E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভারত-কানাডার সম্পর্ক কোন পথে?

২০২৩ অক্টোবর ০১ ১৮:২১:৩১
ভারত-কানাডার সম্পর্ক কোন পথে?

গোপাল নাথ বাবুল


ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে জাস্টিন ট্রুডো নিজের দেশেই বিরোধীদলের প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন। কারণ তার কাছে ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগের অকাট্য কোনও প্রমাণ নেই। তাছাড়া কানাডার তদন্তকারী পুলিশ বলছেন, ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। বিভিন্ন দেশও অভিযোগ করেছে যে, ট্রুডোর মিথ্যে বলার অভ্যাস আছে। 

কানাডার বিরোধী দলনেতা পিয়ের পোইলিএভরে ট্রুডোকে ঘুরিয়ে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছেন। নিজ্জর হত্যাকান্ডের যাবতীয় তথ্য-প্রমাণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো হঠাৎ করেই বিবৃতি দিয়ে বসলেন। নিশ্চয়ই সেটা তার ব্যক্তিগত বক্তব্য নয়। কিন্তু এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য-প্রমাণ তিনি দিচ্ছেন না কেন ? তথ্য-প্রমাণ সামনে এলে তবেই এই নিয়ে একটা বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে। আর সেটা না হলে তার এহেন বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে। প্রধানমন্ত্রীর তোলা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বা অবিশ্বাস্য বলে মনে হতে পারে।’

বিরোধী দলনেতা পিয়ের এর পাশাপাশি চীন ইস্যুতেও সরকারের নমনীয় মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘কানাডার দুই নাগরিককে আটকে রেখেছিল চীন। সেই ইস্যুতে ট্রৃডো চুপ থাকার কারণ আজও স্পষ্ট নয়। তবে কি কানাডার নাগরিকদের ওপর বিদেশি হস্তক্ষেপ আমরা মেনে নিচ্ছি ?’ তিনি ট্রুডোকে প্রশ্ন করেন, তখন আপনার দেশপ্রেম এবং নাগরিকের প্রতি দায়িত্ববোধ কোথায় লুকিয়েছিল ? বর্তমানে বিরোধীদের চক্রব্যূহে জাস্টিন ট্রুডোর গদি টলমল। বিশেষজ্ঞদের ধারণা-নির্বাচনের আগেই হয়তো ট্রুডোর ক্ষমতা চলে যেতে পারে।

জাস্টিন ট্রুডো হয়তো ভেবেছিলেন, ভারতের বিরুদ্ধে একটা যেনতেন অভিযোগ চাপিয়ে দিয়ে তিনি পার পেয়ে যাবেন, তা কিন্তু হয়নি। এমনকি কানাডার স্থায়ী জনগণও এখন তাকে এ বিষয়ে সমর্থন করছেন না। তারা মনে করছেন যে, যেটা কুটনীতিক স্তরে সমাধা করা যেত, সেটা জাস্টিন ট্রুডোর এভাবে ছড়িয়ে দেওয়াটা উচিত হয়নি। তারা দেখছেন, খালিস্তানপন্থীরা এখানে কীভাবে ভারতীয়দের প্রতি মারমূখী আচরণ করছেন, কীভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন এবং যেভাবে বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসীদের সঙ্গে খালিস্তানিরা জড়িত, তা তারা মেনে নিতে পারছেন না। তারা বুঝে গেছেন যে, ট্রুডোর ওপর আর ভরসা করা যায় না।

কানাডা এমন সময়ে অভিযোগটি তুলেছেন যখন চীনের মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়্সাহ পশ্চিমারা ভারতের সঙ্গে সংপৃক্ততা বাড়াচ্ছে। ভারত যখন ব্রীকস এর মতো একটা অর্থনৈতিক জোটে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভারতের নেতৃত্বে একটি গ্লোবাল সাউথ নামে একটি বলয় তৈরি হচ্ছে এবং ভারত আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিভিন্নক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখছে। তাদের অর্থনীতি শনৈ শনৈ করে বাড়ছে। তারা এখন ফিফ্থ লার্জেস ইকোনমি, লার্জেস ডেমোক্রেটিভ ইন দ্যা ওয়াল্ড এবং তারা শীঘ্রই তৃতীয় অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। সে অবস্থায় কানাডার যে চিরাচরিত মিত্র, অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স সহ ন্যাটোভূক্ত দেশগুলো কানাডাকে যতটুকু সমর্থন করতে চায় ঠিক ততটুকু তারা সরব হতে পারছে না। কারণ, তারা ভারতকে হারাতে চায় না। কেননা যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়াসহ পশ্চিমাদেশের জন্য বিষয়টি এখন ‘গলায় কাঁটা’ বিঁধে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। তারা ভারতকে এখন স্বাদের জন্য ফেলতেও পারছে না আবার কাঁটার জন্য গিলতেও পারছে না। এমন অবস্থায় জাস্টিন ট্রুডো প্রায় একা হয়ে গেছেন যা তার এবং তার দলের জন্য খুবই অস্বস্তিকর বিষয়।

এদিকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ কানাডাকে ‘জঙ্গীদের অভয়ারণ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছে। নিউইয়র্কের সংবাদ সংস্থা এএনআই’র প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি বলেন, ‘জঙ্গীদের অভয়ারণ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে কানাডা। কোনও প্রমাণ ছাড়াই বিস্ফোরক অভিযোগ করা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও এভাবেই মিথ্যা অভিযোগ জানিয়েছিল তারা। আমাদের দেশে নাকি গণহত্যা হয়েছে। সবাই জানে শ্রীলঙ্কায় এমন ঘটনাই ঘটেনি। এদিন কানাডার সংসদে এক প্রাক্তন নাৎসিকে সম্মান জানানোর প্রসঙ্গ টেনেও ট্রুডোকে একহাত নেন শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি সাবরি।

উল্লেখ্য গত ২২ সেপ্টেম্বর ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কা নামের এক ইউক্রেনের নাৎসিকে (দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির সর্বাধিনায়ক এডলফ হিটলারের কুখ্যাত ওয়াফেন এসএস বাহিনীর সদস্য ছিলেন) কানাডার পার্লামেন্টে সম্মান জানিয়ে রাশিয়ার রোষের মুখে পড়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। এ ব্যাপারে রাশিয়া কানাডার কাছে জবাব তলব করেছে। এতে সরগরম হয়ে ওঠেছে কানাডার জাতীয় রাজনীতি। বিরোধী দলনেতা পিয়ের পোইলিএভরে ট্রুডোকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। তাঁর দাবি-ট্রুডো নিজেই নাৎসি ইয়ারোস্লাভ হুঙ্কার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কানাডার উচিত নয় খুনিদের হাব হয়ে ওঠার। খুনিরা কানাডায় চলে যাচ্ছে এবং সেখানে আশ্রয় নিয়ে আরামে দিন কাটাচ্ছেন। আর যাঁদের পরিবারের লোক খুন হলেন তাঁরা কষ্ট ভোগ করছেন। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার বদলে অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে কানাডা।’ বঙ্গবন্ধুর খুনির প্রত্যাপর্ণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ মুজিবরের খুনি নূর চৌধুরী কানাডাতে আরামে জীবনযাপন করছেন। বঙ্গবন্ধুকে খুন করার কথা নিজের মুখে স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁকে ফেরানোর জন্য আমরা কানাডা সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কানাডা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। বিভিন্ন অজুহাত দিচ্ছে। তিনি কানাডার নাগরিক কি না সে ব্যাপারেও কিছু জানাচ্ছে না।’

ভারতের অভিযোগ-ফের জেগে ওঠেছে খালিস্তানি দৈত্যরা। ভারত ভাঙ্গার স্বপ্নে বিভোর জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের শিষ্যরা। মূলত কানাডা থেকে আইএসআইয়ের মদতে কার্যকলাপ চালাচ্ছে তারা। আর ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে খালিস্তানিদের হাতে তামাক খাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। এর প্রমাণও আছে ভুরি ভুরি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়-পাকিস্তানের বালুচিস্তানের নেতা কারিমা বালুচের কথা। বালুচিস্তানে স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনকে নেতৃত্ব দেওয়া কারিমা বালুচ বারংবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, তিনি কানাডায় আইএসআই-এর হাতে খুন হতে পারেন। শেষ পর্যন্ত একটা জিনিস কিনতে বাসস্থানের কাছেই দোকানে গিয়ে আর ফিরে আসেননি। পরে জানা যায়, তিনি অপহৃত ও নিহত হন। এর তদন্ত মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছে ট্রুডো সরকার।

মূলত ভারতের সঙ্গে এমন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে কানাডা বিশ্বমঞ্চে প্রায় একা হয়ে পড়েছে। ভারত বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। জনসংখ্যার দিক থেকে কানাডার তুলনায় ৩৫ গুণ বড়। ভারতের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর পরে কানাডার প্রধান মিত্রদের কেউ কানাডার পাশে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট, বৃটেন, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এ চারটি দেশ কানাডার সঙ্গে ফাইভ আইস এলায়েন্সের সদস্য। এরা সবাই ট্রুডোর অভিযোগের পর অনেকটা দায়সারা গোছের বিবৃতি দিয়েছে। অষ্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তারা খুবই উদ্বিগ্ন।

বৃটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লিভারলি জানিয়েছেন, তাঁর দেশ খুবই উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘আগের মতোই মুক্ত বাণিজ্য নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে বৃটেন। কানাডা প্রশাসন নিজেদের মত কাজ করুক। আমরা তাদের কাজে হস্তক্ষেপ করব না।’

কানাডার প্রধান ও ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও কানাডার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়ে দাঁড়ায়নি। বরং চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ভারতের প্রসঙ্গ টেনে নতুন অর্থনৈতিক পথ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করার জন্য ভারতের প্রশংসা করেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর ও যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিকেন এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সালিভনের সঙ্গে বৈঠকেও কানাডা ইস্যু নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি। তার বদলে জি-২০ সম্মেলনের সাফল্য জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনসহ ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির মতো বিষয় নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে একসূত্রে জানা যায়। তবে জয়শঙ্কর-ব্লিকেন বৈঠক শেষে কানাডা প্রসঙ্গ উহ্য রেখে ম্যাথু বলেন, “প্রতিরক্ষা, মহাকাশ গবেষণা এবং দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।”

বিশ্লেষকদের ধারণা, ভারত যেভাবে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অভয়ারণ্য হিসেবে অকাট্য প্রমাণ দিয়ে কানাডাকে তুলোধুনো করেছে তাতে আমেরিকা হয়তো এ ইস্যুতে ভারতকে ঘাটাতে চাইছে না। ট্রুডো বলেছেন, ভারতের সঙ্গে ‘গঠনমূলক ও গুরুত্ব সহকারে’ জড়িত হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে কানাডাকে এখন কীভাবে গ্রহণ করা হবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। গত ২৮ সেপ্টেম্বর ন্যাশনাল পোস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রুডো বলেন, তার দেশ চলমান কুটনৈতিক বিরোধ সত্ত্বেও ভারতের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতবদ্ধ এবং আন্তরিক। তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক শক্তি ও গুরুত্বপূর্ণ ভূ-রাজনৈতিক খেলোয়ার। আমরা যেমন গত বছর আমাদের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল উপস্থাপন করেছি, তেমনি আমরা ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে খুবই আন্তরিক।

কুটনৈতিক মহল বলছে, সত্যিই যদি কানাডা এতই আন্তরিক হত তাহলে কীভাবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই ভারতের ওপর এতবড় অভিযোগের বোঝা চাপাতে পারল ! নাকি এখন প্যাঁচে পড়ে মোড় ঘুরাতে চাইছেন ট্রুডো ? একেতো কানাডার পার্লামেন্টে এক নাৎসিকে সম্মান জানিয়ে রাশিয়ার তোপের মুখে পড়েছে, এবার কি তাহলে আমেরিকা কোনও প্রকার চাপ তৈরি করল ট্রুডোর ওপরে যে ভারতের বিরুদ্ধে আল-টপকা কোনও মন্তব্য করা যাবে না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ট্রুডোর জন্য সমস্যা হচ্ছে, ভারতের ব্যাপক কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ কিছুটা মলিন হয়ে গেছে। উইলসন সেন্টারের কানাডা ইনস্টিট্যুট’র গবেষক জেভিয়ার ডেলগ্যাডো জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অন্য পশ্চিমা এবং ইন্দো-প্যাসিফিক মিত্ররা চীনের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধকতা ও পাল্টা পদক্ষেপের অংশ হিসেবে যে কৌশল ঠিক করেছে, তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারত নির্ভর। সেটা এ মুহূর্তে চাইলেই তারা একেবারে বাদ দিতে পারবে না।
এজন্য গ্লোব অ্যান্ড মেল নিউজ পেপারের প্রধান রাজনৈতিক লেখক ক্যাম্পবেল ক্লার্ক যথার্থই বলেছেন, ‘তিনি একজন সেলিব্রেটি, যা আমরা কানাডার রাজনীতিতে কখনও দেখিনি। আর নির্বাচনে জয়লাভের পর তাঁর জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। কিন্তু আট বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার পর মনে হচ্ছে কানাডিয়ানদের সাধ মিটেছে।’

সুতরাং এখন দেখার বিষয়, ভারত-কানাডার এ কুটনৈতিক টানাপোড়েন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কতটা ছায়া ফেলে এবং এ দু’দেশের সম্পর্ক কোনদিকে গড়ায়।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test