বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখতে হবে
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
১৭ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস ২০২২।দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী ১৭ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস’ পালিত হয়। ক্ষুধা ও অভাবমুক্ত বিশ্ব গড়তে, বিশ্বের মানুষকে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যেই এ দিবসের সূচনা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবস পালিত হবে। দিবসটির মূল লক্ষ্য অর্জন এবং বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে।দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনে দারিদ্র্য বিমোচন একান্ত জরুরি।
আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন- বাংলাদেশে দরিদ্রের সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। শেখ হাসিনা সরকারের গত সাড়ে ১৩ বছরে নেয়া নানা উদ্যোগ আর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকায় দারিদ্র্য বিমোচন ঘটছে দ্রুত। বিশ্বের সামনে দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ যে এক অনুকরণীয় অবস্থানে পৌঁছেছে, তার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করেছে বহুমাত্রিক সংস্থা বিশ্বব্যাংক। তারা বলছে, বিশ্বের অন্য উন্নয়নশীল দেশের উচিত কীভাবে দারিদ্র্য দূর করতে হয়, তা বাংলাদেশের কাছ থেকে শেখা। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশটি অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। বাংলাদেশের এই ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ জাতিসংঘকেও বিস্মিত করেছে। অবশ্য সাড়ে ষোলো কোটির বেশি দেশের জনসংখ্যার মধ্যে তিন কোটি এখনও দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। আবার এর মধ্যে এক কোটি মানুষ অতি দরিদ্র। দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এলেও দারিদ্র্য দূরীকরণ এখনও সরকারের মূল লক্ষ্য। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে উন্নতির ধারা বজায় রাখতে হবে আগামী ৫ বছর, তবেই দারিদ্র্যের হার নেমে আসবে দশ ভাগের নিচে।
সারাদেশে বছরে দারিদ্র্য কমানোর হার এখনও দুই শতাংশের নিচে রয়েছে। এই হার দুই শতাংশে নেয়া গেলে দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হবে আগামী দশ বছরের মধ্যে। তাই দারিদ্র্য হ্রাসের জন্য এই দশ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাকে কীভাবে ব্যবহার করা যাবে তার ওপর নির্ভর করবে সুন্দর স্বপ্নের বাস্তবায়ন। এ জন্য তরুণ সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তারুণ্যের যথাযথ ব্যবহার করা তাই সঙ্গত বলে মনে করি। দারিদ্র্য দূরীকরণ মানে এই নয় যে, দেশে কোন গরিব লোক থাকবে না। কিন্তু গরিব সব সময় থাকবে। এর মধ্যে প্রতিবন্ধী, বিধবা বা অসহায়দের দেখাশোনা করতে হবে রাষ্ট্রকেই। ১৯৭১ সালে দারিদ্র্য দূরীকরণের যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা এখনও রয়েছে। দেশ স্বাধীনের পর লক্ষ্য ছিল, দেশ হতে দারিদ্র্য দূর করা। তখন দেশে সত্তর ভাগ মানুষ ছিল দরিদ্র। দারিদ্র্য দূরীকরণ ছিল তখন উন্নয়নের মূলমন্ত্র। সেই সত্তর ভাগ থেকে নেমে এসেছে ২১ ভাগে। এই হার দশ শতাংশে নামিয়ে আনার জন্য কাজ অব্যাহত রেখেছে শেখ হাসিনার সরকার। যেভাবে দারিদ্র্য কমছে তাতে দশ শতাংশে নামিয়ে আনতে আরও ৫ বছর লেগে যাবে। এর মধ্যে নতুন করে চলমান কর্মসূচী পর্যালোচনা করতে হবে। দেখতে হবে কাক্সিক্ষত হার কমছে কিনা। যদি যথেষ্ট না হয়, তা হলে প্রয়োজনে নতুন কর্মসূচী নিতে হবে।
