E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

চড়া দামেই সবজি বিক্রি 

২০১৭ সেপ্টেম্বর ১৫ ১৪:২২:৫৩
চড়া দামেই সবজি বিক্রি 

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলোতে সবজির সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। উল্টো কিছু কিছু সবজির দাম বেড়েছে। গত সপ্তাহের ন্যায় বাজারে আজও ৫০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পটল, করলা, ধুন্দল, ঢেঁড়স ও বেগুনসহ সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পরে বাজারের সবজির সরবরাহ কম। তাই দাম বাড়তি। ঈদের আগে যে দাম ছিল, ঈদের পর প্রতিটি সবজির দামই কেজিতে তার থেকে ৫ টাকার বেশি বেড়েছে। তবে এখন বাজারে সবজির সরবরাহ পর্যাপ্ত পরিমাণে বেড়েছে। কিন্তু পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আগের সপ্তাহের মতোই সবজি বাজার চড়া। এমনকি কিছু কিছু সবজির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।

আগের সপ্তাহের তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে- শিম, ঢেঁড়স ও শশা। শুক্রবার প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।

ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে, আগের সপ্তাহে এ সবজিটির কেজি ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। শশার দাম বেড়ে হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, আগের সপ্তাহে প্রতিকেজি শশা বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়।

যাত্রাবাড়ী মিরহাজারীবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি শিম বিক্রি করেছি ৮০ টাকায়। কিন্তু আজ আড়ত থেকেই প্রতিকেজি শিম কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। তাই ১০০ টাকার নিচে শিম বিক্রি করার উপায় নেই।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি করেছি ৫০ টাকায়। আজ বিক্রি করছি ৬০ টাকায়। কারণ আগের সপ্তাহের তুলনায় আড়ত থেকে কেজিতে ১০ টাকা বেশিতে কিনতে হয়েছে।

এদিকে আগের সপ্তাহের মতোই দাম অনেকটা স্থিতিশীল রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন ও কাঁচামরিচে। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায় এবং আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়।

বাজার ও মানভেদে শুক্রবার প্রতিকেজি পটল আগের সপ্তাহের মতোই ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে করলা, বেগুন, বরবটি, টমেটো। করলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। বরবটিও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। দুই মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার ওপরে।

যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আনোয়ার বলেন, প্রতিকেজি পটল ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছি। শিম বিক্রি করছি ১০০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া করলা, পটল, বরবটির দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

সবজির দাম এমন চড়া হওয়ার কারণ জানতে চাইলে এ ব্যবসায়ী বলেন, আড়ত থেকে আমাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে, তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। আড়তে পর্যাপ্ত সবজি আছে। কিন্তু সব সবজির দামই বেশি।

আগের সপ্তাহে এ ব্যবসায়ীই জানিয়েছিলেন, ‘আড়তে সবজির মজুদ কম, তাই দাম বেশি। কয়েকদিন গেলে দাম কিছুটা কমে যাবে।’ ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভাই আমাদের কী করার আছে, বলেন? সবজি বেশি দামে কিনতে হলে আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হবে।’

রোজার ঈদের আগে রাজধানীর বাজারে ৫০০ টাকা কেজি দরে ওঠে যাওয়া গরুর মাংস আজও (শুক্রবার) একই দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের পর কমে গরু ও খাসির মাংসের বিক্রি বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেসব মাংসের দোকান বন্ধ ছিল, সেগুলোও চালু হয়েছে।

আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। প্রতিকেজি সাদা ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়। আর প্রতিকেজি লাল মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায়।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test