E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা

২০২৪ জানুয়ারি ২৯ ১৬:৪০:১৮
শ্রী শ্রী সরস্বতী পূজা

দেবেশ চন্দ্র সান্যাল



ওঁ নারায়ণং নমস্কৃত্য নরঞ্চৈব নরোত্তমম্।
দেবী সরস্বতীং ব্যাসং ততো জয়মুদীরয়েৎ।।

বিদ্যা একটি মহৎ গুণ। বিদ্যা দতাতি বিনয়ঃ। বিনয় দান করে। বিদ্যাবত্তা ও রাজ্যপদ কখনো সমপর্যায় হিসেবে গণ্য করা যায় না। রাজা নিজ দেশে সম্মানিত শ্রদ্ধার পাত্র, আর বিদ্বান ব্যক্তি সকল স্থানে সম্মান পেয়ে থাকেন। আবার শ্রদ্ধাশীল বিনয়ী ব্যক্তিই জ্ঞান লাভ করেন। যে বিদ্যা বিনয় দান করে না তাহা বিদ্যা নহে । দুষ্টুলোক বিদ্যাদ্বারা শোভিত হইলেও তাকে পরিত্যাগ করা উচিত। সর্প মণি দ্বারা ভূষিত হইলেও কি ভয়ানক নহে ? মণি থাকলেও সর্প যে কাউকে ছোবল মারতে দ্বিধা করবে না । একজন লোক বিদ্যান কি করে বুঝা যায়, তার আলাপ চারিতায়। তিনি যদি বস্তুনিষ্ঠ যুক্তিগ্রাহ্য বাক্যালোচনা করেন, যার প্রয়োগে সকলের জন্য হিতকর তিনি সকলের কাছে পূজ্য সম্মানীয় হয়ে থাকেন। বস্তুনিষ্ঠ বাক্য সকলের কল্যাণ ও মনে প্রশান্তি এনে দেয়, এতে চিত্তের অস্থিরতা দূরীভূত হয়। কুরুক্ষেত্রে রণাঙ্গণে যুদ্ধের প্রাক্কালে যুদ্ধ করা নিয়ে যে অস্থিরতা বা চিত্তচাঞ্চল্য হয়েছিল, সেই পার্থের (অর্জুনের) সারথী শ্রীকৃষ্ণ সঠিক নির্দেশনা দিয়ে চিত্তচাঞ্চল্যের অবসান ঘটিয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়ে কর্তব্যকর্ম নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। সঠিক নির্দেশনা লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়ক হয়। ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দে শিকাগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ বস্তুনিষ্ঠ যৌক্তিক হিতকর বাক্য প্রয়োগে আমেরিকাবাসী সকলের মন জয় করে আদরণীয়ও বিরল সম্মান লাভ করেন। প্রকৃত জ্ঞানই মানুষের সকল অকল্যাণ দূর করতে পারে এবং শান্তির পরশ এনে দিতে পারে। শ্রীমদ্ভবগবদ্ গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের ৩৮ নং শ্লোকে বলা হয়েছে -

ন হি জ্ঞানেন সদৃশং পবিত্রমিহ বিদ্যতে,
তৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃকালেনাত্মনি বিন্দতি। গীতা ৪/৩৮

এই মনুষ্যলোকে জ্ঞানের সমান পবিত্রকারক নিঃসন্দেহে আর কিছুই নেই। যে কালে অর্থাৎ যখন বা যে সময় কর্মযোগের দ্বারা শ্রদ্ধান্তকরণ হয়েছে যে মানুষ সে নিজে নিজেই ঐ জ্ঞান (তত্ত্বজ্ঞান) নিজের মধ্যে (আত্মার মধ্যে) লাভ করে থাকেন। প্রকৃতির কার্যরূপ এই জগতে সবচেয়ে পবিত্র সম্পদ হলো জ্ঞান। পবিত্রতা প্রাপ্ত হওয়ার অধিকার একমাত্র মানুষের দেহেই আছে। অন্য কোন দেহধারীর অধিকার থাকে না। তত্ত্বজ্ঞান হলে বহু জন্মের সঞ্চিত কর্ম সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ সকল সঞ্চিত কর্মই অজ্ঞানকে আশ্রয় করে থাকে। সুতরাং জ্ঞান লাভ হলেই এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। তত্ত্বজ্ঞান হলে কর্তৃত্বাভিমান থাকে না। প্রারদ্ধ কর্মের ফল শরীর যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ থাকলেও জ্ঞানী ব্যক্তির উপর তার প্রভাব পড়ে না। পরমাত্মার পরমেশ্বরের স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানকে নৌকার সাথে তুলনা করা হয়েছে। মানুষ যতই পাপী হয়ে থাকুক না কেন, জ্ঞানরুপ নৌকার সাহায্যে সে এই পাপরুপ সাগর নিরাপদে পার হয়ে যায়। জ্ঞানরুপ নৌকা কখনো ফুটো হয় না, ভেঙ্গে যায় না বা এটি কখনো ডুবে যায় না। এই নৌকাই মানুষকে পাপ সাগর পার করায়।

