পৃথিবীর প্রাচীনতম গাছ
গোপাল নাথ বাবুল
পৃথিবীতে গাছপালা এসেছে অনেক বছর আগে। বলা যায়, মানুষ আসার কোটি কোটি বছর আগে গাছপালা এসেছে। তাই উদ্ভিদের সঙ্গে মানুষের সখ্যতা সেই আদিকাল থেকেই। উদ্ভিদের কার্বন-ডাইঅক্সাইড গ্রহণ এবং অক্সিজেন ছাড়ার ক্ষমতা না থাকলে পৃথিবীতে কোনও প্রাণিই বেঁচে থাকতে পারত না। তাই উদ্ভিদকে পৃথিবীর আদি বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক বিজ্ঞানীরা। সৃষ্টি থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর জলবায়ু ও পরিবেশ তৈরিতে প্রচন্ড রকমের ভূমিকা রেখেছে উদ্ভিদ। তাই উদ্ভিদের প্রতি মানুষের প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। আর এ আগ্রহই গবেষকদের উদ্বুদ্ধ করেছে পৃথিবীর সবচেয়ে পুরানো এবং বয়স্ক গাছ খুঁজে বের করতে।
পৃথিবীতে অনেক ধরনের গাছ আছে। সব গাছের আয়ু সমান নয়। কিন্তু এমন বহু গাছ আছে, যেগুলো হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীতে বেঁচে আছে। পৃথিবীতে এমন কিছু অতি প্রাচীন বৃক্ষ আছে যাদের জীবনীশক্তি বিস্ময়কর।
পৃথিবীর প্রাচীনতম এবং হাজার বছরের পুরানো গাছের মধ্যে জার্মানির হিলসহেম ক্যাথিড্রালের ৩৩ ফুট দীর্ঘ ‘রোজ ক্যানিনা’ গোত্রীয় গোলাপ গাছ অন্যতম। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমা হামলায় গাছটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে শিকড়ের মাধ্যমে এটি আবার পুনর্জনম লাভ করে। সম্প্রতি চীনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা মেইডেনহেয়ার নামে পরিচিত ‘গিঙ্কো বাইলোবা’ নামের এক ধরনের গাছ খুঁজে পেয়েছেন, যে গাছ এমন কিছু রাসায়নিক উৎপাদন করতে পারে যা তাদেরকে রোগ জীবাণু ও খরা থেকে রক্ষা করতে পারে। এমনকি, হাজার বছরের পুরানো এ গাছটির বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।
এরপর বলা যায় ‘জেনারেল শেরমান’ গাছটির কথা। ক্যালিফোর্নিয়ার সিকৌয়া ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত প্রায় ২ হাজার ৭০০ বছরের জিয়ান্ট সিকৌয়া প্রজাতির ‘জেনারেল শেরমান’ গাছটি এখনও শক্তিশালী দৈত্যের মত মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া উত্তর আমেরিকার অ্যান্ডিস পর্বতে অবস্থিত ‘এলার্চ’ একটি অত্যুচ্চ প্রজাতির গাছ। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে, ৩ হাজার ৬০০ বছরের এ গাছটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘজীবী গাছ।
আমেরিকার ফ্লোরিডায় অবস্থিত সুউচ্চ ‘সাইপ্রেস’ গাছটি প্রায় ৩ হাজার ৫০০ বছরের পুরানো। ১৯২৫ সালে এক শক্তিশালী ঝড়ে ডালপালা ভেঙ্গে ৪০ ফুট উচ্চতা কমে গিয়েছিল। আবার ২০১২ সালের এক দাবানলে গাছটির মারাত্মক ক্ষতি হয়। সমস্ত বিপদ মোকাবেলা করেও গাছটি এখনও দিব্যি বেঁচে আছে বলে রেড ইন্ডিয়ানরা বৃক্ষটিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করেন। দক্ষিণ আমেরিকার আন্দিজ পর্বতমালায় অবস্থিত ‘গ্র্যান্ড অ্যাবিউএলো’ নামক বৃক্ষটির বয়স উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের মতে প্রায় ৩ হাজার ৬৪৬ বছর। যা এখনও মাথা উঁচু করে সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে।
এরপর বলা যায়, ভৌবসের জলপাই বৃক্ষের কথা। খরা, দাবানল ও রোগবালাই প্রতিরোধে সক্ষম বলে জলপাই গাছেদের বিশেষ সুনাম আছে। গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের এনো ভৌবস নামক গ্রামের সুপ্রাচীন ৪ হাজার বছরেরও বেশি পুরানো জলপাই গাছটিতে এখনও প্রচুর জলপাই হয় এবং চড়া মূল্যে বিক্রিও হয়। এটিকে পৃথিবীর প্রাচীনতম ফল প্রদানকারী বৃক্ষের অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ১৯৯৭ সালে এটিকে সংরক্ষিত প্রাকৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক এ গাছটি দর্শন করেন।
ইতালির সিসিলি দ্বীপের এটনা পর্বতে অবস্থিত প্রায় ৪ হাজার বছরের প্রাচীনতম ও বিশালতম এ বৃক্ষটির নাম চেস্টনাট বৃক্ষ। প্রচলিত আছে, বহু বছর পূর্বে এ বৃক্ষের নিচে আশ্রয় নিয়ে এক প্রলয়ঙ্কর ঝড়বৃষ্টি থেকে প্রাণে বেঁচেছিলেন একশ ঘোরসওয়ার। সেই থেকেই এর নাম হয় ‘একশ ঘোড়ার চেস্টনাট’। এটনা পর্বতের সক্রিয় জ্বালামুখ থেকে মাত্র ৮ কিমি দুরে এ বৃক্ষের অবস্থান। এছাড়াও যুক্তরাজ্যের উত্তর ওয়েলসে ল্যানজারনিউ গ্রামের একটি ছোট চার্চের সামনে অবস্থিত প্রাচীনতম এবং এখনও বেড়ে চলা ‘ইউ’ গাছটির বয়স উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ৪ হাজার বছর।
স্কটল্যান্ডের ফোটিঙ্গাল শহরে অবস্থিত ধীর বর্ধনশীল আফ্রিকান প্রজাতির ‘ইউ’ গাছটির বয়স প্রায় ৫ হাজার বছর। জাপানের ইয়াকুশিমা দ্বীপে অবস্থিত প্রাচীনতম ‘ক্রিপটোমেরিয়া’ বৃক্ষটির বয়স প্রায় ৫ হাজার বছর। জানা যায়, এ সুপ্রাচীন বৃক্ষটির কারণেই ইয়াকুশিমা দ্বীপটি ইউনেস্কোর ওয়াল্ড হেরিটেজ সাইটের মর্যাদা পেয়েছে। এছাড়াও ইরানের ইয়াজদ্ প্রদেশের আবার্কাহ শহরে অবস্থিত ‘সার্ভ-এ আবার্কাহ’ নামের প্রাচীনতম সাইপ্রেস বৃক্ষটির বয়স প্রায় ৫ হাজার বছরের কাছাকাছি হতে পারে বলে অনুমান করা হয়। প্রাচীন ইরানের মনীষী জরাথ্রুষ্টের সময়ও এ বৃক্ষটি জীবিত ছিল। ইরানিরা এ বৃক্ষটিকে জীবন ও সৌন্দর্যের প্রতীক রূপে গণ্য করেন।
এরপর বলা যায়, হোয়াইট মাউন্টেনের কথা। লাইভ সায়েন্স অনুসারে এ গাছটি ‘রকি মাউন্টেন ট্রি রিং’ গবেষণা দল প্রথম আবিষ্কার করেন। তারা সবকিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খুঁজে পান সাদা পাহাড়ের ওপর প্রায় ৫ হাজার ৬২ বছর ধরে দাঁড়িয়ে থাকা পি. লঙ্গাইভা গাছটিকে।
কিন্তু সবকিছুকে ছাড়িয়ে চিলির একদল উদ্ভিদ বিজ্ঞানীর দাবি, তাঁরা পাঁচ হাজার বছরেরও বেশি বয়সী একটি পুরানো বৃক্ষের সন্ধান পেয়েছেন। সবচেয়ে বেশি বয়সী গাছ বলেই চিলিতে বৃক্ষটি ‘গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’ নামে পরিচিত। বিজ্ঞানীদের ধারণা, বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ও জীবন্ত বৃক্ষ হতে পারে ‘গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’ নামে পরিচিত ৪ মিটার পুরু কান্ডযুক্ত এ কনিফার গাছটি। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃক্ষটিকে সবচেয়ে প্রাচীনতম বলে দাবি করার কারণ-বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া বৃক্ষটির একটি শেকড়ের ব্যাসার্ধই হচ্ছে ১৩ ফুট এবং উচ্চতায় সেটি প্রায় ৯২ ফুট।
উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা ভেবেই পাচ্ছেন না যে, খরা, বৃষ্টি-বাদলা, মারাত্মক ঝড়ঝাপ্টা সামলে বিরূপ পরিবেশে কীভাবে এ ‘গ্রেট গ্র্যান্ডফাদার’ এত বছর ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখল ! সেটা জানতে বিজ্ঞানীরা বৃক্ষটি থেকে কিছু অংশ সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। দক্ষিণ চিলির অরণ্যের ওই বৃক্ষটির প্রকৃত বয়স জানতে এর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় নেমেছেন একদল বিজ্ঞানী। এ বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন চিলির সেন্টার ফর ক্লাইমেট সায়েন্স অ্যান্ড রেজিলিয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত আর্জেন্টিনার অস্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তোনিয়ো লারা। গবেষক লারার মতে, এ গাছটি উত্তরজীবী। তাই গাছটি এত বছর পর্যন্ত বেঁচে আছে। অন্য কোনও গাছের এত বছর বেঁচে থাকার সুযোগ হয়নি।
চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণে লস রিওয় অঞ্চলের অরণ্যে একটি খাদের ধারে রয়েছে বৃক্ষটি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সরলবর্গীয় চিরহরিৎ ওই বৃক্ষটি আসলে ফিৎরোজোয়া কাপ্রেসোদেস প্রকৃতির। লাতিন আমেরিকায় এটি স্থানীয় বৃক্ষ হিসেবে পরিচিত।
কিছুদিন আগেও ঘন্টাখানেক হেঁটে অরণ্যের গভীরে গিয়ে বৃক্ষটির সঙ্গে ছবি তুলতে যেতেন পর্যটকরা। তবে এর বয়স নিয়ে হইচই শুরু হতেই এর পাহারায় রেঞ্জারের সংখ্যা বাড়াচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। বিজ্ঞানীরা আরও জানান, ১৯৭২ সালে চিলির ওই অরণ্যে ঘোরাফেরা করার সময় বৃক্ষটিকে খুঁজে পেয়েছিলেন ওয়ার্ডেন আনিবাল হেনরিকুয়েজ নামক এক পর্যটক। এরপর থেকে এর সম্পর্কে কৌতুহলী হয়ে ওঠেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা।
এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে পুরানো বৃক্ষের রেকর্ড ছিল ৪ হাজার ৮৫১ বছর বয়সের পুরানো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার হোয়াইট মাউন্টেন্স অঞ্চলের ইনিও বনভূমিতে ‘মেথুসেলা’ নামে পরিচিত নেভাদার গ্রেট বেসিন ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত ‘দ্য গ্রেট বেসিন ব্রিসলকোন’ নামের পাইন গাছটির দখলে।
এ পাইন গাছটি নিয়ে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে। ‘দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি’ নামের ৩০০ বছরের এক বটগাছ আছে পশ্চিমবঙ্গের শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে, যার বয়স কলকাতা শহরের সমান। ১৯২৫ সালের সাইক্লোনে গাছটির প্রধান গুড়ি উপরে ফেললেও গাছটি এখনও তার শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে চলেছে। বিদেশি পর্যটকরা কলকাতা এলে একবার অন্তত ‘দ্য গ্রেট বেনিয়ান ট্রি’ দর্শন করে যান। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে আগত জ্যাকব জনসন নামের ২৫ বছরের এক পর্যটক বটগাছটির বয়সের কথা শুনে হাসতে হাসতে বলেছিলেন, বাংলার বটগাছ মাত্র ৩০০ বছর ধরে পৃথিবী দেখছে। আর তাদের দেশে বৃদ্ধা পাইন গাছটি গত ৫ হাজার বছর ধরে এ ধরাধামের বাসিন্দা।
বৃক্ষটির আকার বড় রহস্যময়। বৃক্ষটির কোনও পাতা নেই। দেখলে মনে হয়, সারা শরীরে জ্বরা নিয়ে রূপকথার কোনও বুড়ি বছরের পর বছর জাতীয় উদ্যানটি পাহারা দিচ্ছে। এ রহস্যময় গাছটি দর্শন করতে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা বিস্মিত যে, শুষ্ক জলবায়ু যুক্ত, অনুর্বর পার্বত্যাঞ্চলে এ পাইন গাছটি কীভাবে এতকাল বেঁচে আছে ! শুধু তাই নয়, বাতাসের গতির সঙ্গে সঙ্গে নিজের শরীরের আকৃতিও পরিবর্তন করেছে এ পাইন গাছটি। এ গাছটির কান্ড প্রচন্ড শক্ত এবং গভীর হওয়ায় ছত্রাক, পচন কিংবা ক্ষয় থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে। শুধু নেভাদাই নয়, ক্যালিফোর্ণিয়ার পূর্বপ্রান্তের ইনয়ো ন্যাশনাল পার্কেও প্রায় ৫ হাজার বছরের একটি গাছ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এ গাছগুলো আসলে মৃত। প্রাণ হারালেও পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করতে পারেনি তারা। তাই জ্বরাগ্রস্ত শরীরটাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে গেছে।
অথচ আমরা দেখতে পাই, এর চেয়েও পুরানো গাছ রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পোপোর সানল্যান্ড পার্কে অবস্থিত আনুমানিক ৬ হাজার বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী স্থুলকান্ড বিশিষ্ট আফ্রিকান প্রজাতির দীর্ঘায়ু একটি বাওবাব বৃক্ষ। যথেষ্ট প্রশস্ত ও চল্লিশটি শাখা বিশিষ্ট এই বৃক্ষটি অনেকটা জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। আফ্রিকার অতি প্রাচীন বৃক্ষ হিসেবেও ধরা হয় এটিকে। দুর্ভাগ্যবশত কিছুদিন আগে বৃক্ষটির একটি প্রধান শাখা ভেঙ্গে পড়ার পর থেকেই বৃক্ষটি অন্তিম পর্যায়ের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফলে বর্তমানে বৃক্ষটি মৃতপ্রায়। ধারণা করা হয়, এটি মিশরের গির্জা পিরামিডেরও পুরানো। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে জীবন্ত বিস্ময় এই বাওবাব বৃক্ষটি। প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক বৃক্ষটি পরিদর্শন করেন।
তবে ১০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাওয়া ওয়াটিজা নামের প্রায় ৩৯৭ মিলিয়ন বছরের পুরানো একটি গাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। ২০০৪ সালে ওয়াটিজাদের ১৮০ কিলোগ্রাম ওজনের একটি ফসিল পাওয়া যায়। বর্তমানে এ গাছ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তবে বেঁচে থাকা গাছের মধ্যে সবচেয়ে পুরানো আর বয়স্ক গাছ হিসেবে উল্লেখ করা যায় ২০০৪ সালে খুঁজে পাওয়া সুইডেনের ক্রিসমাস ট্রি’র কথা। যার শেকড় বরফে ঢাকা সুইডেনের মাটির নিচে গত ৯ হাজার ৫৫০ বছর ধরে টিকে থাকলেও বাইরের ৪ মিটার অংশটি বহুবার পাল্টেছে। কারণ, এসব গাছ মরে যাওয়ার সময় শেকড় থেকে আরেকটি গাছ জন্ম দেয়।
পরিশেষে বলা যায়, প্রতিদিন মানুষ উন্নত করছে তার প্রযুক্তিকে। ফলে বর্তমানে অতীতের শেকড়কে খুঁজে পেতে সক্ষম হচ্ছে। চমকে দিচ্ছে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে। সামনে হয়ত প্রকৃতি আরও হাজার হাজার বছরের পুরানো কোনও গাছ উপহার দিয়ে আবার চমকে দেবে মানুষকে। সেই চমক পাওয়ার আশাতেই এখন পর্যন্ত বৃক্ষের ওপর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকৃতি গবেষকরা।
লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।
পাঠকের মতামত:
- আমার একটাই প্রতিজ্ঞা, 'দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা'
- পাকিস্তানের হলে চলছে বাংলাদেশের সিনেমা
- গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ফল ১ মে, ক্লাস শুরু ১ আগস্ট
- টানা চতুর্থবার কমলো স্বর্ণের দাম
- যমুনা নদীর বামতীরে সমন্বিত পানি সম্পদ সম্ভাব্যতায় মতবিনিময়
- সাবেক এমপি মকবুল হোসেন স্মরণে লোহাগড়ায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল
- হাসপাতালের নির্মাণ সামগ্রী বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা উম্মনের বিরুদ্ধে
- টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলো ৪ কিশোর
- স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতন, তিন সন্তান নিয়ে বিপাকে স্ত্রী
- সুবর্ণচরে আ.লীগ নেতার হামলাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- দাবদাহে ঢাকায় উৎপাদনশীল খাতে বছরে ক্ষতি ২৭০০ কোটি ডলার
- ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা: একজনের দায় স্বীকার, দুজনের রিমান্ড
- ফরিদপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করলেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী রউফ উন নবী
- বউ-শাশুড়ির ঝগড়ায় মধ্যস্থতা করতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
- মস্কো উৎসবে পুরস্কৃত ‘নির্বাণ’
- মাভাবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
- মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা
- শৈলকুপায় তীব্র তাপদাহে শরবত বিতরণ
- এজেন্টদের মেরে যমুনায় ফেলার হুমকি, ২ আ.লীগ নেতা গ্রেফতার
- রানা প্লাজা নিছক দুর্ঘটনা নয়: আইবিসি
- চুয়াডাঙ্গায় তীব্র রোদ ও গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন
- গরমে স্বস্তি দিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ’র শরবত বিতরণ
- কুমিল্লায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায়
- মা-মেয়ের লেবুর শরবতে চলে সংসার
- বরগুনায় তীব্র তাপপ্রবাহে ছাত্রলীগের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
- শরণখোলায় শুকিয়ে গেছে খাবার পানির উৎস, নেই গোসল টয়লেটের পানিও
- দিনাজপুরে শেষ হলো তথ্য ও আদিবাসী মেলা
- ‘দেশ বর্তমানে কঠিন সংকটে পড়েছে’
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের আহ্বান প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর
- ‘লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করছি’
- ‘প্লিজ কেউ বোলারদের বাঁচান’
- ভারতের অর্থনীতি কতটা শক্তিশালী?
- দিনাজপুরে ৫ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি
- ‘আ. লীগের নেতাকর্মীরা এখন পাকিস্তানের প্রশংসায় গদগদ’
- ‘গাছ লাগিয়ে গিনেজ বুকে নাম লেখাবে ছাত্রলীগ’
- শনিবার সাপ্তাহিক ‘ছুটিই থাকছে’ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
- ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে কে এই সর্বভুক আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীর
- বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নির্দেশে ডেমরায় বাসে আগুন
- কো-অপারেটিভ ব্যাংকের সম্পত্তি দখলমুক্ত করার দাবিতে মাদারগঞ্জে মানববন্ধন
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ, নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা
- কক্সবাজার সৈকতে হিটস্ট্রোকে পর্যটকের মৃত্যু
- তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে হয়ে যাচ্ছে রেললাইন, দুর্ঘটনার আশংকা
- পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ইসতিসকা নামাজ ও বিশেষ দোয়া
- যোগারদিয়া বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সোহেল রানা ফরহাদ
- বাগেরহাটে ট্রাক চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
- ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেলেন সুবর্ণ সন্তান জাহিদ
- দিনাজপুরে ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা
- বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মহা সম্মেলনে সভাপতি দিপ্তীময় তালুকদার সম্পাদক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যাঁ
- ফরিদপুর ডুমাইনের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !