E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

একে খন্দকারের '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' এবং কিছু সমীকরণ

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৭:৪৩:৩১
একে খন্দকারের '১৯৭১: ভেতরে বাইরে' এবং কিছু সমীকরণ

স্বপ্নচারী আসিফ : আমাদের দেশে স্কুলে বাংলা কোন গল্প, কবিতা, উপন্যাস বা নাটক পড়ানোর আগে তার লেখক পরিচিতি পড়া হয়। এর কারণটা খুব সহজ, একজন লেখককে জানা গেলে তার লেখা খুব সহজেই বুঝা যায়। তাই আজকে যেহেতু ''১৯৭১: ভেতরে বাইরে'' নামক একটা বই নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি তাই আগে এর রচয়িতা জনাব এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আবদুল করিম খন্দকার সাহেবের পরিচিতি নিয়ে আগে আলোচনা করে নেওয়া ফরজ হয়ে গেছে।

এ.কে. খন্দকার: জন্ম ১৯৩০ সালের ১ জানুয়ারি। তাঁর বাড়ি পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার ভারেঙ্গা গ্রামে। তাঁর পিতা খন্দকার আব্দুল লতিফ ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন এবং মাতা আরেফা খাতুন ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে এ কে খন্দকার ছিলেন তৃতীয়। নওগাঁ করোনেশন স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল এবং মালদা জেলা স্কুলে। ভারত বিভাগের সময় এ.কে. খন্দকার ১৯৪৭ সালে মালদা জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।

১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান এয়ার ফোর্স থেকে তিনি তার কমিশন লাভ করেন। ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত তিনি ফাইটার হিসেবে কাজ করেন ও পরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন। তিনি পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমীতে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত ছিলেন। ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে তিনি ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত। ১৯৬১ সাল পর্যন্ত তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন পিএএফ একাডেমীতে। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। ট্রেনিং উইং-এর অফিসার কমান্ডিং হিসেবে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমীতে দায়িত্ব পালন করেন। পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পিএএফ বেইসের দায়িত্ব পান ঢাকায় ১৯৬৯ সালে।

এ.কে. খন্দকার উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে মে মাসের ১২-১৫ তারিখের মধ্যে ত্রিপুরা হয়ে মুক্তিযুদ্ধ যোগ দেন। ২১শে নভেম্বর ১৯৭১ সালে তিনি পদোন্নতি পান গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে বাংলাদেশের তৎকালীন অন্তর্বতী সরকার থেকে এবং জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী'র ব্যক্তিগত ডেপুটি ইন চার্জ বা উপ-প্রধান সেনাপতি হিসেবেও নিয়োগ পান।

স্বাধীনতার পর তিনি এয়ার কমোডর হিসেবে দায়িত্ব পান ও আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে স্বাধীনতায় বীরত্বের পুরস্কার কমিটিতে জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী'র প্রধান সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এই কমিটির কাজের ফলাফল ছিল ছিদ্রযুক্ত ও ব্যাখ্যাহীন। যিনি কলকাতায় স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় একটা দালানে সময় কাটিয়েছেন তিনি রহস্যজনকভাবে বীরউত্তম খেতাব পান। তার সহকারী স্কোয়াড্রন লিডার বদরুল আলমও বীরউত্তম খেতাব পান। ১৯৭৩ সালে তিনি এয়ার ভাইস মার্শাল হিসেবে পদন্নোতি পান ও সিওএএস হিসেবে ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ বিমান-এর চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অবসরে যান মুশতাকের সরকারের সময়।

তিনি জিয়াউর রহমানের আমল ১৯৭৬-১৯৮২ পর্যন্ত সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় রাষ্টদুত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি এরশাদের শুরুর দিকে ৮২-৮৬ পর্যন্ত ভারতের রাষ্টদূতের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৮৬ থেকে এরশাদ পতনের আগ পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রীর দ্বায়িত্ত্ব পালন করেন।

এরপর আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনার সরকার উনাকে ১৯৯৮ ও ২০০১ সালে সংসদ সদস্য বানিয়েছে, ২০০৮ সালে বানিয়েছিল পরিকল্পনা মন্ত্রী । উল্লেখ্য, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত তিনি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠন করেন এবং ২০০৭ বর্তমান পর্যন্ত সংগঠনটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এবার আসি তার রচিত নতুন বই''১৯৭১: ভেতরে বাইরে'' নিয়ে আলোচনায়। উল্লেখ্য বইটি প্রথম-আলোর প্রথমা প্রকাশনী থেকে বের হয়েছে। বইটি পড়া না হলেও প্রথম-আলোর অনলাইন ভার্সনের কল্যানে বইটির অংশ বিশেষের পিডিএফ পড়লাম এবং পড়ে এক কথায় প্রতিক্রিয়া হলো এটি ইতিহাস ধর্ষনের নব্য সংস্করণ ছাড়া কিছুই নয়। এখানে এমন কিছুই নেই যা আমরা অনলাইনে এর আগে ছাগুদের কাছ থেকে শুনিনি।

পিডিএফ এ যে অংশটুকু অনলাইনে ছাড়া হয়েছে তাতে বেশকিছু জায়গার সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রোনদিত ভাবে ইতিহাসের নামে ছাগুদের প্রপাগান্ডাগুলো রিপিট করা হয়েছে। তার এই চেষ্টাটাকেতাজউদ্দিন আহমেদের কন্যা শারমিন আহমেদের ব্যর্থ চেষ্টার নতুন সংষ্করণ বলা যেতে পারে।

পিডিএফ এর সেই গল্পগুলোর মধ্যে প্রথম গল্পটি হল বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত ছিল না। দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতার কোন দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি কারণ শেষে নাকি জয় পাকিস্তান বলেছেন। তৃতীয় দুইদিনের আন্দোলনে যুদ্ধ শুরু করা যায় না ও শেষে ছাগুদের ফেভারিট ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু জাতিকে কোন দিকনির্দেশনা না দিয়েই গ্রেফতার হোন যা ছিল তার বিরাট ভুল। তাছাড়াও বিভিন্ন জায়গার মুক্তিযোদ্ধাদের চোর ডাকাত, বাটপার বলে জঘন্য মিথ্যাচার করেছেন।

প্রথমে আসি মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতির বিষয়ে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ কোন এক দুই দিনের ঘটনা প্রবাহে হয়নি।সুদীর্ঘ ২৩ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ফল ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ।একে খন্দকার সাহেবের জীবনির দিকে তাহাকেই দেখা যাবে যে তিনি ১৯৫২ সালে কমিশন লাভ করে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানে অবস্থান করে পাকি এয়ার ফোর্সের হয়ে কাজ করে গেছেন।তিনি যখন ঢাকায় আসেন তখন ৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থানও হয়ে গিয়েছিল। তাই মুক্তিযুদ্ধের গ্রাউন্ডওয়ার্ক সম্প্রর্কে তার জ্ঞান শুন্যের কোঠায় ছিল।আর ১৯৭১ সালের মার্চের ঘটনা প্রবাহ তিনি নিজে প্রত্যক্ষ করার সুযগ পাননি।কেননা তিনি সেই সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। এই অবস্থায় তিনি কিভাবে ৭১ এর উত্তাল মার্চের ঘটনা বর্ননা করলেন এবং বললেন বাঙালিরাই লুট,হাঙ্গাগা করেছিল।

