E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশই পাঁচ ব্যাংকে

২০১৭ জুলাই ৩১ ১৩:৪৯:০৭
খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশই পাঁচ ব্যাংকে

স্টাফ রিপোর্টার : দুর্নীতির কারণে ব্যাংকিং খাতে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। যা কয়েকটি ব্যাংকের কাছে কেন্দ্রীভূত হয়ে আছে। মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৫২ শতাংশ আছে দেশের পাঁচ ব্যাংকের কাছে।

সোমবার ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট-২০১৬ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে ৫৭ ব্যাংকের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের কাছেই রয়েছে মোট খেলাপি ঋণের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ। আর বাকি ব্যাংকগুলোর কাছে রয়েছে ৪৮ দশমিক ২ শতাংশ খেলাপি ঋণ।

অন্যদিকে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশ ৯ শতাংশ । বাকি ৪৭ ব্যাংকে খেলাপি রয়েছে মাত্র ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ।

প্রতিবেদনে ব্যাংকগুলোর নাম দেয়া হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী, বেসিক, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংক।

প্রতিবেদন প্রকাশকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, এখন ব্যাংকিং খাতের বড় অংকের ঋণগুলো বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। বড় খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেন তিনি।

সরকার ঘোষিত উচ্চ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সুশাসন বজায় রাখতে হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের মোট খেলাপি ঋণের হার ও পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫ সালে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল। ২০১৬ সালে ৯ দশমিক ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০১৬ সাল শেষে মোট খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা।

খাত ভিত্তিক হিসেবে বাণিজ্যিক ব্যাংকে খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি। যা মোট খেলাপির ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়াও তৈরি পোশাক খাতে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ ও বড় শিল্পে মোট খেলাপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে।

উল্লেখ্য, ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট মূলত বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে। আর্থিক খাতের গতি প্রকৃতি, স্থিতিশীলতাও তার প্রভাব এবং তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ, সম্পদের মান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও তারল্যের নির্দেশকগুলো এখানে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।

(ওএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test