ঈদুল আযহার গুরুত্ব ও তাৎপর্য
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কৃপায় ২৯ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার আমরা ঈদুল আজহা উদ্যাপন করব, ইনশাল্লাহ। মুমিন বান্দার জীবনে কোরবানির গুরুত্ব সীমাহীন। আর মুসলমানদের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ উৎসব ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ। পবিত্র কুরআনে কুরবানীর বদলে ‘কুরবান’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে। হাদীছেও ‘কুরবানী’ শব্দটি ব্যবহৃত না হয়ে এর পরিবর্তে ‘উযহিয়াহ’ ও ‘যাহিয়া’ প্রভৃতি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। আর এজন্যই কুরবানীর ঈদকে ‘ঈদুল আযহা’ বলা হয়। আর আযহা শব্দটি আরবীতে ‘কুরবান, ফারসী বা ঊর্দূতে ‘কুরবানী’ রুপে পরিচিত হয়েছে, যার অর্থ ‘নৈকট্য’। পারিভাষিক অর্থে ‘কুরবানী’ ঐ মাধ্যমকে বলা হয়, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য হাছিল হয়। প্রচলিত অর্থে, ঈদুল আযহার দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে শারঈ তরীকায় যে পশু যবহ করা হয়, তাকে ‘কুরবানী’ বলা হয়। সকালে রক্তিম সূর্য উপরে ওঠার সময়ে ‘কুরবানী’ করা হয় বলে এই দিনটিকে ‘উয়াওমুল আযহা’ বলা হয়ে থাকে। যদিও কুরবানী সারাদিন ও পরের দুদিন করা য়ায়। আর কোরবানির শাব্দিক অর্থ ত্যাগ। জিলহজ্ব মাসের দশ তারিখে পরম ত্যাগের নির্দেশনা স্বরূপ বিশ্ব মুসলিম মহাসমারোহে হজের অন্যতম অংশ পশু জবাইয়ের মাধ্যমে কোরবানি/ ঈদুল আযহা উৎসব পালন করে। সুতরাং ত্যাগের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে মুসলমান জাতি যে উৎসবে মিলিত হয় তাই ঈদুল আযহা বা কুরবানীর ঈদ। কোরবানি মুসলিম জাতির একটি ঐতিহ্য হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ কারণেই রাসুল (সা) সব সময় কোরবানি করেছেন। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি বর্জনকারী ব্যক্তির প্রতি তিনি সতর্কবানী উচ্চারণ করেন। রাসুল(সা) বলেন, যে ব্যক্তি সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কোরবানি করে না সে যেন আমাদের ঈদগাঁয়ে না আসে।
তাৎপর্য
ঈদুল আযহা ইবরাহীম (আঃ), বিবি হাজেরা ও ইসমাঈলের পরম ত্যাগের স্মৃতি বিজড়িত উৎসব। ইবরাহীম (আঃ)-কে আল-কুরআনে মুসলিম জাতির পিতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে (হজ্জ ৭৮)। এ পরিবারটি বিশ্ব মুসলিমের জন্য ত্যাগের মহত্তম আদর্শ। তাই ঈদুল আযহার দিন সমগ্র মুসলিম জাতি ইবরাহীমী সুন্নাত পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রাণপণ চেষ্টা করে। কুরবানীর স্মৃতিবাহী যিলহজ্জ মাসে হজ্জ উপলক্ষে সমগ্র পৃথিবী থেকে লাখ লাখ মুসলমান সমবেত হয় ইবরাহীম (আঃ)-এর স্মৃতি বিজড়িত মক্কা-মদীনায়। তাঁরা ইবরাহীমী আদর্শে আদর্শবান হওয়ার জন্য জীবনের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেন। হজ্জ মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, সংহতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের এক অনন্য উদাহরণ। যা প্রতি বছরই আমাদেরকে তাওহীদী প্রেরণায় উজ্জীবিত করে। আমরা নিবিড়ভাবে অনুভব করি বিশ্ব মুসলিম ভ্রাতৃত্ব। ঈদের উৎসব একটি সামাজিক উৎসব, সমষ্টিগতভাবে আনন্দের অধিকারগত উৎসব। ঈদুল আযহা উৎসবের একটি অঙ্গ হচ্ছে কুরবানী। কুরবানী হ’ল চিত্তশুদ্ধির এবং পবিত্রতার মাধ্যম। এটি সামাজিক রীতি হ’লেও আল্লাহর জন্যই এ রীতি প্রবর্তিত হয়েছে। তিনিই একমাত্র বিধাতা প্রতিমুহূর্তেই যার করুণা লাভের জন্য মানুষ প্রত্যাশী। আমাদের বিত্ত, সংসার এবং সমাজ তাঁর উদ্দেশ্যেই নিবেদিত এবং কুরবানী হচ্ছে সেই নিবেদনের একটি প্রতীক।
মানুষ কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভে ধন্য হ’তে চায়। আল্লাহর জন্য মানুষ তার সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ত্যাগ করতে রাযী আছে কি-না সেটাই পরীক্ষার বিষয়। কুরবানী আমাদেরকে সেই পরীক্ষার কথাই বারবার স্মরণ করিয়ে দেয়। ইবরাহীম (আঃ)-এর কাছে আল্লাহর পরীক্ষাও ছিল তাই। আমাদেরকে এখন আর পুত্র কুরবানী দেওয়ার মত কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হ’তে হয় না। একটি ‘মুসিন্নাহ’৭ হালাল পশু কুরবানী করেই আমরা সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হ’তে পারি।
কুরবানীর ঈদ প্রসঙ্গে স্বভাবতই একটি প্রশ্ন এসে যায়। আমরা কি শুধু কুরবানীর সময়েই গরীব-দুঃখী মানুষ আহার করানোর কথা ভাবব? আর বছরের বাকি দিনগুলো কি তাদেরকে ভুলে থাকব? না, অবশ্যই না। কুরবানী একটি প্রতীকী ব্যাপার। আল্লাহর জন্য আত্মত্যাগের একটি দৃষ্টান্ত মাত্র। সারা বছরই আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় নিজ সম্পদ অন্য মানুষের কল্যাণে ত্যাগ করতে হবে। এই ত্যাগের মনোভাব যদি গড়ে ওঠে। তবে বুঝতে হবে, কুরবানীর ঈদ স্বার্থক হয়েছে, কুরবানী স্বার্থক হয়েছে। নইলে এটি নামমাত্র একটি ভোগবাদী অনুষ্ঠানই থেকে যাবে চিরকাল। আল-কুরআনে আল্লাহ বারবার ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল মালের কিছু অংশ এবং আমি যা তোমাদের জন্য যমীন হ’তে বের করেছি তার অংশ ব্যয় কর’ (বাক্বারাহ ২৬৭)। আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ মানবতার সেবায় ব্যয় করতে হবে। দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় সরকারের পাশাপাশি সকল বিত্তশালী লোককে এগিয়ে আসতে হবে। সারা বছর, সারা জীবন সাধ্যমত আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য লাভের কথা বিবেচনা করে মানুষকে সাহায্য করতে হবে। চিত্ত আর বিত্তের মিল ঘটানোর জন্যই আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বারবার মানুষকে আহবান করেছেন।
ঈদুল আযহার লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সদ্ভাব, আন্তরিকতা এবং বিনয়-নম্র আচরণ করা। মুসলমানদের জীবনে এই সুযোগ সৃষ্টি হয় বছরে মাত্র দু’বার। ধনী-দরিদ্র, রাজা-প্রজা একই কাতারে দাঁড়িয়ে পায়ে পা এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই রাক‘আত ছালাত আদায়ের মাধ্যমে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে যায়। পরস্পরে কুশল বিনিময় করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়, জীবনকে স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং আন্তরিক মহানুভবতায় পরিপূর্ণ করে। মূলতঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে দৈন্য, হতাশা তা দূরীকরণের জন্য ঈদুল আযহার সৃষ্টি হয়েছে। যারা অসুখী এবং দরিদ্র তাদের জীবনে সুখের প্রলেপ দেওয়া এবং দারিদ্রের কষাঘাত দূর করা সামর্থ্যবান মুসলমানদের কর্তব্য।
