E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ

২০২১ নভেম্বর ১১ ১৩:৩২:০১
ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনাই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ

রণেশ মৈত্র


ধর্ম ও রাষ্ট্রের অবস্থান, তাদের পারস্পারিক সম্পর্ক, মানুষে মানুষে সৌহার্দমূলক মানবিক সম্পর্ক, পারস্পারিক সম্মানবোধ, পরস্পরের অধিকারের স্বীকৃতি ও তার বাস্তব প্রয়োগ, গণতন্ত্রের প্রাথমিক ও মৌলিক মাপকাঠি-এই বিষয়গুলি নিয়ে শত শত বছর আগে থেকে পৃথিবীব্যাপী মানুষ আলাপ আলোচনা চালিয়ে যে সকল সিদ্ধান্তে এসেছেন-সেগুলির সাথে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষিত আদর্শগুলি অত:প্রতভাবে জড়িত।

ইউরোপে চার্জের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারণে বিস্তর তর্ক-বিতর্ক, আলাপ আলোচনা ও লড়াই সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস সম্পর্কে বিশ্ববাসী অবহিত। এগুলির ইতিও ঘটেছে অনেক আগে। তাঁরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলেন রাষ্ট্রের উপর চার্চের কোন প্রাধান্য থাকতে পারবে না। চার্চ মানুষের ঐচ্ছিক এবং একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের প্রার্থনা গৃহ কিন্তু রাষ্ট্র যেহেতু ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-ল্গি নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করে-তাই রাষ্ট্র সবার। ধর্ম-যার যার। এই বিষয়টি দীর্ঘকাল আগেই অবিতর্কিতভাবে মীমাংসিত।

যে কোন ধরণের উগ্রতা তা জাতীয়তানিয়েই হোক-বা ধর্মবিশ্বাসকে কেন্দ্র করেই হোক-তা মানুষের জীবনে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমরা জানি, উগ্র জাতীয়তাবাদ প্রচার করতে গিয়ে জার্মানীর হিটলার সুন্দর ঐ দেশটির এবং তার শান্তি প্রিয় অধিবাসীদের জীবনে কী মর্মান্তিক বিপর্য্যয়ই না ডেকে এনেছিলেন। শুধু জার্মানী নয়, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে নাৎসীবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক পর্য্যায়ে জোট গঠন করে হিটলার ও ফ্যাসিবাদকে উৎপাত করতে হয়-উগ্র জাতীয়তাবোধের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড আঘাত হানা হয়।

জঙ্গিবাদের উৎপত্তি এবং ব্যাপ্তি ঘটায় যে কোন ধরণের উগ্রতা পৃথিবীর দেশে দেশে শুধুমাত্র নিষিদ্ধ ঘোষণাই নয়-তাকে কঠোরতাকে দমন করেছে। ধর্মীয় উগ্রতার পরিণতি যে কী ভয়াবহ হতে পারে, মধ্য প্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি তার প্রকৃত উদাহরণ। তারা এমন কি ১৯৭১ সালে পরিচালিত বাঙালিরা মুক্তিযুদ্ধকালেও বাংলাদেশের পক্ষ নেওয়া তো দূরের কথা-প্রত্যক্ষভাবে তার বিরোধিতা করেছে এবং পাকিস্তানী সেনাবাহিনী যে নগ্ন ও ভয়াবহভাবে ধর্মের নামে পাকিস্তান রক্ষার অজুহাত তুলে বাঙালি হিন্দু-মুসলিম নর-নারীকে নির্মমভাবে লাখে লাখে হত্যা করেছে, আগুন দিয়ে লক্ষ লক্ষ বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, মানুষের সম্পদ লুটপাট করেছে অজস্র নারী ধর্ষণ করেছে-এগুলি দেখার এবং জানার পরেই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি পাকিস্তানের নৃশংসতাকেই সমর্থন দিয়েছে সক্রিয়ভাবে, অস্ত্র শস্ত্র টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করেছে পাকিস্তানের বর্বর সেনা বাহিনীকে। কিন্তু তারা কি জানতো না মুক্তিযুদ্ধের আহ্বানকারী, মুজিবনগরের মন্ত্রীসভা, সংসদ সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধারা শতকরা ৯৫ ভাগেরও বেীশ মুসলমান? ঠিকই জানতো-জেনেই তারা ঐ বর্বরতা ও নিপীড়ন-নির্য্যাতনকে সর্মথন জানিয়েছে-সহযোগিতাও করেছে। কিন্তু তখন পাকিস্তান যা করেছে তার কোনটাই কি সমর্থনযোগ্য ছিল-ধর্মীয়, গণতান্ত্রিক, মানবিক বা নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে?

প্রায় এক দশক যাবত দেখা যাচ্ছে ঐ মধ্যপ্রাচ্য থেকেই উৎপত্তি ঘটেছে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামীজঙ্গিসংগঠনের। তারা সারা বিশ্বের সমমনা বিত্তশারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা পয়সা নিয়ে (এবং এখনও নেয়) বিস্তর অস্ত্রশস্ত্র কিনে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েমের নামে মানবহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ দেশের সরকার ঐ হিংস্রতার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আই এস এর (ঐ জঙ্গিদের সংগঠনের ঘোষিত নাম) বহু অস্ত্রধারী নেতা ও কর্মীকে হত্যা করার পর বেশীর ভাগ দেশ এখন ঐ হিংস্রতামুক্ত হতে পেরেছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মাদ্রাসা ও মসজিদগুলি আজও আই.এস. এর দখলে। সেখান থেকেই তারা নামাযীদের মধ্যে ধর্মের নামে, পৃথিবীর সকল দেশকে ইসলামী রাষ্ট্র পরিণত করার পৃথক দিয়ে অনেককে রিক্রট করে।

আজও পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ঐ জঙ্গিদের ভয়াবহ কর্মকা- অব্যাহত। প্রায় প্রতিদিনই পাকিস্তান ও আফগানিস্তা নেতাদের দ্বারা মসজিদ ও মুসুল্লিরা আক্রান্ত হচ্ছেন-হতাহত হচ্ছেন-বহুমসজিদ বোমার আঘাতে ধ্বংস প্রাপ্ত হচ্ছে। এমন খবর প্রায় প্রতিদিনই আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হচ্ছে। এর সমাপ্তির কোন লক্ষ্মণ আজও দেখা যাচ্ছে না। লক্ষ্যনীয় যে, ইসলামের নামে মানুষ খুন করেই তারা ক্ষান্ত হচ্ছে না-তারা মসজিদগুলিকেও ধ্বংস করে দিতে পরোয়াকরছে না।
তারা বাংলাদেশকেও তাদের টার্গেটহিসেবে রেখেছে। বিগত ১৩ জুনে একটিসংবাদপত্রে “দুর্ধর্ষ জঙ্গীদের নতুন প্ল্যাটফর্মের শিরোনামে প্রকাশিত খবরে বলা হয়

“প্রশিক্ষিত জঙ্গীরা দুর্ধর্ষ অভিযান চালানোর জন্যে নতুন একটি প্ল্যাটফর্মকে “সংগঠন” এর রূপদানে বদ্ধপরিকর। এই জঙ্গিরা একে অন্যকে ‘মানহাজি’ বলে সম্বোধন করছে। মাহাজিরা প্রচলিত গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় রাজনীতির বাইরে গিয়ে সরাসরি জিহাদ করে খেলাফত প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী। নতুন এই সংগঠনে ‘নব্য জেএমবি’ ছাড়াও যোগদান করছে নিষিদ্ধজঙ্গিসংগঠন “হরকাতুল জিহাদ (হুজি), আনসারুল্লাহ বাংলাটিম হিযবুত তাহবিয়ের নেতা-কর্মীদের একটি” অংশ। তারা যে পরস্পরকে ‘মানহাজি’ বলে সম্বোধন করে তার শব্দিক অর্থ হলো “ঠিক রাস্তায় অবস্থানকারী”। যারা এই সংগঠনে যুক্ত হচ্ছে তারা মনে করে সরাসরি জিহাদ চালিয়ে ৩০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে খেলাফত প্রতিষ্ঠাকরা যাবে। এই লক্ষ্য নিয়ে তারা সাংগঠনিকতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। পত্রিকাটির অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

‘মানহাজি’ নামধারী জঙ্গিদের এ তৎপরতাকে দেশের জন্য হুমকি মনে করছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মেজর (অব) এমদাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জঙ্গিসংগঠনগুলো প্রতিনিয়ত নিজেদের রূপ পরিবর্তন করে কর্মকা- চালাচ্ছে। তাদের রূপ পরিবর্তনের দৃষ্টান্ন নতুন এই প্ল্যাটফরম। তারা ভয়ংকর রূপ ধারণের আগেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে তা দেশের জন্য হবে ভয়ংকর।”

নতুন করে সংগঠিত হওয়ার প্রক্রিয়া ও উগ্রপন্থী সংগঠনের বিষয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডি.আই.জি. আনোয়ার হোসেন বলেন, “এ সংগঠনের বিষয়ে আমাদের কাছে বিশদ তথ্য নেই। আমরা এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।”

পত্রিকাটির অনুসন্ধানে জানা যায়, আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন ও তালেবান নেতারা দৃঢ়চেতা জঙ্গিদের “মানহাজ” বলে চিহ্নিত করতেন। ওসামা বিন লাদেনের বক্তৃতা সংকলন নিয়ে ‘তাও জিহাতুন মানহাজিয়া’ নামে বইও প্রকাশিত হয়েছে। মূলত: আল কায়েদার আদর্শধারী জঙ্গিরা ‘মানহাজি’ নামে চিহ্নিত যারা গণতান্ত্রিক ও ধর্মীয় রাজনীতি বাদ দিয়ে সরাসরি জিহাদের মাধ্যমে খেলাফতও কায়েম করতে চায়। একই সঙ্গে গাজওয়াযে হিন্দ এর জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন। তারা নিজেদেরকে মনে করে ‘ইলহাক বিল কাফেলা’। যারা ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলাম কায়েম করে সিরিয়ায় গিয়ে ইমাম মেহেদীর সঙ্গে মিলিত হবে।

চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সক্রিয় এ জঙ্গি সংগঠনেযোগ দিচ্ছে নিষিদ্ধজঙ্গিসংগঠন হিযবুত তাহরীর, খুজি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম ও নব্য জে এম বির প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত জঙ্গীরা। এ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা শীর্ষ নেতাদের ‘সায়েখ’ নামে ডাকেন। তাদের শক্তিশালী রিক্রুটিং টিম ছাড়াও রয়েছে অনলাইন অ্যাক্টিবিষ্ট টিম যারা সব সময় অনলাইনে জিহাদী প্রচারণা চালায়।

সিরিয়া ফেরত গ্রেফতার

চট্টগ্রামেজঙ্গিকার্য্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সিরিয়া ফেরত এক যুবককে বিএনপির কাউন্টার টেরজিম এ- ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। সি টি টি সি সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছে গ্রেফতার সখাওয়াত হোসেন লালু (৪২) ইন্দোনেশিয়াতেও জিহাদী কার্য্যক্রম চালিয়েছে। গত শুক্রবার (১১ জুন) আসলে হাদিস জামে মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লালুকে আদলতে হাজির করে রিমা- চাইলে আদালত তিন দিনের রিমা- মঞ্জুর করেছেন। পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান, গত ২২ মার্চ ইন্দোনেশিয়া থেকে দেশে ফেরেন লালু। তিনি সিরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ায়জঙ্গিকর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করেন। পরে দেশে এসেও জঙ্গী কর্মকা- চালিয়ে যান। তিনি আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন।

এই ছোট্ট খবরটুকু জঙ্গিদের নতুন প্ল্যাটফরম গঠন ও তাদের সংগঠিত হওয়ার খবরের সত্যতা প্রমাণ করে। চট্টগ্রাম তাদের মূল ঘাঁটি বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের কর্তব্য জরুরী ভিত্তিতে শক্তিশারী তদন্ত টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে সকল তথ্য বের করা এবং চট্টগ্রাকেই যেন তারা তাদের প্রধান কর্মক্ষেত্র হিসেবে নির্ধারণ করলো এবং সারা দেশে কোথায় কোথায় তারা নেটওয়ার্ক গঠন করতে সক্ষম হয়েছে।

ধর্মীয় রাজনীতির কদর্য্য রূপ আমরা ভারতেও দেখলাম। হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সেখানে রাষ।ট্রক্ষমতা দখল করে মুসলিম বিরোধী ব্যাপক কর্মকা- কয় বছর ধরে চালিয়েছে, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে রাম মন্দির তৈরী করছে, মুসলিম নাগরিকদের নাগরিকত্ব চ্যালেঞ্জ করছে এবং ভারত থেকে তাদেরকে তাড়াতে চাইছে।

বাংলাদেশ সরকার এই পটভূমিতে পাঁচ শতাধিক মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করতে চলেছে ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে। তার মধ্যে ৫০টির নির্মাণ কাজ শেষ এবং প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনও করেছেন। বাকীগুলি নির্মানাধীন। অনেকেই এইভাবে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিপুল অর্থব্যয়ে শত শত মসজিদ নির্মাণকে বিপজ্জনক বলে আখ্যায়িত করছে কারণ দেখা যাচ্ছে দেশের বিদ্যমান মসজিদের সংখ্যা বিপুল-তাই আবার এতগুলি নতুন মসজিদ নির্মাণ কি সত্যই মুসুল্লিরা প্রয়োজন মনে করেন? এই মসজিদ নির্মাণের দাবী তো আজতক কোন মহল থেকেই উত্থাপন করা হয় নি। জরুরী অভিজ্ঞতা হলো মসজিদ মাদ্রাসাগুলি থেকে, সরকারে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও, অনেক জঙ্গী উৎপাদিত হচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াতে ইসলামী তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। একাত্তরে জামায়াত আর প্রায় ৭/৮ বছর হলো মসজিদ-মাদ্রাসা ভিত্তিক হেফাজতে ইসলামের তা-ব বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের আন্তর্জাতিকযুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালে বিচার করে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ফাঁসির কাঠে ঝুলানো হয়েছে। টিম টিম করে হলেও ইদানীং হেফাজতের বিরুদ্ধেও সরকারি পদক্ষেপ চলছে তবে যথেষ্ট ধীর গতিতে।

একটি পত্রিকায় সদ্য প্রকাশিত খবর অনুযায়ী সরকারি দলের নেতা এম.পি. মুকতাদির চৌধুরী দু:খপ্রকাশ করে বলেছেন, হেফাজত নেতাদের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে আবার কাউকে করা হচ্ছে না। বাবুনাগরির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মামলার আসামী হলেও তাঁকে গ্রেফতার না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতারা তাঁর সাথে দিব্যি বৈঠক করেন। প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ উত্থাপন করলেন তিনি তা-ব জর্জরিত ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় বসে।

বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ১৯৭১ সালে। এখানে রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের সম্পর্ক থাকতে পারে না। তাই বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ এর সংবিধানে জামায়াত সহ সকল ধর্মাশ্রয়ী দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। আজ তারা বৈধ এবং নতুন নতুন সংগঠন গড়ে জঙ্গী কার্য্যক্রম চালাতে তৎপর। তাদের সংগঠিত হওযার কেন্দ্রই হলো দেশব্যাপী মসজিদ ও মাদ্রাসাগুলি। সেগুলি জামায়াত হেফাজতদের দখলে থাকবে। তাই সরকার প্রকৃত ধর্ম নিরপেক্ষ নীতি নিয়ে রাষ্ট্রকে ধর্ম থেকে পৃথক করুন। মসজিদ-মসজিদ-মন্দির-গীর্জা নিষিদ্ধ করুন।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test