অগ্নি যেমন কাঠকে ভষ্ম করে দেয়, তেমনি তত্ত্বজ্ঞানরূপ অগ্নি সঞ্চিত, প্রারদ্ধ এবং ক্রিয়মান এই তিন কর্মকেই ভষ্মীভূত করে দেয়। যেমন অগ্নিতে কাঠের আর কিছুই অবশিষ্ট থাকে না, তেমনই তত্ত্বজ্ঞান হলে সমস্ত কর্ম আপনাতেই বিনষ্ট হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি পবিত্র সম্পদ হলো জ্ঞান। যিনি এর প্রকৃতি হতে সর্বপ্রকারে অতীত, যিনি সর্বব্যাপী সর্বশক্তিমান, সর্বলোক মহেশ্বর, সগুণ-নির্গুণ, সাকার-নিরাকারস্বরুপ এই প্রকৃতির সঞ্চালক তাঁর স্বরুপের স্বাক্ষাৎ করবার জন্যই জ্ঞানও পবিত্র। পবিত্র না হলে পবিত্রের সাথে মিশা যায় না। যিনি সর্বাধার পরমাত্মা, সবার সুহৃদ পরমেশ্বর তিনি পবিত্রই। এইখানে জ্ঞানকে তাঁর চেয়ে পবিত্র বলা হয়নি। কেননা তাঁর সমান অন্য দ্বিতীয় কেউ নেই। তাই পরমেশ্বরের চেয়ে দ্বিতীয় বড় আরকে হতে পারে? তাই অর্জুন বলেছেন, পরং ব্রহ্ম পরং ধাম পবিত্রং পরমং ভবান্ ...। আপনি পরমব্রহ্ম, পরমধাম এবং পরম পবিত্র (গীতা ১০/১২) ।

ভীষ্ম বলেছেন, ‘সেই পরমেশ্বর পবিত্রকারীদের মধ্যে অতিশয় পবিত্র এবং কল্যাণসমূহের মধ্যে পরম কল্যাণস্বরুপ (মহাভারত; অনুশাসন পর্ব ১৪৯/১০)। পরমেশ্বর ভগবান জ্ঞানের মহিমার কথা বলেছেন সেই যে তত্ত্বজ্ঞান এতো মহান পবিত্র প্রাপ্তির জন্য তিনি তত্ত্বদর্শী মহাপুরুষের কাছে যেতে বলেছেন, আবার বলছেন সেই জ্ঞান তুমি কর্মযোগের সাহায্যে নিজেই প্রাপ্ত হতে সক্ষম “তৎ স্বয়ং যোগসংসিদ্ধঃ কালেনাত্মনি বিন্দতি” অর্জুন জ্ঞানী ব্যক্তিগণের নিকট জ্ঞান আহরণ করেন এমন অভিপ্রায় ভগবানের ছিল না। যে জ্ঞান এত কষ্ট সাধ্য উপায়ে জ্ঞানীদের কাছে বাস করে, তাঁদের সেবা করে, বিনীত প্রশ্নোত্তরের দ্বারা শ্রবণ-মনন উপলব্ধির মাধ্যমে প্রাপ্ত হতে হয়। সেই জ্ঞানই অর্জুন কর্মযোগের বিধি অনুসারে প্রাপ্ত কর্তব্য পালনের (যুদ্ধ) দ্বারা লাভ করবে। অর্জুন যে তত্ত্বদর্শী মহাপুরুষের কাছে জ্ঞান লাভের জন্য যাবেন, সেই তত্ত্বজ্ঞান যে সেইভাবে প্রাপ্ত হবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ যে ব্যক্তির কাছে যাবে তিনি যে তত্ত্বদর্শী তা কি করে জানবে ? এই মহাপুরুষের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাও কম থাকতে পারে এবং সর্বপ্রাণিতে এক পরমাত্মাতত্ত্ব দর্শণে সংশয় ও বিলম্বের সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু কর্মযোগের সাহায্যে অন্যের সাহায্য ব্যতিরেকে অচিরেই নিশ্চিতভাবে তত্ত্বজ্ঞান অনুভব হয়। তাই ভগবান প্রচলিত রীতিতে কোন জ্ঞান উপদেশ দেন নাই। ভগবান তো মহাপুরষগণের মহাপুরুষ। সুতরাং তিনি অর্জুনকে জ্ঞান আহরণের জন্য অন্য কোনো মহাপুরুষের কাছে যাওয়ার কথা কেন বলবেন ? তাই ভগবান যোগে সংসিদ্ধঃ কর্ম করে অর্জুনকে সমতাতে স্থিত হয়ে যুদ্ধ করার জন্য স্পষ্ট আদেশ দেন।

পরমেশ্বর ভগবান জ্ঞানের কথা বলতে গিয়ে শ্রীমদ্ভগবদগীতার পরবর্তী ৪/৩৯ নং শ্লোকে বলছেন, -

শ্রদ্ধাবান্ লভতে জ্ঞানং তৎপর সংযতেন্দ্রিয়ঃ
জ্ঞানং লদ্ধা পরাং শান্তিমচিরেণাধিগচ্ছতি।

বেদশাস্ত্র, ঈশ্বর এবং মহাপুরুষের বাক্যে এবং পরলোকে প্রত্যক্ষের মতো যে বিশ্বাস হওয়াকে শ্রদ্ধা বলে। শ্রদ্ধা+বান (যুক্ত) = শ্রদ্ধাযুক্ত হওয়া। যাঁর ইন্দ্রিয়াদি সম্পূর্ণ নিজ বশীভূত তিনি সংযতেন্দ্রিয়। ‘পরমাত্মা ঈশ্বর’ আমার মধ্যে আছেন, এরূপ মেনে নেওয়াই শ্রদ্ধা। পরমাত্মা আমার মধ্যেই আছেন

এরূপ শ্রদ্ধা সম্পন্ন হয়, তবে তাঁর পরমাত্মতত্ত্বের জ্ঞান অবশ্যম্ভাবী হয়ে থাকে। বিনা শ্রদ্ধাতে মহাপুরুষকে পরীক্ষা করার জন্য নিজের পান্ডিত্য জাহির করার জন্য, মান প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে বা দম্ভাচরণের জন্যও মানুষ মহাত্মাগণের কাছে গিয়ে প্রণাম, সেবা এবং প্রশ্ন করতেই পারে। কিন্তু তাতে তার জ্ঞান প্রাপ্তি হয় না। কেননা শ্রদ্ধা বিনা কৃত যজ্ঞ, দান তপস্যাদি সব সাধনাকেই ব্যর্থ বলা হয়েছে (গীতা ১৭/২৮)। সাধনার তৎপরতাতেও শ্রদ্ধাই কারণ। আর তৎপরতা শ্রদ্ধার কষ্টিপাথর। সাধনে যতটুকু শ্রদ্ধা হয়, ততটুকু তৎপরতা হয়ে থাকে । যেমন একটি মানুষের ধনে প্রেম হয়, তখন সে সেই রকমেরই কাজ করে থাকে। যদি তার এই বিশ্বাস হয়, যে এই কাজে তার ধনপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে, তখন সে তাতে এমনই তৎপর হয়ে যায় যে পান ভোজন-শয়ন ও যাবতীয় আরাম-আয়েশের ব্যতিক্রম হলেও তথা দৈহিক কষ্ট হলেও তাতে কষ্ট বোধ হয় না। উল্টো ধনের বৃদ্ধি ক্রমশ তাঁর চিত্তে প্রসন্নতাই এসে যায়। এইভাবে অন্য সব ক্ষেত্রেও বিশ্বাস হলে তৎপরতা জন্মে। এই জন্য পরম সাধনে শ্রদ্ধা হবার পর সাধনায় অতিশয় তৎপরতা হওয়া স্বাভাবিক। যদি সাধনায় তৎপরতার ঘাটতি হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে শ্রদ্ধার অবশ্যই ঘাটতি রয়েছে।

‘শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞানং' এখানে লভতে শব্দটির তাৎপর্য হলো যে বস্তু নির্মিত হয় না, সেই রুপ নিত্য সিদ্ধ বস্তুর প্রাপ্তি। সে বস্তু নির্মিত হয় অর্থাৎ যে বস্তু আগে ছিল না, যাকে তৈরি করা হয়েছে সেই বস্তুর প্রাপ্তিকে ‘লভতে’ বলা যায় না। বা জগৎ উৎপত্তি হওয়ার আগেও থাকে, জগৎ স্থিতিতেও থাকে এবং জগৎ লয় হবার পরেও থাকে, সেই তত্ত্বকেই আছে বলে বলা হয় এবং আছে'র প্রাপ্তিকেই লভতে বলা হয়। জ্ঞান লাভের পর পরম শান্তি লাভের তাৎপর্য হলো সূর্যোদয় হবার সঙ্গে সঙ্গেই অন্ধকার নাশ হয়ে যায় এবং সকল পদার্থই দৃশ্যমান হয়ে যায়, তেমনি পরমেশ্বও পরমাত্মা তত্ত্বের জ্ঞান হবার পর তাৎক্ষণিক অজ্ঞানের বিনাশ হয়ে পরমেশ্বর স্বরুপের প্রাপ্তি হয়ে যায় (শ্রীমদ্ভবদগীতাঃ ৫/১৬)।

