E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভোলা আবারও জানালো মুক্তিযুদ্ধ অসমাপ্ত

২০১৯ অক্টোবর ২৩ ২৩:৫৯:৩২
ভোলা আবারও জানালো মুক্তিযুদ্ধ অসমাপ্ত

রণেশ মৈত্র


গত ১২ অক্টোবর ঢাকা থেকে কলকাতা এসেছি মাসখানেকের জন্য। কলকাতা এলাম প্রায় ১১ বছর পর। বয়সটা তো অনেক ভারী হয়ে গেল। বাঁচবো হয়তো ১০০ বছর বাকী আছে ১৪ বছর। তবুও তো বলা যায় না কখন কি হয়। তাই শেষ মুলাকাত করে আমার উদ্দেশ্যে এবারের আসা। দেশে ফিরে কলকাতা নিয়ে লিখব আশা রাখি-যদি লেখার, মত তেমন কোন উপাদান পাই।

সাথে এনেছি ল্যাপটপ। তাই অভ্যেসবশত: ভোরে উঠেই চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে ইন্টানেটে দেশের পত্রিকাগুলির দিকে চোখ বুলাই। দেখি নানান খবর- কিন্তু ভাল খবরের সাক্ষাত কদাপিই মেলে।

কিন্তু নতুন নয় যদিও, আজ ২১ অক্টোবরের পত্র পত্রিকাগুলিতে প্রকাশিত একটি খবরে মনটা প্রচন্ডভাবে ভারাক্রান্ত হলো। যেন মনে করিয়ে দিলো পাকিস্তান আমলের বা পাকিস্তান পূর্ব যুগের উম্মত্ত সাম্প্রদায়িক সহিয়সতার কথা।
ঘটনাটি ভোলার। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত একটি জেলা। তার দক্ষিণে বিশাল বঙ্গোপসাগর। ইলিশের দেশ বলেও পরিচিত-বৃহত্তর বরিশালের একটি অংশ হিসেবে। সেখানকার ঘটনা সম্পর্কে একটি প্রাচীন দৈনিকে প্রকাশিত বিবরণ নিম্নরূপ :

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হজরত মোহাম্মদ মোস্তফাকে নিয়ে আপত্তিজনক পোষ্ট দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ ও স্থানীয় মুসুল্লিদের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হলে স্কুল ও মাদ্রাসাসহ চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শতাধিক মুসুল্লি রাবার বুলেটে আহত হয়েছেন। মুসুল্লিদের ইট-পাটকেলে পুলিশের দশ সদস্যও গুরুতর আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঐ এলাকায় বিজিপি মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে জেলা জুড়ে এক থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে এঘটনার পর বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজসহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনা তদন্তে জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে প্রধান করে তিন সদস্যের এক কমিটি হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশের গুলিতে নিহত ও আহতদের প্রতিবাদে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ব্যানারে জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।

জেলা পুলিশ সুপার পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান শুভ নামের এক হিন্দু ছেলের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে কটূক্তি করার বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করে কয়েকজনকে আটক করেছে। বিষয়টি নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টি জানানো হলে তারা প্রতিবাদ সমাবেশ করবে না বলে জানায়। এরপরও গত রোববার সমাবেশ সুরু করে একটি গ্রুপ। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সমাবেশ হয়। কিন্তু শেষে উত্তেজিত বিক্ষুব্ধ কিছু লোক পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাক। এমন পরিস্থিতির মুখে পুলিশ সুপারসহ পুলিশ কর্তকর্তারা ঈদ গাহ মসজিদের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। ওই কক্ষেও হামলা চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ছোঁড়ে। এক পর্য্যায়ে বিক্ষুব্ধরা ঐ কক্ষের দরজা জানালা ভেঙ্গে ফেলতে থাকে। বাধ্য হয়ে পুলিশ কয়েকটা ফাঁকাগুলি করে। তিনি জানায়, গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হচ্ছেন মিজানুর রহমান, মাহফুজ পাটোয়ারী, শাহীন ও মাহবুব পাটোয়ারী।

জেলা প্রশাসক জানান, সংঘর্সে নিহতের সংখ্যা ৪। ভোলা ও বোরহান উদ্দিন হাসপাতালে তাদের লাশ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে খুলনা থেকে চার প্লাটুন বিজিবি আনা হয়। বিকেল ৫টার মধ্যে পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন রয়েছে।

ইসলাম আন্দোলন বাংলাদেশ এর ভোলা জেলা শাখার নেতা মাওলানা মীজানুর রহমান ভোলা হাসপাতালে আহতদের দেখতে জানান শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ গুলি চালায়। তিনি দোষীদের বিচার দাবী করেন ও পরে ঐ ঘটনার বিরুদ্ধে বিকেলে আরও একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত করেন।

ঘটনার সূত্রপাত: পুলিশ জানিয়েছে, বোরহান উদ্দিন উপজেলার বোবগঞ্জ বাজারের বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য নামক এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে ১৮ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হজরত মোহাম্মদ মোস্তফা সম্পর্কে একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। ওই পোষ্ট বিপ্লবের বন্ধুদের একাউন্টেও পাঠানো হয়। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে বিপ্লব ঐ দিনই বোরহান উদ্দিন থানায় এক জিডি করে (নং ৪৪০)। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তার নিজস্ব বিপ্লব কুমার শুভ নামের আইডটি অজ্ঞাত এক ব্যক্তি হ্যাক করে। তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আইডি হ্যাক করে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আজে বাজে পোষ্ট ছড়িয়ে নানা মন্তব্য করা হচ্ছে।

১৮ অক্টোবর বিকেল ৫-২৪ মিনিটে অজ্ঞতনামা এক ব্যক্তি ০১৮৫৯৫৭৮৮০৪ থেকে তাকে ফোন করে তার ফেসবুক আইডি ফেরত নেবে কিনা জানতে চায়। এ সময় হ্যকার তার সাথে ১০ মি. কথা বলে। পরে সে অপর একটি নম্বর থেকে ফোন করে জানায় আইডিটি ফেরত নিতে হলে দুই হাজার টাকা দিতে হবে।

ঐ জিডি তদন্তের জন্য এক এসআইকে দায়িত্ব দিরে তিনি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আইডি হ্যাক করার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে আটক করেন। তাকে আটক করে বোহান উদ্দিন থানায় আনার পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আলেম সমাজের উপস্থিতিতে হয় জেলার পুলিশ কর্মকর্তাদেরও সেখানে অংশ নেন। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় এন বিষয়ে তারা কোন সমাবেশ করবেন না।

কিন্তু ১৯ অক্টোবর ঈদগাহে জনসমাবেশে ১৩টি মাইক স্থাপন ও মঞ্চ প্রস্তুতিকালে পুলিশ সেখানে অবস্থান নেয়। বেলা ১১টার দিকে উত্তেজিত জনতা পুলিশের প্রতি ইট পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে এবং ঘটনাবলীর জেরে পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালালে ৪ জন নিহত হন। পুলিশ ও বহু সংখ্যক আহত হয়। বিপ্লব পরিস্থিতির ভয়াবহতা দেখে নিজ বাড়ীতে গিয়ে সেখানেও বিপুল সংখ্যক উত্তেজিত মুসুল্লিকে দেখে থানায় এসে নিরাপত্তা দাবী করলে পুলিশ তাকে কাষ্টডিতে নেন। পরে তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়।

সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো ঐ তথাকথিত মুসুল্লিরা রসুলকে নিয়ে পোষ্ট দেওয়ার অভিযোগে বিপ্লবের ফাঁসির দাবীতে এবং দায়ী পুলিশদেরও কঠোর শাস্তি দাবী করে ২২ তারিখে আবারও সমাবেশ করবে। ঐ সমাবেশও শান্তিপূর্ণ হবে কিনা তা অগ্রিম বলা দুরূহ। অবশ্য সর্বশেষ জানা গেল ২১ তারিখের সমাবেশটি হয় নি।

যাই হোক, বাংলাদেশের নানাস্থানে বিগত কয়েকটি স্থানে অনুরূপ অনেক ঘটনা ঘটেছে। সমাজে দুর্বল শক্তির অধিকারী ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, তা তাঁরা যে কোন ধর্ম বিশ্বাসীই হোক না কেন-মিথ্যে এক পোষ্টকে কেন্দ্র করে সদলবলে আক্রমণ করে জানা দিচ্ছে, সংখ্যালঘুরা এ দেশের অনাকাংখিত বাসিন্দা।

নইলে, ধরেই নেওয়া যায়, পুলিশের সাথে বৈঠকে যে সকল জনপ্রতিনিধি ও বিষ্টি জনেরা উপস্থিত থেকে কোন প্রতিবাদ সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নেন-তাঁরা নিশ্চয়ই ধর্ম নিরপেক্ষ দল আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা। সমাবেশ তাঁদের অসম্মতিতে ঘটানো হয়েছিল তেমনটিও ভাব যায় না। কারণ তা যদি হতো তবে আওয়ামীলীগ বা ঐ তথাকথিত জন প্রতিনিধিরাও বিক্ষুব্ধ মুসলমান, বৌদ্ধ-খৃষ্টান সকলের কাছ থেকে ভোট নিয়েই নির্বাচিত হলেও তার প্রতিবাদে কোন সমাবেশ মিছিল করলেন না কেন ? তাহলে তাদের দায়বদ্ধতার প্রমান কি ? মুখে জয়বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে ফেনা তুললেই যে জয়বাংলার বা বঙ্গবন্ধুর লোক হয় না তা আজ বুঝবার সময় এসেছে।

পুলিশের ভূমিকা, সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবরে জানা যায়, বেশ ভালই ছিল। কিন্তু হয়তো পুলিশ আরও বেশী যৌক্তিক ও আইনী ব্যবস্থা নিতে পারতো যদি ঘটনার পেছনে সরকারি দলের মদদ না থাকতো। অভিযোগকারী নির্দোষ বিপ্লবকে গ্রেফতারই বা করা হলো কেন ? বাইরে রেখেও তো তার নিরাপত্তা দেওয়া যায়।

আসলে ধর্মাশ্রয়ী রাজনীতিকে বৈধতা দিয়ে শুধু তারা আমাদের পবিত্র বাতাত্তরের সংবিধানকেই কলুসিত করা হয় নি-গোটা সমাজকে সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে বিভক্ত ও বিষাক্ত করে তুলতে সহায়ক হয়েছে।

এ জাতীয় ঘটনা প্রতি বছরই দু’একটা করে ঘটছে কিন্তু কোন ঘটনাতেই দায়ী কোন অপরাধীকে এক দিনের জন্যেও জেল খাটতে হয় নি। ফলে তথাকথিত মুসুল্লিরা দিনে দিনে দু:সাহসী হয়ে উঠেছে। আইনকে হাতে তুলে নিতে ওদের মনে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ নেই।

হজরত মোহাম্মদ সম্পর্কে কটূক্তি নি:সন্দেহে আপত্তিজনক তবে সেটা কে আসলে করলো কেন করলো তাতো ভাল করে দেথতে হবে। সে বালাই নেই। কটূক্তি করা হয়েছে শুনেই, যদি সে হিন্দু হয় তবে মার, কাটো, ফাঁসি দাও প্রভৃতি দাবী তুলে আসল অপরাধী ঐ মুসলিম যুবক বা যুবকদেরকে প্রশ্রয়ই দেওয়া হয়। আর হাজারে হাজারে মানুষ আসবে আইন হাতে তুলে নিতে ? এমন মিছিল কারীদের তার অনুসন্ধান এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরী।

বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবেই প্রধানমন্ত্রীর নজরে এসেছে। যুবলীগ নেতাদের প্রাক কাউন্সিল সভায় গত ২০ অক্টোবরে তিন ভোলার ঘটনার উল্লেখ করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেছেন। উষ্মা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, মুসলিম ছেলে হয়েও ভোলাতে কি করে নবীজীর সম্পর্কে কটূক্তি করে পোষ্ট দিতে পারলো ?

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, এক শ্রেণীর মুসলমান ছেলেরাই এ জাতীয় পোষ্ট দিয়ে থাকে কদাপি কোন হিন্দু, বৌদ্ধ বা খৃষ্টান কখনও তা করে নি বা করেও না। বাংলাদেশে বা পাকিস্তানে এমন সাহস বা ইচ্ছা কোন ধর্ম বিশ্বাসী সংখ্যালঘুই পোষ্ট করেন না। ঐতিহ্যগত ভাবেই অতীতের কোন কোন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময়কার কথা বাদ দিলে, তাঁরা ঐ নীতিতে বিশ্বাসী নয় এবং মূলত: যে কারণেই অপরের ধর্ম সম্পর্কে কটূক্তি করেন না-এটা ঐতিহাসিক সত্য। তবে সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি সকল ধর্মবিশ্বাসীর মধ্যেই আছ্।

দাঙ্গাকালীন ঘটনার ব্যাপারেও কথা আছে। পাকিস্তান পূর্ব বা বিভাগ-পূর্বকালের দাঙ্গাগুলি ছিল দো-তরফা। হিন্দু মুসলমানকে, মুসলমান হিন্দুকে মেরেছে স্রেফ ধর্ম বিশ্বাসের কারণে। কিন্তু চিত্রপট তো পাল্টে গেছে ১৯৪৭ সাল থেকেই বিভাগোত্তর কাল থেকেই। তখন থেকে দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা যা-ই-ঘটেছে তার শতভাগই একতরফা। অপরপক্ষ দুর্বল এবং শক্তি সাহসহীন-তাই।

বিষয়গুলি উপলদ্ধি করে এবং সত্যিকারের ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পুনরায় গড়ে তুলতে হলে ভোলার ঐ যে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করেছে-তার বা তাদের কঠোরতম শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

প্রকাশ্যে মাইকিং করে অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে যারা হাজার লোককে জড়ো করে ক্ষেপিয়ে তুলে এমন ভয়াবহ কান্ড ঘটালো-তাদের সকল পক্ষকে মুহুর্তকাল বিলম্ব না করে গ্রেফতার করা এবং কঠোরতম শাস্তির বিধান অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে করা হোক।

শিক্ষা ব্যবস্থার সকল গলদ ও বিলম্বে দূর করে প্রাথমিক থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্য্যন্ত সকল পাঠ্যপুস্তক থেকে তাবৎ সাম্প্রদায়িক বিষয় পরিহার করা হোক এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা কাকে বলে সে বিষয়েও সকল স্তরের পাঠ্যপুস্তুকে গল্প, প্রবন্ধ,কবিতাদির স্থান দিয়ে নতুন নতুন বাই লিখিত ও প্রকাশিত হোক; ধর্ম প্রত্যেকের ব্যক্তিগত বিষয়। তাই রাষ্ট্রধর্ম অবিলম্বে তুলে দিয়ে আমাদের সংবিধানকে অবিকল বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়া হোক;

ইসলাম ধর্মের অবমাননা যেমন আপত্তিকর তেমনই অপরাপার ধর্মাবলম্বীর মন্দির, গীর্জা, প্যাগোডা এবং নানা দেব-দেবতার মূর্তি ভাঙ্গা, তাতে অগ্নিসংযোগ বা তার প্রতি প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্রে অশ্রদ্ধা গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ২০০১ থেকে আজতক এ জাতীয় যত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেগুলির বিচার করার জন্য মুনিদৃষ্ট মোকদ্দমা দায়ের করে, বিশেষ ট্রাইব্যুলানে তাদের বিচার ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হোক; সকলে লক্ষ্য করলে দেখা যাক, এই তথাকথিত মুসুল্লি নেতারা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ঘুষ-দূর্নতির ব্যাপকতা, শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারদের বেকারত্ব মোচনের দাবীতে কোনদিন কোন আন্দোলনে নামে না-নামে স্বাধীনতা-বিরোধী ষড়যন্ত্র রুখতেও । সব মিলিয়ে এটা প্রমাণিত যে মুক্তিযুদ্ধ আজও অসমাপ্ত।

লেখক : সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত।

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test