E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবসর সুবিধা বোর্ডের পরিবর্তনের পথিকৃৎ অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী

২০২৩ এপ্রিল ১৬ ১৫:১৪:৫৩
অবসর সুবিধা বোর্ডের পরিবর্তনের পথিকৃৎ অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী

মোহাম্মদ ইলিয়াছ


২০০২ সালের ২৭ নং আইনের মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড গঠন হয়। এ আইনের (বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কমচারী অবসর সুবিধা আইন, ২০০২) ধারা ১৫ তে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে প্রণীত প্রবিধান-২০০৫ অনুযায়ী ‘‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা’’ চালু হয়। প্রবিধানমালা-২০০৫ এর উপ-প্রবিধান-১০ (১) অনুযায়ী এমপিওভূক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরকালীন সময়ের সুবিধা প্রদান করা হয়। বর্তমানে ব্যানবেইস ভবন, ১ জহির রায়হান রোড, পলাশী-নীলক্ষেত, ঢাকার নীচতলায় ৫টি কক্ষ নিয়ে এর কর্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধীন এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসর সুবিধা প্রদান কার্যক্রম এই বোর্ডের আওতাভূক্ত। এমপিওভূক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের এমপিও থেকে ৬% টাকা সঞ্চয় করে অবসর সুবিধাদি প্রদান করা হয়ে থাকে।

এই বোর্ড প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পর হতে নানা দূর্গম ও কণ্টকাকীর্ণ পথ অতিক্রম করে কুহেলিকা বিবর্জিত এক সুশোভিত সোনালী অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই পরিবর্তনের যিনি কমান্ডারের ভূমিকা করেন। তিনি হলেন অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী,তাঁর রয়েছে এক বর্ণাঢ্য, ঔজ্জ্বল্য রাজনৈতিক পরিচায়ক। পারিবারিক সুত্রে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুর্দমনীয় ও অকুতোভয় সৈনিক। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা বিনির্মানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশরত্ন জননেত্রী বাঙালি জাতির লৌহ মানবী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প '৪১ ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার সুনিপুণ, সৃজনশীল কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে অবসর সুবিধা বোর্ড কে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর ও যুগোপযোগী ডিজিটাইজ পদ্ধতির সূচনা করেন, যা একটি যুগান্তকারী পরিবর্তনের রূপরেখা, যার ফলে বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের দুঃখ-কষ্ট অনেকটাই লাঘব হয়। এখন আর অবসর বোর্ডে আগের মত হাহাকার, হতাশা আর কান্নার আওয়াজ শুনা যায়না ররং এখন মানুষ হাসিমুখে বাড়ি ফিরে যায় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যে দু-হাত তুলে দোআ করেন।

এক সময় বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের চাকরি জীবন শেষ করে যে অবসর সুবিধা পাবেন অনেকেই জানতোই না, কিন্তু এখন তারা যুগোপযোগী ও জীবন অতিবাহিত করার মত একটা স্মার্ট ভাতা যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতা ও দূরদৃষ্টি সম্পূর্ণ চিন্তার ফসল।বর্তমান অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী একজন তুখোড় কাব্যিক বক্তা এছাড়াও তিনি একজন নির্মল, নির্লোভ নিরহংকার, সরল ,গুণগ্রাহী, সৃজনশীল ও একজন প্রতিবাদী রাজনীতিবিদ। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তাই তাে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপমন্ত্রী রত্ন চিনতে ভুল করেননি। বার বার অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদীর উপর আস্থা রেখেছেন। তিনিও তার প্রতিদান দিয়ে অবসর সুবিধা বোর্ড কে সকল প্রকার স্বজনপ্রীতি, দূর্নীতি, সিন্ডিকেট ও অসৎ লোকদের দৌরাত্ম্য সম্পূর্ণরুপে নির্মুল করেছেন। তিনি সর্বদা শিক্ষকদের সুখ-দুঃখের কথা শুনেন,এবং তাদের আশার বাণী শুনিয়ে হাসিমুখে বিদায় করেন। তিনি তার স্বকীয় প্রতিভা দিয়ে প্রত্যেকটি সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেষ্টা করেন। তিনি তার সাদাসিধে হাস্যজ্জ্বল কথা ও সুচারু মননশীলতার দ্বারা অবসর সুবিধা বোর্ড কে একটি মায়ার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি সকল কর্মচারী-কর্মকর্তাদের অভিভাবক ও বটবৃক্ষ। তিনি তার মায়াডোরে বেঁধে রেখে সকলকে একীভূত করে অবসর সুবিধা বোর্ড কে একটি অনুপমেয় ও স্বপীল রূপদান করেছেন। তাঁর নেতৃত্ব সকল অপশক্তির মায়াজাল ছিন্ন করে অধ্যক্ষ শরীফ সাদীর নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি এই বোর্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এবং বাংলাদেশের সেরা সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হবে।

লেখক : সহকারী পরিচালক (অর্থ ও বাজেট), অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে, ঢাকা।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test