প্রকৃত জ্ঞান লাভ হলে নিজেকে সর্ববিষয়ে পারঙ্গম কখনো মনে করব না। মনের কলুষতারূপ অজ্ঞানতা দূর হয়ে যায়, আমরা এমন জ্ঞান অর্জন করতে চাই, যে জ্ঞানের কল্যাণে মানুষের কল্যাণ সমাজের কল্যাণ তথা দেশের কল্যাণ বয়ে আনবে। যেমন জ্ঞান আহরণে জানা গেল আগুনের দাহিকা শক্তি আছে। আগুনের এই শক্তিকে কাজে লাগিয়ে সকলের কল্যাণজনক কাজে ব্যবহার করব। আগুনের দাহিকা শক্তিকে দিয়ে কাউকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেয়া নয়। কোনো কিছুকে ধ্বংস করা নয়। কাজেই বিশুদ্ধ জ্ঞান অর্জনই একমাত্র মানুষকে সৎপথে ধাবিত করে শক্তিকে কল্যাণজনক কাজে লাগাতে পারে। আর তার পূর্বশর্ত হলো শ্রদ্ধাবান হয়ে জ্ঞান অর্জন করলেই নির্মল জ্ঞানের অধিকারী হয়। এই যে জ্ঞানের বিষয়ে বলা হলো, সকল জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবী হলেন শ্রী শ্রী সরস্বতী। বিদ্যার দেবী শ্রী শ্রী সরস্বতী।

শ্রী শ্রী সরস্বতী দেবী সৃষ্টি কর্তা শ্রী ব্রহ্মার শরীর হতে আবির্ভূতা শ্রী শ্রী সরস্বতী দেবী জ্ঞানদাত্রী। আমরা মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্রীশ্রীসরস্বতী দেবীর পূজা করে থাকি। তিনি আমাদের বিদ্যা ও জ্ঞান প্রদান করেন। তাঁর কৃপায় সকল শুভ বাগ্ ও বিবেক নিয়ন্ত্রন হয়। ওঁ সরস্বত্যৈ নমো নিত্যং ভদ্রকাল্যৈ নমো নম:। বেদ বেদাঙ্গ বেদান্ত বিদ্যাস্তানেভ্য এব চ স্বাহা।। এষ সচন্দন পুস্প বিল্ব পত্রাঞ্জলি ওঁ সরস্বত্যৈ নম:।” প্রার্থনা মন্ত্র- “ওঁ যথা ন দেবো ভগবান্ ব্রহ্মা লোকপিতামহঃ। ত্বাং পরিত্যজ্য সন্তিষ্ঠেৎ তথা ভব বরপ্রদা।। ওঁ বেদাঃ শাস্ত্রাণি সর্ববাণি দেবী নৃত্যগীতাদিকঞ্চ যৎ। ন বিহীনং ত্বয়া দেবী তথা মে সন্তু সিদ্ধয়ঃ।। ওঁ লক্ষ্মীর্ম্মেধা ধরা তুষ্টিগৌরী পুষ্টিঃ প্রভা ধৃতিঃ। এতাভিঃ পাহি তনুভিরষ্টাভির্স্মাং সরস্বতী”।। স্তবমন্ত্র: শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা। শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।। শ্বেতাক্ষসূত্রহস্থা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা। শ্বেতবীনধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা বন্দিতা সিদ্ধগন্ধব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ। পূজিতা মুনিভিঃ সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।। স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম। যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।। জপ মন্ত্র “ওঁ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ”। গায়ত্রী মন্ত্র- “ওঁ ঐং বাগ্দেব্যৈ বিদ্মহে কামরাজায় ধীমহি তন্নো দেবী প্রচোদয়াৎ”। প্রনাম মন্ত্র-“ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচ যুগ শোভিত মুক্তা হারে। বীনা রঞ্জিত পুস্তক হস্তে,ভগবতী ভারতী দেবী নমোহস্তুতে।। ওঁ সরস্বতি মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে। বিশ^রুপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি সরস্বতী।

লেখক: ধর্মাচার্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ব্যাংকার।

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test