E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা ও করণীয়

২০২২ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৫:৪৭:০৮
প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবার্তা ও করণীয়

রণেশ মৈত্র


২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের ঢাকার বুকে আয়োজিত আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা, হত্যালীলা ও সন্ত্রাস ও আতংক সৃষ্টির ঘটনার স্মরণে আয়োজিত ২১ আগষ্ট আওয়ামী লীগের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে আবারও অনুরূপ ঘটনা ঘটানোর ষড়যন্ত্র চলছে বলে উল্লেখ করে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন।

শেখ হাসিনার এই ভাষণ স্বভাবত:ই অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে কারণ তাতে তিনি বেশ কটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেশবাসীকে অবহিত করেছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট তাঁকে (তখনকার বিরোধী দল নেত্রী) টার্গেট করে যে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে মৃত্যু, আহত ও রক্তবন্যা বইয়ে দেওয়া হয়েছিল-তেমন ঘটনা পুনরায় ঘটানোর জন্যে জঙ্গীরা এবং তাঁর রাজনৈতিক বিরোধিরা ষড়যন্ত্র আঁটছে বলে উল্লেখ করে দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।

সংবাদপত্র গত ২২ আগষ্ট প্রকাশিত তাঁর পূরা ভাষণটি পড়ে মনে হয়েছে বস্তুত দেশের সামনে যে যে বিপদ সংকেত অধুনা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে-তার এ নির্মোহ পর্য্যালোচনা সাধ্যানুযায়ী তুলে ধরা প্রয়োজন। দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি এরকম বিপদসংকার কথা বলেন, তিনি যখন তারই সাথে জনগণকে স তর্ক থাকার আহ্বান জানান তখন তাকে তো যথাযোগ্য গুরুত্ব দিতেই হবে কারণ বিষয়টা আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন কিছু নয় বরং বারবার ঘটে চলেছে। তাই বিপদাষংক যখন সরকারিভাবে স্বীকৃত তখন সেই আশংকা দূর করা ও নিরাপদ পরিস্থিতি সৃষ্টির কাজকে সর্বাধিক গুরুত্ব না দিলে সঠিক কর্মপদ্ধতি গ্রহণ করা সম্ভব হবে না।

বিপদ কোন দিক থেকে আসতে পারে? প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে যা আছে এ সম্পর্কে তার মূল অংশ এখানে তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছি। তিনি বলেছেনঃ যারা ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘটিয়েছে-তারাই ২১ শে আগষ্ট ঘটানোর ভবিষ্যতেও অনুরূপ ঘটনা ঘটাতে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই বক্তব্য দিয়ে তিনি তাঁর সহকর্মী বা দলীয় কর্মী, নেতা ও সমর্থকদেরকেই শুধু নয়-দেশবাসীকেও সতর্ক থাকতে বলেছেন।

সর্বাধিক বেশী দায়ী করেছেন জিয়াউর রহমানকে যিনি ঘটনা চলাকালে (৭৫ এর ১৫ আগষ্ট) তাঁর ঊর্ধতন সামরিক কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিতে বললেও তিনি চুপচাপ ক্যান্টমেন্টের বাসায় থেকে গেলেন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রক্ষতাও দখল করে বঙ্গবন্ধু হত্যালীলায় জড়িত আত্ম স্বীকৃত খুনীদেরকে নানা দেশে নিরাপদে চলে যাবার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
ওই ভাষণে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ না করলেও সবারই জানা যে বঙ্গবন্ধুর দক্ষিণহস্ত বলে পরিচিত আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষনেতা খোন্দকার মুশতাক কার্য্যত: বহু আগে-যখন ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে “মুসলিম” শব্দটি তুলে দিয়ে দলকে অসাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়া হয় মওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ঘধুর যৌথ উদ্রোগে-তখনই খোন্দকার মুশতাক তার বিরোধিতা করেন। মুশতাক অত:পর ৬-দফারও বিরোধিতা করে বলেছিলেন, “এর মাধ্যমে মজিবর পাকিস্তান ধ্বংসের পাঁয়তারা এঁটেছে।”

আবার ১৯৭১ এ তাঁকে যখন তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন মুজিবনগর সরকারের পররাষ্ট্রমন্্রীর মত অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়-খোন্দকার মুশতাককে, তিনি যথাযথভাবে সেই দায়িত্ব পালন না করে ওই পদ ব্যবহার করে কলকাতাতে বসেই আমেরিকান কনস্যুনেটের সাথে অত্যন্ত গোপন যোগাযোগ করে “পাকিস্তান রক্ষা” ষড়যন্ত্র আঁটছিলেন। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী বিষয়টি জানতে পেরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীকে দ্রুততার সাথে অবহিত করলে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান মন্ত্রী তাজ উদ্দিন আহমেদের নজরে আনেন। উভয়ে পরামর্শ করে মোশতাককে তাঁর পদ থেকে অপসারণ না করে তাঁর সকল ক্ষমতা বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর হাতে অর্পন করে খোন্দকার মোশতাককে গৃহবন্দী করে রাখেন।

অপরপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের পর দেশে ফিরে এসে খোন্দকার মুশতাক মন্ত্রীত্বের পদে বহাল থাকেন-বঙ্গবন্ধুও ফিরে এসে খোন্দকার মোশতাককে দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা পদে অধিষ্ঠিত করেন। এমন কি, ১৯৭৪ সালে যখন বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করে তার জাতীয় বা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে তালিকা প্রকাশ করেন, তাতে খোন্দকার মোশতাকের নাম ২ নম্বরে রাখেন।

সেই মুশতাক ছিলেন ১৫ আগষ্টের বঙ্গবন্ধু হত্যালীলার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। সাথে জিয়া, জামায়াত, সামরিক বাহিনীর একাংশ-আমেরিকা, চীন, পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি।

কিন্তু এত বড় একটি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে আজ পর্য্যন্ত কোন তদন্ত অনুষ্ঠান বা ষড়যন্ত্র উদঘাটন বা ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি বিধানের ন্যূনতম ব্যবস্থাও কোন সরকার গ্রহণ না করায় ঐ ষড়যন্ত্রকারীরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করা ও তা বাস্তবায়নের সুযোগ অবাধে পেয়েই যাচ্ছে। কিন্তু প্রতি বছর ১৫ আগষ্ট। ২১ আগষ্ট যখন ঘুর ফিরে আসে তখন প্রশ্নটি আলোচনায় আসে এবং ষড়যন্ত্র উদঘাটন করা হবে বলে উৎকণ্ঠিত সকলকে আশ্বস্ত করা হয়। তারপর আবার যে কে সেই। এবারের কথাটা অতীতের চাইতে জোরে শোর উত্থাপিত হয়েছে এবং কথা দেওয়া হয়েছে যে সরকার এ ব্যাপারে শীঘ্রই একটি কমিশন গঠন করে তদন্তের ব্যবস্থা করবেন। সরকারি এমন প্রতিশ্রুতি নতুন নয় তার এর উপর আস্থা স্থাপন না করেও “দেখা যাক কি হয়”- এমন মনোভাব নিয়ে মানুষ অপেক্ষায় আছেন।

অপরদিকে জামায়াতে ইসলামী কী করছে তা ইদানীং পত্র পত্রিকায় প্রাকশিত হচ্ছে। বিগত ২২ আগষ্ট একটি জাতীয় দৈনিক চার কলামব্যাপী ব্যানার করে ওই স্বাধীনতা-বিরোধী দলটির কার্য্যকলাপ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। “রাজনীতিতে কৌশলী জামায়াত” শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিচেনায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে কৌশলী অবস্থান নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। প্রকাশ্য দলীয় কর্মকা- না থাকলেও গোপনে অনেক বেশী সক্রিয় দলটি। এদিকে সরকারের গতি প্রকৃতির উপর বিশেষ নজর রাখছে দলের পর্যবেক্ষণ ও গবেষনা শাখা। সরকারের ভেতরে কিছু এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায় তারা। এজন্যে ক্ষমতাসীন দলের হাইব্রিড নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছে দলটির অপেক্ষাকৃত অপরিচিত নেতারা। এখানে প্রচুর টাকা খরচ করছে তারা।

গোয়েন্দাসূত্রে জানা গেছে, জামায়াতে ইসলামী বিএনপির আন্দোলনের গতিরোধ পর্য্যবেক্ষণ করছে। আন্দোলন সংগ্রামে টাকার জোগান নিশ্চিত করতে ইসলামী ১২ দলের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করে চলেছে দল-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি বুঝে সরকার হঠাৎ গুজব ছড়ানোর জন্য গঠন করেছে সোশ্যাল সাইবার সেল বা টিম।

আরও জানা গেছে, প্রতিবছর কম্পিউটার কোর্সে প্রশিক্ষণের জন্য শতাধিক গ্রাজুয়েট বেকার ছেলেকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। তাদেরকে মাসিক হারে নির্ধারিত পরিমাণ টাকাও দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় ভাল রেজাল্ট করা ছেলেদের বিদেশে পাঠানো হয় উচ্চতর প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশুনা করার জন্য। তাদের অনেকে আবার বিদেশেই থেকে যায়। তাদের পড়াশুনা থেকে শুরু করে যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করে দলটি। যারা দেশে ফিরে আসে, তাদের অধিকাংশই চাকুরী করে দলের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

চাকুরী করা লোকদের দলের ডাকে বিভিন্ন আন্দোলণ সংগ্রামে অংশ নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আবার এই চাকুরী জীবীদের বেতনের একাংশ দলের তহবিলে জমা দিতে হয়। দলটি নিজস্ব অর্থায়নে দলের অনেককেই ব্যারিষ্টার পর্য্যন্ত পাস করিয়ে এনেছেন। তারা সবাই দলের পক্ষে কাজ করেন। আদালতে আইন পেশার সাথে যুক্ত থেকেই। তারা নানা সময়ে গ্রেফতার হওয়ায় জামায়াত শিবিরের পাঁচ হাজারের বেশী কর্মীকে জামিনে মুক্ত করে এনেছেন, এভাবে জামিনে মুক্তদের একাংশ দলীয় সিদ্ধান্তে আদালতে হাজিরা না দিয়ে আত্মগোপনে থেকে দলীয় কাজে লিপ্ত রয়েছেন।

ইসলামী দল ও গোয়েন্দ কমকর্তাদের কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জামিন প্রাপ্তদের মধ্যে বিশ্বের একটি প্রভাবশালী দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশী শিবির কর্মী। তিন শতাধিক জঙ্গী জামিনে বেরিয়ে লা-পাত্তা হয়ে রয়েছে।

এখানে উল্লেখ করতেই হয়, পৃথিবীর একমাত্র দেশ বাংলাদেশ যে দেশে স্বাধীনতা বিরোধিতাকারী রাজনৈতিক দল ৫১ বছর পরেও ভালভাবে টিকে আছে। দেশের অধিকাংশ জঙ্গী সংগঠন সৃষ্টির নেপথ্য কারিগর হিসেবে কাজ করার অভিযোগও রয়েছে দলটির বিরুদ্ধে।

বিগত ২৭ আগষ্ট অপর এক জাতীয় দৈনিকে “আন্দোলন-ভোট, জামায়াত নেতাদের খবরে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামীর নেতারা দ্বাদশ জাথীয় সংসদের ভোটযুদ্ধে নামার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে আন্দোলনে নামারও অংক কষছে তারা। এই প্রেক্ষাপটে সারা দেশে সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়াচ্ছে ধর্মভিত্তিক এই দলটি।

নানাসূত্রে জানা যায়, বিএনপি’র সঙ্গ টানা পোড়েনের মধ্যেও দলটির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের প্রস্তুতি রয়েছে জামায়াতের। একই সঙ্গে সংসদের ভোট নিয়ে দলটির নেতাদের মাথায় এবার নতুন চিন্তাও ক্রিয়াশীল। দলের নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না জামায়াত।

এবার ভোটের মাঠে ১২০ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে এগুচ্ছেন জামায়াত নেতারা। তারা একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও তৈরী করেছেন বিএনপি’র সাথে ২০ দলীয় জোটে জামায়াত থাকবে কি না সে বিষয়টিও বিএনপি আজও খোলাস করে নি। তবে জামায়াত ২০ দলে থাকলেও যেমন না থাকলেও তেসন সক্রিয় থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

এই খবরগুলি জামায়াতের হত্যা-ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কোন ইঙ্গিত না দিলেও তারো যে তেমন গোপন ষড়যন্ত্রের সক্রিয় অংশীদার হিসেবে কাজ করছে-তাত সন্দেহ নেই। আজও তারা ৭১ এর ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায় নি। অপরদিকে আর এক শত্রু হেফাজতে ইসলাম বন্ধুর বেশে ক্ষমতাসীন দলের আদর্শগত ঐতিহ্যবাহী অবস্থানকে ইতোমধ্যেই ভোঁতা করে দিতে সক্ষমত হয়েছে।

দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের সুযোগ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বাহাত্তরের মূল সংবিধানে “বিসমিল্লাহ” ছিল না,জিয়া তা তাঁর পঞ্চম সংশোধনীতে লিপিবদ্ধ করে জামায়াত ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে বৈধতা দেন। অপরপক্ষে এরশাদের অবৈধধ অষ্টম সংশোধনী মারফত ইসলামকেবাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করায় সাংবিধানিকভাবেই ধর্মনিরপেক্ষতা বাংলাদেশে এক বিপর্য্যয়ের মুখে পড়ে। এরই সুযোগে অন্ধকারের শক্তিগুলি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।

অপরপক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভেতরেই অন্ধকারেরঅপশক্তিগুলি অনেকটা নিরাপদ স্থান করে নিয়েছে। আজ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট, টাকা পাচারের সিন্ডিকেট, দুর্নীতির সিন্ডিকেট শিক্ষাঙ্গনে ও বাহিরে যৌন সংকট সৃষ্টিতে ছাত্রলীগ, ভর্তি বাণিজ্য, টেন্ডারবাণিজ্য প্রভৃতিতে ছাত্রলীগযুবলীগ ও মন্ত্রীদের নানাবিধ আপত্তিকর উক্তি দলের অভ্যন্তরে মোশতাকীয় অপশক্তির ক্রমবর্ধমান অবস্থানের সুষ্পষ্ট ইঙ্গিতবাহী। আজ সরকারি দলের জনপ্রিয়াত যেভাবে কমতে শুরু করেছে-তা-ও ওই অপশক্তিগুলির স্বার্থের অনূকুলে।

লেখক : সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ, একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test