খন্দকার সাহেব যে ফরমায়েশি বই লিখতে গিয়ে গল্পগুলো ঠিকমতো না শুনেই বইটা লিখেছেন তা৭ মার্চের ভাষনের শেষে জয় পাকিস্তান শব্দের ব্যাবহারেই পরিষ্কার।উকিল দা তার লেখায় জয় পাকিস্তান শব্দের জায়গায় পাকিস্তান জিন্দাবাদ শব্দটা বেশি বিশ্বাসযোগ্যবলে মত দিয়েছেন।তার কথাও অবশ্য ঠিক আছে,কেননা জয় পাকিস্তান শব্দটাপাকিস্তানের সাথে যায় না।আসলে খন্দকার সাহেব ছাগুদের মূল প্রপাগান্ডাটা হল ৭ মার্চের ভাষণের শেষে নাকি বঙ্গবন্ধু 'জিয়ে পাকিস্তান' বলেছিলেন জয় পাকিস্তান নয়।প্রপাগান্ডাটির জনক হলেন প্রয়াত কবি কবি শামসুর রাহমান।তিনি প্রথমে জিয়ার আমলে বিচিত্রায় এই গল্প মানুষকে গেলানোর চেষ্টা করেন এবং পরে তার"কালের ধূলোয় লেখা" বইতে এই গল্প ছাপান।যা পরর্বতীতে হুমায়ূন আহমেদ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ নামের উপন্যাসের প্রথম সংষ্করণে লিখেন।যা মূর্খ প্রজন্ম ভালো করেই খায়।

খন্দকার সাহেব এই জিয়ে পাকিস্তান তত্ব আর কাউকে গেলানো যাবে না।কেননা সবাই একখন যানে ৭ মার্চের ভাষ্ণের শেষে বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন।নিচের ভিডিও ক্লিপটায় ৭ মার্চের এডিট ক্রে বাদ দেওয়া অংশে পরিষ্কার শোনা যায় বঙ্গবন্ধু কি বলেছিলেন।

https://www.youtube.com/watch?v=uju5sYKB93o&list=UU94x88liScgpVEtQfa5tEBQ&index=19

সাথেবঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ জিয়ে পাকিস্তা বা পাকিস্তান জিন্দাবাদ না বলার আরও একটা প্রমাণ হল আজাদ পাকিস্তান নামের এক ডকুমেন্টরির অংশবিষেশ। যেখানেওই জনসভায় উপস্থিত এক পাকিস্তানী বঙ্গবন্ধুকে দোষারোপ করছে বক্তৃতার শেষে শুধু জয় বাংলা বলার জন্য।যেখানে পাকিস্তানীরা জয় বাংলা ছাড়া কিছু শুনেনি সেখানে আপনি খন্দকার সাহেব কি উদ্দেশ্যে এই প্রপাগান্ডাকে আবার প্রচার করছেন।

https://www.facebook.com/video.php?v=10152240866433363

আর বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চেয়েছিলেন কিনা তা নিচেরআমেরিকার গোপন নথি থেকেই পরিষ্কার।যেখানে২৬ শে মার্চে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সুস্পষ্টভাবে তৎকালীন মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়ে দেয় শেখ মুজিবুর রহমান পুর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন সার্বভৌম “বাংলাদেশ” হিসেবে ঘোষনা করেছেন।

আপনি বলেছেনবঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার হওয়া নাকি ভুল ছিলো!আর এতেইআপনার রাজনৈতিক অপ্রিপক্কতা এবং পাকি আর্মি ট্রেনিং এর ওয়াস হওয়া ব্রেনের আস্ল চিত্র উঠে আসে।খন্দকার সাহেব আপনি যে একটি রামছাগলতা আর আলাদা করে বলার দরকার নেই।এখানে পিয়াল ভাইকে কোট করি, বঙ্গবন্ধুগ্রেফতারহয়েছিলেন বলেই মুক্তিযুদ্ধ নায্য লড়াইর স্বীকৃতি পেয়েছে। সারা বিশ্বজেনেছে জনতার রায়কে বুটে মাড়িয়ে, তাদের রক্তে হোলি খেলে, তাদের নেতাকেহাতকড়ি লাগিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে উপনিবেশবাদ কায়েম রাখতে ইয়াহিয়াকতখানি মরিয়া। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে বুলেটে নিকেশ করার সেই ষড়যন্ত্রেরনায্য প্রতিবাদ হিসেবেই স্বীকৃতি পেয়েছে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ। নায্য হয়েছেতাজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে প্রবাসী সরকারের লড়াই। তারা সব নির্বাচিতপ্রতিনিধি, দেশের জনগনের ভোটে নির্বাচিত। কোনো বিদ্রোহী উপদল নয়, গৃহযুদ্ধের যুযুধান অংশ নয়। মুজিব গ্রেফতার না হলে অনেক সহজ হয়ে যেতোপাকিস্তানীদের কাজটা। তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নেতা হিসেবে চিহ্নিত করেগণহত্যা জায়েজ করা যেতো। যে কোনো সময় হত্যা করে সেটাকে বৈধতা দেওয়া যেত।আগামী একশ বছরেও পূর্ব পাকিস্তান থেকে আর স্বাধীনতা শব্দটা উচ্চারিত হতোনা।

বুঝা গেল ব্যাপারটা খন্দকার সাহেব?আর আপনার স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে আর কি বলবো।যেখানে পাকিস্তানি মেজ্র সিদ্দিক সালেক তা বইতে উল্লেখ করেছেন যে তিনি নিজ কানে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা শুনেছেন সেখানে আপনার মিথ্যাচারের আর কোন দাম থাকে না।

আর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েই গ্রেফতার হয়েছিলেন তা এবিসি নিউজের নিচের ক্লিপটা থেকেই পরিষ্কার।আর কিছু বলা বা প্রমাণ করার দরকার আছে বলে মনে করিনা।

আর আপনার জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে দেওয়া বয়ানের উত্ত্র আপনার লেখা দিয়েই দেই।২৬ মার্চ ২০১২ সালে ছাগুদের প্রিয় সংবাদপত্র দৈনিক আমাদেশে আপনিই বলেছিলেন জিয়া ২৭ মার্চ কালুরঘাট স্বাধীনতাএ ঘোষণা পাঠ করেন।তাহ্লে মাত্র দুই বছরের মাথায় কিভাবে আপনার নিজের বলা ২৭ মার্চ কিভাবে ২৬ মার্চ হয়ে যায়?

ভাইস মার্শাল (অব.)আবদুল করিম খন্দকারসাহেব আপনি পচে গেছেন।অল্পকিছু টাকার কাছে আপনি আপনার আত্মা বিক্রি করে দিলেন??নাকি ক্ষমতার লোভে আপনি আজ অন্ধ?এরশাদ,আওয়ামীলীগের পর কি আপনি এখন বিএনপির মন্ত্রীও হতে চান।

কিছু সমীকরণ নিয়ে কথা বলতে চেয়েছিলাম।যার প্রথম সমীকরণ হল খন্দকার সাহেবের এই ছাগু কির্তন এবং অপর দিকে তারেক জিয়ার পাতিহাসবিদ হয়ে ওঠা।অপরটি হল কিছু নিউজ -

১/হাসিনাকে উৎখাতে মার্কিন তৎপরতা

২/ভারতীয় শাখা গড়ে বাংলাদেশেও কাজ করার ঘোষণা দিয়েছেন আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি।

সমীকরণগুলো মিলানোর দায়িত্ব সম্পূর্ণ পাঠকদের উপর ছেড়ে দিলাম।মিলাতে থাকেন আর একটা কথা মনে রাখবেন বঙ্গবন্ধুকে মারা হয়েছিল কারণ তিনি দেশ গঠনে সফল হয়েছিলেন বলে। ৭২-৭৪ পর্যন্ত দেশে যত বিশৃঙ্খলা ছিল তা ৭৫ এর শুরুতে দমন করে ফেলা হয়েছিল।আর এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করে দেশেকে উওন্নয়নের পথে নিয়ে গিয়েছেন তাই কান্ডারী হুশিয়ার।এ এক ভয়াবহ ঝড়ের সংকেত শোনা যাচ্ছে......

তথ্যসূত্র:

১/ উইকিপিডিয়া

২/গুগল

৩/ফেসবুক

৪/বিডিনিউজ ২৪.কম

৫/প্রথম-আলো.কম

৬/আমারদেশ অনলাইন

৭/সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম

৮/একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের অবিস্মরণীয় জীবনগাঁথা (খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা স্মারকগ্রন্থ)

৯/একাত্তরের বীরযোদ্ধা, খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা (দ্বিতীয় খন্ড)-প্রথমা প্রকাশন।

১০/ উইথনেস টু সারেন্ডার -সিদ্দিক সালেক

১১/জন্মযুদ্ধ ৭১

লেখক : ছাত্র, ব্লগার

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test