বিশ্বে এখন হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৭৭ কোটি। যাদের দৈনিক আয় এক দশমিক ৯০ ডলারের কম। তাদের মধ্যে ৫১ শতাংশ বা ৩৯ কোটির বসবাস সাহারা অঞ্চলে। আর ৩৪ শতাংশের বসবাস দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে। ঠিক এর বিপরীত অবস্থানে বাংলাদেশ। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান ও ভুটানের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ। ২০০৫ সালেও দেশে যেখানে হতদরিদ্রের হার ছিল ৪৩ শতাংশ, দশ বছরের ব্যবধানে তা কমে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। আর বলতে গেলেবিশ্বের খুব কম দেশই এমন সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে। তাই বাংলাদেশ আজ এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দারিদ্র্য এখন আর কবির ভাষার মতো মহীয়ান করে তোলে না। সমাজে দারিদ্র্য সমস্যা হিসেবেই চিহ্নিত। বাংলাদেশের সমাজে এর মূল অনেক গভীরে। দারিদ্র্যে ভুক্তভোগীরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সিদ্ধান্তহীনতা, বেকারত্ব ইত্যাদিতে ভুগে থাকেন। এই দারিদ্র্য বিমোচনে শেখ হাসিনা নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষি ও শিল্প খাতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বাড়ানো, সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন, সামাজিক বিভেদ হ্রাস ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির কাজটি দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাই দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিও সূচিত হয়েছে। বিশ্বের বহু দেশের চেয়ে নিম্ন আয় সত্ত্বেও বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে বেশ সাফল্য অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে এখন হতদরিদ্র তারাই যাদের দৈনিক আয় ১৪৮ টাকার কম। বাংলাদেশ এখন যে হারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে, তাতে ২০৩০ সাল নাগাদ হতদরিদ্রের হার তিন শতাংশের কাছাকাছি দাঁড়াবে।আর পৃথিবীর ধনী দেশগুলোতে অসমতার বিস্ফোরণ ঘটেছে তা ঠিক, কিন্তু গত কয়েক দশকে যে গরিব মানুষের জীবনে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটেছে, তা–ও বলা দরকার। ১৯৮০ থেকে ২০১৬ সাল—এই সময়ে আয়ের নিরিখে নিচের দিকে থাকা ৫০ শতাংশ মানুষের আয় দ্বিগুণ হয়েছে। ১৯৯০ সালের পর চরম দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও অর্ধেকের বেশি কমেছে। ইতিহাসের আর কোনো সময়ে এত মানুষ এত অল্প সময়ে দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে আসেনি।
জীবনমানের উন্নতিও হয়েছে ব্যাপক, এমনকি যারা এখনো গরিব, তাদের জীবনেও এ কথা প্রযোজ্য। ১৯৯০-এর দশকের পর সারা বিশ্বে সন্তান জন্মদানের সময় মাতৃমৃত্যুর হার অর্ধেক কমেছে। নবজাতকের মৃত্যুর হারও একইভাবে কমেছে এবং এতে ১০ কোটির বেশি শিশুর জীবন রক্ষা পেয়েছে। আজ যেসব দেশে বড় ধরনের সামাজিক গোলযোগ নেই, সেই সব দেশের প্রায় সব শিশুই প্রাথমিক শিক্ষা পাচ্ছে। যে এইচআইভি বা এইডস নতুন সহস্রাব্দের শুরুতে মহামারির রূপ ধারণ করতে শুরু করেছিল, তা–ও এখন কমতে শুরু করেছে।
এই অর্জনের বড় একটি অংশের কৃতিত্ব হচ্ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির। মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোট দেশজ উৎপাদনের ধারাবাহিক ও স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির কারণে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষে বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও ওষুধের পেছনে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি আয় বণ্টনের মাধ্যমে দরিদ্রদের উপার্জন বাড়ানো গেছে। দারিদ্র্য বিমোচন সবচেয়ে বেশি হয়েছে চীন ও ভারতের মতো বিশাল দুটি দেশে; বলা বাহুল্য, এদের প্রবৃদ্ধির হার যথেষ্ট বেশি। কিন্তু এখন এই দুই দেশের প্রবৃদ্ধির হার কমতে শুরু করায় উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট অবকাশ আছে। এই স্থবিরতা কাটতে দেশ দুটি কি কিছু করতে পারে? এবং এরা কি অন্যদের অনুসরণ করার মতো এমন কোনো নিশ্চিত সমাধান সূত্র দিতে পারে, যার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা সম্ভব?
