E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়ে অল্প খরচে চাঁদে পৌঁছাল ভারত

২০২৩ আগস্ট ২৮ ১৫:৫৭:১১
মহাকাশ বিজ্ঞানীদের চমকে দিয়ে অল্প খরচে চাঁদে পৌঁছাল ভারত

গোপাল নাথ বাবুল


ইসরো’র বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টা ও দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গত ২৩ আগস্ট ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ইতিহাস গড়ে চন্দ্রযান-৩। রহস্যে ঘেরা চাঁদের বিপজ্জনক দক্ষিণ মেরু অর্থাৎ কুমেরুতে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে পা রাখল ভারত। পাখির পালকের মতো চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান-৩-এর সফল অবতরণ। পৃথিবী দেখল, মহাকাশ গবেষণায় ভারতের অভাবনীয় সাফল্য। এ সাফল্য বিশ্বসভায় ভারতকে দ্রুত সামনের দিকে এগিয়ে নেবে। 

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘ইসরো’ জানিয়েছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিক্রমের সফল অবতরণের পর ল্যান্ডার বিক্রমের ভেতরে থাকা ছয় চাকার ও ২৬ কেজি ওজনের রোভার ‘প্রজ্ঞান’ চাঁদের মাটিতে গড়িয়ে গড়িয়ে নেমে এসে হেঁটে বেড়াচ্ছে এবং তার অপারেশন শুরু করে দিয়েছে। ‘ইসরো’র সম্প্রসারণে দেখে যেন মনে হচ্ছিল, বিক্রম প্রসব করছে প্রজ্ঞান’কে। নাড়ি ছিন্ন করার মতোই রোভারের পাওয়ার কর্ড বিক্রমের থেকে বিছিন্ন হয়েছে। রোভার প্রজ্ঞানসহ ল্যান্ডারের মোট ওজন ১ হাজার ৭৫২ কেজি।

ইসরো জানিয়েছে, তাদের এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন এক চন্দ্রদিবস অর্থাৎ পৃথিবীর ১৪ দিন কাজ করতে পারে। রোভার প্রজ্ঞান প্রতি মুহূর্তে নানা তথ্য পাঠাচ্ছে ইসরোতে। বিক্রমের কড়া নজরদারীতে প্রজ্ঞান চাঁদের পিঠে ঘুরে ঘুরে নানা খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তা ইসরোতে পাঠাচ্ছে। মহাকাশের রহস্য সন্ধানে নতুন নতুন তথ্য পাঠানোর পাশাপাশি চাঁদে জল, বরফ, ইউরেনিয়াম, প্ল্যাটিনাম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, সিলিকন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, টাইটানিয়াম, লোহা ও সোনা-সহ বিভিন্ন ধরনের খনিজ রয়েছে। এসবের বিভিন্ন তথ্য ও ছবি পাঠাবে চন্দ্রযানের-৩-এর রোভার প্রজ্ঞান, যা থেকে চাঁদের খনিজ, জল সম্পর্কে ধারণা অনেকটা স্পষ্ট হবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা।

এসব কাজের পাশাপাশি চাঁদের মাটিতে ভারতের জাতীয় পতাকা, ইসরোর প্রতীক চিহ্ন ও অশোকস্তম্ভ খোদাই করবে রোভার। তার চাকায় খোদাই করা অশোকস্তম্ভ ও ইসরোর লোগোর ছাপ পড়তে শুরু করেছে চাঁদের মাটিতে। চন্দ্রাভিযানের এমন সফলতার জন্য আফ্রিকার জোহান্সবার্গ থেকে বিজ্ঞানীদের সহ ভারতীয়দের অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি চাঁদ জয়ের দিনটিকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ এবং চন্দ্রযান অবতরণের স্থানকে ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’ নামে ঘোষণা করেছেন।
এর আগে রাশিয়া, আমেরিকা ও চীন চাঁদে তাদের মহাকাশযান পাঠিয়েছে। কিন্তু তা উত্তর মেরু অর্থাৎ সুমেরুতে অবতরণ করেছিল। তাই রহস্যে ঘেরা দক্ষিণ মেরু বিজ্ঞানীদের কাছে অজানা ছিল। চন্দ্রযান-৩ ওই অঞ্চলে অবতরণের ফলে চাঁদের বিজ্ঞানীদের সেই ধাঁধাঁ ঘুচবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চন্দ্র পৃষ্টের রাসায়নিক বিশ্লেষণ করে চাঁদের বয়স আবিষ্কারেরও চেষ্টা হবে বলে ইসরো’র বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

চন্দ্রাভিযানের সফলতার পর ভারতীয়দের অভিব্যক্তিতে এ বার্তাই মুর্ত হয়ে উঠেছে যে, এ সাফল্যকে কাজে লাগিয়ে আগামীতে মহাকাশ গবেষণা নিশ্চিতভাবেই আরও নতুন চমক দেখাবে, এমনটাই মনে করছেন ভারতের বিজ্ঞানী এবং বিজ্ঞান-অনুসন্ধিৎসুরা। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত যে অনেক এগিয়ে গেছে, আগামীতে সীমাহীনকে ছোঁয়ার প্রত্যয়ে বলিয়ান হয়ে উঠেছে, সে ছবি উদ্ভাসিত হলো বুধবারের সাফল্যে। উল্লেখ্য, চন্দ্রপৃষ্ঠের ওই দক্ষিণ মেরুতে ২০০৮ সালে জলের সন্ধান পেয়েছিল চন্দ্রযান-১। ২০১৯ সালে ঠিক চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় ল্যান্ডার-রোভারটি ধ্বংস হয়ে যায়। তবে চন্দ্রযান-২-এর সেই অরবিটার এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলছে এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো’র বেস-স্টেশনে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়ে চলছে।

ভারতের চন্দ্রবিজয় ইতিমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে। বিবিসি, মেট্রো, আই নিউজ, গার্ডিয়ানসহ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, বাংলাদেশ, সিঙ্গাপুর, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের একাধিক দেশের ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমগুলিতে এবং প্রিন্টিং মিডিয়ার প্রথম পাতায় চন্দ্রবিজয়ের খন্ডচিত্র দিয়ে কোলাজ সৃষ্টি করেছে। এমন কি, ভারতের চিরশত্রু পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমও এ তালিকায় রয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরকারের তথ্য ও সম্প্রসারমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, ‘ইসরো জন্য আজ অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। দেখলাম ইসরোর চেয়ারম্যানের সঙ্গে এই সাফল্য উদ্যাপন করছেন প্রচুর তরুণ বিজ্ঞানী। আসলে তরুণরাই স্বপ্ন দেখে এই বিশ্বকে পাল্টে দিতে পারে। তাঁদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।’

তিনি বিক্রমের ল্যান্ডিং লাইভ পাকিস্তানে সম্প্রসার করার দাবি জানান। এছাড়া ডন, দুনিয়া নিউজ, নিউজ ইণ্টারন্যাশনাল, বিজনেস রেকর্ডারের মতো প্রথমসারির পাক সংবাদপত্রের প্রথম পাতাতেই ছাপা হয়েছে ভারতের চন্দ্রবিজয়ের খবর। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ভারত যে ইতিহাস গড়েছে, সেই খবর প্রকাশ করতে দ্বিধা করেনি পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্তরের মিডিয়াগুলি। একটা জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলে ইসরোর সাফল্য নিয়ে টক শো’র আয়োজন করা হয়েছিল। শুক্রবারের ওই টকশোতে দুই উপস্থাপক যথাক্রমে হুমা আমির শাহ এবং আব্দুল্লাহ সুলতান মহাকাশ গবেষণা নিয়ে দু’দেশের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনায় মেতে উঠেন। ওইসময় হুমা বলেন, ‘ইন্ডিয়া চাঁদে পৌঁছে গেছে, আমরা মাঝে আটকে আছি।’ তিনি পাকিস্তানকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে না থেকে দিগন্ত প্রসারিত করার উপর জোর দেন। দুই উপস্থাপকই ভারতের চন্দ্রভিযানের সাফল্যে খুশি এবং এ সাফল্য বিস্ময়কর বলে জানান। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের তিক্ততা ভুলে ভারতের এ নজিরকে কুর্নিশ জানিয়েছে পাক্ সংবাদমাধ্যমগুলো। বিলম্বে হলেও পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জারা বালোচ এ সাফল্য প্রশ্নাতীত বলে জানান।

এদিকে নজির গড়ে চাঁদের এমন বিপজ্জনক অংশে পা রাখার কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানিয়ে বিশেষ ডুডল তৈরি করেছে গুগল। একটি ভিডিও তৈরি করে ভারতের এ সাফল্য উদ্যাপনে শামিল হয়েছে গুগল। চন্দ্রযানের খুঁটিনাটি নিয়ে একটি বিশেষ পেজও তৈরি করা হয়েছে। গুগল ডুডলে প্রকাশ করা মিষ্টি এ ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চোখ বুজে আরাম করে বসে রয়েছে চাঁদ। হঠাৎ চমকে চোখ খুলে ফেলল চাঁদমামা। সেই সময়েই ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে নেমে পড়ে ল্যান্ডার বিক্রম। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে চাঁদ। চন্দ্রপৃষ্ঠে নেমে কাজ করছে ভারতের রোভার প্রজ্ঞান, আর তাই দেখে মিটিমিটি হাসছে সকলের প্রিয় চাঁদমামা। সেটাই দেখা গেল গুগল ডুডলের ভিডিওতে।

আবার এর বিপরীতও আছে। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ইদ্রিস আলী ও সিপিএমের বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো নেতৃবৃন্দ বলেন, এত টাকা খরচ করে চাঁদে যাওয়ার কী প্রয়োজন ? এমন প্রশ্ন রেখে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানোরও চেষ্টা চালান। চন্দ্রাভিযানের সফলতা কামনা করে বিজ্ঞানীদের তিরুপতি মন্দিরে পুজা দেওয়া নিয়েও এসব নেতৃবৃন্দ সমালোচনা করেন। অথচ তারা জানেন না, মুন-মিশন ব্যবসা বা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ভারতের জন্য কী পরিমাণ সফলতা বয়ে এনেছে!

ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানান-মুন-মিশনে উপকৃত হবেন আমজনতাও। কৃষিক্ষেত্র থেকে সমগ্র অর্থনীতির উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে এ চন্দ্রযানের। এছাড়া প্রাইভেট স্পেস সেক্টরে ভারতের আধিপত্য বাড়ার পাশাপাশি মহাকাশ প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কর্মরত প্রতিষ্ঠানগুলির চাহিদা বাড়বে। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির সম্ভাবনার পাশাপাশি ভারতের যেসব কোম্পানী মহাকাশবিজ্ঞান খাতের সঙ্গে যুক্ত, সেই ১৩টা ভারতীয় কোম্পানীর শেয়ারের রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার। চন্দ্রাভিযানের পর ভারতে কযেকদিনে কয়েকশত বিলিয়ন ডলার ইনভেস্টমেন্ট হয়েছে। সেটেলাইট বেস বিজনেস্ বেশ জমে উঠেছে। প্রাইভেট সেক্টর ও বিভিন্ন দেশ (প্রায় ৪০/৫০ টি দেশ ভারতের সাহায্যে মহাকাশে সেটেলাইট পাঠিয়েছে) সেটেলাইট পাঠানোর জন্য টাকা দিচ্ছে। এখানে ভারতের বিলিয়ন ডলার আয়ের পথ খুলে গেছে। ভারত এজন্য ভূরাজনীতি ও লুনার ইকোনমিতে অনেক সুবিধা পাবে।

আন্তর্জাতিক সাময়িকী ফরেন পলিসি যেমন সুজাসুজি লিখেছে, “ভারতের মুন ল্যান্ডিং আসলেই একটি বিরাট জিওপলিটিক্যাল স্টেপ!”

ভারতের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং তো ইতিমধ্যে পূর্বাভাস করেছেন, ‘আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই ভারতের স্পেস সেক্টর বা মহাকাশ খাত এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হবে।’

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চন্দ্রযান-৩-এর অভূতপূর্ব সাফল্যের পর ভারতের পক্ষে সেটা মোটেও অসম্ভব নয়। টাইম অব ইন্ডিয়া পত্রিকায় এক নিবন্ধে মি রামানাথন লিখেছেন, ‘চন্দ্রযানের এই অর্জনের ভিত্তিতে ভারতকে এখন ‘লুনার জিওপলিটিক্স’ বা ‘চান্দ্রেয় ভূরাজনীতি’র জন্যও নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে।’

ড. রাজাগোপালনের কথায়, “ভারতের মহাকাশ-প্রযুক্তি যে আগের তুলনায় অনেক আধুনিক উন্নত ও পরিণত হয়েছে এই অভিযান সেটাই সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করে দিল।”

বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীরা তো চমকে গেছেন, যেখানে মহাকাশ বা চন্দ্রের দৃশ্য নিয়ে হলিউডের চলচ্চিত্র তৈরিতে খরচ হয় ১৩/১৪ শত কোটি রুপি, সেখানে মাত্র ৬১৫ কোটি রুপি খরচ করে কীভাবে ভারতের বিজ্ঞানীরা চাঁদের বিপজ্জনক স্থান দক্ষিণ মেরুতে নিজেদের মহাকাশযান নামিয়ে ফেললেন! বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি টেসলা গাড়ি ও স্পেস এক্স এর মালিক এলেন মাস্ক টুইট করেছেন, কিন্ডা ক্রেজি হোয়েন ইউ রিলাইজ ইন্ডিয়া’স বাজেট ফর চন্দ্রায়ন-৩ () ইজ লেস দ্যান দ্যা ফ্লিম ইন্টারস্টেলার ()।

ড. রাজি রাজাগোপালন মনে করেন, “খুবই কম খরচে (আনুমানিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার) যেভাবে ভারত একটি সফল মহাকাশ অভিযান লঞ্চ করেছে, তা তাদেরকে ‘ব্যয়সাশ্রয়ী অথচ নির্ভরযোগ্য মহাকাশ-প্রযুক্তি’ হিসেবেও প্রতিষ্ঠা দেবে।”

ইসরোর বিজ্ঞানীদের সফলতার পিছনে কাজ করেছে ‘অ্যানোরথোসাইট’ নামের তামিলনাড়ুর মাটি। বিজ্ঞানীরা চাঁদের দক্ষিণ মেরুর মাটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন, একই রকম মাটি তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাই থেকে ৪০০ কিমি দুরে নমাক্কাল জেলায় রয়েছে। তাই চাঁদের বুকে সফল ল্যান্ডিংয়ের জন্য ২০১২ সাল থেকে তারা এ জেলার মাটি নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে পাওয়া ফলাফল বিশ্লেষণ করেই ল্যান্ডার মডিউলকে প্রয়োজনমতো তৈরি করেছেন।

সুতরাং চাঁদের বুকে বিপুল পরিমাণে মূল্যবান খনিজ বা প্রচুর পরিমাণ জ্বালানির উৎসের সন্ধান মিলতে পারে-এ সম্ভাবনাও সাম্প্রতিককালে বহু দেশকে চন্দ্র অভিযানে আকৃষ্ট করেছে। বিশেষ করে রাশিয়া, আমেরিকা, চীন, জাপান, আরব-আমিরাত প্রত্যেকে চেষ্টা চালাচ্ছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অভিযান চালানোর জন্য। কিন্তু এ পটভূমিতে ভারতই এগিয়ে থাকবে। নানা ভাষা, নানা বর্ণ ও ধর্মের দেশ ভারত সব বিভেদ বিচ্ছিন্নতা ভুলে যদি হাতে হাত ধরে এগিয়ে যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবেই বিশ্বসভায় এক অভাবনীয় সাফল্য প্রদর্শন করতে পারবে।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test