E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমার শহর, আমার গ্রাম বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা

২০১৯ জুলাই ২৯ ২৩:০৮:০৯
আমার শহর, আমার গ্রাম বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা

মিঞা মুজিবুর রহমান


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী, মাদার অব হিউম্যানিটি, দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উল্লেখিত স্লোাগান আজকের অনুষ্ঠানের শিরোনাম করায়সময়ের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন  চাহিদা অনুযায়ী আজকের এই অনুষ্ঠান অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।

১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দেশকে হানাদারমুক্ত করতে সমগ্র দেশবাসী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন।নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ সমভ্রমহারা মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় লাল সবুজের পতাকা সম্বলিত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।স্বাধীনতা বিরোধী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীরা সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ পুর্নগঠনের প্রতিটি পদক্ষেপে বাধা সৃষ্টি করতে থাকে। প্রতিটি বাধা অতিক্রম করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে অসামান্য অবদান রাখতে সক্ষম হন। স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি উন্নত জাতীয় সংবিধান রচনা করে জাতিকে উপহার দেন। উক্ত সংবিধানের আলোকে দেশ পরিচালনা অব্যাহত রাখেন।

ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগ্রামকে বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে চির অম্লান করে রাখার জন্য বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুরি শান্তি’ পদকে ভূষিত করে।বিশ্ব নেতৃবৃন্দ তাঁর সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করতেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতি সংঘের অধিবেশনে বাংলা ভাষায় বক্তব্য উপস্থাপন করে নিজেকে এবং বাঙ্গালী জাতিকে অনেক উচ্চতায় সমাসীন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, "আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। আমার হিমালয় দেখার আর প্রয়োজন নেই।’ ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমতুল্য। আর এভাবেই আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতা লাভ করেছি।"

জাতির এই কৃতি সন্তান, বাঙালি জাতিরঅবিসাংবাদিতনেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্টের কালোরাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। একই দিনে জাতির জনকের পরিবার শেখ ফজলুল হক মনি ও তার পরিবার, আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও তার পরিবার পরিজনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ৩ নভেম্বর কারাগারে জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামরুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করে স্বাধীনতার চেতনাকে চিরতরে উচ্ছেদ করে পাকিস্তানি ভাবধারায়দেশ পরিচালনার কর্মকা-অব্যাহত রাখে।

স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস ঢুকিয়ে দিয়ে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতা বিরোধী ভাবধারায় গড়ে তোলার জন্য কর্মকা- অব্যাহত রাখে। এইভাবে ২১ বছর যাবত এইদেশ পাকিস্তানি ভাবধারায়চলতে থাকে।এই কাজটি মীর জাফর মোস্তাক এবং নেপথ্যে জিয়া নেতৃত্ব দেন। তার প্রমাণ মিলে জিয়ার পরবর্তী কর্মকা-ের মাধ্যমে। বিপদগামী সামরিক কর্মকর্তা যারা ১৫ই আগষ্টে এবং ৩রা নভেম্বর হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রদূত করে। তাছাড়া দেশে বিদেশে অবস্থানকারী স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে বসিয়ে দেয়। এছাড়া রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করে দেয় এই স্বাধীনতা বিরোধীদের। এই কর্মকা- দ্বারা প্রমাণিত হয় যে জিয়াই বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল নায়ক।

কারণ মোস্তাককে কিছু দিন ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়। তার পর সব অপকর্মের প্রধান নেতা হিসাবে আর্বিভূত হন এই ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে তার স্ত্রী অশিক্ষিত মূর্খ অভদ্র দাম্ভিক খালেদা জিয়া রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ১৫ আগষ্টেএকটি নতুন জন্মদিনের উদভব ঘটিয়ে তা জাতীয় শোক দিবসে কেক কেটে ঘটা করে তার জন্মদিন পালন করা শুরু করে যা অত্যন্ত অসভনীয়, অভদ্রতা প্রদর্শন করে জাতিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে থাকে। স্বামী- স্ত্রী দুইজনের ভূমিকা জাতির কাছে ন্যাককারজনক।স্বাধীনতার যে তারা বড় এবং ভয়ানক শক্র তা গবেষণা ছাড়া সাধারণ মানুষও বুঝতে পারে। কারণ যাকে কেন্দ্র করে দেশের স্বাধীনতা তাঁকে তার পরিবার পরিজন প্রধান সহকারীবৃন্দও তাদের পরিবার এবং জাতীয় চার নেতা এসবই হত্যা করলো জিয়া।

পাকিস্তানপন্থি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অধিষ্ঠিত করল জিয়া আর তার গুনমুগ্ধ সুন্দরী স্ত্রী জাতির জনকের জন্মদিনকে নিজের উদ্ভাবিত জন্ম দিনে ঘটা করে কেক কেটে জাকজমকপূর্ন জন্ম দিন উদযাপন করে একে কী ধরণের স্বাধীনতা বিরোধী অভদ্র এবং মানব জাতির তৈরি করা সকল নিকৃষ্ট বিশেষণে বিশেষায়িত এই কুলাঙ্গার করতে থাকে তা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। তৃতীয় ধাপে তাদের সৃষ্ট নূতম প্রজন্ম তারেক জিয়া আর এক ধাপ এগিয়ে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনাকে ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে গ্রেনেড হামলা করে হত্যার মাধ্যমে স্বাধীনতার স্বাদ চিরতরে বাঙ্গালী জাতিকে মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।

শেখ হাসিনা পরম করুনাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান। তবে দেশের ২১ জন কৃতি সন্তান প্রাণ হারান। শেখ হাসিনা যদি ঐদিন প্রাণে বেঁচে না যেতেন তাহলে আজ দেশের যে অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে তা- কী অর্জন করা সম্ভব হত? তাহলে তারেক জিয়া দেশের কত নম্বর শক্র বলে আপনারা মনে করেন? এখনও বাংলাদেশের স্বরল প্রাণ মানুষকে ভূল বুঝিয়ে জিয়া, খালেদা, তারেকের দেশ বিরোধী কর্মকান্য সম্পৃক্ত থাকার পর ওতাদের কিছু ভক্ত অনুরাগী এদেশে দেখা যায়। বাঙ্গালীর সরলতার সুযোগ নিয়ে এখনওভুল বুঝিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করে চলেছে।এই সকল ষড়যন্ত্রকারী এখনও দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। তারই এক বহিপ্রকাশ ঘটিয়েছে প্রিয়া সাহা নামের মহিলা মার্কিন যুক্ত রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে দেশ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে তার কথা যে অসত্য তা প্রমাণ করে দিয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে। মার্কিনরাষ্ট্রদূতও বলেছেন, প্রিয়া সাহার বক্তব্য অসত্য। তথাপীও তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় দেশে এবং বিদেশে সম্প্রীতি বিনষ্টের উপক্রম হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাল ধরে ২১ বছর আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। দেশের স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনগণের সতস্ফুর্ত সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কর্মযজ্ঞ শুরু করেন।বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পরপর তিন তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠত হতে সক্ষম হন। সেই কারনেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে বিশ্বের বুকে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান আজ অনেক উচ্চতায় পৌঁছেছে।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ একটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে পা বাড়িয়েছে। এখন নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ, ২০২১ সালে রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।শেখ হাসিনার পরিকল্পনায় উন্নত দেশ ও উন্নত জাতি গঠনে যার যার অবস্থান থেকে সততা, নিষ্ঠাও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে।

একটি জাতি উন্নত জাতি হতে গেলে বহুবিধ বিষয়ের প্রয়োজন হয়। স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় উন্নত সংবিধান যা আমাদের আছে। এখন জাতিকে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দিয়ে সকল সেক্টরে উন্নয়ন কর্মী হিসাবে কাজে লাগিয়ে দিতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার চোখের ইশারা বুঝে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাত দিন তাঁর মতোই কাজ করতে হবে। উন্নতমানের অবকাঠামো প্রস্তুত করার দায়ীত্ব প্রকৌশলীদের। দেশের কৃতিসন্তান এই প্রকৌশলীগণ আগামী এক শতাব্দীর মাস্টার প্লান করে গ্রাম ও শহরকে দেশি বিদেশি অর্থ এবং পরিকল্পনার সাহায্যে উন্নত দেশ ও জাতি গঠনে অবদান রাখবে বলেই শেখ হাসিনা এই স্লোগান তৈরি করেছেন আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা। দেশ খুব দ্রুত গতিতে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

এই উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি মেধাবী এই প্রকৌশলীগণ। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যারা মেধাবী তারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হয়, এর পর অন্যান্য দিকে নজর দেয়। তাই মেধাবী এই কৃতিসন্তানগণ সততা নিষ্ঠা এবং আন্তুরিকতার সাথে দেশাত্মবোধ নিয়ে রাত দিন প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণে মহান চীনের জনগণের কর্মীর হাত জাপানীদের কর্মীর হাতের মত একযোগে কাজ করে গেলে ২০৪১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আশা আকাংখা এবং বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। তবে এই উন্নয়নের যত কথা এতক্ষণ আলোচনা করলাম তা শুধু বাহ্যিক উন্নয়নেরকথাই বলছি। এবার মানবিক উন্নয়ন অথ্যাৎএকটি উন্নত জাতি গঠনে শুধু বাহ্যিক উন্নয়ন যা দৃশ্যমান তা দিয়ে উন্নত জাতি হয় না। উন্নত জাতি গঠনে উন্নত জাতির উন্নত মানবিক গুণাবলী অর্জন করতে হয়।

আর সেই উন্নত মানবিক গুণাবলী অর্জনে জাতিকে পরিকল্পিতভাবে গঠন করতে হয়। এই উন্নত গুণাবলী অর্জনের জন্য আগামী এক শতাব্দীর মাস্টার প্লান তৈরি করে কর্মজজ্ঞ শুরু করতে হবে। এই কাজের জন্য মানব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ(সা:) এর একটি উদাহরণ প্রনিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, সাবালক হওয়া পর্যন্ত মানুষ যে নৈতিকতায় গড়ে ওঠে সেই নৈতিকতার পরিবর্তন সাবালক হওয়ার পরে অসম্ভব। যেমন:- ওহুদ পাহাড় স্থানচ্যুত হলে তোমরা বিশ্বাস করবে যে এটা সম্ভব। কিন্তু সাবালক হওয়ার পরে মানুষের নৈতিকতা পরিবর্তন হয়েছে সেটা বিশ্বাস করবে না। সেটা অসম্ভব।

মাটির কাঁচা হাড়ী পুড়িয়ে বের করার আগপর্যন্ত সেটার মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করা যায়। কিন্তু পুড়ানোর পর মৌলিক কাঠামোগত পরিবর্তন সম্ভব হয় না। তাই আমাদের বাঙ্গালী জাতির শিশুদেরকে ছোট বেলা থেকেই আধুনিক প্রয়োজনীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষার জন্য যার যার ধর্ম অনুযায়ী ধর্মীয় শিক্ষা, নীতিবাক্য এবং শিশুদেরধারণ ক্ষমতা তৈরি হওয়ার পর বিভিন্ন ধর্মের মহামানবদের জীবনী, মানব জাতির আদর্শ, শ্রেষ্ঠ সন্তানদের জীবনী পাঠ্যসূচির অর্ন্তভূক্তির জন্য শ্রেণী অনুযায়ী অল্পপরিসরে অর্ন্তভূক্ত করার বিকল্প নেই। মহামানবদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদের গড়ে তোলার পরিকল্পনা প্রত্যেকটি ছেলেমেয়েদের নিজেদেরকে গ্রহণ করতে হবে। শুধু তাহলেই প্রত্যেকটি শিশুকে মহান শিশু হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব।হাট্টিমাটিমটিম- তারা মাঠে পারে ডিম তাদের খাড়া দুটো শিং তারা হাট্টিমাটিমটিম শিখিয়ে মহান শিশু গড়ে তোলা সম্ভব না। তাই যদি ছোট বেলা থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে মহান শিশু গড়ে তোলা সম্ভব হবে, আর এই মহান শিশুর সমন্বয়ে গড়ে উঠবে মহান জাতি। উশৃঙ্খল দায়িত্ব বোধহীন শিশু দিয়ে মহান জাতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখা দিবা স্বপ্নের মত। বঙ্গবন্ধু তা চান নি শেখ হাসিনা তা চান না। শেখ হাসিনা ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে মাঝে মধ্যে বলে থাকেন আমি অবসরে যাব। বাঙ্গালী জাতির দাবী শেখ হাসিনা তোমার অমূল্য অর্জিত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা নেতৃত্বের গুণাবলী দিয়ে দেশকে যেভাবে হাজারও প্রতিকূলতার মধ্যে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছ এটা অন্য কারো পক্ষে সম্ভব না।

বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকবে বিশ্ববাসী তাদেখে হতবাক হয়ে যাবে, তা একমাত্র তোমার পক্ষেই সম্ভব অন্যা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। জাতির পিতাকে আমরা হারিয়েছি, তোমাকে আমরা হারাতে পারব না, তুমি বাঙ্গালী জাতির অভিভাবক, বাঙ্গালী জাতির ঠিকানা। তুমি আজীবন আমাদের সামনে থাকো, আমরা তোমার পেছনে ছিলাম, আছি, থাকব ইনশাআল্লাহ

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু ।


লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা, (লেখক, গবেষক, সংগঠক), চেয়ারম্যান, ইন্টার রিলিজিয়ন হারমোনি সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test