আমি মুক্তিযোদ্ধা বলছি-২
অস্ত্র-গোলাবারুদসহ মুক্তিযোদ্ধার বেশে দেশে প্রবেশ
আবীর আহাদ
১৫ জুলাই । ১৯৭১ । কলকাতা থেকে আমি যখন টাকীস্থ ৯ নং সেক্টর হেড কোয়ার্টারে পৌঁছি তখন রাত ন'টা । আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত আমার আত্মীয় ক্যাপ্টেন খুরশীদকে সঙ্গে করে আমি মেজর জলিলের সাথে দেখা করি । তাঁকে শেখ আবু নাসের ও আলীমুজ্জামানের সালাম জানাতেই তিনি বেশ আগ্রহ নিয়ে আমার সাথে কথা বলেন । প্রবল রাশভারি ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেজর জলিলের ঝাঁকড়া চুল ও দাড়ি-গোফের বাহারি চেহারা দেখে তাঁকে আমার কিউবা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক মেজর চে'গুয়েভারার মতো মনে হচ্ছিল । তিনি বেশ প্রাণবন্ত ।
কথা প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের গোপালগঞ্জ ভারি অস্ত্রশস্ত্র পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন । মনে মনে বলি, এটা তো আমারই যোগাযোগের ফল । মেজর জলিল বলেন, গোপালগঞ্জের ওপর হানাদার বাহিনীর শ্যেনদৃষ্টি বেশি, যেহেতু ওটা বঙ্গবন্ধুর এলাকা । তাদের মোকাবিলা করার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ । ভারি অস্ত্রশস্ত্রের চালান আসছে । আগামীকাল সকাল নাগাদ সেগুলো বেগুন্দিয়া ইণ্ডাকশন ক্যাম্পে পৌঁছবে । তুমি আজ রাতেই বেগুন্দিয়া চলে যাও ।
রাতের খানা শেষ করে টাকীতে অবস্থানকারী আমার সহযোদ্ধা সিরাজ-উল হক, সৈয়দ আহমদুজ্জামান, আবদুল হান্নান, কাওসার নাসিম, শাহাবুদ্দিন জনু, কাবুল হোসেন, ফরিদ আহমদ, আলমগীর হোসেনসহ ১০/১২ জন পায়ে হেঁটে বেগুন্দিয়ার উদ্দেশ্য রওনা হই । টাকী থেকে যার দূরত্ব কমপক্ষে চার মাইল । বৃষ্টির মধ্যেই আমরা হাঁটতে থাকি ।
পরদি ১৬ জুলাই । সকাল ন'টায় ইণ্ডাকশন ক্যাম্পের ইনচার্জ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম অভিযুক্ত ক্যাপ্টেন সুলতানউদ্দিন আহমদ আমাকে ও সৈয়দ আহমদুজ্জামানকে ডাকলেন । সেখানে গিয়ে দেখি, ক্যাপ্টেন খুরশীদ ও ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বাবুলও অবস্থান করছেন । জানতে পারলাম ক্যাপ্টেন খুরশীদ সকাল বেলা ট্রাকে করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এসেছেন । আজ রাত আমাদের তিনটি গ্রুপকে দেশে পাঠানো হবে ।
আমার, আহমদ জামান ও মতিয়ার রহমান খোকনের নেতৃত্বে পৃথকভাবে কাশিয়ানী, আলফাভাঙ্গা ও লোহাগড়া থানার ২৫-২০-১৫ জনের তিনটি গ্রুপকে দেশে পাঠানোর আয়োজন শুরু হলো । আমি তিন ক্যাপ্টেনকে জানিয়ে দেই যে, কাশিয়ানী থানার ভাটিয়াপাড়ায় যেহেতু হানাদারদেরবড়ো ধরনের শক্ত ঘাঁটি স্থাপন করে গেড়ে বসেছে এবং যেহেতু আমাদের এই তিন থানার সংযোগ স্থলে ঐ ভাটিয়াপাড়া----সেহেতু আমাদের চাহিদা মোতাবেক অস্ত্রশস্ত্র দিতে হবে । বার বার তো গোলাবারুদের জন্য এতো দূর আসা সম্ভব নয়, ইত্যাদি ।
মতিয়ার রহমান খোকনকে খবর দিতেই সেও আমার ও জামানের সাথে যোগ দেয় । আমরা তিনজন মিলে আমাদের যোদ্ধাদের নামের তালিকাসহ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদাপত্র তৈরি করতে বসে যাই । আমরা জানি যে, আমাদের চাহিদা মোতাবেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবো না, তারপরও দাবি করতে তো দোষ নেই । আমার নেতৃত্বে যোদ্ধাদের তালিকা নিম্নরূপ-----
সি-ইন-সি স্পেশাল (ভারত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) গ্রুপ কমান্ড,
থানা/উপজেলা : কাশিয়ানী
মহকুমা : গোপালগঞ্জ,
জেলা : ফরিদপুর ।
কমাণ্ডার
আবীর আহাদ (পারুলিয়া)
2. ডেপুটি কমাণ্ডার : হাবিলদার আবদুস সোবহান, মৃত, (ডোমরাকান্দী)
3. সদস্য : পুলিশ কনস্টেবল আবদুল মালেক, মৃত, (হরিদাশপুর)
4. সদস্য : মো: শাহাবুদ্দিন আহমদ জনু, (পোনা), 31 অক্টোবর ফুকরা রণাঙ্গনে শহীদ
5. মো: কাওসার নাসিম (পোনা)
6. মো:আবদুর রাজ্জাক (খয়েরহাট)
7. মো:আকমল হোসেন (গোয়ালগ্রাম)
8.মো: কাবুল হোসেন (গোয়ালগ্রাম)
9. মো: হাসমত আলী (তারাইল)
10. মো: সিরাজুল ইসলাম (সাধুহাটি)
11. মো: জিন্নাত আলী (গেড়াখোলা)
12. মো: আবদুল খালেক (রাজৈর, মাদারীপুর)
13. মো: ফরিদ আহমদ (ফুকরা)
14. মো: রবিউল ইসলাম, (ফুকরা), 31 অক্টোবর ফুকরা রণাঙ্গনে শহীদ
15. মো: বাদশা মিয়া (ফুকরা)
16. মো: সুলতান আহমদ (ফুকরা)
17. মো: সাহেব আলী (ফুকরা)
18. মো: ইয়াসিন আলী (ফুকরা)
19. মো: আবুল কাশেম (নাওরা ভাদুলিয়া)
20. বাদশাহ মিয়া (সাহেবের চর)
বাকি পাঁচ জনের নাম এ মুহূর্তে মনে নেই । তবে তাদের নাম পরবর্তীতে সংযোজন সংযোজন করা হবে ।
আমাদের চাহিদাপত্র গ্রহণ করে ক্যাপ্টেন সুলতান বলেন, মেজর জলিল সন্ধ্যার পর এখানে এলে তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে । ভাটিয়াপাড়ায় যেহেতু হানাদার বড়ো ধরনের একটা ঘাঁটি রয়েছে তখন সে-নিরিখেই অস্ত্রশস্ত্র দেয়া হবে । তোমরা বিশ্রামে থাকো । আজ রাতেই তোমাদের পালা ।
১৭ জুলাই । রাতের খানা শেষে আমরা এদিক ওদিক দাঁড়িয়ে বসে কেউ কেউ গল্প করছি । কেউ কেউ বিড়ি সিগারেট টানছি । এমন সময় একটা জীপ এসে দাঁড়ায় প্রাইমারি স্কুল প্রাঙ্গনে । জীপ থেকে মেজর জলিল নামলেন ।
ক্যাপ্টেন সুলতানের বাশির ডাকে আমরা তিনটি গ্রুপ তিন লাইনে দাঁড়াই । মেজর জলিল আমাদের সামনে এসে একটা চেয়ারে বসলেন । অতঃপর আমাদের উদ্দেশ্য একটি বক্তব্য দিলেন যার সারমর্ম হলো : নবম সেক্টরের বিশেষত্ব এই যে, এটি বলা চলে টোটালি গণবাহিনীনির্ভর সেক্টর । এখানে অল্প কিছুসংখ্যক নিয়মিত বাহিনীর সদস্য থাকলেও গণবাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে গড় উঠেছে এখনকার সৈনিক কাঠামো ।-----মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতির অর্থে এই বাহিনীর একটি রাজনৈতিক দর্শন রয়েছে, সেটি হলো আমরা একটি জনগণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের ভিত্তিতে সাধারণ মানুষের শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে চাই । আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ কোনো সামরিক যুদ্ধ নয়, জনগণের সমন্বিত বাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত হবে । আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু । তাঁর নির্দেশিত গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতে একটি শোষণহীন সমাজ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য ।-----আমরা মহান কার্ল মার্কস ও মহামতি লেনিনের সাম্যবাদী বিপ্লবী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারায় বাংলাদেশকে পরিচালিত করার লক্ষ্যে এ মুক্তিযুদ্ধ করছি ।-----
মেজর জলিলের বক্তব্য কে কীভাবে নিলো জানি না, তবে মার্কসবাদী চিন্তার একজন ক্ষুদে ছাত্র হিশেবে আমার কাছে মনে হলো তিনি একটা অতিবিপ্লবী চেতনায় আচ্ছন্ন । ফলে চলমান মুক্তিযুদ্ধকে চীন বা কিউবান বিপ্লবের মতো করে তিনি একটু অগ্রিম চিন্তাচেতনায় ডুবে আছেন । আমার কাছে চলমান মুক্তিযুদ্ধের গতিপ্রকৃতির আলোকে বাস্তবসম্মত মনে হলো না । কারণ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে হঠিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে । সমাজ বিপ্লব এখানে অনুপস্থিত । কারণ আওয়ামী লীগ ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেস এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে জনগণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক আদর্শের কথা চিন্তা করছে না । দু'টি দলই পাঁতি বুর্জোয়া শ্রেণীর নেতৃত্বে শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী দল । তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের লক্ষ্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর ভারতের লক্ষ্য বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাকিস্তানকে শায়েস্তা করা । ভারতের কী লক্ষ্য তা আমাদের চিন্তা করার দরকার নেই, আমাদের লক্ষ্য তার সহযোগিতা নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন ।-----আওয়ামী লীগ ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের রাজনৈতিক চিন্তাচেতনায় একটি মিল আছে বলেই দল দু'টি এক মোহনায় এসে দাঁড়িয়েছে । তাদের উভয়ের উদ্দেশ্য: স্বাধীন বাংলাদেশ । এর বাইরে আর কোনো দার্শনিক চিন্তা আপাতত: তাদের মধ্যে নেই । এ-স্তরে মেজর জলিলের চিন্তা একটি আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয় ।
মেজর জলিলের বক্তব্যের মধ্যে একবারের জন্যও মুজিবনগর সরকারের ভূমিকাও ভারতের সহযোগিতার শোনা গেলো না ! তখন বুঝতে বাকি রইলো না যে, মেজর জলিল আওয়ামী লীগ ও কংগ্রেসের বাইরে একটি অতিবিপ্লবী চেতনা নিয়ে আগাচ্ছেন । তবে জয়বাংলা শ্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি তাঁর বিপুল আবেগ রয়েছে । আমার একবার মনে হয়েছিল তাঁর অতিবিপ্লবী চেতনা সম্পর্কে দু'টি কথা বলি, কিন্তু পরক্ষণেই ভেবে বসি যে, আমরা এখানে কোনো রাজনৈতিক দীক্ষা নিতে আসিনি । আমাদের লক্ষ্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দ্রুত দেশে প্রবেশ করে যার যার এলাকায় গমন ।
আমরা মোটামুটি আমাদের চাহিদার কাছাকাছি অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ হস্তগত করতে সক্ষম হলাম । আমাদের পথের হাত খরচ বাবদ প্রত্যেককে পাকিস্তানি পঁচাত্তর টাকা দেয়া হলো । রাত দশটার দিকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের দু'টি বাস এলো । দেশে ফেরার প্রবল বাঁধভাঙা আবেগে দ্রুত বাসে চড়ে বসি । গাইড হিশেবে দু'জন বিডিআর সদস্য আমাদের সাথে চললো । বাস স্টার্ট দিতেই আমরা জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু ও জয়হিন্দ শ্লোগান দেই । আর তখনি আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া শুরু হলো । মনে মনে খুশি হলাম যে, বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার মধ্যে সীমান্তে আমরা নিরাপদ থাকবো । কারণ বৃষ্টি ও ঝড় পাকিদের শত্রু । ঝড় আর বৃষ্টির তারা তাদের ঘাঁটিতে পড়ে থাকবে, আর আমরা অনায়াসেই সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যাবো । তাছাড়া আমরা সীমান্ত এলাকায় বা পারতপক্ষে চলতিপথে সংঘর্ষে লিপ্ত হবো না, আমরা আমাদের এলাকায় যেতে চাই ।
গাইড হাবিলদার শওকত ও আমি বাসের ড্রাইভারের পাশে বসা । বাসচালক বিএসএফের একজন সদস্য । তিনি বাঙালি । নাম সুরেশ ভদ্র । বৃষ্টিজনিত কাদামাটির পথ দিয়ে ধীর গতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি যেখান থেকে আমরা বাংলাদেশের মাটিতে প্রবেশ করবো সেই দিকে । কয়েক মিনিটের মধ্যেই গাইড ও ড্রাইভারের সাথে পরিচিত হলাম । আমি তাদের দু'জনকে ডায়মণ্ড সিগারেট অফার করি । কিছুক্ষণের মধ্যেই আমাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে ।
আমরা কোন সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকবো ?' আমিই গাইড শওকতকে জিজ্ঞেস করি ।
কুষ্টিয়া জেলার মহেশপুর ও যশোরের চৌগাছা থানার মধ্যবর্তী বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সংযুক্ত ভূমিতে আমাদের নামিয়ে দেয়া হবে বলে শওকত জানান ।
আমি দ্রুত বলি, বাগদা-মান্দারতলা কি ?
