E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খাস জমির সুষম বন্টন জরুরী

২০১৪ জুলাই ১৭ ১৪:৪২:২৪
খাস জমির সুষম বন্টন জরুরী

মো.আতিকুর রহমান : খাস কিংবা পরিত্যক্ত সম্পত্তির সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই স্বয়ং ভুমি মন্ত্রণালয়ের কাছে এমন একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিকে। দেশের প্রতিটি এলাকায় জোর যার মুল্লুক তার বা খাসজমি তার এই অবস্থা যেন অধিক বিরাজ করছে। ধনীরা এইসব খাস জমি নামমাত্র মূল্যে দীর্ঘমেয়াদি লিজ নিয়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা মার্কেট বানিয়ে রমরমা ব্যবসা করে আসছে।

সরকারের তরফ থেকে যেটুকুই বা খাস জমি গবির ভ’মিহীন বা গৃহহীনের দেওয়া হচ্ছে তাও আবার কিছু নগদ অর্থ দিয়ে এইসব জমিগুলো এলাকার প্রভাবশালীরা নিজেদের দখলে নিয়ে নিচ্ছে। ফলে সরকার গুচ্ছগ্রাম, ভ’মিহীনদের পুনর্বাসন ইত্যাদি নামে যতই প্রকল্প গ্রহণ করুক না কোনো তা দিয়ে ভূমিহীনদের নয়, ধনীদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটছে। অথচ উক্ত বিষয়গুলির ওপর অধিক মনিটরিং এবং দেশে পরিত্যক্ত ও খাসজমির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এবং ভূমিহীনদের মাঝে ভূমির সুষম বন্টন এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের উপর বরতায়। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে ইহা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের অধিক উদাসিনতা ও ব্যর্থতাই পরিলক্ষিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশে ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনা ও সুষম বন্টন নিশ্চিত না হওয়ায় এই ব্যবস্থা দ্বারা দেশের মানুষের কল্যাণে বিপরীতে অকল্যাণই যেন বারবার বয়ে আনছে, যা দুঃখজনক। যদিও সরকারের কাছে সারা দেশে এখন প্রচুর খাসজমি আছে, কিন্তু এর যথাযথ ব্যবস্থাপনা, বন্টন ও সংরক্ষণের অভাবে তা থেকে ভূমিহীনরা বঞ্চিত হচ্ছে, আর প্রভাবশালীরা তা লুটেপুটে খাচ্ছে।

মূলত এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের অধিক উদাসীনতা, অদক্ষতা, স্বজনপ্রীতি, দলীয় মনোভাব, আঞ্চলিক ক্ষমতা ও শক্তি ও সীমাহীন দুর্নীতি যা এ দেশের ধনী ও গরিবেরর মাঝে বৈষম্যের মাত্রাকে আরো শতগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে এদেশের ভূমিহীনরা ভূমিহীনই থেকে যাচ্ছে, আর ধনীরা রাতারাতি এইসব জমি নিজেদের দখলে নিয়ে তা আবার পরিবার পরিজনের ভেতরে বন্টন করে জমির ভোগ গ্রহণ ও মালিকানা বহাল রেখেছে। এদেশের অধিকাংশ নাগরিক গরিব ও নিরক্ষর হওয়ায় ধনীরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের হতদরিদ্র জনগণকে নানাভাবে শোষণ করছে এবং তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। বলতে দ্বিধা নেই, এদেশে এমন একটি সরকার কখনোই ক্ষমতায় আসেনি যারা সত্যিকার অর্থে সুষ্ঠু ভূমি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের দারিদ্র দূরীকরণ ও অর্থনীতিতে আমূল পরিবর্তন করতে চেয়েছে। যেহেতু বর্তমান সরকার নিজেদেরকে জনবান্ধব সরকার হিসেবে দাবি করেন সেহেতু সরকারের উচিত হবে দেশের দারিদ্র দূরীকরণে উক্ত বিষয়টির প্রতি অধিক গুরুত্ব দেওয়া এবং ভ’মির সুষম বন্টন নিশ্চিত করে জন আঙ্খাকা পূরণে অধিক সচেষ্ট হওয়া।

যে দেশের প্রায় ১০.১৮ শতাংশ লোক হতদরিদ্র এবং প্রায় ৬০ শতাংশ লোক ভূমিহীন, সেই দেশের জনগণ জীবিকার তাগিদে অধিক হারে শহরমুখী হবে এমনটিই স্বাভাবিক। ফলে শহরমুখী অধিক জনসংখ্যার চাপে দিনদিন শহরগুলি বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরছে। দেশে সামাজিক অবক্ষয় ও অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এইক্ষেত্রে কৃষিপ্রধান এই দেশে যদি সরকার কৃষি জমির সিলিং ১০০ অথবা ৬০ বিঘা থেকে কমিয়ে ৩০ বিঘায় আনায়নের মাধ্যমে অধিকহারে কৃষি জমি উদ্বৃত্ত হওয়ার পথ সুগম করতে পারেন তবে দেশে হতদরিদ্র প্রায় কয়েক লক্ষাধিক ভূমিহীন পরিবারকে কম করে হলেও ১.৮৮ একর করে কৃষি জমি দেওয়া সম্ভব হবে, যা ইতিবাচক। এতে দেশের দারিদ্র দূরীকরণের পথ যেমন সুগম হবে, ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়াটাও সম্ভব হবে। ইহা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সংশ্লিষ্টরা উক্ত বিষয়টি অধিক গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এমনটিই আশা করি।

যদিও বর্তমানে ভূমি ব্যবস্থাপনা জটিলতা প্রসঙ্গে একটা কথা না বললেই নয়, এ সমাজে এমন পরিবার পাওয়া হয়তো বিরল হবে যে পরিবারে জমি নিয়ে কোন বিরোধ নেই। কিন্তু প্রতিকারে কোর্টের দারস্থ হলেও ভ’মি বিষয়ক আইনের দূর্বলতার কারণে যুগ যুগ ধরে চলতে থাকা এইসব কেসের দ্রুত রায় ও এর সুফল পাওয়ার বিপরীতে এই ধরনের কেস পরিচালনা করতে গিয়ে জনগণকে আর্থিক ভাবে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত ও নিস্ব হতে হয়। ফলে অনেকেই অন্যায়ের প্রতিকারে এই ধরনের কেস পরিচালনা করতে একপ্রকার নিরুৎসাহিত হয়, যা ন্যায় বিচার প্রাপ্তীর ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় বলে মনে করি। তাই এই ধরনের অভিযোগ আদালতে গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে যতদ্রুত সম্ভব বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে রায় প্রদানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এই ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের তরফ থেকে ভূমি আইনের সকল প্রকার দূর্বলতা দূরীকরণ অধিক সচেষ্ট হতে হবে। দেশে আইনের শাসন ও দ্রুত ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার এ ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এমনটিই আশা করি।

যদিও দুঃখজনক ভাবে বলতে হয়, বিভিন্ন সরকারের আমলে অধিগ্রহণকৃত অব্যবহৃত জমি বিশেষ করে রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বন বিভাগের অনেক অব্যবহৃত জমি এখন অবৈধভাবে প্রভাবশালী মহলের ভোগ দখলে, তা যেন দেখার কেউ নেই। এইসব খাস জমি বিভিন্ন পন্থায় এলাকার প্রভাবশালীরা নামমাত্র মূল্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে ৯০ অথবা ৯৯ বছরের জন্য অস্থায়ী বা স্থায়ী লিজ নিয়ে ব্যবহার করে আসছে। ফলে ভুমিহীনরা অর্থ ও শক্তির অভাব এবং ভূমি আইনি জটিলতার কারণে তাদের ভ’মির প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু এখনও সারা দেশে প্রায় লাখ লাখ একর কৃষি ও অকৃষি জমি আছে। যার সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও বন্টনের অভাবে অনাবাদি পড়ে আছে। ফলে এর সুফল থেকে দেশের জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এইসব জমির ব্যাপারে রাজনৈতিক কারণে কোন সরকারই দীর্ঘমেয়াদি সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা ও সিন্ধান্ত গ্রহণ করেননি। ফলে এই ধরনের খাস জমিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষকে ঠকানোর জন্য নানা ধরনের দালালচক্র তৈরি হয়েছে এবং তারা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের ভূমি অফিসগুলোতে দালালি করে সাধারণ মানুষের সাথে অভিনব পন্থায় প্রতারণা করে চলছে। রাজনৈতিক ও আঞ্চলিক ক্ষমতাকে পুঁজি করে তারা হরহামেশাই এইসব কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিকারে সংশ্লিষ্টদের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ আমাদের চোখে পরেনি, যা কষ্টদায়ক।

বলাবাহুল্য এইসব দালালচক্রের মধ্যে অনেকই নাকি রাজনৈতিক কর্মী ও দলীয় সমর্থক। তাই বিষয়গুলো প্রতিকার প্রভাবশালী ও দালালচক্রের সকল ধরনের অপতৎপরতা রোধে যতদ্রুত সম্ভব সরকারের উচিত হবে ইতিমধ্যে যেসব খাস জমি দীর্ঘমেয়াদি বা স্থায়ী লিজ দিয়েছে তা কিভাবে বাতিল করা যায় তার সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা স্থির করা অর্থ্যাৎ ৯০ বা ৯৯ বছরের স্থায়ী লিজ বা বন্দোবস্ত নিয়ম কিভাবে বাতিল করা যায় সেই ব্যাপারে অধিক চিন্তাভাবনা করে সমাধান পথ দ্রুত খুজে বের করা। এইক্ষেত্রে উক্ত আইনের যদি কোনো দূর্বল দিক থাকে তা সংশোধন করে ভ’মি ব্যবস্থাপনার জটিলতা নিরশন করা জরুরী।

দেশে ভূমিহীনদের পূর্ণবাসন ও দারিদ্র দূরীকরণে বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে অবৈধ ভাবে দখলকৃত এইসব খাস জমি পুনরুদ্ধার করে তা ভ’মিহীনদের মাঝে সুষ্ঠু বন্টন নিশ্চিত করা। এতে এক দিকে যেমন দেশে ভূমিহীনতা রোধ পাবে, শহরগুলোর ওপর ভ’মিহীনদের অস্বাভাবিক চাপ কমবে, অসামাজিক কর্মকান্ড অনেকটা রোধ পাবে, ঠিক তেমনি মুষ্টিমেয় কিছু প্রভাবশালীদের হাতে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ভুমিকে রক্ষা করার পাশাপাশি এই কাজে নিয়োজিত দালালচক্রকে প্রতিহত করে দেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। তাই যে কোন উপায়ে হোক সরকারকে বিভিন্ন অঞ্চলের ভূ-গ্রাসী জোতদারদের রাহুগ্রাস থেকে খাস জমি উদ্ধার করে প্রকৃত ভ’মিহীনদের মাঝে সুষ্ঠু বন্টন এবং ইহার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অনুরূপভাবে বিরোধপূর্ণ যেসব জমি প্রতিবছর অনাবাদী থাকে সেগুলো স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় আবাদের আওতায় আনতে হবে এবং তা ভ’মিহীন বর্গা চাষীদের মাঝে বিতরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কেননা এদেশে প্রকৃতপক্ষে ১২% খাস জমি ভ’মিহীনদের অধিকার তা বাস্তবায়নে সরকারকেই যে কোন মূল্যে ভ’মিহীনদের মাঝে উক্ত খাস জমির সুষম বন্টন নিশ্চিত করতে হবে। এই কাজটি বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্টদের ভুমির সুষম বন্টন এবং এর সঠিক ব্যবহারের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। যাতে কোন পরিবারই ভ’মিহীন না থাকে এবং প্রভাবশালীরা অবৈধ পন্থায় দীর্ঘদিন ভুমি নিজেদের কবজায় না রাখতে পারে। সরকারকে বিশেষ করে দেশে পতিত খাস জমির সঠিক হিসাব নির্ণয় এবং তার বন্দোবস্ত ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণে একটি স্বচ্ছ নীতিমালা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিশেষ মনিটরিং কাঠামো দ্রুত গড়ে তুলতে হবে। গ্রাম ও শহরের সর্বস্তরের বেদখল এবং অবৈধ দখলের আওতা থেকে সকল প্রকার সরকারি খাস জমি বিশেষ করে খালবিল, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বন বিভাগের অব্যবহৃত জমিগুলো পুনরুদ্ধারে বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। জন আঙ্খাকা বাস্তবায়নে সরকারকেই ভ’মি ব্যবস্থাপনার ওপর বিশেষ নজর দিয়ে দ্রুত এর সঙ্গে যুক্ত সকল প্রকার ত্রুটি নিরশনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর এবং সংশ্লিষ্টদের বিশেষ নির্দেশ প্রদান করতে হবে। মূলত: দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র দূরীকরণের মাধ্যমে এদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিনত করতে যা এই মুহূর্তে অধিক জরুরী বলে মনে করি।

যেহেতু এই কথাটি প্রায় সকলেই জানা, ভ’মি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দারিদ্র্যের সম্পর্ক নিবিড়। তাই দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারকেই যতদ্রুত সম্ভব ভ’মির সুষম বন্টন, ভ’মি ব্যবস্থার পুনর্বিন্যাস, ভূমি সংস্কার নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং এ সংক্রান্ত আইনের যতপ্রকার দূর্বলতা আছে তা নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশে ভূমিহীন হতদরিদ্র এবং প্রাকৃতিক দূর্যোগে সহায় সম্বল হারানো ভূমিহীনদের ভাগ্য উন্নয়নে সরকারের তরফ থেকে উদ্ধারকৃত খাস জমি বিতরণ এবং যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে এর মনিটরিং কাজটি বাস্তবায়নের জন্য ভ’মি কমিশন গঠন করে উক্ত কাজটি যথাযথ ভাবে সুসম্পন্ন করতে হবে। যদিও এই কথাটি সত্য, এ সংক্রান্ত কাজে দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, আইনের দূর্বলতা ও জটিলতা, নীতি-নির্ধারকদের অদক্ষতা ও উদাসিনতা, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলিতে জনবলের স্বল্পতা সেইসঙ্গে অভিজ্ঞ ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি নিয়ে কোন সরকারের একার পক্ষে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত উক্ত সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়।

এক্ষেত্রে সরকারকে গুরুত্ব বুঝে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে উক্ত কাজগুলি বাস্তবায়নে সম্মিলিত প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার দারিদ্র দূরীকরণের বিশেষ কৌশল হিসেবে বেদখল খাস জমি উদ্ধার এবং এর যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভূমির সঠিক ব্যবস্থাপনা গ্রহণ ও এর সুষ্ঠু বন্টনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির আমুল পরিবর্তন করতে সক্ষম হবেন এবং দেশকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন-এমনটিই দেশবাসী প্রত্যাশা করে। জনগণের উক্ত প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সরকার ও সংশ্লিষ্টের সদিচ্ছা কামনা করি।
(এএস/জুলাই ১৭, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test