E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভুলের চোরাবালিতে বিএনপির রাজনীতি

২০২৪ জানুয়ারি ০২ ১৬:০৪:২৩
ভুলের চোরাবালিতে বিএনপির রাজনীতি

গোপাল নাথ বাবুল


প্রকৃতির নিয়ম, সময় দ্রুত বদলায়। কিন্তু বদলে যাওয়া সময়কে বুঝতে না চাওয়ার মানসিকতা একটি রাজনৈতিক দলকে কোন্ জায়গায় ঠেলে দিতে পারে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো, সামরিক ছাউনিতে জন্ম নেওয়া বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি। ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে রাজনৈতিক দলটি বাংলাদেশের নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠেছিল, সেই বিএনপি ১৯৯৬ সাল থেকে আদর্শগত দেউলিয়ানাপনা এবং রাজনীতিতে ধরাকে সরা জ্ঞান করার খেসারত হিসেবে আজ প্রায় অস্তিত্বের চরম সঙ্কটে এসে ঠেকেছে। দলটির বর্তমান প্রধান বৃটেনে পলাতক তারেক রহমানের নীতি আদর্শহীন রাজনীতি ও দ্বিচারিতায় বর্তমানে দলটির ‘আম ও ছালা’ দুটোই বিলিন হ্ওয়ার পথে এবং সুবিধাবাদী ও বিদেশি ঠাকুর নির্ভর রাজনীতির কারণে জাতীয় রাজনীতিতে দলটির অবস্থা বলা যায় খুবই শোচনীয় অবস্থায় পরিণত হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দলটি অসংখ্যবার ভুলের চোরাবালিতে পা দিয়েছে, যার খেসারত দিতে হয়েছে এ জাতিকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং সেক্টর কমান্ডার হয়েও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন ও চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য হেন কোনো কাজ নেই, যা তিনি করেননি। স্বাধীনতার ঘোরতর শত্রু আলবদর-রাজাকারদের মন্ত্রী বানানোসহ বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোকে রাজনীতি করার অনুমতি দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে রাষ্ট্রীয় মদদে ও আর্থিক সহযোগীতা দিয়ে পুনর্বাসিত করেন এবং পাকিস্তানের ঈশারায় সংবিধান থেকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মুছে দিয়ে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে আনেন। ফলে সমাজে দ্রুত সাম্প্রদায়িকতার প্রসার ঘটে, ঘুষ, দূর্নীতিতে সমাজ বিষাক্ত হয়ে ওঠে, দুর্নীতিগ্রস্তদের নেতা বানিয়ে রাজনীতিকে কলুষিত করেন, রাজনীতিবিদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে-বিদেশে চাকুরি দিয়ে পুরস্কৃত করেন এবং সংসদে ইনডেমনিটি বিল পাশ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার কাজে বাধা প্রদান করেন। জিয়াউর রহমানের এসব অন্যায় কাজের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতায় আসে আরেক স্বৈরাচার জে. এরশাদ। তিনি জিয়াউর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করেন। তিনি ১৯৮৮ সালের ৭ জুন জাতীয় সংসদে অষ্টম সংশোধনীতে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দেন।

এভাবে স্বৈরাচার এরশাদের অগণতান্ত্রিক আচরণ, অবিচার-অত্যাচার, অন্যায় শাসন-শোষণে ও দুর্বত্তপনায় যখন দেশবাসী অতিষ্ট হয়ে ওঠেন, তখন তাঁকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের জন্য এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১৫ দল ও ৭ দল তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে। উক্ত আন্দোলনের তীব্রতায় ১৯৯০ সালে স্বেরাচারী এরশাদের পতন হলে ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশ্লেষকদের ভবিষ্যত বাণীকে ব্যর্থ করে দিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রীদের মধ্যরাতের কারসাজিতে বিএনপি ক্ষমতায় আসে। তারপরও জনগণের আশা ছিল, বিএনপি সামরিক উত্তরাধিকারের অতীত এবং সামরিক সংস্কৃতি ত্যাগ করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে গড়ে উঠবে। কিন্তু নেতা হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া তা করতে ব্যর্থ হন। তারপর মেয়াদ শেষে গণতান্ত্রিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে আজীবন ক্ষমতায় থাকার মানসে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি এক দলীয় নির্বাচন করে বিএনপি প্রথম ভুলটি করে বসে। যদিও তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দূর্বার আন্দোলনে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি গঠনের পর দলটি মারাত্মক ভুল করে বসে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর। এ সময় বিএনপি-জামাতের সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় শত শত হিন্দু নারী/ শিশু কোনো প্রকার বাধাবিঘœ ছাড়াই ধর্ষিত হতে থাকে। ধর্ষকদের হাত থেকে আওয়ামীলীগ নেতাদের মেয়েরাও রেহাই পায়নি। লুন্ঠিত হয় শত শত কোটি কোটি টাকার সম্পদ। এমন সহিংসতার কথা বাংলাদেশের মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভুলতে পারবে না। বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন এতই বেশি ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে, নির্যাতনের মুখে কোটালীপাড়ার রামশীল উদ্বাস্তু শিবিরে পরিণত হয়। গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষের ধারণা, আজকে যে বেগম খালেদা জিয়ার জেলে থাকার কথা, সে খালেদা জিয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দয়ায় জেলের পরিবর্তে ঘরে বসে যে যাতনা ভোগ করছেন, তা সে সময়ের গণধর্ষিত পুর্ণিমা শীলসহ নির্যাতীত নর-নারীর অভিশাপের ফসল।

