E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষক

২০২৩ অক্টোবর ১১ ১৫:১৭:১৫
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষক

মোহাম্মদ ইলিয়াছ


আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগসন্ধিক্ষণের বৈশ্বিক নাগরিক। বিগত তিনটি শিল্প বিপ্লবের প্রভাব পৃথিবীবাসীর ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বিরাজমান। মানুষ এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিজয়ের দিকে দ্রুতবেগে ধাবমান। ডিজিটাল প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা ম্যানেজমেন্ট তথা কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ন্যানো টেকনোলোজি ইত্যাদির মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবির্ভাবের কারণে ভবিষ্যৎ বিশ্ব হবে স্মার্ট বিশ্ব। 

দেশের ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রকে অবশ্যই শিক্ষা ক্ষেত্রে আগামীর বিশ্ব কর্মব্যবস্থার উপযোগী ফিউচার রেডি ওয়ার্কফোর্স তৈরিতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। তৎপ্রেক্ষিতে উন্নত বিশ্বের সমৃদ্ধ দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এবং বিশ্বনেতাদের শিক্ষাদর্শন পর্যালোচনা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ক্ষেত্রে আশু পরিবর্তনের বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা বিষয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেছেন, ‘শিক্ষিতরা অশিক্ষিতদের থেকে ততটা আলাদা, যতটা জীবিতরা মৃত্যুদের থেকে আলাদা’। নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছেন, ‘শিক্ষা হলো সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র, যা আপনি বিশ্বকে পরিবর্তনে ব্যবহার করতে পারেন।’ রাষ্ট্রবিজ্ঞানী কনফুসিয়াস বলেছেন, ‘শিক্ষা আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয়। আত্মবিশ্বাস আশার জন্ম দেয়। আশা শান্তির জন্ম দেয়।’ শিক্ষা বা জ্ঞানের গুরুত্ব সম্পর্কে বেঞ্জামিন ফ্রান্সলিন বলেছেন, ‘জ্ঞানে বিনিয়োগই সর্বোত্তম, যা সর্বোচ্চ সুদ প্রদান করে।’

বঙ্গবন্ধু বলেছেন, ‘নতুন মানুষের একটি জাতি গড়ে তুলছে চীন’। তিনিও স্বাধীন বাংলাদেশে একটি নতুন জাতি গঠনের যথার্থ নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সারা বিশ্বের নেতাদের শিক্ষাদর্শন পর্যালোচনা করে দেখেছি, বঙ্গবন্ধুর মতো স্বল্পবাক্যে যথার্থ অর্থপূর্ণ শিক্ষাদর্শন খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা আজো ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও যথার্থ।

তাই অনেক শিক্ষাবিদ বলেন, শিক্ষা নিয়ে প্রচলিত ধারণায় যথেষ্ট মাত্রার ভ্রান্তি রয়েছে। তাদের মতে, শিক্ষা হলো বস্তুনিষ্ঠ নির্মোহ জ্ঞান অর্জনের অন্যতম পথ, পদ্ধতি, পন্থা, মাধ্যম। শিক্ষা হলো মানব প্রজাতির প্রকাশ বাহন।একটি ভালো জাতি তৈরি করতে হলে, শিক্ষকদের অবদান অনস্বীকার্য। শিক্ষক দের সময়মতো পদোন্নতি, যুগোপযোগী বেতন কাঠামো তৈরি, আধুনিক সকল সুযোগ- সুবিধা ও ক্যাডার বৈষম্য দূরীকরণ সহ সকল প্রকার সমস্যা দূরীকরণের জন্য অত্যাবশকীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, ‘জ্ঞানের প্রয়োগে মানবতার পূর্ণাঙ্গ প্রকাশ, ব্যক্তির আত্মিক গভীরতার বিকাশ, ব্যক্তি ও সমাজের মেলবন্ধন সৃষ্টি, মানুষ ও প্রকৃতির যোগসূত্র স্থাপন, স্বাক্ষর ও নিরক্ষরের মাঝে অসমতা হ্রাস, ফলপ্রদতার সঙ্গে ব্যক্তির জ্ঞানভিত্তিক কল্পনা শক্তি সামঞ্জস্যকরণের মাধ্যমে অন্তরাত্মার পূর্ণতা সাধন, জ্ঞানভিত্তিক কল্পনাশক্তির বিকাশ, প্রসারণ, কর্ষণ এবং সৌন্দর্যবোধ চেতনা সৃষ্টি, সমৃদ্ধি জীবনে পূর্ণতাপ্রাপ্তিই হলো শিক্ষা।’

প্রশ্ন হচ্ছে- শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে কি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব? নিশ্চয়ই না, তবে শুধু গতানুগতিক শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাও সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথ আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তিতে বলীয়ান শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কারিগরি শিক্ষাকে মূল স্রোতোধারায় নিয়ে এসে দেশের ন্যূনতম ৫০ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় এনরোলমেন্ট করতে হবে। দেশের সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থা হতে হবে বিশ্ব কর্মব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রয়োজন কম্পিটেটিভ কম্পিটেন্ড ও আউটকাম বেইজড শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর কাঙ্ক্ষিত আধুনিক জ্ঞান ও কর্মশক্তির শিক্ষাব্যবস্থাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ার। সেই কাঙ্ক্ষিত স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা থেকে তৈরি ৪র্থ শিল্পবিপ্লব ও একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও অভিযোজনে সক্ষম দক্ষ জনবল যারা গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি পিলার বা ভিত। তাই স্পষ্টভাবে বলা যায়, নির্ধারিত ৪টি পিলারের সর্বাগ্রে বা প্রথমে স্থান দিতে হবে স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা।

স্মার্ট শিক্ষা হলো একটি শিক্ষামূলক পদ্ধতি, যা শেখার ফলাফল উন্নত করতে এবং শিক্ষাকে আরো আকর্ষক এবং অ্যাক্সেসযোগ্য করে তুলতে ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শিক্ষা পদ্ধতির ব্যবহার করা। শিক্ষণ ও স্মার্ট শিক্ষায় সাধারণত ট্যাবলেট, ল্যাপটপ এবং ইন্টারেক্টিভ হোয়াইট বোর্ডের মতো ডিভাইসের পাশাপাশি শিক্ষামূলক সফটওয়্যার, মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী এবং অনলাইন সংস্থানগুলোর ব্যবহার জড়িত থাকে। স্মার্ট শিক্ষার লক্ষ্য হলো আরো বেশি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক শেখার অভিজ্ঞতা তৈরি করা এবং প্রত্যেক পৃথক শিক্ষার্থীর শেখার চাহিদা এবং আগ্রহ পূরণ করে। শিক্ষকদের তাদের শিক্ষার্থীদের শেখার শৈলী এবং দক্ষতার সঙ্গে তাদের শিক্ষার পদ্ধতিগুলোকে উপযোগী করতে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করা। স্মার্ট শিক্ষার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে রয়েছে

এই স্মার্ট বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কোন বিকল্প নেই। দেশের দীর্ঘমেয়াদি সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের মাধ্যমে বহু-মাতৃক কর্মপরিকল্পনা ও কর্মকৌশল গ্রহণ করেছে সরকার। এই বাস্তবতায় চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বিজয়ের লক্ষ্যে সরকারের মিশন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য সরকার স্মার্ট শিক্ষক গড়ে তুলতে নানান উদ্যােগ গ্রহণ করেন।

এগুলো হলো: স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত রূপকল্প-২০৪১ ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) এর ব্লেনডেড রূপ হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। এই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকার এরই মধ্যে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি(জাইকা)-এর সহযোগিতায় একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা, উদ্ভাবনী জাতিগঠন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সমাজ বিনির্মাণ এই তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে আর এই স্মার্ট প্ল্যানটি প্রণীত হয়েছে।

বিশ্ব বাস্তবতাকে বিবেচনায় নিয়ে জাইকার সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির চারটি উপাদান যেমন: শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবস্থাপনা ও সৃজনশীলতাকে সামনে রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের এই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ‘সোনার বাংলা’ তথা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা। বাঙালি জাতিকে সম্মানজনক জীবনযাপনের ব্যবস্থা করার জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তিনি সারাজীবন নির্যাতন ভোগ করেছেন।

দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেরই প্রতিফলন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ তৈরিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। সরকারের এই মিশন বাস্তবায়নের জন্য রাষ্ট্রের সরকারি ও বেসরকারি হাজারো প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কার্যকর ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্মার্ট বাংলাদেশ নিছক কোনো রাজনৈতিক স্লোগান নয়।

এটিকে এ দেশের ১৮ কোটি মানুষের ধ্যানজ্ঞান ও চিন্তাভাবনার কেন্দ্র-বিন্দুতে পরিণত করা উচিত। আমরা নিশ্চিত হয়ে বলতে পারি, এই কর্মযজ্ঞের সফলতার জন্য সব থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখবে দেশের শিক্ষাখাত তথা সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ। দেশের অগ্রগতিতে প্রণীত যে কোন ধরনের মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে শিক্ষকগণকেই অন্যতম প্রধান কারিগরের ভূমিকায় থাকতে হয়। তবে, এই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষা ও শিক্ষককে স্মার্ট হতে হবে।

সরকার এজন্য শিক্ষকবান্ধব বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী নীতিমালাও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই সারা দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক বা একাধিক আইসিটি ল্যাব স্থাপিত হয়েছে। প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ক্লাসরুম তৈরি করা হয়েছে এবং শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। স্মার্ট বোর্ড এর ব্যবহার চালু করা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ও স্মার্ট বোর্ড এর ব্যবহারকে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করা হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিজ্ঞান প্রসারের জন্য নতুন নতুন কোর্স প্রবর্তন করা হচ্ছে। গবেষণা খাতে বিশেষ গুরুত্বারোপের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা উন্নত দেশের প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে যা শিক্ষার্থীদেরকে উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সাহায্য করবে। আমরা যারা শিক্ষক তাঁরা চাইলে উপরোক্ত সকল কার্যক্রমগুলোকে সর্বাধিক কার্যকর করে তুলতে পারি।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘যিনি সৎ, তিনি স্মার্ট। যিনি অসাম্প্রদায়িক, তিনি স্মার্ট। যিনি সহমর্মী তিনি স্মার্ট, যিনি কর্মদক্ষ তিনি স্মার্ট। তাই দক্ষ, যোগ্য ও সৃজনশীল মানুষই হবে আমাদের স্মার্ট নাগরিক। কাজেই এই স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হলে সবার আগে শিক্ষকদের স্মার্ট হতে হবে। আর সেই শিক্ষকেরাই হবেন আমাদের স্মার্ট নাগরিক তৈরি করার মূল হাতিয়ার।’

প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্মার্ট হিসেবে তৈরি করতে শিক্ষকরা সবথেকে কার্যকর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারেন। শিক্ষার্থীদের মাঝে তারা নতুন নতুন জ্ঞান বিতরণ করেন, তারা স্বপ্ন দেখাতে পারেন। পাঠ্যবইয়ের বাহিরেও সত্য, ন্যায়-অন্যায় ও সুশাসনের বিষয়ে শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের দায়িত্ব রয়েছে।

সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়া হয়েছে। এই মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের ব্যবহার আরো বাড়াতে হবে। ক্লাসে মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে শিক্ষকদের আরো আগ্রহ প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষকদের এই আগ্রহের কারণেই একটি জাতি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা পাবে।

ডিজিটাল কন্টেন্টের মাধ্যমে একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদেরকে পুরো বিশ্ব ঘুরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। শিক্ষকদের কম্পিউটার, ল্যাপটপের ব্যবহার জানতে হবে ও বেশি বেশি ব্যবহার করতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষক যত দক্ষ হবেন আধুনিক মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়াতে তত আগ্রহ জন্মাবে।

তাই আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের যুক্ত করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আসুন, আমরা দেশ, মাটি ও মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীদার হই।

লেখক : উপপরিচালক (অর্থ ও বাজেট), অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা।

পাঠকের মতামত:

১১ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test