আর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'র স্বপ্ন ছিল বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তিও।২০০৯ সালে রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে সেই লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যান বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগেই দেশনেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন রূপকল্প ২০২১। সেই নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের পরের গল্পটা শুধুই এগিয়ে যাওয়ার।যে বাংলাদেশ এক সময় পরিচিত ছিল বন্যাকবলিত, দারিদ্রপীড়িত দেশ হিসেবে, সেই দেশই এখন সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল; অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্বের বিস্ময়। এটা কেবলই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী এবং জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে।আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসেপ্ট বিশ্বকে আলোড়িত করেছে। কোভিড সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব তাকে জায়গা করে দিয়েছে বিশ্বের সেরা ৩ নেতার কাতারে।তার হাত ধরেই আজ আমরা স্বল্পোন্নত দেশের গণ্ডি পেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির তিনটি সূচকেই পাসের চেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে বাংলাদেশ। এই তিনটি সূচক হলো- মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য তিনটি সূচকের যে কোনো দুটি অর্জনের শর্ত ছিল। তবে তিনটিতেই উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের মানদণ্ড অনুযায়ী উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে হলে একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হয় কমপক্ষে এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এখন এ বছর মাথাপিছু আয় ২৩৩ ডলার বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছর যা ছিল ২ হাজার ৫৯১ ডলার।কৃষি খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে সাময়িক হিসাবে শতকরা ২ দশমিক ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। এর মধ্যে শস্য উপখাতে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, পশুপালন উপখাতে ৩ দশমিক ১০ শতাংশ, বন উপখাতে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ এবং মৎস্য খাতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে, শিল্প খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের প্রবৃদ্ধি পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে। এ ছাড়া বছর সাময়িক হিসাবে বিদ্যুৎ খাতে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে শিল্প খাতে গত বছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।সেবা খাতে ২০২১-২২ অর্থবছরের সাময়িক হিসাবে পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ, ব্যাংক ও বীমা খাতে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ, শিক্ষা খাতে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ ও স্বাস্থ্য খাতে ৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে। সার্বিকভাবে সেবা খাতে বগত বছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি প্রাক্কলন করা হয়েছে।মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দশমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হয় ৩২ শতাংশ বা এর কম, যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রক্ষণে এসেছে এই অভূতপূর্ব অর্জন।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণকে বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন আখ্যায়িত করে প্রভাবশালী মার্কিন পত্রিকা ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ভিয়েতনামের উন্নয়নের সঙ্গে মিল রয়েছে বাংলাদেশের। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার সফল অর্থনীতির দেশ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
বিশ্বব্যাংকও বলছে, অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক বেশির ভাগ সূচকে বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি সব দেশকে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী মুজিব বর্ষে দেশের এই অগ্রযাত্রার স্বীকৃতি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
এক সময় যারা বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ দিত, তারাই এখন প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এক যুগে বদলে গেছে বাংলাদেশ, বিশ্ব দরবারে জায়গা করে নিয়েছে উন্নয়নের বিস্ময় হিসেবে।
আর এই অর্জনের কাণ্ডারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু বাংলাদেশের মানুষের কাছে নয়, বিশ্বের কাছেই এখন তার পরিচিতি- দারিদ্র্য দূরীকরণের জাদুকর।
সব শেষে আবারও বলব, উন্নয়নের যে মহাসড়কে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে, সেই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আমাদের আস্থা রাখতে হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রতি। আর বাংলাদেশে দারিদ্র্য হ্রাস ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কৃষিই অন্যতম প্রধান নিয়ামক। কৃষি জনগণের খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহ, কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ সৃষ্টিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের কাঁচামাল সরবরাহের নিশ্চয়তা প্রদান করে। কৃষির গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্যস্বাধীন দেশ পুনর্গঠনে কৃষি বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। তিনি কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের মাঝে খাস জমি বিতরণ, ভর্তুকি মূল্যে সার, কীটনাশক, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের যুগোপযোগী নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশ দানাদার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। ফসলের পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষ খাতেও ব্যাপক সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
‘প্রযুক্তির বিকাশ ও প্রভাবের ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি, সংস্কৃতি এবং জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমানভাবে আন্তঃসংযুক্ত হয়ে উঠছে। প্রায় ৭৫ শতাংশ দরিদ্র ও খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষ তাদের জীবনযাত্রার জন্য কৃষি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর নির্ভর করে।’আর ‘বর্তমানে মহামারি, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি উর্ধ্বমুখী দেখা দেওয়ার প্রেক্ষাপটে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করা গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি খাদ্যপণ্য উচ্চমূল্যে বিশ্ববাজারে রপ্তানির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গৃহীত কৃষি ও পরিবেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের ধারাবহিকতায় বিগত সাড়ে ১৩ বছরে কৃষিবান্ধব ও বাস্তবমুখী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছের বর্তমান সরকার।
কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় এনে ‘রুপকল্প-২০৪১’ -এর আলোকে জাতীয় কৃষিনীতি-২০১৮, নিরাপদ খাদ্য আইন, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-২০৩০ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০সহ উল্লেখযোগ্য কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছ। এর মধ্যেই ‘রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার নিরবচ্ছিন্ন, সাশ্রয়ী ও দ্রুত যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার জন্য নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে।আর শেখ হাসিনার সরকার অসাধ্য সাধন করার কাজটি সূচারুরূপে পালন করায় দারিদ্র্য মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য হ্রাসের এই ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিতে সাড়ে ষোলো কোটি মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। সচ্ছল বাঙালীর জীবনধারায় প্রবাহিত হবে বাংলাদেশ, সেই প্রত্যাশা চিরায়ত।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা,জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।
পাঠকের মতামত:
- ফুলবাড়ীতে ৫৮০ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ
- বিএনপির নিজেকে প্রশ্ন করা জরুরি- তারা কি পাকিস্তানের চেয়েও বড় বিরোধীতাকারী?
- গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যায় ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- মাদারগঞ্জে দলীয় প্রার্থীর প্রত্যাহার চান ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী
- আদরকে বাঁচাতে চায় পরিবার, প্রয়োজন ৫০ লাখ টাকা
- দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- গোপালপুর ইউনিয়নে লিটন মোল্লা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- ছাড় পাচ্ছেন না স্বজনকে প্রার্থী করানো মন্ত্রী-এমপিরাও
- লক্ষ্মীপুরের ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হলেন যারা
- ‘দেশে মুসলিম-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলেমিশে থাকে’
- নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমানের দাফন সম্পন্ন
- টাঙ্গাইল পৌরসভায় ১৩৭ বছরেও গড়ে উঠেনি আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
- সুবর্ণচরে সর্বজনীন পেনশন মেলার উদ্ধোধন
- দিনাজপুরে তীব্র তাপদাহে গ্রীষ্মকালীন টমেটো নিয়ে বিপাকে কৃষক
- ইতালী প্রবাসীর মৃত্যুর ৩ বছর পর রহস্য উদঘাটন
- মেলান্দহে ১১ কেজি গাঁজাসহ ৩ মাদক কারবারি আটক
- ‘নির্বাচন কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরেছে’
- নড়াইলের পথে-প্রান্তরে কৃষ্ণচূড়ার অপার সৌন্দর্য
- ফরিদপুরে ২ সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ
- দিনাজপুরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় মামলা
- নিখোঁজের ৭ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- দিনাজপুরে পুলিশের গুলিতে একজনের মৃত্যু, আহত ১২
- নড়াইলে প্রচণ্ড গরমে ৭ শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা
- নড়াইলে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতার
- গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু ধানের ফসল কর্তন উৎসব
- হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়ল ফিলিস্তিনি পতাকা
- ইসলামপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
- ৫১৬৬ জন সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ২১ বছর পর হত্যা মামলার রায়, ১৯ জনের যাবজ্জীবন
- ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ
- রিকশাচালকদের আধা লিটার পানির বোতল দিচ্ছে ডিএনসিসি
- বাঁচুন নিজের মতো করে
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইলিয়ামসনের নেতৃত্বেই খেলবে নিউজিল্যান্ড
- রাত ১১টার পর চা-সিগারেটের দোকান বন্ধে ডিএমপির নির্দেশ
- ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৯০০
- টিপু-প্রীতি হত্যা মামলায় ৩৩ আসামির বিচার শুরু
- ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশের পরামর্শ আইএমএফের
- ‘বিশ্ব চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে’
- ‘দেশের মানুষের ভোটের ওপর আস্থা এসেছে’
- থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
- টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করলো অ্যাস্ট্রাজেনেকা
- ‘সামরিক সরকার দেয়াল থেকে রাজনৈতিক স্লোগানসমূহ মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়’
- টানা পাঁচ দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- কানাইপুরের মধুমতি ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি চেষ্টার অভিযোগ
- নড়াইলে মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে সফুরা খাতুন বেলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- লাখো দর্শকের পদচারনায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী জালাল মেলা
- শ্রীমঙ্গল উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
- ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন
- যশোরে উপকারভোগীদের মানববন্ধনে হামলা, আটক ২
- কালিয়াকৈর পাবলিক গ্রুপের বিনামূল্যে শরবত বিতরণ
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !