১৭ মে বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস
উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক, মুক্তি পেতে চাই জনসচেতনতা
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বুধবার বিশ্ব উচ্চ রক্তচাপ দিবস ২০২৩। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো—নিখুঁতভাবে মাপুন উচ্চ রক্তচাপ। একে নিয়ন্ত্রণে রাখুন আর দীর্ঘদিন বাঁচুন। ওয়ার্ল্ড হাইপারটেনশন লিগের সদস্য হিসেবে হাইপারটেনশন কমিটি অব ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ ২০০৬ সাল থেকে ১৭ মে দিবসটি পালন করে আসছে। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব বলছে, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগে থাকেন বিশ্বের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। আর এই সমস্যায় সারা বিশ্বে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ প্রতি বছর মারা যায়।
বিশ্বজুড়ে উচ্চ রক্তচাপ একটি নীরব ঘাতক হিসেবে পরিচিত এবং আরও অনেক দেশের মত বাংলাদেশেও বিপুল সংখ্যক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগে থাকেন।
কখন বুঝবেন উচ্চ রক্তচাপ?
ব্লাড প্রেসারের দুটি রিডিং, যেমন—১২০/৮০। প্রথমটি সিস্টোলিক। হার্ট যখন স্পন্দিত হয় বা সংকুচিত হয়, তখন রক্তনালিতে যে চাপ তা হলো ‘সিস্টোলিক রক্তচাপ’। আর নিচেরটি হলো ‘ডায়াস্টোলিক’। পর পর দুই দিন ১৪০/৯০ পেলে তা হলো উচ্চ রক্তচাপ। সাধারণভাবে ১২০/৮৯ মিমি পারদ হলো স্বাভাবিক রক্তচাপ।
হঠাৎ করেই রক্তচাপ বেড়ে তা প্রাণ সংকটের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বিজ্ঞানীরা একে বলেন নীরব ঘাতক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বছরে এক কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের কারণে মারা যায়। এই সংখ্যা অনেক সংক্রামক রোগের চেয়ে বেশি। দেশে ৬৮ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যুর হার ৩৩ শতাংশ। এটি ২০২২ সালের হিসাব।
চলতি বছরের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী দেশে পাঁচজনের মধ্যে একজনের রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। নিয়মিত ওষুধ খেয়ে মাত্র ১৪ শতাংশ রোগী একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন। ২০২২ সালে আরেক সমীক্ষায় দেখা যায়, শহুরে জনগোষ্ঠীর ২৩ শতাংশের রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ।
হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে রক্ত প্রবাহের চাপ অনেক বেশি থাকলে সেটিকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। হার্ট সুস্থ রাখতে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং সুস্থ জীবন-যাপনের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।বাংলা কথা রক্ত চাপ। কিন্তু ইংরেজীটাই পরিচিতি বলে বাংলা বুঝিনা। এই ব্লাড প্রেসার নামক রোগটি আজকাল ব্যাপকভাবে প্রসার লাভ, করেছে। যে কোন রোগীই ডাক্তার খানায় গিয়ে বলে থাকেন,ডাক্তার সাহেব, আমার প্রেসার টা একটু দেখেন তো। এটির সাধারণতঃ শহরের ধনীও বিলাসী ব্যক্তিদের রোগ। খেটে খাওয়া বা দিন মজুর মানুষের এরোগ হয় না। আর হলেওতা উচ্চ রক্ত চাপ হয় না, নিম্ন চাপেই থাকে। এখন বুঝতে হবে এই রক্ত চাপটি কি? উচ্চ রক্তচাপ ইহার ভাবী ফল অত্যন্তন ভয়ানক, আশংকা জনক।
হৃৎপিন্ডের স্পন্দন দ্বারা যে শক্তি চালিত হয় ইহাই উচ্চ রক্তচাপ।
ব্লাড প্রেসার অন্য রোগের লক্ষণ
কোন সময় রক্তচাপ অত্যন্ত বাড়িয়াও যায়, কোন সময় কমিয়া যায়, শির পীড়া, মাথা ঘুরা, বুকে চাপ বোধ, বুক ধড়ফড় করা, মাথা ভার বোধ, শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা, শ্বাস কষ্ট, হাঁপানীর মত অবস্থা নিদ্রা কমিয়া যায়, মাঝে মাঝে নাসিকা হইতে রক্ত পড়ে। আরো অনেক লক্ষন আসতের পারে, মাথায় রক্ত উঠিয়া অস্থিরতা, চিলিক মারা মাথা ব্যথা, চোখ, মুখ লাল তন্দ্রাচ্ছন্নভাব কিংবা সংজ্ঞাহীন অবস্থা হৎপিণ্ড সঙ্কোচ-প্রসারণের ফলে রক্তনালীর মাধ্যমে সারা দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়। রক্তনালীর মাধ্যমে প্রবাহিত হওয়ার সময় রক্ত ধমনীর গায়ে যে চাপ সৃষ্টি করে, তাই ব্লাড প্রেসার বা উচ্চ রক্তচাপ। রক্তচাপের দু’টি মান থাকে সিস্টোলিক এবং ডায়াস্টোলিক। • হৃৎপিণ্ড সঙ্কোচনের সময় ব্লাড প্রেসার বেশি হয়। হৃৎসঙ্কোচনের ফলে ধমনীর গায়ে সৃষ্ট এই রক্তচাপকে ‘সিস্টোলিক’ ব্লাড প্রেসার বলে। অপর পক্ষে, • হৃৎপিণ্ড যখন প্রসারিত হয় তখন ধমনীর গায়ে রক্তের চাপ পড়ে কম।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণ
১. শতকরা ৫ ভাগ ক্ষেত্রে হাই ব্লাড প্রেসারের কারণ জানা যায়। যেসব হাই ব্লাড প্রেসারের কারণ জানা যায়, তাদের বলা হয় সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন (উচ্চ রক্তচাপ)। এসব কারণের মধ্যে রয়েছে কিডনির অসুখ, এড্রেনাল গ্লান্ডের অসুখ ইত্যাদি।
২. শতকরা ৯৫ ভাগ ক্ষেত্রে হাই ব্লাড প্রেসারের কারণ জানা যায় না। কারণ না জানা এই উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন।
১৯৩০-১৯৪০ সালের দিকে কিছু প্রভাবশালী চিকিৎসক বিশ্বাস ও প্রচার করতেন যে, সরু ও অনমনীয় রক্তনালীর ভেতর দিয়ে রক্ত প্রবাহিত করতে ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি অপরিহার্য, বিশেষত বয়োবৃদ্ধির সাথে সাথে। তারা এটাও বলতেন, এ ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধিতে মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে না। অনেক সময় পেরিয়েছে, অনেক সমীক্ষা ও গবেষণা হয়েছে; আজ এটা প্রতিষ্ঠিত যে, ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধি অপরিহার্য নয় বা তা বয়োবৃদ্ধির অত্যাবশ্যকীয় পরিণতি নয় বরং ব্লাড প্রেসার বৃদ্ধিতে রক্ত সংবহনতন্ত্রের বিভিন্ন জটিলতা এবং মৃত্যুঝুঁকি বাড়ে। আগের ধারণার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে কিন্তু নামটা এখনো রয়ে গেছে- অপরিহার্য উচ্চ রক্তচাপ। এসেনসিয়াল হাইপারটেনশন বা অপরিহার্য উচ্চ রক্তচাপের সঠিক কারণ জানা না গেলেও জানা গেছে, কিছু প্রভাবকের কথা যা উচ্চ ব্লাড প্রেসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।
এগুলোকে বলা হয় ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাবক। উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিপূর্ণ প্রভাবকগুলো হলো- বংশগত ধারা, বয়স, গোত্র, কম শারীরিক পরিশ্রমযুক্ত জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ, ধূমপান, মদ্যপান, মেদবাহুল্য ইত্যাদি।৯০ শতাংশ রোহটমিমগচজতগীর ক্ষেত্রে উচ্চ রহতড়পক্তচাপের কোনো নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না, একে প্রাইমা রি বা অ্যাসেনশিয়াল রক্তচাপ বলে। সাধারণত বয়স্ক মানুষের উচ্চ রক্তচাপ বেশি হয়ে থাকে।
উচ্চ রক্তচাপের বৃদ্ধির প্রাথমিক কারণ
* উচ্চ রক্তচাপের বংশগত ধারাবাহিকতা আছে, যদি বাবা-মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তবে সন্তানেরও এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি নিকট আত্মীয়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলেও অন্যদের এর ঝুঁকি থাকে।
* ধূমপান: ধূমপায়ী ব্যক্তির শরীরে তামাকের নানা রকম বিষাক্ত পদাঞগহর্থের প্রতিক্রিয়ায় উচ্চ রক্তচাপসহ ধমনি, শিরার নানা রকম রোগ ও হৃদ রোগ দেখা দিতে পারে।
* অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ: খাবার লবণে সোডিয়াম থাকে, যা রক্তের জলীয় অংশ বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের আয়তন ও চাপ বেড়ে যায়।
* অধিক ওজন ও অলস জীবনযাত্রা: যথেষ্ট পরিমাণে ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম না করলে শরীরের ওজন বেড়ে যেতে পারে। এতে হৃদ্যন্ত্রে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয়। অধিক ওজনসম্পন্ন লোকদের উচ্চ রক্তচাপ হয়ে থাকে।
* অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার, যেমন—মাংস, মাখন ও ডুবো তেলে ভাজা খাবার খেলে ওজন বাড়ে। ডিমের হলুদ অংশ এবং কলিজা, গুর্দা, মগজ এসব খেলে রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে যায়। রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল হলে রক্তনালির দেয়াল মোটা ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে।
* ডায়াবেটিস: বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডায়াবেটিসের রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়। এ ছাড়া তাঁদের অন্ধত্ব ও কিডনির নানা রকম রোগ হতে পারে।
* অতিরিক্ত উৎকণ্ঠা: অতিরিক্ত রাগ, উত্তেজনা, ভীতি এবং মানসিক চাপের কারণেও রক্তচাপ সাময়িকভাবে বেড়ে যেতে পারে। যদি এই মানসিক চাপ অব্যাহত থাকে এবং রোগী ক্রমবর্ধমান মানসিক চাপের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে না পারেন, তবে এই উচ্চ রক্তচাপ স্থায়ী রূপ নিতে পারে।
> কিছু কিছু রোগের কারণে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে। নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া গেলে একে বলা হয় সেকেন্ডারি হাইপারটেনশন। এ কারণগুলোর মধ্যে কয়েকটি হলো:
* কিডনির রোগ।
* অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি ও পিটুইটারি গ্রন্থির টিউমার।
* ধমনির বংশগত রোগ।
* গর্ভধারণ অবস্থায় একলাম্পসিয়া ও তপ্রি এ্যাকলাম্পসিয়া হলে।
* অনেক দিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের বড়ির ব্যবহার, স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন গ্রহণ এবং ব্যথা নিরামক কিছু কিছু ওষুধ খেলে।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে হার্টের রোগ
আপনার ধমনীগুলির স্থিতিস্থাপকতা উচ্চ রক্তচাপ ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যেটা আপনার হার্টে রক্ত এবং অক্সিজেনের প্রবাহকে কমিয়ে দেয় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।এর ফলে-
বুকে ব্যথা অনুভুত হয়, এই ধরণের সমস্যাকে অ্যানজিনা বলা হয়ে থাকে। যখন আপনার হৃদপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন ছাড়াই হার্টের পেশীর মৃত্যু ঘটে তখন হয় মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকসান, যাকে চলতি কথায় হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।আপনার রক্ত প্রবাহ যতক্ষণ ধরে বন্ধ থাকবে, ততক্ষণ হার্টের ক্ষতি হবে।সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু না হলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
হার্ট ফেলিওর, এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আপনার হৃদপিন্ড আপনার অন্যান্য অঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পাম্প করতে পারে না।
উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধির কারণে মস্তিষ্কে সমস্যা এবং স্ট্রোক
মানুষের শরীরে উচ্চ রক্তচাপের ফলে মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেন সরবরাহকারী ধমনী ফেটে যাওয়া বা ব্লকের সম্ভাবনা থাকে, যার ফলে স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে।মস্তিষ্কের কোষগুলি স্ট্রোক হওয়ার সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। স্ট্রোক মানুষের বাকশক্তি, নড়াচড়া করার ক্ষমতা এবং অন্যান্য কার্যকলাপের ব্যাপারেও অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে। স্ট্রোকের কারণে এমনকি আপনার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষ করে মাঝবয়সী ব্যাক্তিদের উচ্চ রক্তচাপের সাথে মস্তিস্কের কার্যকারিতা এবং ডিমেনশিয়ার প্রত্যক্ষ সংযোগ লক্ষ্য করা গেছে।
উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি কমাতে পরামর্শ
* জীবন যাএার পরিবর্তন এনে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমানো সম্ভব। বংশগতভাবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে তা কমানো সম্ভব নয়। তবে এ রকম ক্ষেত্রে যেসব উপাদান নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেগুলোর ব্যাপারে বেশি মনোযোগী হওয়া উচিত।
* অতিরিক্ত ওজন কমাতে হবে: খাওয়া দাওয়া নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। একবার লক্ষ্য অনুযায়ী ওজনে পৌঁছালে সীমিত আহার করা উচিত এবং ব্যায়াম অব্যাহত রাখতে হবে। ওষুধ খেয়ে ওজন কমানো বিপজ্জনকচিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওজন কমানোর ওষুধ না খাওয়াই ভালো।
* খাদ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা: কম চর্বি ও কম কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন—খাসি বা গরুর মাংস, কলিজা, মগজ, গিলা, ডিম কম খেতে হবে। কম তেলে রান্না করা খাবার এবং ননী তোলা দুধ, অসম্পৃক্ত চর্বি যেমন—সয়াবিন, ক্যানোলা, ভুট্টার তেল অথবা সূর্যমুখীর তেল খাওয়া যাবে। বেশি আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করা ভালো। আটার রুটি এবং সুজি-জাতীয় খাবার পরিমাণমতো খাওয়া ভালো।
* লবণ নিয়ন্ত্রণ: তরকারিতে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করতে হবে।
* মদ্যপান: মদ্যপান পরিহার করতে হবে।
* নিয়মিত ব্যায়াম: সকাল-সন্ধ্যা হাঁটাচলা, সম্ভব হলে দৌড়ানো, হালকা ব্যায়াম, লিফটে না চড়ে সিঁড়ি ব্যবহার ইত্যাদি।
* ধূমপান বর্জন: ধূমপান অবশ্যই বর্জনীয়। ধূমপায়ীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন। তামাক পাতা, জর্দা, গুল লাগানো ইত্যাদি পরিহার করতে হবে।
* ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: যাঁদের ডায়াবেটিস আছে, তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
* মানসিক ও শারীরিক চাপ সামলাতে হবে। নিয়মিত বিশ্রাম, সময়মতো ঘুমানো, শরীরকে অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকে বিশ্রাম দিতে হবে। নিজের শখের কাজ করা ইত্যাদির মাধ্যমে মানসিক শান্তি বেশি হবে।
* রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা: নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত। যত আগে উচ্চ রক্তচাপ ধরা পড়ে, তত আগে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং জটিল রোগ বা প্রতিক্রিয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
উচ্চ রক্তচাপ কি কোনো জটিল ব্যাধি
উচ্চ রক্তচাপ ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত এবং চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাÍক শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
লো ব্লাড প্রেসার
যদি রক্তচাপ কমে যায় সেটাও কিন্তু ভাল লক্ষণ নয়। চোখে অন্ধকার দেখা, মাথা ঘোরার সাথে শারীরিক অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তাছাড়াও ডায়েরিয়া, অ্যানিমিয়া বা টিবি রোগের সম্ভাবনা থাকতে পারে। যদি আচমকা রক্তচাপ কমে যায় তাহলে নুন চিনির সরবতের পাশাপাশি খাবারে নুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হতে পারেন। তবে দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে হাই ব্লাড প্রেশারের মত লো ব্লাড প্রেশারও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তাই এটাকে অবহেলা করা উচিত না।
রক্তচাপ নিয়মিত পরীক্ষা
নিয়মিত চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রক্তচাপ পরীক্ষা করানো উচিত।
উচ্চ রক্তচাপ হলে কী চিকিৎসা করাতেই হবে
উচ্চ রক্তচাপ সারে না, একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এর জন্য নিয়মিত ওষুধপত্র সেবন করতে হবে। কোনোক্রমেই চিকিৎসকের নির্দেশ ছাড়া ওষুধ সেবন বন্ধ করা যাবে না। অনেকেই আবার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত জানার পরও ওষুধ খেতে অনীহা প্রকাশ করেন।
কেউ কেউ এমনও ভাবেন যে উচ্চ রক্তচাপ তার দৈনন্দিন জীবনপ্রবাহে কোনো সমস্যা করছে না বা রোগের কোনো লক্ষণ নেই, তাই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খেতে চান না। এ ধারণাটাও সম্পূর্ণ ভুল। এ ধরনের রোগীরাই হঠাৎ হৃদরাগ বা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, এমনকি মৃত্যুও হয়ে থাকে।
হোমিও প্রতিকার
রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, এই জন্য রোগীর পুরোলক্ষন মিলিয়ে চিকিৎসা দিতে পারলে তাহলে হোমিওতে উচ্চ রক্ত চাপ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক গন উচ্চ রক্ত চাপের জন্য যেসব ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন, একোনাইট, এড্রিনালিন, অরামমেট, ক্যাকটাস গ্র্যান্ডি, কেলিফস, নেট্রাম মিউর, ক্যাটে গ্র্যাস, সেফালেন্ড্রা ইন্ডিকা, অর্জুন সহ আরো অনেক মেডিসিন লক্ষনের উপর আসতে পারে। তবে সাবধান চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করলে রোগ আরো জটিল আকারে পৌছতে পারে।
পরিশেষে বলতে চাই, শরীর থাকলেই রোগ থাকবে কিন্তু তা নিয়ে অযথা চিন্তিত কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। শুধু সময় বিশেষে নিয়ম মেনে রুটিন চেক-আপ ও যথাযথ স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রেখে চলুন। শরীরে রক্তচাপ জনিত কোনো সমস্যা দেখা দেওয়া মাত্র দ্বিধা না করে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চললেই ভবিষ্যতের জটিল সমস্যাকে এড়ানো সম্ভব।
লেখক : চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- গরমে আইস ফেসিয়ালে যে উপকার পাবেন
- মে দিবসের কবিতা
- টানা ৮ দফা কমার পর বাড়লো স্বর্ণের দাম
- জালাল মেলায় গান শুনে অন্ধ বাউল প্রদীপ পালের ভাগ্য বদলের উদ্যোগ
- কেন্দুয়ায় খাল খনন কর্মসূচির উদ্বোধন
- শ্যামনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগে আওয়ামীলীগে ত্রিমুখী লড়াই
- বেলকুচিতে বোমা বিস্ফোরণ মামলার আসামি আবু তালেব গ্রেফতার
- বহিস্কারের পর বিএনপির প্রার্থী আরও বেড়েছে
- প্রার্থী হয়েছেন ভাই, প্রচারণায় সংসদ সদস্য
- বরিশালে গৃহবধূকে পিটিয়ে আহত
- সড়ক দুর্ঘটনায় শাহরাস্তির বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
- বরিশালে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
- পাল্টাপাল্টি মামলায় আ.লীগের শতাধিক নেতাকর্মী আসামি, থমথমে গৌরনদী
- সাতক্ষীরা শহরের ফারাজানা ক্লিনিকে ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যু
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ ইসির
- ডিবি ও সাংবাদিক পরিচয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে আটক ৭
- বেলকুচিতে থানায় ঢুকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ওপর হামলা, ইন্জিনিয়ার আমিনুল শোকজ
- জুয়েলারি শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে বাজুসের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান
- বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন স্থগিতের অভিযোগ
- ফুলপুরে ট্রলি-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে যুবক নিহত
- দেশের আলোচিত কিশোরী ইয়াসমিনের মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু
- নিঃস্ব কামালের মুখে হাসি ফোটালেন মেয়র ও মানবিক মানুষ
- বিদেশে বসে টাকার বিনিময়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা
- ‘কাপ্তাই লেকের হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা হবে’
- পাংশাকে স্মার্ট উপজেলা করতে নিরলস কাজ করছেন ইউএনও জাফর সাদিক
- লংগদু গণহত্যা দিবস উপলক্ষে স্মরণ সভা
- শেখ হাসিনা: পঙ্কিল রাজনীতির পথ অতিক্রম
- কানাডার এশিয়ান হেরিটেজ মাস
- খনি শ্রমিকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত প্রয়োজন
- অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের তালিকা করবে বাজুস
- সুদানে ক্ষুধার জ্বালায় ঘাস খাচ্ছে মানুষ
- নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা রবিবার
- নিরাপদ সড়কের দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত
- ‘সমৃদ্ধশালী ন্যায় বিচার ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে নাগরিক সচেতনতার বিকল্প নেই’
- কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ হত্যাকাণ্ডে ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার
- সবজির বাজারে গরমের তাপ
- ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনে আনন্দ নেই, সৌন্দর্য্য নেই’
- ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস
- চামড়াখাতে ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকার প্রস্তাব সিপিডির
- কাপ্তাইয়ে চিৎমরম নদীর ঘাট পারাপারে দুর্ভোগ, সিঁড়ি বর্ধিতকরণ ও ছাউনি নির্মাণ দাবি এলাকাবাসীর
- ফরিদপুরের সিং পাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ৮ দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান সমাপ্ত
- ফরিদপুর পৌরসভার একটি ইটের রাস্তা পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন
- সালথায় মানবপাচার মামলায় এক নারী গ্রেপ্তার
- এক যুগ কাটিয়ে ডর্টমুন্ড ছাড়ছেন রয়েস
- রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে ভাঙ্গা ও চন্দনা কমিউটার ট্রেনের উদ্বোধন
- পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
- ১০ কোটির মাইলফলকে পরীমণি-সিয়ামের ‘তুই কি আমার হবি রে’
- আজ থেকে শুরু হচ্ছে ট্রেনের বাড়তি ভাড়া
- হেলিকপ্টারে আগুন, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন নায়ক দেব
- জিম্মি চুক্তিতে রাজি হতে হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !