার মাধ্যমে চূড়ান্ত করেছি। এটি টেকনিক্যাল কমিটি এবং জাতীয় কমিটি দেখেছেন। জাতীয় কমিটি দেখার পরে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীও এটি দেখেছেন। এরপর এটি স্বাক্ষরের জন্য সম্মতি দিয়েছেন। এই সম্মতির প্রেক্ষিতেই আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে এ ডকুমেন্ট স্বাক্ষরিত হবে।’

এর আগের বছরগুলোতে স্বাক্ষরিত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগে মূলত ২ বছরেরটা আমরা করতে পেরেছি। ২০১৬-১৭ কেবল শেষ হলো। এর আগের ২ বছরের মূল্যায়ন হয়েছে। শুরুরটা মূল্যায়ন করার মত সুযোগ পাইনি। দ্বিতীয়টা আমরা মনোযোগ দিয়ে মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছি। বর্তমানেরটা আরও উন্নয়ন করার চেষ্টা করব।’

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test