মানবপুত্রের কোন সৎ কর্মই আল্লাহর কাছে কুরবানীর দিনে রক্ত প্রবাহিত করার চাইতে অধিকতর প্রিয় নয়। ক্বিয়ামতের দিনে কুরবানীর পশুর শিং, লোম আর ক্ষুর সমূহ নিয়ে হাজির করা হবে। কুরবানীর রক্ত মাটি স্পর্শ করার পূর্বেই আল্লাহর কাছে তার ছওয়াব গ্রাহ্য হয়ে যায়।৮ আল্লাহর কাছে কুরবানীর ছওয়াব গ্রাহ্য হওয়ার তাৎপর্য কি? যে অকুণ্ঠ ঈমান আর ত্যাগের মহিমায় উদ্দীপ্ত হয়ে ইবরাহীম খলীলুল্লাহ (আঃ) স্বীয় প্রাণাধিক পুত্রের স্কন্ধে ছুরি উত্তোলিত করেছিলেন, কুরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার সময়ে ইবরাহীমের মানস সন্তানদের হৃদয়তন্ত্রী সেই ঈমান ও ত্যাগের সুরে যদি অনুরণিত না হয়ে উঠে, তাদের দেহ আর মনের পরতে পরতে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের আকুল আগ্রহ যদি উদ্বেলিত না হয়, তাহ’লে তাদের এই কুরবানীর উৎসব গোশতখুরীর পর্বেই পর্যবসিত হবে।৯ আল্লাহ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কুরবানীদাতাদের সাবধান করে দিয়েছেন, ‘কুরবানীর পশুর রক্ত, গোশত কোন কিছুই আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, পৌঁছে কেবল তোমাদের তাক্বওয়া বা আল্লাহভীতি’ (হজ্জ ৩৭)। অর্থাৎ কুরবানীদাতা যেন আল্লাহর ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর সন্তুষ্টির জন্যই কুরবানী করে। পরিশেষে বলতে চাই, আল্লাহর রাহে জীবন উৎসর্গ করার জাযবা সৃষ্টি করা, ইবরাহীমের পুত্র কুরবানীর ন্যায় ত্যাগ-পূত আদর্শকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং আল্লাহর অনুগ্রহকে স্মরণ করা ও তাঁর বড়ত্ব প্রকাশ করাই কুরবানী প্রকৃত তাৎপর্য।
ঈদের দিনের বিশেষ আমল
ঈদের দিন মুমিন মুসলমানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে। নিজেকে পরিপাটি ও সুন্দর করে সাজিয়ে নেয়ায় এসব আমল পালন করতে হয়। তাহলো-
১. মিসওয়াক ও গোসল করা
মিসওয়াক ও গোসল স্বাভাবিক অবস্থায় সুন্নাত। ঈদের দিন এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেননা, ঈদের নামাজে বহু মানুষের সমাগম হয়। সেখানে পূর্ণ পবিত্র-পরিচ্ছন্ন হয়ে উপস্থিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন গোসল করতেন।’ (নাসবুর রায়াহ)
২. উত্তম পোশাক পরিধান
ঈদের দিন নিজের পোশাকাদির মধ্যে থেকে উত্তম ও সুন্দর পোশাক পরা সুন্নত। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ঈদে ডোরাকাটা কাপড় পরিধান করতেন।' (বায়হাকি)
৩. নামাজের আগে কিছু না খাওয়া
ঈদুল ফিতরের দিন নামাজের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছু মিষ্টান্ন খেয়ে নেয়া মুস্তাহাব। কিন্তু ঈদুল আজহার দিন এমনটি মুস্তাহাব নয়; বরং কুরবানি হয়ে যাওয়ার পর দিনের প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানির গোশত খাওয়া মুস্তাহাব।
৪. ফেরার পথে রাস্তা পরিবর্তন
ঈদগাহে যাওয়ার সময় এক রাস্তা এবং ঈদের নামাজ শেষ করে অন্য রাস্তায় ঘরে ফেরা মুস্তাহাব। হাদিসে এসেছে-হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (ঈদগাহ থেকে ফেরার পথে) রাস্তা বদল করতেন।' (বুখারি)
৫. পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া-আসা
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন পায়ে হেঁটে ঈদগাহে যেতেন। তাঁর সামনে একটি বর্শা বহন করে নেয়া হতো এবং সেটা নামাজের সময় তাঁর সামনে ‘সুতরা’ হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেয়া হতো।' (বায়হাকি)
অন্য বর্ণনায় এসেছে, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যেতেন। ঈদগাহ থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতেন।' (প্রাগুক্ত)
৬. ঈদগাহে যাওয়া-আসার পথে তাকবির বলা
ঈদগাহে যাওয়ার পথে উঁচু আওয়াজের তাকবির বলা সুন্নত। হাদিসে এসেছে-হজরত নাফে রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন যে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু উভয় ঈদের নামাজের জন্য মসজিদ থেকে বের হতেন। ঈদগাহে পৌছা পর্যন্ত (রাস্তায়) তাকবির বলতেন। ঈদগাহে পৌছেও ইমাম নামাজ আরম্ভ করার আগ পর্যন্ত তিনি তাকবির বলতেন।' (দারাকুতনি)
অন্য বর্ণনায়, হজরত আবু আব্দুর রহমান সুলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, সাহাবায়ে কেরাম ঈদুল ফিতরের তুলনায় ঈদুল আজহায় অনেক বেশি তাকবির বলতেন।' (মুসতাদরেকে হাকেম)
৭. তাকবির
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’অর্থ : ’আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য।’
৮. শিশুদের ঈদগাহে নিয়ে যাওয়া
ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় বড়রা ছোটদের সঙ্গে নিয়ে যাবে। এটা মুস্তাহাব আমল। হাদিসে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই ঈদের দিন (ঈদগাহের উদ্দেশ্যে) বের হতেন। ফজল ইবনে আব্বাস, আব্দুল্লাহ, আব্বাস, আলি, জাফর, হাসান, হোসাইন, উসামা ইবনে যায়েদ, যায়েদ ইবনে হারেসা ও উম্মে আয়মানের ছেলে আয়মানকে সঙ্গে নিয়ে। উঁচু আওয়াজে তাকবির বলতে বলতে কামারদের রাস্তা ধরে তিনি ঈদগাহে যেতেন এবং নামাজ থেকে ফারেগ হওয়ার পর বাড়ি আসতেন মুচিদের রাস্তা দিয়ে।’ (ইবনে খুযায়মা)
৯. ঈদগাহে নামাজ আদায়
ঈদের দিন ঈদগাহে নামাজ আদায় করা সুন্নাতে মুয়াক্বাদা। হাদিসে এসেছে-রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ঈদগাহে যেতেন।’ (বুখারি)
১০. মসজিদে ঈদের নামাজ
যদি বৃষ্টিপাত হয় অথবা বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা থাকে তবে মসজিদে ঈদের নামাজ পড়া বৈধ। হাদিসে এসেছে-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, একবার ঈদের দিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবাদের নিয়ে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেন।’ (আবু দাউদ)
১১. ঈদের দিন কবর জিয়ারত
আনন্দ ও খুশির দিন হলো ঈদের দিন। অনেক সময় খুশিতে মানুষ আখেরাতের ব্যাপারে গাফেল হয়ে যায়। পক্ষান্তরে কবর জিয়ারত মানুষকে আখেরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে ঈদের দিন কবর জিয়ারত করে উত্তম।
১২. কুরবানির হুকুম
অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, কুরবানি করা সুন্নাত। দলিল হিসেবে হাদিসের বর্ণনা হলো-হজরত উম্মে সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যখন তোমরা জিলহজের চাঁদ দেখবে এবং তোমাদের কেউ কুরবানি করার ইচ্ছা করবে, তখন সে যেন চুল, নখ ইত্যাদি কাটা বন্ধ রাখে।’ (মুসলিম)এ হাদিস ইঙ্গিত করে যে, কুরবানি মানুষের ইচ্চাধীন। ইচ্ছা হলে করবে, না হলে করবে না।
তবে অধিকাংশ হানাফি আলেমদের মতে কুরবানি ওয়াজিব। এ দাবির প্রথম প্রমাণ হচ্ছে কুরআনের নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি আপনাকে কাউসার দান করেছি, সুতরাং আপনি আপনার রবের জন্য নামাজ পড়ুন এবং কুরবানি করুন।’ (সুরা কাউসার : আয়াত ১-২)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, সামর্থ্য থাকার পরও যে ব্যাক্তি কুরবানি করবে না, সে যেন আমাদের ঈদগাহের ধারে-কাছেও না আসে।’ (মুসনাদে আহমাদ)
১৩. কুরবানি আদায়ের সময়
ঈদের নামাজের আগে কুরবানি করা জায়েজ নয়। যদি কেউ ঈদের নামাজের আগে কুরবানির উদ্দেশ্যে কেনা পশু জবেহ করে তবে তা শুধু জবেহ হিসেবে পরিগণিত হবে। কেননা কুরবানি ঈদের নামাজের পরে আদায় করতে হয়।
১৪. কুরবানির নেসাব
কুরবানির দিনগুলোতে যদি কারো কাছে সাড়ে সাত তোলা/ভরি সোনা, অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা/ভরি রূপা, কিংবা সমমূল্যের কোনো নগদ অর্থ, বানিজ্যিক পণ্য, অথবা প্রয়োজনের অতিরিক্তি জিনিসপত্র থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হয়। এটাই কুরবানির নেসাব। (বাদায়েউস সানাঈ)
সাদকাতুল ফিতর ও জাকাতের নেসাবও একই। অর্থাৎ উল্লেখিত পরিমাণ সম্পদ থাকলে সদকাতুল ফিতর এবং জাকাতও ওয়াজিব হয়। তবে জাকাতের জন্য অতিরিক্ত দুটি শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে, সম্পদ বর্ধনশীল হওয়া। আর দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, সেই সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া।
১৫. কুরবানি আদায় হওয়ার শর্ত
যে বা যারা কুরবানি করবে, তাদের কুরবানি আদায় বিশুদ্ধ হওয়ার জন্যও ছয়টি শর্ত রয়েছে। যথা-
- নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া। একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে কুরবানি করা। যদি কেউ অন্যকে দেখানোর উদ্দেশ্যে, কারো সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার উদ্দেশ্যে অথবা গোশত খাওয়ার উদ্দেশ্যে কুরবানি করে, তাহলে তার কুরবানি সহিহ হবে না। (প্রাগুক্ত)
- আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কোনো নিয়ত আছে, এমন ব্যাক্তিকে কুরবানির সঙ্গে শরিক না করা। শরিক কুরবানির ক্ষেত্রে কোনো একজনের নিয়তে সমস্যা থাকলে সবার কুরবানি নষ্ট হয়ে যাবে। (প্রাগুক্ত)
- পশু জবাইয়ের সময় কুরবানির নিয়ত করা। (প্রাগুক্ত)
- কুরবানিদাতা ছাড়া অন্য কেউ পশু জবাই করলে কুরবানি দাতার অনুমতি থাকা। স্পষ্ট মৌখিক অনুমতি না থাকলেও কমপক্ষে অনুমতির ইঙ্গিত থাকা। (প্রাগুক্ত)
- কুরবানির পশু শরিয়তে গ্রহণযোগ্য ও দোষমুক্ত হওয়া। সুতরাং শরিয়ত অনুমোদন করে না, অথবা শরীয়তের দৃষ্টিতে দোষযুক্ত পশু কুরবানি করলে সেই কুরবানি সহীহ হবে না। (প্রাগুক্ত)
- কুরবানি দাতা জবাইয়ের সময় নির্দিষ্ট পশুর মালিক হওয়া। কেউ যদি অন্যের পশু কুরবানির নিয়তে জবাই করে এবং সে যদি খুব কাছের মানুষও হয়, তবুও কুরবানি সহীহ হবে না। (প্রাগুক্ত)
১৬. কুরবানির পশুর বয়স
এক হাদিসে এসেছে, হজরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কুরবানিতে তোমরা শুধু পরিপূর্ণ বয়সের পশু জবাই কর। তবে যদি পূর্ণ বয়সের পশু যোগাড় করতে তোমাদের কষ্ট হয়, তাহলে ছয় মাস বয়সের দুম্বা জবাই কর।’ (আবু দাউদ)
হাদিসে ‘মুসিন্নাহ’ পশু জবেহ করার কথা বলা হয়। মুসিন্নাহ বলা হয় ঐ পশুকে, যে পশুর দাঁত উঠেছে। ফোকাহায়ে কেরাম কুরবানির পশু উপযুক্ত হওয়ার জন্য বয়সের একটি সীমা বর্ণনা করে দিয়েছেন। তাহলো-- উট : ৫ বছর।- গরু/মহিষ : ২ বছর।- ছাগল/ভেড়া/দুম্বা : ১ বছর। (দুররুল মুখতার)
পরিশেষে বলতে চাই, মুসলিম পরিবারের প্রতিটি মানুষেরই একমাত্র আদর্শ হবে আল্লাহর হুকুমের কাছে মানা নত না করা। বরং আল্লাহর হুকুমের কাছে আত্মসমর্পণ করাই হবে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহীম (আঃ) এ শিক্ষাই দিয়ে গেছেন তাঁর সন্তানদের। পবিত্র ঈদুল আজহার শিক্ষাই হচ্ছে আত্মত্যাগে উজ্জীবিত হওয়া, মানবিক কল্যাণ সাধন করা, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং সৌভ্রাতৃত্বের বাঁধনকে আরো সুদৃঢ় করা। জনৈক উর্দূ কবি বলেন, ‘যদি আমাদের মাঝে ফের ইবরাহীমের ঈমান পয়দা হয়, তাহ’লে অগ্নির মাঝে ফের ফুলবাগানের নমুনা সৃষ্টি হ’তে পারে’।
সুতরাং আমরা যেন নিছক লৌকিকতা, আত্মম্ভরিতা, বাহাদুরি ও প্রতিযোগিতামূলক রক্তক্ষরণ ও গোশত ভক্ষণ করে মহান ঈদুল আজহার তাৎপর্য ও শিক্ষাকে ব্যর্থতায় পর্যবসিত না করি। ইবরাহীমী ঈমান ও ইসমাঈলী আত্মত্যাগের উত্থান যদি আবার জাগ্রত হয়, তবে আধুনিক জাহেলিয়াতের গাঢ় তমিশ্রা ভেদ করে পুনরায় মানবতার বিজয় নিশান উড্ডীন হবে। সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আসবে। তাই কুরবানীর পশুর গলায় ছুরি দেওয়ার পূর্বে নিজেদের মধ্যে লুক্কায়িত পশুত্বের গলায় ছুরি দিতে হবে।
মহান আল্লাহর দরবারে আত্মসমর্পণকারী ও আত্মত্যাগী হ’তে হবে। তাকওয়া ও আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমে প্রকৃত মুমিন বা মুত্তাকী হ’তে হবে। মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা এটাই, হে আল্লাহ! আমাদের এ কোরবানি তুমি গ্রহণ করো আর আমাদের আত্মাকে পবিত্র করো।আর আমাদের ছালাত, কুরবানী, জীবন-মরণ সবকিছু আল্লাহর জন্যই উৎসর্গ হোক, ঈদুল আযহায় বিধাতার নিকট এই থাকুক প্রার্থনা।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- কাপ্তাইয়ে ঝড়ে চলন্ত গাড়ির ওপর ভেঙে পড়ল গাছ, আহত ২
- মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় কামাল হোসেন ফের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত
- পটুয়াখালীতে সাংবাদিক-রাজনীতিক আব্দুর রশিদের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
- ‘দেশে উন্মুক্ত কারাগার নির্মাণের পরিকল্পনা আছে’
- ‘তাপপ্রবাহে শ্রমজীবীদের বাঁচাতে সরকার কিছুই করছে না’
- ‘শাকিবের পরিবার বিরক্ত হয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে’
- কাপাসিয়ায় স্কাউটসের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- সাভারে পৃথক অভিযানে ৫ আসামি গ্রেফতার
- ৩ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
- ‘ছাঁটাই ছাড়া চাল বাজারজাতে মিলারদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে’
- বদিউজ্জামানের ওপর হামলা চালিয়ে থানায় ঢুকে উত্তাপ ছড়ালো আমিনুল সমর্থকরা, সুষ্ঠ নির্বাচনী পরিবেশ ফেরানোর দাবি
- কালিগঞ্জে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির হাড়গোড় উদ্ধার, আটক ১
- মৌলভীবাজারে শিল্পায়নের নামে হাওর ধ্বংসের প্রতিবাদ ও পরিবেশের হৃৎপিণ্ড কাউয়াদিঘি রক্ষার দাবি
- তীব্র তাপদাহে ফরিদপুর রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির শরবত বিতরণ অব্যাহত
- আগৈলঝাড়ায় ভোটযুদ্ধে ১৩ প্রার্থী
- ‘পঁচাত্তরের পর দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে’
- লোহাগড়ায় উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ
- রাঙ্গামাটিতে বজ্রপাতে ২ নারীর মৃত্যু
- পাংশায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে নাগরিক সমাজের মতবিনিময় সভা
- ভোটে প্রভাব বিস্তার করবেন না: মন্ত্রী-এমপিদের ইসি
- সোনা রপ্তানিতে বাংলাদেশে উজ্জ্বল সম্ভাবনা
- বশেমুরবিপ্রবিতে ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক কর্মশালা
- পাংশায় বিদেশি পিস্তল সহ সাবেক মেম্বার গ্রেফতার
- পোশাক শ্রমিকদের নিপীড়ন নিয়ে অ্যামনেস্টির মিথ্যাচার
- নিজেদের করা পাপ নিজেদেরই মোচন করতে হবে
- বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায় ৮০টি সৌদি কোম্পানি
- শৈলকুপায় একজনকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা
- মিথ্যা মামলা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে খসরু চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন
- উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রায় ৫ হাজার পর্যবেক্ষক
- ভৈরবে তাপদাহের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে লোডশেডিং, জনজীবন অতিষ্ঠ
- গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
- ভৈরবে ভ্রমণতরী ডুবে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বাল্কহেডের চালক গ্রেপ্তার
- দাম কমলো এলপি গ্যাসের
- ভৈরবে নূরানী কয়েল ফ্যাক্টরীতে আগুনে অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
- ধানে ভরপুর ভৈরবের মোকাম, দাম নিয়ে হতাশ কৃষক-ব্যবসায়ীরা
- বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে আপিল বিভাগের নতুন ৩ বিচারপতির শ্রদ্ধা
- গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বর্তমান সরকারের ভূমিকা
- আশুলিয়ায় স্বামীর পিটুনিতে গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু
- জাবি উপাচার্যের নামে ভুয়া মেইল আইডি, তথ্য আমলে না নেওয়ার আহ্বান
- মহম্মদপুরে মহান মে দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- 'ফরিদপুর সদর উপজেলার জনগণ মোটরসাইকেল মার্কায় ভোট দিতে ৮ তারিখের অপেক্ষা করছে'
- গোপালগঞ্জে মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ ছাত্র নিহত
- ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে কোন লাভ হবে না’
- দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়াবে পিএসজি, আশাবাদী এনরিক
- শনিবার থেকে স্কুল-কলেজ খোলা
- উপজেলা ভোটের দ্বিতীয় ধাপের প্রতীক বরাদ্দ শেষে প্রচার শুরু
- ‘মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করবো’
- কক্সবাজারে বজ্রপাতে দুই লবণচাষী নিহত
- ওমরাহ পালনে স্ত্রীসহ সৌদি আরব যাচ্ছেন মির্জা ফখরুল
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !