E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শূন্যেরই ছেদ ‘মানুষ’, মান আর হুশ

২০২২ জুন ১০ ১৫:১৪:৫৫
শূন্যেরই ছেদ ‘মানুষ’, মান আর হুশ

পীযূষ সিকদার


‘পুরুষ’-এই শব্দটির সাথে ক্ষমতার গন্ধ আছে। ক্ষমতার কেন্দ্র তাই পুরুষোত্তম হয়ে উঠে পুরুষ। তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেন বিশ্বপ্রকৃতি। তাঁর অঙ্গুলি নির্দেশেই গাছের পাতা নড়ে,জোয়ার-ভাটা হয়,ভাঙন নামে ভাঙন থামে। তাইতো গীতা,ভাগবৎ এবং পুরাণ কথায় শক্তির আধার পুরুষ। পুরুষই ঈশ্বর। রাধাকৃষ্ণের প্রেম আখ্যান তাইতো পুরুষ আর প্রকৃতির প্রেম। রক্তমাংসের বাইরে এক অশরীরী প্রেম বা লীলা। লীলা বললে আমরা ভগবৎ ভক্তিতে গদ গদ হয়ে হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ বলে উঠি! যতকিছুই ধর্মীয় কেতাবে থাক না কেন শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরও পুরুষ হয়ে ওঠে। সেখানে নারীর কোন সংযোগসূত্র নেই! নারী সেই প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে নারীই রয়ে গেছে। নারী-অবলা। নারী কোমল। নারী মমতাময়ী। নারী গর্ভ ধারণের একমাত্র পথ হিসেবেই বিবেচ্য। এইটুকুন ঈশ্বরকর্তৃক যোগ্যতা নইলে পুরুষ নারীকে কবেই ময়লা ডাস্টবিনে ফেলে দিত! অখন্ড সময়ের কোন খন্ডেই নারীকে পুরুষের সমকক্ষ ধরা হয়নি। 

নারীকে শক্তিমান ভেবে পূজাও দেয়া হয়নি! যদিও নারী পূজিত বিভিন্নরুপে-কখনো পার্বতী কখনো দুর্গা কখনো মহামায়া কখনো কালী কখনো কার্তায়নী কখনো লক্ষী কখনো সরস্বতী কখনো কালী হয়ে পূজিত হয়ে আসছে! কিন্তু সেই পুরাণকালেই শক্তিমান পুরুষেরা নানা কায়দায় শেকল পড়িয়ে নমনীয় কমনীয় কোন কোন পুরাণ পুরুষের দেহজাত অগ্নিস্ফুলিঙ্গে তাদের আবির্ভাবকে ছোট করে দেখানোর প্রচেষ্টা করা হয়েছে পুরাণমোড়কে। যেমন যুগে যুগে মা কালি পূজিত হয়ে আসছে। মহাপ্রলয়ের সে কালে নারী শক্তিমান হয়ে উঠলে কিংবা প্রতিবাদী হয়ে উঠলে একই কায়দায় স্বামী শিবকে খাড়া করে দেয়া হয় । মা কালী স্বামীর দেহে পা স্পর্শে নারীয় প্রথাগত রুপকে জিব বের করা দেখানো হয়। মানে দাঁড়ালো হে নারী থামো। তোমাকে থামতে বলা হয়েছে। তুমি জানো না স্বামীর পায়ের নীচে স্ত্রীর বেহেস্ত! কালি পূজিত হতে থাকে। নারীকে কেউ কখনোই শক্তিমান। নিয়ন্ত্রক। এসব ভাবা হয়নি যতটুকু দেবীরুপে পাই তা কোন পুরাণ পুরুষের ইচ্ছে নিমিত্ত সৃষ্ট। পুরুষই ঈশ্বর। এরুপ ভয়াতুর কল্পনায় ভর করে আমরাই ঈশ্বরকে পুরুষ আকারে বিকারে প্রকাশকল্পে প্রতিষ্ঠিত করেছি। কালে কালে। তাইতো লিঙ্গকে ভর করে আমি পুরুষ! আমি শক্তিমান! আমি নির্মম! আমি খুনি! আমি ধর্ষক! আমি নিপীড়ক! আমি নারীকে শৃঙ্খল পড়াই প্রেমের ছল করে খলবলিয়ে!

নারী, পুরুষের প্রেমকে যতক্ষণ না হ্যাঁ বলছে ততক্ষণ পুরুষ বিনয়ী নতমস্তক। শরীরে শরীর জড়িয়ে গেলেই নারী তখন ঠিকই বুঝতে পারে পুরুষের ক্ষমতা ও দাম্ভিকতা! তাকে পুরুষের কথামত চলতে হয়! নারীর তখন আর ইচ্ছে অনিচ্ছে থাকে না। পুরুষ নাচতে বললে সে নাচে। কাঁদালে সে কাঁদে! হাসেও সে অনিচ্ছে থেকে! সে শরীরী সায় না দিলেও পুরুষ তার ইচ্ছে চরিতার্থ করে। তাইতো নারী পুরুষের ইচ্ছের শিকার হয়! নারীর কোন ইচ্ছে নেই। থাকতে নেইও! তার ইচ্ছে থাকলে বিবাহ বিচ্ছেদ অথবা নানা ঘটন অঘটন ঘটাতে পারে পুরুষ! তাইতো যুগে যুগে পুরুষই পুরুষ অথবা পুরুষোত্তম হয়ে উঠে। পুরুষ সবকালে ভূ-গোল সীমারেখা অথবা জাতভেদ ভেদাভেদ-সব কিছুতেই পুরুষ একচ্ছত্র মালিক। তার ইচ্ছেতেই সব হয়। যেমন পুরুষরুপ ঈশ্বরের ইচ্ছেতে আলো আন্ধারির খেলা। সেরুপ অরুপ রুপ নিয়ে নিয়ে পুরুষ এগিয়ে যায় নারীর দিকে। নারীও এতদিনের নির্যাতন মেনে নিয়ে পুরুষকেই করেছে মহিয়ান। সে মনের গভীর তল থেকে এমত বিশ্বাস জন্মেছে যে তার ইচ্ছে বলতে কিছু নেই! ক্ষমতা সব ওই পুংধারী পুরুষের। ওই একটি মাত্র চিহ্নই তাকে পরিবারে সামাজিকতার ভেতর দিয়ে পুরুষ বানিয়ে তোলে। আর নারী পরিবার ও সামাজিকগণের ভেতর দিয়ে নিপীড়ন আর নির্যাতনের শিকার হয়। এ যেন নারী জন্মের পূর্ব জন্মবৃত্তান্ত। নারী শক্তিমান হতে পারে। কিন্তু সে শক্তিমত্তার প্রকাশ দেখাতে পারে না! তাকে পুরুষের দাসত্ব অথবা দাসখত দিলেই পুতুলি যেমন নাচতে থাকে বাজিকরের পাঁচ আঙুলের কারসাজিতে। তেমনি বাজিকর সুতা ছেড়ে দিলেই মাটিতে গড়ায়।

নারীর ইচ্ছে তাই পুরুষরুপী বাজিকরের হাতে। নারী ক্রীড়নক মাত্র। পুরুষ তাই অবলীলায় তার ইচ্ছে অনিচ্ছে কয়ে যায়। নারী পালন করে। নারীর একটু বিচ্যুতি ঘটলে,পান থেকে চুন খসলে পুরুষের চেহারা বোঝা যায়! আমিতো পুরুষ সেই পুরুষ মার্কা ভঙ্গি আমার মধ্যেও আছে। আমি কী আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারি? অনেকেই বলবেন,নিজের বিরুদ্ধে কি দাঁড়ানো যায়! আমার এমনতর বিশ্বাস যে, যায়। আমার বিরুদ্ধে আমি,পুরুষসত্তার বিরুদ্ধে পুরুষ দাঁড়াতে পারলেই মানুষের জয় হবে। নারীকেও নারীসত্তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। এই স্ব স্ব বিরুদ্ধাচারণ করতে পারলেই মানসপটে জাগরণ ঘটবে। ওই জাগরণ মানবতার,শুভ বুদ্ধির। পঁচে যাওয়া মস্তিষ্ক আবার প্রেমের অমৃতরসে পান করে পুরুষ ও নারী হাতধরাধরি করে পথ হাঁটবে। এগিয়ে যাবে মানবতা এগিয়ে যাবে সমাজ। এগিয়ে যাবে আমাদের চিন্তা। প্রাগ্রসর হবো আমরা। আমাদের অবচেতন চেতনে আমরা সবসময়ই বিজয়ীর দলে ভিড়ি। অথবা ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চাই। তখন এই পুরুষ আর থাকে না। পুরুষ যেইভাবে পুরুষকে সাজিয়েছে সে তখন তাই হয়ে ওঠে। আমরা কোথায় যেন পুং এর ক্ষমতার আঁটসাট বেঁধে মন চৈতন্যে ওই একটি মাত্র চিহ্নকে বংশের বাতি পরোক্ষভাবে পুরুষকেই পরিবারে সমাজে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। আর নারী! তার কোন চিহ্নকেই আমরা না ঘরে না ব্ইারে গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় আনি না। নারীর কোন ঘর নেই। নারীর কোন ইচ্ছে নেই। নারীর কোন দেশ নেই। নারীর কোন স্থান কাল পাত্র নেই। সে কেবলই একটি মেশিন। তার কাজ উৎপাদন করে যাওয়া...সেই উৎপাদনে পুং না এলে নারী অলক্ষী হয়ে যায়। ঘন ঘন পুং নারীকে লক্ষী সাজায় বানায়! সে সার্টিফিকেট পুরুষই দেয়। আবার সময় মতো কেড়েও নেয়। নারী শুধু প্রয়োজনেই পুরুষের লাগে। মদপাত্র শেষ নারী তখন বেশ্যা হয়ে যায়!

নারী কিন্তু তার মা সুলভ সহনশীলতা দিয়ে সহ্য করেছে। অতীতেও করেছে এখনও করছে। কিন্তু পুরুষ সব কাজে নিজের অংশগ্রহণকে বড় করিয়ে দেখিয়ে নারীকে করেছে বন্দী। সেই বন্দীদশা থেকে কোন কোন নারী তাকে সক্রিয় রেখেছে। সমাজ থেকে বিচ্যুত হতে হতে থেকে গেছে ইতিহাসের পৃষ্ঠায়। আলো ফেলেছে অন্ধকারে। আবার পুরুষকে শুধু নারী লোলুপ, কামুক, ক্ষমতাবান বলে অনেক নারী পুরুষকে করেছে কলুষিত। আসলে লিঙ্গভেদে পৌরুষত্ব নয়! কাজের ক্ষেত্রকে যারা আপন মহিমায় মহিমান্বিত করেছেন,নকলের ভিড়ে আসলরুপ স্বরুপে যারাই যায় তারাই কামিয়াব হয়। কামুক স্বভাবের বিপরীতে মানবিক হয়ে উঠবার। নারী পুরুষের যৌথ অংশগ্রহণই পারে পাল্টে দিতে পারে সমাজ। শুধু নারীকে নারী আর পুরুষকে পুরুষ ভেবে একে অপরকে দোষ দিলে হবে না। নিজের ক্ষমতা দেখানোর অক্ষম আক্রোশ আমরা কেবলি নিচ থেকে নিচে নামছি। জাত-পাত ভুলে নারী পুরুষের সুচিন্তাই আমাদের সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ঠ এই ধরণের আরোপিত বিজাতীয় ভাবনা দ্বারা আক্রান্ত না হয়ে আমাদের উন্নত মানসিকতাই আমাদের এই বাংলাটিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে দিতে পারে।

ধর্মীয় বিচারে এদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু,বৌদ্ধ,খৃষ্টান,জৈন আর সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান। যার ধর্ম তার মনে করে মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে মননশীলতাকে পরিশীলিত করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। আর সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগরিষ্ঠ যদি মানিই সেক্ষেত্রে সুচিন্তার সুমনের ঐক্যের মানুষেরা সংখ্যালঘু। যেখানে নেই কোন ধর্মীয় বীজবিক্ষা। সেখানে ধর্ম আছে। কিন্তু সে ধর্ম মানবিকতার। মোদ্দা কথা হলো সব ধর্মগ্রন্থেই মানবিক হবার কথা বলা আছে। পাঠান্তর হতে হতে আমাদের কাছে যে টেক্সট এসে পৌঁছায় তার সাবটেক্সট শুধুই বিভেদমন্ত্র। আর সংখ্যালঘু(প্রথাগত)পুরুষের কথা যদি বলি সবকালে যুগে যুগে হীনমন্যতাই তাকে সংখ্যালঘু বানিয়ে দিয়েছে। সেও নারীর মত সক্রিয় না। আছে শুধু অভিমান, ক্রোধ। এই ক্রোধকে সম্বরণ করে সামাজিক কান্ডে সক্রিয় হয়ে সুকামনায় নিজেকে নিয়োজিত করলেই সে পুরুষ হয়ে উঠবে। আর নইলে দুই নৌকায় পা দেয়ার দশা নিয়ে নারীর অক্ষমতায় যাপিত জীবন পার করবে। সংখ্যালঘু পুরুষও তাই এক অর্থে নারী সুলভ। হীনমন্যতা তাকে অচল করে দিয়েছে। যেমন অচল নারী। আসলে নারী সব সময়ই সচল ছিলো অচলবৃত্তে দাঁড়িয়েও।

আমরা পুরুষরা কেবল ঢেকে রেখেছি নিজের সচলতাকে জানান দেয়ার জন্য। ছাই দিয়ে যেমন আগুন চেপে রাখা যায় না তেমনি নারীকেও চেপে রাখা যায়নি। সেই পৌরানিক পৌরানিক কাল থেকেই নারীকে ঢেকে রাখা যায়নি। আমরা পুরাণ পুরুষেরা নারীর বীরত্বকে পুরুষের পায়ের কাছে টেনে এনে নারীকে করেছি কলুষিত। নারী বলে মনসা যেমন পূজা পেল না। চাঁদ সওদাগর যদিওবা পূঁজা পেলো বাঁ হাতে মনসাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। মনসা কিন্তু কালে কালে পূজিত হতেই থাকলো তবে তা সংখ্যালঘু হিন্দুদের নি¤œবর্গের মানুষের কাছে! অর্জুন বীরত্বে দ্রৌপদীকে অর্জন করেছিল। পঞ্চস্বামী হল তার। অর্জুন কি ভালবেসেছিল দ্রৌপদীকে? যুধিষ্ঠির যে কিনা ধর্মপুত্র তিনিতো দুর্যোধনের সাথে পাশা খেলায় হারলো বাজি ধরলো দৌপদীকে!! তবুও দ্রৌপদী তার সম্ভ্রম বাঁচিয়েছিল। তাকে পরীক্ষা দিতে হয়েছে। কিন্তু অর্জুন তাকে তো পরীক্ষা দিতে হয় নাই! পুরুষ বলে কী!! অবশ্যই। নইলে ব্রহ্মচার্য পালন লাগি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে হাবুডুবু কেন? অর্জুন বীর। পুরুষ বলে পৌরাণিক পুরুষেরা তাকেই বীরের আসনে বসিয়েছেন অথচ একলব্য যে কিনা অর্জুনের সমান বীর কিংবা তারোধিক। দ্রোনাচার্য্য যে কিনা অর্জনের গুরু, একলব্যেরও অদৃশ্য গুরু। সেই দ্রোনাচার্য্যই দক্ষিণা স্বরুপ একলব্যের দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি দক্ষিণা চাইলেন! একলব্য দিলেনও তা। তাতে কী একলব্যের বীরত্ব কমেছে? না, বরং সেই বুঝেছে গুরু পরম্পরা। তাইতো দাম্ভিক অর্জুনকে দেখি যে নারীকে সে তুচ্ছ জ্ঞ্যান করে সেই নারীর কাছেই অবনত হতে। কিন্তু একলব্য সমস্ত যুদ্ধকৌশল রপ্ত করে গুরুতেই রপ্ত হয়েছেন।

আর রাম সীতার কাহিনীতো সবার জানা। সীতাকেও পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। তারপরও রাম প্রজারঞ্জক লাগি সীতার সতিত্বের পরীক্ষা দিতে দিতে দফা রফা! সীতা সেই অগ্নি পরীক্ষাকালে বলেছিল,বসুমতি দ্বিধা হও!! বসুমতি তাকে নিয়েছিল কিনা তা গবেষণার ভার রইলো নৃ-বিজ্ঞানের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে। অযোদ্ধ্ার রাজা রাম চন্দ্র! সেতো পারতো এতো পরীক্ষা নেয়ার কি প্রয়োজন? ওই রমনীসুলভ পুরুষ যে!! শকুন্তলার কথায় যদি আসি তাকেও কী প্রেমের পরীক্ষায় কম দিতে হয়েছিল লম্পট দুষ্মন্তের কাছে!! নারী সচল হলে এই কালে কী আর ওই কালে কি? পুরুষ তাকে বেঁড়ি পড়িয়েছেই। তারপরও যে নারী নিজেকে তুচ্ছ না ভেবে মানবতার জয়গান গেয়েছে সেইতো মানুষ। পুরুষ যে নিজেকে পুরুষ না ভেবে ময়ুর সিংহাসনে না বসিয়ে মানবতার জয় গেয়েছেন তাদেরকে আমরা পুরুষোত্তম না বলে মানুষোত্তম বললে ব্যাপারটা কানে ভুল বাজে না। সত্য কথা হল সেই বৈদিক কালে কী আর এই কালে কি সব পুরুষের চেহারা এক। সব নারীরও চেহারা এক। কিন্তু যে নারী পুরুষ নির্বিভেদে মানবতার জয় গান গেয়েছেন তাদেরকে লিঙ্গভেদ করা যায় না। তাঁরা মানুষ। আমরা যারা কম বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণী তারাতো এই মহাশূন্যতার মানে জানি না। যে মানুষ নিজে শূন্য করে দিতে দিতে, ছেদের উপর ছেদ দিয়েও দেহনামক বস্তুটির পূর্ণচ্ছেদ মেনে নিয়ে শূন্য দিয়ে মানবতার জয়গান গায় তাঁরাই স্মরণীয় বরণীয়। সংখ্যা দিয়ে এর উত্তর এর হিসেব করতে গেলে পুরুষ নামক অহমধারী,কামুক পুরুষের সংখ্যাই খালি বাড়ে! তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। কেবলি প্রতিদিনকার খবরের কাগজের মতো অক্ষম পুরুষেরা নিজেরই পায়ের তলায় দলিত মথিত হয়! পুরুষ জানেও না! পুরাণ পুরুষ কি আর নিও পুরুষ কী!!!!!!!

লেখক : শিক্ষক ও নাট্যকার।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test