E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জেল হত্যা দিবস : ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়

২০২৩ নভেম্বর ০২ ১৫:৫৬:৪৫
জেল হত্যা দিবস : ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


শুক্রবার  ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস ২০২৩। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় দিনটি ৪৮ বছর পেরিয়ে গেছে। জেল হত্যা দিবস- বাংলাদেশের ইতিহাসে বেদনাবিধূর ও কলঙ্কময় একটি দিন। মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে, এ দেশের জনগণকে একত্রিত করে ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন, সেই জাতীয় চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয়। 

ঘাতক চক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোদ্ধা জাতীয় চার নেতাকে।

বঙ্গবন্ধুর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতা হলেন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামান। এ হত্যাকান্ড স্মরণে প্রতি বছর ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

এ হত্যাকান্ডের আড়াই মাস আগে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয় তার চার বিশ্বস্ত সহযোগীকে। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট যেদিন জাতির জনকের সপরিবারে হত্যা করা হয়, সেদিন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল জাতি। যার জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না, তাকে বাংলার মাটিতে এভাবে জীবন দিতে হবে এটি কেউ কখনও ভাবেনি বাঙ্গালী। খুনিরা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের কেউ যেন কোনোদিন রাষ্ট্রপরিচালনায় না আসতে পারে। সেজন্য তারা শিশু রাসেলকে প্রাণভিক্ষা দেয়নি। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী চক্র দেশকে নেতৃত্বশূন্য করতে প্রথমে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে এবং পরে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তার অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা- সর্বজনশ্রদ্ধেয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামান- বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু গভীর পরিতাপের বিষয়, সমগ্র বিশ্বে যে কারাগারকে মনে করা হয় সবচেয়ে নিরাপদ স্থান, সেই কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর ওই সময়ের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, তার নেতৃত্বে চার-পাঁচ জন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার জঘন্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি ও দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্যই ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।

জেল হত্যা ছিল ইতিহাসের আরেক কালো অধ্যায়। ঢাকা বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়ের নাম জেল হত্যাকান্ড। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ওই চক্রটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে। এরপর খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী ওই চক্রটি এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর এগোতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অগ্রসর হয়। এরই অংশ হিসেবে এবং এ দেশে যাতে কোনদিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, হত্যা, নির্যাতনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্র থেকেই জেলখানার ভেতরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত করে তারা। শুধু মুক্তিযুদ্ধ নয়, সকল আন্দোলন-সংগ্রামে এই চার নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকেছেন। বিভিন্ন সময় বঙ্গবন্ধুকে যখন কারাগারে বন্দি রাখা হয়েছে তখন আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে এই চার নেতা আন্দলন-সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছেন।

ঘাতক চক্রের লক্ষ্য ছিল বাঙালিকে নেতৃত্বশূন্য করে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তানের পদানত করে মুক্তিযুদ্ধের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়া। তাই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানে আটক করে রাখার পর যে চার নেতা বঙ্গবন্ধুর হয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে বিজয় ছিনিয়ে আনেন, সেই জাতীয় চার নেতাকেও বঙ্গবন্ধুর মতো নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থেকে জাতীয় চার নেতা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি অবস্থায় তার অবর্তমানে জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। বাংলাদেশের সৃষ্টিতে জাতীয় চার নেতার অবদান জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান। এই সরকারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র কারাবন্দি অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।

ঘাতক চক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। তিনি বলেন, ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চির অম্লান থাকবে। রাজনীতির নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ অপেক্ষার পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর মামলার রায় ঘোষণা করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। রায় পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদরুাদেশ দেওয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেওয়াা হয়। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। ২০১৩ সালে আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।

স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যে কোনো অপতৎপরতা ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে। জাতীয় চার নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ও চেতনাকে নির্মূল করা। কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম আর আত্মত্যাগের বিনিময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিচক্র এবং তাদের হত্যার রাজনীতি পরাজিত হয়েছে।

তখন সেদিন ছিল মধ্যরাত। পূর্ব পরিকল্পনায় অতর্কিত হামলা। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা চার সূর্য সন্তানকে প্রথমে গুলি তারপর বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে হায়েনার দল। তারপরও রাত শেষে ভোর হয়। তবে বাংলার সেদিনের ভোর ছিল গভীর অন্ধকারে ঢাকা। শোকাবহ তেসরা নভেম্বরের এই হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় ফিরিয়ে নেয়াই ছিল ঘাতকদের পরিকল্পনা। আর চার নেতার পরিবারের সদস্যদের চাওয়া ছিল যে দন্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকরে সক্রিয় হবে সরকার। ৭৫ এর ১৫ই আগস্ট এবং তেসরা নভেম্বর একই সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিয়ে তারা মনে করেছে বাংলাদেশকে পাকিস্তানি দেশে নিতে পারবেন কিন্তু তারা নিশ্চিত হতে পারেনি, তাই এই তেসরা নভেম্বরের জেলহত্যা। তবে মৃত্যুর আগে এই চার নেতা রেখে গেছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। যা সমর্পিত ছিল দেশ ও মানুষের কল্যাণে।

ভাষা আন্দোলন দিয়ে শুরু এরপর মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র বিনির্মাণে ছিলেন তারা অগ্রপথিক। আর সেটাই কাল হলো তাদের জন্য। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকদের প্রধান শক্রতে পরিণত হন চার নেতা। আর তাই তাদের হত্যা করে নিশ্চিত থাকতে চাইলেন ষড়যন্ত্রকারীরা। স্বভাবতই প্রশ্ন কি ছিল হত্যাকারীদের চাওয়া। চার নেতার সন্তানরা হারিয়েছেন তাদের পিতাকে। দেশও হারিয়েছে তার সেরা সন্তানদের। চার নেতার পরিবারের সদস্যদের চাওয়া খুব সামান্যই, কলঙ্কজনক এই অধ্যায়ের কথা জানুক নতুন প্রজন্ম। যারা কারাবন্দি থাকেন তাদের পরিবার-পরিজন যে কী কঠিন কষ্টে দিনাতিপাত করেন, তা বঙ্গবন্ধু রচিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটোর পাতায় পাতায় আবেগমথিত ভাষায় ব্যক্ত হয়েছে। ইতিহাসের মহামানব জাতির জনক ও জাতীয় চার নেতার নেতৃত্বে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি।

পরিশেষে বলতে চাই, জাতির জনক ও জাতীয় চার নেতার আরাধ্য স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করে প্রিয় বাংলাদেশকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রিয় বাংলাদেশ সোনার বাংলায় রূপান্তরিত হয়ে আগামির উন্নত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে।তাই তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারলেই নেতাদের আত্মা শান্তি লাভ করবে।

লেখক : কলাম লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

পাঠকের মতামত:

২৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test