কারণ, প্রতিটি ঘটনার ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া থাকে। একজন অসহায় মানুষ যখন অনন্যোপায় হয়ে অত্যাচারির বিরুদ্ধে সৃষ্টিকর্তার কাছে নালিশ জানায়, তখন তা হয়তো অত্যাচারির অজান্তে ফলে যায়। অন্ততঃ আমাদের মতো গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ মানুষ তাই মনে করে। এরপর বিএনপি-জামাতের প্রশ্রয়ে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ভারতের পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে অস্ত্র¿ প্রশিক্ষণসহ সমর্থন দিতে থাকে এবং তাদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার কেের আনা দশ ট্রাক অস্ত্র ধরা পড়ে। ফলে ভারতের চোখে বিএনপি ভারত বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত হয়। ভারতের এ সন্দেহটা আরো গাঢ় হয়, যখন রাষ্ট্রপতি প্রণব মূখার্জীর বাংলাদেশ সফরের সময় পাকিস্তানের আইএসআই এর ঈশারায় শিবিরের হরতালের অজুহাতে বেগম খালেদা জিয়া দেখা করেননি। এ ছাড়া বিএনপি ক্ষমতা থাকাকালে সিলেটে বৃটিশ হাইকমিশনারের উপর বোমা হামলা, আহসানউল্লাহ মাষ্টার, এস এম কিবরিয়া হত্যাসহ ২০০৪ সালের ২১শে আগষ্ট তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় প্রকাশ্যে আর্জেজ বোমা হামলা চালিয়ে আইভি রহমান সহ ২৭ জন নেতা-কর্মী হত্যা এবং অসংখ্য নেতা-কর্মীকে মারাত্মক আহত করে, যাদের মধ্যে বেঁচে থাকা নেতা-কর্মীরা এখনো বোমার স্প্রীন্টার শরীরে বহন করছেন এবং যন্ত্রণাময় জীবন অতিবাহিত করছেন।

অপরদিকে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল মাহবুব রহমানের সহযোগিতায় চীনের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরি করেও বেগম খালেদা জিয়া তা ধরে রাখতে পারেন নি। তাইওয়ানকে ঢাকায় বাণিজ্যিক অফিস খুলে দিয়ে চীনের শত্রু হিসেবে গণ্য হন।

তারপর ২০০৬ সাল থেকে বিএনপি’র পূর্ণাঙ্গ অবক্ষয় শুরু হয়। দিনে দিনে বিএনপি’র নেতৃত্ব দূর্বল হতে থাকে। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে অল্পদিনেই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বিএনপি’র ইমেজ নামতে নামতে তলানিতে এসে ঠেকে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বাঘা বাঘা বিএনপি নেতা দূর্নীতির দায়ে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন।

২০১৪ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে বাঁকা পথে ক্ষমতায় যাওয়ার মানসে পাকিস্তানের আইএসআই এর ঈশারায় জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলন শুরু করে। ২০১৫ সালে ৯২ দিন ধরে আন্দোলনের নামে বিএনপি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা মেরে, আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার রাজনীতি শুরু করে। এ সময় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, “বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১৫১ জন নিহত হয় এবং ছয় হাজারের মতো মানুষ আহত হয়।”

এ সময় একজন দক্ষ মাঝির অভাবে বিএনপি’র জাহাজ মাঝ দরিয়ায় যখন খেই হারিয়ে ফেলে, তখন রাজনীতিতে অভিজ্ঞ আওয়ামীলীগ সেই সুযোগ গ্রহণ করে দলটিকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। কোমর ভাঙ্গা বিএনপিকে আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে দেয়নি বর্তমান সরকার। বিএনপি শেষ ভুলটি করে বসে ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাভ করা ছয় এমপি’র শপথ গ্রহণ নিয়ে দলের ভিতর জটিলতা তৈরি করা, যা বিএনপিকে একেবারে খাদের কিনারে নিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয়। তাও আবার ৬ জনের মধ্যে ৫ জন শপথ নেন এবং দলের মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকেন, যা বিএনপি’র রাজনৈতিক দৈন্যতাকে জনগণের সামনে হাইলাইট করে দেয়। ফলে জোটের অংশীদারেরা একের পর এক বিএনপিকে ত্যাগ করতে থাকে।

রাজনীতি এমন একটা স্পর্শ কাতর জিনিস, যার সামান্যতম ভুলের খেসারতও দিতে হয়। যার উদাহরণ- ভারতের দূরদৃষ্টিসম্পূর্ণ, বিচক্ষণ, প্রখর বুদ্ধির অধিকারী প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী এবং ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের মহান বন্ধু ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭১ সালে অনুষ্ঠিত নিজ আসনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৭৫ সালের এলাহাবাদ হাইকোর্টের একটা আদেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশে জরুরী অবস্থা জারি করেন। এমন ভুলের খেসারত ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ১৯৬৯ সালে কংগ্রেস ভেঙ্গে নতুন দল গঠন করা বিগ আঙ্কেল নামে খ্যাত মোরারজি দেশাই’র কাছে পরাজিত হয়ে ক্ষমাতাচ্যুত হন। ইন্দিরা গান্ধীর মতো নেতা রাজনৈতিক ভুলের কারণে ধরা খান আর সেখানে বিএনপি’র শত শত ভুলের খেসারত কেমন হবে, তা অনুমানযোগ্য। এব্যাপারে জাতীয়তাবাদী বুদ্ধিজীবি হিসেবে পরিচিতি মরহুম ডঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছিলেন, “বিএনপি দেশ নয়, সব সময় নিজের স্বার্থ বোঝে। আর এই কারণেই বিএনপি’র এই করুণ পরিণতি হয়েছে। সংসদে যদি একজনও ভিন্ন মতের থাকে, সেটা দেশের জন্য সুখকর হবে। কিন্তু দেশের কথা চিন্তা করে যারাই শপথ নিতে চাচ্ছে, তাদেরই দল থেকে বহিস্কার করছে বিএনপি। এতে অহংকার ও হিংসা প্রকাশ পায়।”

এবারও বিএনপি আমেরিকার পাতা ফাঁদে পা দিয়ে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েছে। দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বয়কট করে আরেকটি ঐতিহাসিক ভুলের জন্ম দিয়েছে। আদালতে মীমাংসিত বিষয় অন্তর্বতীকালীন সরকারের দাবিতে বিএনপি আবারও আগুন সন্ত্রাসসহ মারকাট আন্দোলন শুরু করে জনগণের জানমাল দুর্বিসহ করে তোলে। জামাতের সহযোগীতায় দলটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ও চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে এবং ট্রেনের রাস্তা কেটে দিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটিয়ে, চলন্ত ট্রেনে আগুন দিয়ে দেশকে এক মারাত্মক সঙ্কটের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে। ফলে নিরীহ যাত্রী সাধারণ সহিংসতা ও নাশকতার শিকার হয়ে হাসপাতালে দুর্বিসহ যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে প্রাণ ত্যাগ করছেন। এদিকে আওয়ামীলীগও জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধানে অন্তর্বতীকালীন সরকারের কোনো সুযোগ নেই। কাজেই বিএনপি’র প্রস্তাব অসংবিধানিক।

বর্তমানে বিএনপি’র বড় সমস্যা হলো, একজন যোগ্য নেতার অভাব। লন্ডনের পলাতক নেতার নির্দেশে এবং ঢাকায় হরতাল ডেকে নরম বিছানায় ঘুমিয়ে পড়া নেতাদের আহ্বানে যানবাহনে আগুন দিয়ে জনগণের জানমাল ধ্বংস করে আর যাই হোক, অন্তর্বতীকালীন সরকারের অযৌক্তিক দাবি আদায় করা যাবে না। এ কথাটি বিএনপি নেতারা যত তাড়াতাড়ি বুঝবেন ততই দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গল। একজন যোগ্য নেতার অভাবে বিএনপি ও তাদের সমমনাদের নিয়ে গঠিত জোট পরিণত হয়েছে দিক-নির্দেশনাহীন একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্মে। ফলে অনন্যোপায় হয়ে জোট থেকে কয়েকটি দল বের হয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি নেতাদের অস্তিত্ব বর্তমানে টিকিয়ে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিশেষে বলা যায়, এতকিছুর পরেও সারাদেশে এখনো বিএনপি’র বিশাল সমর্থক রয়েছে। একজন দক্ষ পরিচালক যদি বিএনপি’র হাল ধরেন, তাহলে হয়তো আবার বিএনপি বাংলাদেশে শক্ত বিরোধী দল হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারে। দেশে একটি শক্ত বিরোধীদলের প্রয়োজন রয়েছে। কেননা, শক্ত বিরোধীদল বিহীন সরকার স্বৈরাচার হয়ে উঠে। তাই কামনা করি, বিএনপি জামাতের সঙ্গ ছেড়ে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে ভবিষ্যতে একটি শক্ত বিরোধী দল হিসেবে গড়ে ওঠবে।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test