E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি

২০১৭ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৩:৪০:৩১
৫০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি

স্টাফ রিপোর্টার : ঈদের ছুটি শেষ হলেও রাজধানী ঢাকা এখনও অনেকটা ফাঁকা। তবে কাঁচাবাজারগুলোতে ৫০ টাকার নিচে কোনো কাঁচাসবজি মিলছে না। শিম, পটল, করলা, ধেড়স, ধুনদল, বেগুনসহ সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৫০ টাকার উপরে। শুক্রবার যাত্রাবাড়ী ও সায়দাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরেই কাঁচাসবজির দাম চড়া। তবে ঈদের আগে যে দাম ছিল ঈদের পর তা আরও কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। তবে পিয়াজ, রসুন ও কাঁচামরিচের দাম কিছুটা কমেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি দেশি পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। যা ঈদের আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে প্রতিকেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়।

মানভেদে প্রতিকেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, যা ঈদের আগে ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ঝিঙার দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। করলা প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ধেড়স ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া ঈদের আগের সপ্তাহের মত এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। যা ঈদের আগের সপ্তাহেও ৮০ টাকর উপরে বিক্রি হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর বাজার এখনো সেভাবে জমেনি। যারা ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে গেছেন তাদের বড় একটি অংশ এখনো ঢাকায় ফিরে আসেনি। ফলে বিক্রির পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে একটু কম। আর বিক্রি কম হওয়ার কারণে সবজিও কম আসছে। আড়তে সবজি কম আসায় বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

যাত্রাবাড়ী বৌ-বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, ঈদের আগের তুলনায় প্রায় প্রতিটি সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের আড়ত থেকে বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। আড়তে সবজির মজুদও কম। বেশি দামে কিনে আনার কারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার বলেন, ঈদের আগে প্রতিকেজি পটল বিক্রি করেছি ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর আজ বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৫০ থেকে ৫৫ টাকার ঝিঙা বিক্রি করতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। করলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। এ ছাড়া ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা ধেড়স আজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়।

অন্যদিকে, রোজার ঈদের আগে রাজধানীর বাজারে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া গরু মাংস শুক্রবারও একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, ধুলাইপাড় অঞ্চলের বাজারগুলোতে গরুর মাংসের বিক্রি পরিমাণ খুব কম। ফলে ব্যবসায়ীরা গরু জবাই করছে সীমিত। বেশিরভাগ গরুর মাংসের বিক্রেতা এখনো দোকান খুলেননি।

মাংসের ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির ঈদের পর এখনো এক সপ্তাহ পার হয়নি, তাই মাংসের বিক্রির পরিমাণ কম। রাজধানীতে বসবাস করা অধিকাংশের বাসায় ফ্রিজে মাংস রয়েছে। আর যাদের ফ্রিজে মাংস নেই তাদের অধিকাংশই বয়লার মুরগি কিনছেন। প্রতি কোরবানির ঈদের পরেই গরু-ছাগলের মাংস বিক্রির পরিমাণ কমে যায়। তাই বেশির ভাগ ব্যবসায়ী ঈদের পর কমপক্ষে ১০ দিন দোকান বন্ধ রাখেন।

ঈদের আগের তুলনায় বয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়। যা ঈদের আগে ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test