E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সেফুদার কোরআন অবমাননাও শ্রীলঙ্কায় মুসলিম নামধারী জঙ্গি হামলা মনুষ্যত্ব বোধের অবক্ষয়  

২০১৯ এপ্রিল ২২ ১৩:৪৫:০২
সেফুদার কোরআন অবমাননাও শ্রীলঙ্কায় মুসলিম নামধারী জঙ্গি হামলা মনুষ্যত্ব বোধের অবক্ষয়  

মানিক বৈরাগী : আমার মা কে দিয়েই আজকের অনুভূতি টুকু প্রকাশ করতে চাই।মা অশিক্ষিত ধার্মিক গৃহবধূ। পাচ ওয়াক্ত নামাজ, তাহাজ্জুদ ও ইশরাকের নামাজ সহ প্রতি ওয়াক্তে নফল নামাজও বাদ দিতেন না।একি ভাবে আমার পিতা ও পরিবারের বউ কন্যা ও অন্যান্য ভাইয়েরা।আমিও পড়তাম ঘরে যতদিন ছিলাম ততোদিন।এখন পড়া হয় না নিয়মিত।

আমার মা প্রতিদিন ভোরে ফজরের নামাজ শেষ করে কোরআন তেলোয়াত করতেন।সেই ভোরের শুরু করতেন এরপর মাঝখানে সুর্যোদয় হলে এশরাক শেষ করে আবার কোরাআন তেলোয়াত করতেন, অন্তত সকাল ৮টা পর্যন্ত। এরি মধ্যে তাঁঁর এক সিপরা তেলোয়াত হয়ে যেতো।প্রতিমাসে তাঁর কোরআন শরিফ এক খতম হতো।যে সপ্তাহে এক খতম কোরআন তেলোয়াত সম্পন্ন হতো সেই মাসের প্রথম শুক্রবার তিনি অনাত এতিমদের খাওয়াতেন সামর্থ্য অনুজায়ি।

সেদিন মায়ের মন মেজাজ খুব ফুরফুরে আনন্দময় থাকতো।পড়তো নতুন শাড়ী।মায়ের হাতে বাড়ির টাকা পয়সা সব হিসেব নিকেশ।জানিনা তিনি ঠিক মতো টাকা পয়সা গুনতে জানতেন কিনা। এটি ছিল মায়ের প্রত্যহ সকালের রুটিন কাজ।বিকালে উঠোনে বসে পাড়ার বউ ঝিয়েরা আসতো মায়ের সাথে গল্প গুজব করতে।পান তামাক টানতে।যতদিন হুকো ছিল আমার সুন্দর করে হুকুর তামাক সাজাতেন।সবাই মিলে হুকুতে কয়েক সিলিম করে টান দিতেন আর বউ শাশুড়ী মিলে সুর করে পুতি পড়তেন।বাড়ীতে কত রকমের যে পুতিছিল তার ইয়াত্ব ছিলোনা। এরমধ্যে আলাওলের পদ্মাবতীর পুতি,সগির শাহের ইফুল মুলুক বদিউজ্জামাল সহ আরো কতো।আমি তো খুব ছোট।

আমার মা লেখাপড়া করেনি।প্রাইমারী তে কয়েক ক্লাস পড়েছিল বোধহয়।তিনি পুতি ও আরাবি কোরান শরিফ পাশ বলা যায়। মা যখন কোরআন শরিফ পড়তেন কত সুর করে পড়তেন।এক এক সুরা গীতিময় ভাবে আর এক এক সুরা গদ্যময়ভাবে।যখন গীতিময় ঢং এ পড়তেন তখন তিনি অশ্রু সজল হতেন।মাঝে মাঝে হু হু করে কান্নাও করতেন।অথচ তিনি আরবি ভাষা টি পড়তে পারেন, সেই পৌরানিক কোরাআনের ভাষাটি মুলত। কিন্তু তিনি তো কোরআনের আরবি ভাষা বুঝতেন না।মানে জানতেন না।জানতেন না কোন সুরার কি অর্থ। তবুও তিনি সুরা গুলি পড়ে পড়ে কান্না করতেন। আমি এটি কে অবুঝ প্রেম, অজানা প্রেম বলবো।এটি প্রবিত্র অন্ধ প্রেমও বলা যায়।

সেই সময়ে অত আলেম ওলামা ছিলোনা বলেই যদি একটি এলাকায় একজন আলেম থাকতেন তার কত সম্মান।তারা সেই সম্মানও ধরে রাখতে জানতেন।তাদের কাছে অত জাতিভেদ ধর্মভেদ বিদ্ধেষ ছিলোনা বর্তমান সময়ের মতো।
আমার পিতা মহ পীরে কামেল হজরত আব্দুল খালেক মিয়াঞাজী (রঃ)। তিনি কখনো বর্তমান পীরদের মতো পীর গিরি করেন নি।তিনি খেটে খাওয়া পরিশ্রমি মানুষ ছিলেন।সুফি আধ্যাত্মিক সাধানার পাশাপাশি কবিরাজি চিকিৎসা ও ব্যবসা করতেন। বাড়ীতে কবিরাজি ঔষধ বানিয়ে দেশে দেশে ঘুরতেন বিক্রি ও ডাক্তারি করতেন।চলে যেতেন বর্তমান মিয়ানমারের আরাকান ও রেঙ্গুনে। যেতেন কলকাতায়।ফিরতেন কয়েকমাস পরে।

আমার দাদা বেশির ভাগ সময় পুর্ণিমা তিথিতে আসতেন বাড়িতে। এর একটি নেপত্য কারন আমি জেনেছি।আমাদের বাড়ির পাশের জেলে পাড়া ও জলদাস পাড়ার জেলেরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতো এই সময়ে।আমার দাদা ও পিতার প্রতিষ্ঠিত মসজিদে ফজরের নামাজ শেষ হলে সেই হিন্দু ও মুসলিম জেলেরা অাসতো।মাতা মুহুরি নদীতে সাম্পান ভাসাবার পুর্বে ভেজা কাপড়ে, এসে মসজিদের উঠোনে পশ্চিম মুখি সেজদা দিয়ে হিন্দু মুসলিম উভয় তার পর দাদা থেকে আশীর্বাদ দোয়া নিয়ে নৌকা ভাসাতেন। এ ছিল তাদের বিশ্বাস। আমার দাদা তাদের কখনো ফেরাতেন না।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে কত হিন্দু নর নারীর আশ্রয় স্থল ছিলেন তিনি।সেই সব পীর কামেলারা কখনো নারী পুরুষ ভেদ করেন নি।

আজকের এই সময়ে এসে কি দেখি।আমাদের শ্রদ্ধার আলেমেরা ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দেয়।কোরআনের অপব্যাখ্যা ও কতরকম ভাবে অপব্যবহার করছে। এই গেলো ক'বছর পুর্বে আমাদের কক্সবাজারের রামুতে এক বড়ুয়ার ছেলে ফেইসবুকে কোরআন অবমাননা করেছে বলে মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে কি অপরাধ করলো।কি তান্ডব লিলা, আগুনের হলকা। পুড়ে গেলো কয়েকটি বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কত মন্দির ও বাড়ি ঘর।শুধু মাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে কোরআন কে অপব্যবহার করে। এরপর গেলো দুবছর পুর্বে ব্রাম্মন বাড়িয়ায় একি পদ্ধতিতে হিন্দু জলদাস পাড়া জ্বালিয়ে দেয়া হলো। এরও পুর্বে যশোহর জেলায় মালু পাড়ায় ধর্মীয় বিদ্ধেষ ছড়িয়ে পাড়ার পর পাড়া জ্বলিয়ে দেয়া হলো। বিগত জোট সরকারের সময় নাস্তিক মুরতাদ বলে আইন আদালতে বোমা হামলা করা হলো।প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা হলো।

কাদিয়ানী ধর্মীয় সম্প্রদায় কে অমুসলিম ঘোষণার জন্যে কত তান্ডব চালানো হলো। এই কাদিয়ানী দের বিচারের ভার তো মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের উপর বর্তায়।আমি তুমি বা কোন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দায়িত্ব হতে পারেনা এটি।কাদিয়ানী দের উপর আনুষ্ঠানিক সাম্প্রদায়িক হামলা ও অমুসলিম ঘোষণা নিয়ে পাকিস্তানের করাচিতে জামাতের প্রতিষ্টাতা বৃটিশের এজেন্ট মওদুদির নেতৃত্ব এই সাম্প্রদায়িক হামলা হাঙ্গামার শুরু হয় প্রথম।পাকিস্তান হাই কোর্টে মওদুদির ফাসির আদেশ হলে আইয়ুব খানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমার কারনে তার ফাসির আদেশ রহিত হয়।তারপরও তাকে আদালতে মুচলেকা দিয়ে বেরিয়ে আসতে হয়।অথচ পাকিস্তানের পদার্থ বিজ্ঞানি নোবেল বিজয়ী আব্দুল কাদের ছিলেন কাদিয়ানী। একি ভাবে কায়েদে আজমের ধর্মীয় বিশ্বসাস ও কিন্তু মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাসী নন।কিন্ত তার বেলায়ও কোন ধর্মীয় রাজনৈতিক ইসলামি জোট প্রশ্ন তোলেনি।এখানেও ক্ষমতার পক্ষপাত।

বাংলাদেশের কত পীর দরবেশ গাউস কুতুব আউলিয়ার মাজারে নিরিহ বিরল প্রজাতির কাসিম,গজাল মাছ কে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করা হলো।এসব উগ্র জঙ্গীয়ানের কারনে।শান্তির ধর্ম ইসলামে কিন্ত এসব সমর্থন করেনা। ইসলামের নামে, কোরআনের নামে, বাংলাদেশের কত বাউল সন্যাসীর বাড়িঘরে হামলা লুটপাট নারী শিশু নির্যাতন করা হলো।পাশাপাশি বাউল ফকির দরবেশের মাথার চুল কেটে দেয়া সহ হত্যা নির্যাতন করা হলো। এসব গোষ্ঠীগত স্বার্থের কারনে সকল মানুষের কাছে ইসলাম কে বিভিন্ন ফতোয়া ফেরকায় বিভক্তি করে আজ প্রবিত্র কোরআন কেই অপমান করা হচ্ছে, ইসলাম ও কোরআনের নামে। এই স্বার্থসিদ্ধির গোষ্ঠী বেছে নেয় আলেম ওলামাকে।আর এরাই তাদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারনে প্রতিনিয়ত ইসলাম ও প্রবিত্র গ্রন্থ কোরআন কেই নিয়মিত অপমান করে যাচ্ছে।এতে অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর মাঝে শান্তির ধর্ম ইসলামের পরিবর্তে হিংসা বিদ্ধেষ ছড়িয়ে পড়ছে।

এ বছর গেলো মাসে অস্ট্রেলিয়ান উগ্র খৃষ্টান নিউজিল্যান্ডের মসজিদে জুমার নামাজে হামলা করে।তার হামলার প্রতিবাদে সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী মুসলিমদের প্রতি হিজাব বোরকা পরে যে সম্মান টুকু জানিয়েছেন,তাঁর থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারিনাই।তাঁকে আমরা বাহাবা দিয়েছি বটে নিজেরা বদলাইনি। অথচ ক'বছর পুর্বে এই বাংলাদেশে ঢাকার শিয়া মসজিদে বোমা হামলা করা হলো। মাওলানা নুরুল ইসলাম কে হত্যা করা হলো।হলি আর্টিজান বেকারি তে হামলা করা হলো।শুধু ইসলামের নামে।

মুসলিম বিজ্ঞানী ইবনে সিনা থেকে আল জাবের,আল কেমির হত্যা থেকে সর্বশেষ বাংলাদেশের বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় ও তার প্রকাশক কে হত্যা করা হলো। বাংলা সনের আবিষ্কাকারক মুসলিম দার্শনিক ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী হজরত আবুল ফজল আল্লামী কে ঈর্ষাপরায়ণ ক্ষমতা লোভি মোল্লা আকবরের পুত্রকে কুমন্ত্রণা দিয়ে হত্যা করা হলো।অথচ যে উগ্র মোল্লা আবুল ফজল আল্লামী কে হত্যা করেছিল,তার মৃত্যুর পর তার বাড়ির ভেতর পিতা মাতার কবর সাজিয়ে রাখে, কিনতু ওখানে লুন্টিত হিরা জহত ও স্বর্ন রাখা হলো।

একিভাবে আল্লামা জালাল উদ্দীন রুমির ওস্তাদ শামসেত তাবরেজী কে রুমির পুত্র কে হত্যা করা হলো। এই মাসেই নোয়াখালী তে মাদ্রাসা ছাত্রী কে যৌন হেনস্থার প্রতিবাদ করায় নুসরাত রাফিকে মাওলানা সিরাজুদ্দৌলার প্ররোচনায় তার গ্রুত ও আশ্রিত পুলিশ প্রশাসন, স্থানিয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতার সহযোগে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। হত্যা করা হচ্ছে মসজিদে শিশু বাচ্চা কে,হত্যার পর হাত পায়ের রগ কাটা হচ্ছে।মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন কতৃক শিশুদের বলতকার করা হচ্ছে।

বলাতকার হচ্ছে কওমি মাদ্রাসার লিল্লাহ বোর্ডিং এ আশ্রিত এতিম শিশুদের।এই কর্মে পিছিয়ে নেই বহু আওয়াজে জিন।
আর প্রতিনিয়ত সিরাত্তুনবী(সঃ) ও ইসলামি সম্মেলনের নামে ওয়াজ মাহফিলে যে পরিমাণ কোরআন হাদিসের নামে ইসলামের নামে অন্যধর্মের প্রতি বিষোদগার ও বিদ্ধেষ ছড়ানো হয়। ওয়াজেজিনারা এটি মুলত ইসলাম সমর্থন করে কিনা প্রশ্ন রইলো?পাশা পাশি জন্মদাতা মায়ের জাত নারীর প্রতি যে পরিমাণ অশ্লিল অঙ্গভঙ্গি করে ওয়াজ মাহফিল হয় এতে কি আমরা সভ্য মুসলিম ও শান্তির ধর্ম ইসলামের রুপ প্রকাশ পায়? তাও প্রশ্ন থেকে যায়।

এই ক'বছর ধরে সৌদি আরব কতৃক তাদের পাশের দেশ ইয়েমেনে রোজা রমজান, ঈদ কোরবানের সময়ও যে নিয়মিত বোমা হামলায় হাজার হাজার নিরিহ নারী শিশু মারা যাচ্ছে এর কোন প্রতিকার নাই?নিরব মুসলিম বিশ্ব।এর কি জবাব আছে শান্তি প্রিয় মানব জাতির কাছে? আল কায়েদা আই এস কতৃক ইরাক শিরিয়ায় নিয়মিত সন্ত্রাস হত্যা, যৌন নির্যাতন এর কিবা জবাব আছে এসব নেতাদের কাছে? আদৌও এর কোন উত্তর আছে কিনা? ইসলাম এসব সমর্থন করে কিনা?

আফগানিস্তানে আল কায়েদা সহ অন্যান্য মুসলিম সন্ত্রাসি নারি শিশুর উপর যৌন নির্যাতন সহ বিভিধ অপরাধ করে এসব ইসলাম সমর্থন করে কিনা? পাকিস্তানে যখন যেমন হামলা গুম হত্যা,মসজিদে নামাজরত অবস্থায় হামলা,গাড়ি বোমা হামলা, এসবের সঠিক কোন ইসলামের ব্যাখ্যা আছে কিনা?

অতচ কবি শামসুর রাহমান লিখেছেন

স্বাধীনতা তুমি পিতার কোমল
জায়নামাজের উদার জমিন

কবি তার পিতার নামাজ কালাম কি সুন্দর করে কাব্য রূপায়ন করেছেন। অতচ রাজনৈতিক ইসলামিরা কবি কে নিয়মিত পত্র পত্রিকায় সভা সমাবেশের মধ্যদিয়ে নিয়মিত ক্ষত বিক্ষত করেছে। ক্ষত বিক্ষত করেছে ড.আহমদ শরিফ কে।আহমদ শরিফ এর নামে কত সভা করে তার নাামে অপপ্রচার করা হয়।অথচ তিনি ইসলামিপুথি সংরক্ষণ সম্পপাদন করেছেন । খুনের চেষ্টা করা হয়।তিনি বেঁচে যান।

উম্মাদ শেফুদা আজ আমার মায়ের প্রবিত্র পাঠ কোরআন শরিফ কে সে যে ভাবে অপমান করেছে। পেয়ারা নবী কে অপমান করেছে।অপমান করেছে পবিত্র কাবাঘর কে।আমি এসবেরি কুফল মনে করেকরি। গতকাল মুসলমানদের প্রবিত্র শবেবরাতের দিন একি সাথে ঈসা নবীর অনুসারী খৃষ্টানধর্মালম্বীদেরলও ইস্টার সানডে ছিলো। দুটি ধর্মই আল্লার নামে দুনিয়াতে এসেছে। একিদিনে চন্দ্র ও সূর্য বর্ষে কিছু প্রবিত্র দিন মিলে যেতে পারে।তাই বলে ঈসায়ী ধর্মাবলম্বীদের উপর জঙ্গি হামলা ইসলাম সমর্থন করেনা।এসব জঙ্গি হামলায় প্রমাণ করেনা ইসলাম শান্তির ধর্ম।

নবি মহম্মদ (সঃ) এ কারনে আগাম ভবিষ্যৎ করেন আখেরি জামানায় ইসলামের নামে মোল্লারা ৭০ফেরকায় বিভক্ত হবে।এরা দজ্জাল রুপে আবিভূত হবেন। তাহলে এসব জঙ্গিদের আমরা দজ্জাল মনে কর? আমার এসব ভাবনা একজন মানবিক ধার্মিক হিসাবে প্রশ্ন জাগতেই পারে। দুনিয়ায় সকল ধর্ম বিশ্বাসী ধার্মিক গণ প্রথমে মানুষ হই।হই পরমত সহিষ্ণু । প্রিয় মুসলিম ভাই বন্ধু গণ পরমত সহিষ্ণু হই। আসুন হে মুমিন মুসলিম ভাই গণ ইসলামের সুফি পথে চলি।
মানুষের জন্যে যে ধর্ম সেই মানুষকেই যদি ধর্মের নামে, ইসলামের নামে হত্যা করি, তাহলে সেই ধর্মই পালন করবে কে?

সবশেষে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার একটি চরণ দিয়ে এ লেখা শেষ করতে চাই মানুষ এনেছে গ্রন্থ, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন।


লেখক : কবি ও নব্বইয়ের সাবেক নির্যাতিত ছাত্রনেতা, কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test