-----না না । তারও মাইল দশেক উত্তরে । পথটি শুকনা ও নিরাপদ ।
------আপনারা কতো ভেতরে আমাদের এগিয়ে দিয়ে আসবেন ?
------আপনারা কি আগে মান্দারতলা দিয়ে এসেছিলেন ?
-------হ্যাঁ ।
চৌগাছা থানার সেই বিশাল বটবাগানের কথা মনে আছে ? ঐ পর্যন্ত আমরা আপনাদের পৌঁছে দেবো ।
------ঠিক আছে । বাকি পথ আমরা চিনে নেবো । আমি বলি ।
তখনও চলছে ঝড়বৃষ্টির মাতামাতি । মেঠোপথ ছেড়ে ফাঁকা পাকা সড়ক দিয়ে আমাদের বাসও উল্কার বেগে ছুটে চলেছে । আমার মানসপটে তখন ভেসে উঠছে আমার গ্রামবাংলা ও আপনজনদের মুখ । আজ তিন মাস পর দেশে ফিরে যাচ্ছি । আপনজনদের কে কেমন আছে কিছুই জানি না । তারপরও দৃপ্তমনে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার বেশে দেশে ফিরে যাচ্ছি । আমার হাতে দু'টি অস্ত্র । একটি মডিফায়েড এসএলআর, আরেকটি বারো বোর রিভলবার-----। আমরা সবাই সশস্ত্র । একেকজনের কাঁধে হাতে কোমরে বাঁধা কমপক্ষে ত্রিশ/পঁয়ত্রিশ কেজি ওজনের বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ ।
বৃষ্টিজনিত শীতল আবেশে ক্লান্ত শরীর বোধ হয় গভীর শ্রান্তির মধ্যে ডুবে গিয়েছিল ।
নির্দিষ্ট স্থানে বাস থামতেই ঘুম ভেঙে যায় । রাত তিনটা । তখনও টিপ টিপ ও মৃদু দমকা হাওয়ার বৃষ্টি-ঝড় চলছে ।
আমরা দ্রুত বাস থেকে নেমে বিএসএফ বাসচালককে শেষ শুভেচ্ছা জানাই । জড়ো হই একটা বিরাট মাদার গাছতলায় । এখানে বিএসএফের লোকেরা নিরবে আমাদের গার্ড অব অনার প্রদান করেন । গাইডদ্বয় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশ দিয়ে পথ চলা শুরু করে । আমরা লাইনবদ্ধ তাদের অনুসরণ করি ।
পায়েচলা প্রশস্ত মেঠো বালিপথ । তবে অন্ধকারে পথ চলতে বেগ পেতে হচ্ছে । তার ওপর সবার কাছে বিপুল ওজনের অস্ত্রশস্ত্র । ক্রমেই বোঝা ভারি হয়ে আসছে । তবু পথ চলার বিরাম নেই । রাতের অন্ধকারে সীমান্ত অতিক্রম করে অনেক দূরে চলে যেতে হবে । তখনও আমরা ভারতের মাটিতে ।
প্রায় এক ঘণ্টা হাঁটার পর আমাদের গাইডরা জনমানবহীন জঙ্গলবহুল একস্থানে থামতে নির্দেশ দেয় ।
গাইড শওকত ফিসফিস করে বললো, আমরা এখন বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছি । একথা শোনার সাথে সাথে আমরা সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে উঠি । কেউ কেউ ফুঁপিয়ে কেঁদে ওঠে । আমারও বুক ফেটে বিপুল কান্না বেরিয়ে এলো । পরক্ষণে নিচু হয়ে একমুঠো মাটি তুলে কপালে ও নাকে ঠেকাই । এই তো আমার চিরচেনা বাংলাদেশের মাটির সোঁদা গন্ধ । আর তখনি আমার মনের তন্ত্রীতে রবিসুর ভেসে ওঠে :
ও আমার দেশের মাটি-----
তোমার 'পরে ঠেকাই মাথা ।
তোমাতে বিশ্বময়ী,
তোমাতে বিশ্বমায়ের আঁচল পাতা-----
লেখক :চেয়ারম্যান, একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ।
পাঠকের মতামত:
- ঈশ্বরদীতে বৃষ্টির জন্য সুন্নত আমল ইস্তিস্কা নামাজ আদায়
- কুষ্টিয়ায় বৃষ্টির জন্য 'ইস্তিসকার' নামাজে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- পাংশাসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি প্রার্থনায় নামাজ আদায়
- ‘আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত’
- আইসিসির প্যানেলে যুক্ত হলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মোর্শেদ
- কক্সবাজারে ভোটার তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
- স্ত্রীসহ সাইমেক্স লেদারের এমডির জামিন বাতিল
- ‘নির্দেশ না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা’
- ‘মূল্যস্ফীতি কমাতে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে’
- থাইল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী, লাল গালিচা সংবর্ধনা
- গোপালগঞ্জে নিজ বাড়ির সামনে বোমা হামলায় বাবা ও ছেলে আহত
- আ.লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে জাহাঙ্গীর আলম
- ফরিদপুর সদরে চেয়ারম্যান পদে কে কোন প্রতীকে লড়বেন
- রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের আলোচনা
- বৃষ্টি কামনায় সালথায় মাঠের মধ্যে বিশেষ নামাজ আদায়
- আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টায়
- বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ আদায়
- ‘এমন ঘটনা কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়, সুষ্ঠু বিচার চাই’
- ‘ফের ইরানে হামলা করলে ইসরায়েল দেশ অবশিষ্ট থাকবে না’
- ‘আগামী দিনে হজ ব্যবস্থাপনা আরও স্মার্ট হবে’
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২৭
- থাইল্যান্ডের পথে প্রধানমন্ত্রী
- পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে ‘ফ্ল্যাগ মিটিং’ অনুষ্ঠিত হয়
- ফরিদপুরের মধুখালি রণক্ষেত্র, দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১৫
- প্রতীক বরাদ্দের পরেই প্রচারণায় নামলেন কেশবপুর-মনিরামপুর উপজেলার প্রার্থীরা
- বাগেরহাটে বৃষ্টির জন্য খোলা মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মুন্সীগঞ্জ সরকারি হরগঙ্গা কলেজে কোচিংয়ের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ
- সুবর্ণচরে জোরপূর্বক গাছ কর্তন ও ভূমি দখলের অভিযোগ
- যশোরে তীব্র তাপদাহে দূর্বার গতিতে চলছে কোচিং বাণিজ্য, চরম বিপাকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
- তাপদাহে ১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে কুয়াকাটা পৌছালো ৩ রোভার
- পি কে হালদারসহ ২৩ জনের নামে চার্জশিট অনুমোদন দুদকের
- ফরিদপুরে কামাল ফকির হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
- জামালপুরে দুই উপজেলায় যারা যে প্রতীক পেলেন
- সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৩ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- দিনাজপুরে শিশু মিরাজ হত্যায় দাদা মমতাজের যাবজ্জীবন
- শুধু মেয়র নয়, দুর্নীতির সাথে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির ৫ কর্মকর্তাও
- চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৫ জুন
- মাগুরায় জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদ্বোধন
- বড়াইগ্রামে হিট স্ট্রোকে কৃষকের মৃত্যু
- এমপি একরামুলের শাস্তি দাবি করল জেলা আওয়ামী লীগ
- তীব্র তাপদাহে শ্রমিক সংকট, কৃষকের বোরো ধান কাটলেন এমপি সোহাগ
- সুবর্ণচরে রেজাল্ট শীট আনতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু
- বাগেরহাটে দোকান ঘর ভেঙে খাদে দূরপাল্লার বাস, যাত্রী নিহত
- পাংশা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে কী প্রতীকে নির্বাচন করবে
- পদে থেকেই ইউপি চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- ৭ চেয়ারম্যান ও ৯ ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
- কৃষি জমি থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনে বদল যাচ্ছে জমির শ্রেণী
- পাংশায় ৩০ পিচ ট্যাপেন্টাডল উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী সহ ৬ আসামি গ্রেফতার
- রাজবাড়ীতে লটারিতে বরাদ্দের পর পাল্টে গেল চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রতীক
- গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৮ নির্দেশনা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !